ভারতবর্ষ কি অখণ্ড একটা অস্তিত্ব? টিভিতে যেমন দেখায়? এই নিয়ে আগেই কথা হচ্ছিল, কিছুতে ছবিতে গল্পও থাকুক।
পুং ও নারীর সংখ্যানুপাতঃ
লেখাপড়ায় লিঙ্গবৈষম্যঃ
সাক্ষরতাঃ
জন্মহারঃ
তফশিলি জাতির উপর অপরাধঃ
অস্পৃশ্যতার মাপজোকঃ
এ ছাড়া আরও অনুরূপ তথ্যাবলী আছে। আপাতত এই কটাই থাক। সবকটাতেই দেখবেন সমস্যাজনক এলাকা বলে চিহ্নিত একটিই এলাকা। গোবলয়। তা, পয়েন্ট একটাই। টিভি যখন দেখায়, 'ভারতে অস্পৃশ্যতার অভিশাপ' বা অনুরূপ কিছু, তখন, সেটি মূলত একটি এলাকার অভিশাপ। বাকি এলাকা সমস্যামুক্ত এমন না, কিন্তু অভিশাপটি একটি এলাকারই। টিভি এবং ভারতীয় রাষ্ট্রযন্ত্র অবশ্য তেমন বলেনা। কারণ, এখন ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত, দ্যাট ইজ হিন্দুস্তান। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দিস্তান।
এবার ভারতবর্ষকে সমতল, সমসত্ত্ব -- এই থিয়োরি আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা আপনার ব্যাপার। গোবলয়ের সংস্কৃতি এখন ভারত রাষ্ট্র শাসন করে। সেটাই আপনার সংস্কৃতি, না, গোবলয়কে তার সমস্যা নিজেকে সামলাতে হবে বলবেন, হিন্দুস্তানই ভারতবর্ষ নয়, বলবেন, সেও আপনার ব্যাপার।
মাকুরা যতই লাফাক ভারতবর্ষ একটাই। বাংলাদেশ হতে দেওয়া হবেনা।
সেরা রাজ্য কেরালা।
ভারতবর্ষ যে আলাদা আলাদা রাজ্য আর অঞ্চল নিয়ে গঠিত সে তো সবাই জানে! সেই ইস্কুলে গরুর রচনা লিখতে হতো, ইউনিটি ইন ডাইভার্সিটি। একেক অঞ্চল / রাজ্যের একেক সংস্কৃতি। যার যেটা ভাল্লাগে সেটা নিলেই হলো। আমার যেমন পঞ্চাশ থেকে আশির হিন্দি গান ভাল্লাগে, আর অমিতাভের সিনেমা (শাহেনশার আগে abadhi) ভাল্লাগে। তার পরের হিন্দি সিনেমা ভাল্লাগে না, দেখিওনা (দিল চাহতা হ্যয় অবশ্য বেশ ভাল্লেগেছিলো)।
আর কয়েকটা রাজ্যকে "গোবলয়" বা ক্যাটল ক্লাস হিসেবে দাগিয়ে দিতে ভাল্লাগে না, যদিও তাতে নিজেকে বেশ একটা সুপিরিয়র হিসেবে ভাবাতে পারা যায়। "gobalay" নামের তথাকথিত নীচু টাইপের লোকগুলোর সমস্যা তাদেরকেই সমলাতে হবে, এই স্টিরিওটাইপিংটা একেবারে মিনিংলেস মনে হলো, কারন "গোবলয়ে" যেসব কান্ড ঘটে সেসব বাকি ভারতেও ঘটে। চেন্নাই আর কলকাতায় জাতপাত কিছু কম দেখিনা। "গোবলয়" এর সমস্যা বাকি ভারতের থেকে আলাদা বলেও কিছু মনে হয়না।
https://indianexpress.com/article/explained/rajasthan-crimes-against-women-ncrb-6703453/
'... "গোবলয়ে" যেসব কান্ড ঘটে সেসব বাকি ভারতেও ঘটে। চেন্নাই আর কলকাতায় জাতপাত কিছু কম দেখিনা।' - পরিসংখ্যান তো কম বেশি নিয়ে অন্যরকম বলছে।
যদিও পরিসংখ্যান নিয়ে নিন্দুকেরা মন্দ কথা বল তবে আপনারা অঙ্কের লোক, নিশ্চয় ওরকম বলবেন না।
গোবলয়ের সঙ্গে ক্যাটল ক্লাসের বিশেষ সম্পর্ক নেই। ভারতবর্ষের হিন্দিভাষী এলাকা, যেখানে গরুকে পুজো করা হয়, গৌমাতা বলা হয়, নারীর চেয়েও বেশি সম্মান দেওয়া হয়, তাকে গোবলয় বলা হয়। এই এলাকায় জ্যান্ত হনুমানের পুজোও হয় এবং এলাকাটি অশিক্ষা, অনুন্নয়ন জাত-পাত কন্টকিত।
এ কোনো গোপন কথা নয়। ধরুন আজই একাধিক খবর দেখলাম। ওই হাথরস এলাকায়ই। এই এত কিছুর পরেও।
১। খুনে ধর্ষকদের পক্ষে উচ্চবর্ণের মিটিং মিছিল হচ্ছে। নতুন নয়, আগেও হয়েছে। ফলে বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
২। বিজেপি বিধায়ক, বাল্মিকী সম্প্রদায়ের, এখনও উচ্চবর্ণের দরজায় বসছেন। নিজের আনা পাত্রে জল খাচ্ছেন।
কলকাতা এবং চেন্নাইয়ে নিশ্চয়ই এসব হয়ে থাকে। খবর পাইনা।
ঠিক আছে। সম্পূর্ণ গোবলয় এলাকাটি অশিক্ষা, অনুন্নয়ন জাত-পাত কন্টকিত।
তো সেই জানার পর কি - কি করা উচিত ? ?
এই সেরেছে। আমি তো গোবলয় প্রসঙ্গে লিখলাম। আপনাকে কিছু করতে হবে কেন?
অমিতচাড্ডির খুব গায়ে লেগেছে। পার্কসার্কাসে ঘর ভাড়া পাওয়া যায় না বলে অমিতচাড্ডির চিন্তার শেষ নেই আবার আফনারা উত্তুরপ্রদেশ নিয়ে কুচ্ছো করছেন। সে জায়গা রামচন্দ্রের জম্মকম্মের জায়গা। স্বয়ং যোগী দেখছে ধর্ষিতার পরিবার উপযুক্ত শাস্তি পায় যাতে।
আহা . আমি আলদা করে কেন কিছু করতে যাবো ? এমনিতেই কুঁড়ে। কিন্তু কষ্ট করে প্রবন্ধ টা লেখার জন্যে অবজেক্টিভ জানলে ভালো হতো সক্কলের। এসবতো কোনোটাই অজানা কিছু নয়। আর ডিসি যেমন লিখলেন সাউথে বা অন্যত্রও জাতপাতের উৎপাত কিছু কম নয়, সেটাও যারা থাকেন ওখানে তারা জানেন। অবশ্যই এই লেভেলে খুনোখুনি হয়না বলে মিডিয়া তে ও আসেনা।
r2h, ঠিকই, পরিসংখ্যান নিয়ে অনেকে অনেক কিছুই বলে, নিন্দুকেরা তো গাধাও বলে থাকে :-) এই কেসটাই দেখুন। পরিসংখ্যান বলছে যে "আনটাচেবিলিটি" রাজস্থান আর এমপিতে বেশী, তামিল নাড়ু আর পশ্চিমবঙ্গে কম (রাজ্যগুলো উদাহরন)। কিন্তু তাতে কি লাভ কিছু হলো? তামিল নাড়ু আর পবতে হয়তো একশোয় পাঁচজন এর শিকার হলেন, আর এমপিতে হয়তো একশোয় চল্লিশজন এর শিকার হলেন, কিন্তু ঐ পাঁচজন আর ঐ চল্লিশজনের লিভড এক্সপেরিয়েন্সের কি কিছুমাত্র তফাত হলো? এরকম পরিসঁখ্যান দেখিয়ে কি লাভ হলো? কোনভাবেই কি বলা যায় যে তামিল নাড়ু এগিয়ে আর এমপি পিছিয়ে? দুটো রাজ্যেই তো জাতপাত আছে!
সিউকতবাবু, "গোবলয়", "কাউ বেল্ট", "ক্যাটল ক্লাস", এসবই মোটামুটি একই ধরনের সোশ্যাল কনস্ট্রাক্ট। এগুলো দিয়ে ঘুরিয়ে বলা হয় যে ও ব্যাটারা ছোটলোক, অশিক্ষিতের দল, আমাদের মতো পড়াশোনা জানা, এনলাইটেনড, শহুরে শিক্ষিত ভদ্রলোক না। আর কলকাতা আর চেন্নাই এর খবর না জানলে দুয়েকজন বন্ধুকে জিগ্যেস করে দেখুন, খবর পেয়ে যাবেন, নীচু জাত আর মোল্লার ব্যাটাদের ঠিক কিরকম ট্রিটমেন্ট এই দুই শহরে করা হয়, সেটা জানা খুব কঠিন কিছু না :-)
*সরি, সৈকতবাবু
অ্যানালিসিসে গন্ডগোল হয়ে গেল। ব্যাপারটা উল্টো। ধরুন এক জায়গায় ১০০ জন আপার ক্লাসের মধ্যে ৪০ জন জাতপাত নিয়ে ঘৃণা দেখিয়ে থাকেন। আরেক জায়গায় ৫ জন। এইবারে একজন সোকল্ড নীচুজাতের জাতপাতের জন্য অত্যাচারিত হওয়ার প্রোবাবিলিটি কোথায় বেশি?
গোবলয়ের ইংরেজি কাউ বেল্ট। কারণ সেখানে রাজনীতি থেকে প্রাত্যহিক জীবনে গরু খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ক্যাটল ক্লাসটা অন্য ব্যাপার।
আমি নিজেই অন্ধ্রে থাকি । ওখানে লোকে আলাপ হলেই মোটামুটি ৩ বা ৪ নম্বর প্রশ্নে শুধোয় কোন কাস্ট ? ইন ফ্যাক্ট আমি এই প্রশ্নে আপত্তি করলে লোকে আশ্চর্য হতো।
বাঙালি দের মধ্যে জাতপাত নিয়ে এই লেভেলে খুনোখুনি হয়না হয়তো। কিন্তু হাউসিং সোসাইটি গুলোতে কটা মুসলিম ফ্যামিলি কিনতে পারে বা ভাড়া পায়- ? আর পলিটিকাল খুনোখুনি ? পব বোধহয় সবার আগে থাকবে লিস্টে.
এই ব্লাঙ্কেট একটা পার্টিকুলার রিজিওন এর সব লোককে এক ক্যাটেগরিতে ফেলে "আমরা -ওরা " লেবেলিং করাটাও ঠিক এক্কেবারে একধরণের খাপ মেন্টালিটি। জাস্ট টেবিল এর এদিক ওদিক .
তবে বাঙালীদের মধ্যে এই জাতপাত নিয়ে ব্যাপারটা যে বাড়ছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে মজা লাগে যখন এইসব আপার কাস্টের লোকজন বিদেশে গিয়ে আমায় সাদাদের নেইবারহুডে থাকতে দিচ্ছেনা বলে কান্নাকাটি করে।
যাক ৫=৪০ এই টা তো জানা গেল। সোজা কথায় কোনো রাজ্যে ৫ টা টা খুন হলেও যা, গণহত্যা হলেও তা। কারণ মরার এক্সপিরিয়েন্স তো সমান। ঠিক আছে।
বাইরের আলোকপ্রাপ্ত , শিক্ষিত সব বাঙালিদের মধ্যে মোদির সাপোর্ট % দেখলে চোখ কপালে উঠে যায়।
মোদির সাপোর্ট ব্যাপারটা কিন্তু অনেকটাই হার্ড মেন্টালিটি আর কিছুটা স্পেকটেটর স্পোর্টের মতন হয়ে গেছে। যত বাজেই খেলুক মোদিকে সমর্থন করে যেতেই হবে।
এইসব এনারাইদের নিয়ে এখন আর অতটা ভাবছিনা।
এই দেখুন নিজেই বললেন অন্ধ্রে কথায় কথায় জাত জিজ্ঞাসা করা হয়। আপনি অনভ্যস্ত, কারণ বঙ্গে হয়না। এটা হল আপেলের সঙ্গে আপেলের তুলনা। যদিও অ্যানেকডোটাল। তবে তথ্যও ব্যাপারটা সমর্থন করে। উপরে ছবি দেখলেই বুঝবেন। সেটা আমি করলে সমস্যা টা কী?
সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়েও এরকম আপেলের সঙ্গে আপেলের তুলনা করুন না। অসুবিধে নেই। কিন্তু "ওরা ৩/৪ কথায় জাত জিজ্ঞাসা করে, আর আমাদের হাউসিং এ মুসলমানরা জায়গা পায়না বেশি" -- এটা আপেলের সঙ্গে কমলালেবুর তুলনা হয়ে গেল। আমার কমন সেন্স বলে, যেখানে স্বধর্মেই ছোঁয়াছুঁয়ি জাতপাত আছে, সেখানে বিধর্মীদের ট্রিটমেন্ট আরও খারার হবে। তবে এটা কমন সেন্স। এই নিয়ে কোনো তথ্য থাকলে দিন না। এতে তো রাগারাগির কিছু নেই। ক্যাটল ক্লাস আর গোবলয় যে আলাদা, গোবলয়ে জাতপাত প্রবল, এ তো আমি প্রথম আবিষ্কার করে শক দিচ্ছি তা নয়।
প্রবল- তো কি করা যাবে বা যেতে পারে - ? তার জন্যে সেখানকার সব লোককে এক ক্যাটেগরিতে ফেলে আঙ্গুল দেখানোটাই কি আপনার সল্যুশন ? সেটাই তো জিজ্ঞাস্য ছিল।
আমরা যারা গত বছর পনেরো কুড়ি পসচিম্বংগের বাইরে তাদের কাছে লোকাল পলিটিক্স ও নিজস্ব পলিটিক্স এর পার্ট। আমি ইয়েদির বাঁদ্রামো নিয়ে চিন্তিত। আমার এলাকার বিজেপি এমপির কাজ কারবার নিয়ে বিরক্ত। এবং কর্নাটকের রাজনীতির দায় আমার ওপরেও বরতায়। একই ঘটনা যিনি টেক্সাসে বসে রিপাব্লিকান দৌরাত্ম নিয়ে চিন্তিত তাঁর খেত্রেও সত্যি। এতে দোষের কিছু নেই।
সমস্যা তখন, যখন বিস্বমানবতা নামক ক্লাউড সারভার এর ভজনা করতে গিয়ে আমরা লোকাল হার্ড ড্রাইভ ব্যাপারটাই অবসোলিট করার ডাক দিই ঃঃ)) এর সুজোগ নিয়ে রাস্ট্রীয় মিডিয়া, দেশের একটা অংশের সমস্যাকে সারা দেশের সমস্যা করে তোলে। এটাই হচ্চে। সাউথের মিডিয়ার তবু নিজের গল্প কিছু আছে। এ বাদে, বাকি সারা দেশে এখন গোবলয়ের সমস্যা নিয়েই সারাদিন মোচ্ছব চলে এবং সমস্ত বিবেক - অশ্রুজল সেখানেই খরচ হয়। এটা ঘটনা। পশ্চিম্বঙ্গের নিজের একশ আট টা সমস্যা আছে। পলিটিকাল খুনোখুনি থেকে তোলাবাজি লম্বা লিস্ট। কিন্তু পশ্চিম্বঙ্গের লোক সারাদিন সব ভুলে হিন্দি বলয়ের সমস্যা নিয়ে রোদন করে চলেছে কারন রাস্ট্রীয় মিডিয়া সেটাই চায়। একে প্রতিহত করা দরকার বিকল্প মিডিয়ার মাধ্যমে। আমার এইটুকুই মনে হয়। বাকী, কে বেশি খারাপ কে কম, ওই রেসে ফার্স্ট সেকেন্ড হওয়া নিয়ে আগ্রহ নেই।
আইডেন্টিটির দিক থেকে ভারত এখন মোটামুটি তিনভাগে বিভক্ত। নর্থ, সাউথ, আর নর্থ ইস্ট। নর্থ ইস্টরা একটু আলাদা দেখতে বলে তাদেরকে কেউ দলে নিতে রাজী নয়, তারা সবাই নিজেরাও খুবেকটা উৎসাহী নয়। যদিও আসামে হিন্দির প্রভাব খুব বাড়ছে। সাউথের চারটে রাজ্য ভাষা এবং নিজস্ব সংস্কৃতির কারণে স্বাভাবিক ভাবেই আলাদা। বাকী সবাইকে নর্থ গিলে ফেলছে। মহারাষ্ট্র এখন নর্থ ইন্ডিয়ান স্টেট, যদিও সাউথের সঙ্গে তাদের প্রচুর মিল। গুজরাতিরা যতই জাত্মাভিমান দেখাক, তাদের নেতারা সবাই স্বচ্ছন্দে হিন্দি বলে। কারণ ভারতকে কব্জা করতে গেলে হিন্দি বা ইংরেজী খুব ভালো বলতেই হবে। উড়িষ্যা তো নর্থের পার্ট হওয়ার জন্য অনেকদিন ধরে বায়না করেই চলেছে।
এখন শেষ বড় রাজ্য রয়ে গেছে বাংলা। তাই সবদিক থেকেই সেখানে আঘাত আসবে। এটা করতে পারলেই একটাই অ্যাজেন্ডা, একটাই ভাষা, একটাই সংস্কৃতি দিয়ে সব চালনা করা যাবে।
ভেবে দেখুন যে দুজন নেতা গোবলয়ে সবথেকে বেশি জনপ্রিয়, তারা কেউই কিন্তু গোবলয়ের লোক নয়। ব্যবসায়ীদের গুজরাতের ইস্যুর সঙ্গে কিন্তু গরুর কোনও সম্পর্কই নেই। তবু সেখানে সবথেকে বড় দাঙ্গা হয়েছিল।
সবসময় কি আর দেমাগগরা ওই অঞ্চল থেকেই উঠে আসে ? ঠিকঠাক ইমোশন ক্লিক করতে পারলে সবই সম্ভব . হিটলার বেটা নিজেই তো জার্মান ছিলোনা আর ওর নিজের ফ্যামিলিতেই ইহুদি ব্লাডলাইন ছিল.
৫ = ৪০, এরকম কিন্তু বলিনি। বলেছি যে এক জায়গায় ৫ আর আরেক জাগায় ৪০ বলে দ্বিতীয়টা প্রথমটার থেকে খারাপ হয়ে যায় না, কারন দুটোই খারাপ। আমরা ট্যাম ব্র্যাম, আমরা মোটে ৫, ওরা গোবলয়, দেখো ওরা ৪০, এভাবে বিভাজন করা যায় না। জাতপাত গোটা ভারতে জীবন্ত সমস্যা, গোবলয় ই হোক, কি বাকি ভারতই হোক। হাজার পরিসংখ্যান দেখিয়েও জাতপাতের ভয়ংকর প্যান ইন্ডিয়ান সমস্যা অস্বীকার করা যায়না।
S, গোবলয়ের ইংরেজি ক্যাটল ক্লাস, এরকম তো বলিনি। বলেছি এই সবরকম কনস্ট্রাক্টেরই উপকারিতা এক রকম - এগুলো দিয়ে ওরা অশিক্ষিত ছোটলোক আর আমরা শিক্ষিত ভদ্রলোক, এই বিভাজনটা করা যায়।
গোবলয় দিয়ে বিভাজন তো দেখছি না। উল্টে সারা দেশকে গিলে ফেলতে চাইছে।
জাতপাতের সমস্যা, হিন্দু-মুসলমান সমস্যা, এগুলো শুধু স্ট্যাটিসটিকস দিয়ে পুরোটা ধরা পড়েনা, বা শুধু স্ট্যাটিসটিকস দিয়ে একটা অঞ্চল দাগিয়ে দেওয়া যায়না, এটাই বলতে চাইছি। আমি সারাদিন স্ট্যাটিস্টিকস নিয়েই কাজ করি, তাই তার লিমিটেশানও জানি, এই আর কি।
ইয়ে, তার মানে আবার এই না যে স্ট্যাটিসটিক্স না জানলে লিমিটেশান বোঝা যাবে না। সেরকম মনে হলে লাস্ট বাক্যটা ইগনোর করুন :-)
পুরোটা ধরা পড়ে না, সে তো ঠিক আছে। বিয়ের বিজ্ঞাপন দেখলে বোঝা যায়, বাড়ি ভাড়ায় আমিষ নিরামিষ, হাউসিঙের বৈষম্য ঐসব তো আছেই। কিন্তু ধর্ষকের বর্ণের লোক তার মুক্তির দাবিতে ইম্প্যাক্টফুল আন্দোলন করছে - এই লেভেলের জিনিস দেশের অন্য অঞ্চলে দেখে থাকলে সেটা সত্যিই অজানা তথ্য।
ভঁওরী দেবীর কেসে তো আদালতই এমন বলেছিল, উঁচু জাতের লোক কেন খামোখা নীচু জাতের গায়ে হাত দেবে। সেই রাজস্থান, সেই রিপাবলিক, রূপ কানোয়ারের স্মৃতি বিজড়িত, কে যেন সুন্দরী রানী, গায়ত্রী দেবীদের রিফর্মের আলো ঠিকরানো।
ওদের ব্যাপার স্যাপারই আলাদা।
India is not a nation-state. It is a state composed of many nations.
What is a nation?
- (per dictionary) A large group of people united by common descent, history, culture, or language, inhabiting a particular territory.
The idea that common descent, history, culture or language are required to live under a single administration is absurd in a very complex country like India. The Western theory of nation doesn’t come anywhere near capturing its complex realities. Very recently, Western countries have been trying to understand and accommodate multiculturalism.