
প্রাঞ্জল গদ্যরচনা | 2600:1002:b012:df40:fd3f:bcbc:6c82:***:*** | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৫৫97752এ নিয়ে একটু বিস্তারিত হয় না ?
ধরুন, রূপ গোস্বামীর কারিকা থেকে একটা উদাহরণ দিচ্ছি- “পূৰ্ব্বরাগের মূল দুই । হঠাৎ দর্শন ও অকস্মাৎ শ্রবণ। আগে তার সেবা। তার ইংগিতে তৎপর হইয়া কাৰ্য্য করিবে। আপনাকে সাধক অভিমান ত্যাগ করিবে ।”
T | 146.196.***.*** | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৪:০৪97764এই গদ্য ব্যতিক্রম। সেদিনই ভাটে এই দীনেশবাবুর উল্লিখিত পদটার কথা বলছিলাম। এরকম কিছু কিছু উদাহরণ পাওয়া যায়, মধ্যে মধ্যে ভুলে ভরা সংস্কৃত সমেত। পদ্য তো বোঝা যায় দিব্যি। ছাপাখানা নেই, এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের ভাষারীতি তখন তাদের স্থানিক বৈশিষ্ট্য সমেত জ্বলজ্বলিং, স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন তো নেই। গদ্যে লিখিত গণসাহিত্যের ধারা কি ছিল আদৌ ?
না আমার ধারণা গদ্য সেই কারণেই বেশি লেখা হত না। লেখকরা একটা উদ্দেশ্য নিয়ে লিখতেন- নিজের সম্প্রদায় বা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের কাছে নিজের বক্তব্য পৌঁছনোর দায়টাই মূল ছিল। সেই কারণেই গদ্য বেশি লেখা না হওয়ার কথা। এই আচরণ মালা, সন্দর্ভ (দেহকড়চ) ইত্যাদি খুব সীমিত অডিয়েন্সের জন্যই লেখা মনে হয়।
Ishan | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৯:১৪97773যতি চিহ্ন জানলে গদ্য না জানবার কী আছে? তবে পুরোনো বাংলায়ও গদ্য লেখাকে কোনো কুশলতার পরিচায়ক মনে করা হতনা। ও তো সবাই পারে, টাইপ। এতে করে নি:সন্দেহে আমরা অনেক মণিমুক্তো হারিয়েছি।
Swarnendu Sil আমাকে আর্যভট্ট পড়তে দিয়েছিল। টীকা ছাড়া এক লাইনও বুঝতে পারিনি। আন্দাজ করতে পারি ফান্ডাটা ছিল, রচনাকার ছন্দে বেঁধে সূত্রগুলো লিখে রাখবেন, কিন্তু আসল বিদ্যাটা গুরুক কাছ থেকেই শিখতে হবে। সে গুরুও ভোগে, বিদ্যাও ভোগে, এখন শুধু গরুদের দাপাদাপি।
সে বই অবশ্য সংস্কৃতে। কিন্তু বাংলায়ও চিন্তার ধরণ আলাদা ছিল ভাবার কোনো কারণ নেই।
Ishan | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৯:৪৫97774আরেকটা কথা হল রামপ্রসাদী বাংলা অসম্ভব সুন্দর। সাধারণভাবে কোনো লেখার গুণাগুন বিচার করা হয়, সেই সময়ের নিরিখে। পরবর্তীতে সেরকম আর কেউ লেখেননা। এমনকি রবীন্দ্রনাথের বহু অসাধারণ গান বা কবিতা, ধরুন, সোনার তরী, আজ হুবহু ওই ভাষায় লেখা হলে কেউ ছাপতেননা। দোষ রবীন্দ্রনাথেরও নয়, আজকের সম্পাদকেরও নয়, সময় এবং লিখনভঙ্গী পাল্টে গেছে।
কিন্তু রামপ্রসাদ, আমার জানা সমস্ত বাঙালি কবি এবং লেখকের মধ্যে, রামপ্রসাদ হলেন দুইটি ব্যতিক্রমের একজন। কোন অপরাধে, দীর্ঘমেয়াদে, সংসার গারদে থাকিব -- এ বস্তু আজ লিখতে পারলেও লোকে গর্ববোধ করত। থাকিব শব্দটা বাদ দিলে, এমনকি রকব্যান্ডেরও সুপারহিট গান হতে পারত আজও।
যেটা ধাঁধা, (এলেবেলেবাবু বলবেন, মোটেই ধাঁধা নয়), সেটা হল বিদ্যাসাগর এই পুরো ধারাটা জেনেও বাংলাকে সংস্কৃত কণ্টকিত করে তোলার কাজে কেন ব্রতী হয়েছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্রের ওই গুরুগম্ভীর ভাষা, কেন খামোখা কেবল তৎসমে পরিপূর্ণ? সংস্কৃত তো আকাশ থেকে পড়েনি। বরং বৃটিশ শাসনের অব্যবহিত আগেই বাংলার সংস্কৃত শিক্ষা গৌরবের চরমে ছিল। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নবদ্বীপ এবং বারাণসী সমগোত্রীয় ছিল, যে গরিমা ইংরেজ আমলের কল্যাণে শুধু উবে যায় নয়, ধীরে ধীরে বিস্মৃতও হয়। সে ফার্সি শিক্ষারও প্রবল চল ছিল। কিন্তু সংস্কৃত বা ফার্সি সুপন্ডিতরা কেউ বাংলাকে ঘেঁটে দেবার তালে ছিলেননা। সংস্কৃত এবং ফার্সি শব্দ বাংলায় হরবখৎ ঢুকেছে, ঢোকারই কথা, কিন্তু বাংলাকে সংস্কৃত করে ফেলার চেষ্টা তখন ছিলনা। সেটা শুরু হল সংস্কৃত এবং ফার্সি যখন উঠে যাবার উপক্রম হয়েছে তখন।
এই ব্যাপারে বিদ্যাসাগরের অবদান সর্বজনবিদিত। ঠাকুরবাড়ির সবচেয়ে প্রতিভাবান পুরুষটি কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টোদিকে হেঁটেছিলেন। জ্যোতিরিন্দ্রনাথের পিয়ের লোতির অনুবাদ পড়লে পুরোনো রামপ্রসাদী বাংলার ছাঁচ দেখা যায়। এবং আশ্চর্যজনকভাবে সেই লেখাটিও আজও সাম্প্রতিক বলে অবিকল ছেপে দেওয়া যায়। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ হলেন সেই দ্বিতীয় ব্যতিক্রম, কাল যার উপরে ছাপ ফেলেনি।
এই দুই ব্যতিক্রম যে আমাদের ভাষায় আছেন, সেটাই প্রমাণ করে মোটামুটি একশ বছর খানেক উল্টো স্রোতে হাঁটার চেষ্টা করে আমরা ফেরত আসি আবার আমড়াতলার মোড়ে। সাধু বাংলা তৈরি এবং তার বিসর্জন, এই দুটোই হল বস্তুত মাটি খোঁড়া এবং বোজানোর পণ্ডশ্রম।
এইটা কেন হয়েছিল সত্যি বুঝিনা। ধর্মীয় কারণে নয়। কারণ বিহারীলাল কিংবা রবীন্দ্রনাথ, কেউই ফার্সিবিরোধী কিছু ছিলেননা। ঔপনিবেশিক ভদ্রলোক সংস্কৃতি প্রচলনের জন্য ছোটোলোকের ভাষা থেকে নিজেকে পৃথক করার জন্য নয়। তেমন হলে ইংরিজিই তো ছিল এলিটপনা দেখানোর জন্য। দেখানো হতও। আর ভদ্রলোক নামক বর্গটির উৎপত্তি, এখন যেভাবে ভূমিসত্বভোগীদের সঙ্গে জুড়ে দেখানো হয়, ব্যাপারটা ঠিক তাও নয়। কলকাত্তাইয়া ভদ্রলোকরা নব্য জমিদারীর ফসল, কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ভদ্রলোক বর্গ তো কেবল ঔপনিবেশিক না। টুলো পন্ডিতদের আমল থেকেই সুসংস্কৃত পণ্ডিত ব্যাপারটা চালু ছিল। তাঁরা কখনও সংস্কৃত পান্ডিত্যকে বাংলার ঘাড়ে চাপাননি।
মনে হয়, সংস্কৃত যখন তার জায়গা হারাতে শুরু করল, যা নেই, তার অভাববোধই সংস্কৃত পন্ডিতদেরকে বাংলার ঘাড়ে সংস্কৃতকে চাপিয়ে দিতে বাধ্য করেছিল। ওভাবেই সংস্কৃতের পুনরুজ্জীবন হবে, এইরকম গোষ্ঠীগত অবচেতন কাজ করেছিল হয়তো। যেভাবে খ্রিশ্চানরা দেখে রেজারেকশনকে। অথবা ফ্রয়েডিয় ডিসপ্লেসমেন্টও হয়তো বলা যায়। কে জানে।
'সাধু'ভাষা নির্মাণে ফার্সি বাদ দেওয়ার সচেতন প্রয়াস আলাদা করে লক্ষ্য করা যায়। সেটা কি একটা বড় কারণ ছিল? পুরোনো শাসকের ভাষা/ ভাষিক প্রভাব বর্জন করে নতুন জমানার গেঁড়ে বসা নিশ্চিত করতে।
বিষয়টা হচ্ছে, এই আমলের সাহিত্যকীর্তি থেকে মুসলমানরা পুরো বাদ। চৈতন্যসাহিত্য, মঙ্গলকাব্যের যুগেও মুসলমানের প্রভাব, অংশগ্রহণ দেখা যায়। আবার উনবিংশ শতাব্দীর ভাষানির্মাণ যখন চলছে, সেই সময় বাংলার মুসলমান সমাজ ব্রিটিশদের সঙ্গে এক দীর্ঘমেয়াদি লড়াই চালাচ্ছে। বাংলা থেকে সবচেয়ে বেশি জেহাদি উত্তর পশ্চিম সীমান্তে ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়াই করতে যেত বলে হান্টার জানাচ্ছেন। অথচ, এই পুরো ইতিহাসটা কলকাতার উত্থানের সঙ্গে জলবিভাজিত হয়ে আছে। কেবল তিতুর নারকেলবেড়িয়া জঙ্গ (লক্ষ্যণীয়, যুদ্ধ নয় জঙ্গ) ছাড়া মুসলিম সমাজের কোনও বিদ্রোহের প্রভাব বাংলার মূলধারার ইতিহাসে দেখা যায় না। সেই বিচ্ছিন্নতাই ভাষার সংস্কারের একটা উপাদান হয়েছে কি?
রামপ্রসাদ হয়ত শতাব্দীতে একজন তৈরি হন, কিন্তু রামপ্রসাদের ধারা পৃথক কিছু নয়। বৈষ্ণব পদাবলী এমন কি বাউলফকিরদের অনেকের পদ পড়লে মনে হয় হুবহু আজকের ভাষায় লেখা। এঁরা সকলে একটি ধারার ফসল। এঁদের মধ্যে অনেকে একাধিক ভাষায় পদ রচ্না করতে পারতেন- কোন অডিয়েন্সের জন্য কেন লিখছেন সে হিসেবে নিজের ভাষা পাল্টাতেন।
একটা জিনিস ভেবে দেখার, কবিওয়ালাদের বাংলা কিন্তু সেই সহজতা থেকে বিচ্যুত হয় নি। বাংলার পদকর্তাদের একটা ধারা ছিল, যা আধুনিক বাংলার সামনে নষ্ট হল বলে মনে হয়। গদ্য বাংলা কখনওই সেই গণসাহিত্যের রূপ পায় নি।
নরোত্তম দাসকে নিয়ে আগে গুরুতে লিখেছিলাম। আবার লিঙ্কটা দিলাম, ওনার বিভিন্ন লেখা, গান ইত্যাদি দেখলে এর একটা আভাস পাওয়া যায়। পারলে পড়ো- https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=14104
সিএস | 2405:201:8803:bf6f:f861:92bb:4ff4:***:*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১০:৫১97779গদ্য লেখায় সংস্কৃত ভাষার যোগের পেছনে যে সংস্কৃত পন্ডিতদের উদ্যোগ ছিল এরকম একটা যুক্তি বঙ্কিমের "বাঙ্গালা ভাষা" প্রবন্ধতে আছে। এই লেখাটি কিন্তু সংস্কৃতবহুল গদ্যরও ক্রিটিক (বিদ্যাসাগরী ভাষা) আবার অন্যদিকে টেকচাঁদি বা হুতোমি ভাষারও ক্রিটিক (যেহেতু টেকচাঁদি ধরণ দিয়ে বা সম্পূর্ণ কথ্য ভাষার ধরণ দিয়ে গম্ভীর এবং উন্নত বা চিন্তাময় বিষয়ের প্রকাশ কুলোয় না।)
তো এই প্রবন্ধটির প্রথমদিকে আছে -
"কিছু কাল পূর্ব্বে দুইটি পৃথক ভাষা বাঙ্গালায় প্রচলিত ছিল। একটির নাম সাধুভাষা;অপরটির নাম অপর ভাষা"।
সাধুভাষা কেন প্রচলিত হল সেটার কারণঃ
"গদ্য গ্রন্থাদিতে সাধুভাষা ভিন্ন আর কিছু ব্যবহার হইত না। তখন পুস্তকপ্রণয়ন সংস্কৃত ব্যবসায়ীদিগের হাতে ছিল। অন্যের বোধ ছিল যে, যে সংস্কৃত না জানে, বাঙ্গালা গ্রন্থ প্রণয়নে তাহার কোন অধিকার নাই, সে বাঙ্গালা লিখিতেই পারেই না। .... সুতরাং বাঙ্গালায় রচনা ফোঁটা-কাটা অনুস্বারবাদীদিগের একচেটিয়া মহল ছিল। সংস্কৃতই তাঁহাদিগের গৌরব। তাঁহারা ভাবিতেন, সংস্কৃতেই তবে বুঝি বাঙ্গালা ভাষার গৌরব।"
এই "সংস্কৃত ব্যবসায়ীদিগের" প্রভাব কতখানি ছিল, কেন ছিল সেসব বিচারের বিষয়।
সিএস | 2405:201:8803:bf6f:f861:92bb:4ff4:***:*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১০:৫৮97781লেখাটায় এও ছিল যে -
পদ্য সম্বন্ধে ভিন্ন রীতি। আদৌ বাঙ্গালা কাব্যে কথিত ভাষাই অধিক পরিমাণে ব্যবহার হইত - এখনও হইতেছে।
যাঁহারা সাহিত্যের ফলাফল অবুসন্ধান করিয়াছেন, তাঁহারা জানেন যে, পদ্যাপেক্ষা গদ্য শ্রেষ্ঠ, এবং সভ্যতার উন্নতি পক্ষে পদ্যাপেক্ষা গদ্যই কার্য্যকারী।
পদ্যের কাজ আর গদ্যের কাজ এই দুটিতে ভাগ ছিল, সভ্যতার উন্নতি, অর্থাৎ ধরে নেওয়া যায় যে যুক্তি-তর্ক-বিচার ইত্যাদি, সেই কাজে গদ্যই দরকারী, এরকম একটা মত ছিল বলে মনে হয়।
এলেবেলে | 202.142.***.*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:১৫97783ঈশান যেহেতু আমার প্রসঙ্গে এনেছেন, তাই সোমনাথ-ঈশান-সিএস তিন গুণী ব্যক্তিকেই বলব, এ বিষয়ে আমার লেখার তৃতীয় অধ্যায়ে চোখ রাখতে। কান টানব, মাথা আপসে আপ হাজির হবে।
ডিসক্লেমার - ইহা কোনও 'টিজার' নহে।
সম্বিৎ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১১:৩৬97785রামপ্রসাদের বাংলা নিয়ে কোন কথা হবে না -
জানি জুঁই-মালতী হায়,
কত গন্ধ যে ছড়ায়
তবু ঘরের ফেলে পরের কাছে নিজেরে বিলায়।
ওরে, তোর মত যে নেইকো তাদের মায়ে-পোয়ে আলাপন।
এই আটপৌরে কথা কাব্যসঙ্গীতের চক্করে অনেক ফর্মাল হয়ে গেছিল। অথচ বহুদিন অব্দি আধা-শহুরে কবিগান, আখড়াই, হাপ-আখড়াইতে এই ধরণের মানুষের মুখের কথা বসত। শহুরে সংস্কৃতিতে শ্লীল হবার আকাঙ্খায় বোধহয় গানের কথা পাল্টাতে আরম্ভ করল। নিধু থেকেই এই বদল দেখা যাবে। তখন কোথায় বিদ্যেসাগর?
রামমোহনের বাংলা কেমন ছিল? দেবেন ঠাকুরের? ব্রাহ্ম বাংলা ওই উপনিষদ-ঘেঁষা তৎসম-বহুল ভাষা চালু করেছিল। রবীন্দ্রনাথ তো সেই শুনেও বড় হয়েছেন। হিঁদু বঙ্কিম আর বিদ্যাসাগরের তৎসমবহুল বাংলা কি ব্রাহ্ম বাংলাকে কাউন্টার করতে?
lcm | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১২:০২97786Linguistic Purism .... https://en.wikipedia.org/wiki/Linguistic_purism
সিএস | 2405:201:8803:bf6f:f861:92bb:4ff4:***:*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১২:৩৩97788ঈশান লিখেছে -
"বঙ্কিমচন্দ্রের ওই গুরুগম্ভীর ভাষা, কেন খামোখা কেবল তৎসমে পরিপূর্ণ?"
কিন্তু ঐ প্রবন্ধটিতে বঙ্কিমের বক্তব্য ছিল ,
বলিবার কথাগুলি পরিস্ফুট করিয়া বলিতে হইবে , যতটুকু বলিবার আছে , সবটুকু বলিবে - তজ্জন্য ইংরেজি, ফার্সি, আরবি, সংস্কৃত, গ্রাম্য, বন্য, যে ভাষার শব্দ প্রয়োজন, তাহা গ্রহণ করিবে, অশ্লীল ভিন্ন কাহাকেও ছাড়িবে না।
এ থেকে মনে হয়না যে ভাষার ব্যাপারে ওনার ছুৎমার্গ ছিল । বঙ্কিমের উপন্যাসের ভাষা আর প্রবন্ধের ভাষা তো অনেকটাই আলাদা, উপন্যাসেও ভাষা বদলেছে, প্রথম দিকের উপন্যাসের তুলনায়, পরে। সংস্কৃত কাব্যর প্রভাব ছিল হয়ত, যখন উপন্যাস লিখতে শুরু করছেন।
সিএস | 2405:201:8803:bf6f:f861:92bb:4ff4:***:*** | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১২:৫০97790প্রথম নোটটিতে সোমনাথবাবুর লিখেছিলেন -
কেন এরকম এক দুরূহ 'সাধুভাষা'র প্রবর্তন হল, যাকে উদ্ধার করতে একজন রবীন্দ্রনাথের দরকার পড়ল?
পড়ে মনে হয় সাধুভাষা থেকে মুক্তির কথা রবিবাবুই ভেবেছিলেন শুধু। ওরকম ছিল না মনে হয়, ভাষা নিয়ে দ্বন্দ তো বঙ্কিমের লেখাতেই পাওয়া যাচ্ছে।
এই তর্কটা মনে হয় অনেকদিন ধরেই ছিল, রবিবাবু সেটা এক্স্টেন্ড করেছিলেন।
শুধু এক্সটেন্ড বললে ভুল হবে, ক্লিঞ্চ করিয়েছিলেন। লিখিত বাংলাভাষাকে মানুষের ভাষা করে তোলা রবীন্দ্রনাথের প্রতিভাবলেই সম্ভব হয়েছিল মনে করি। আরও কেউ কেউ ভাবলেও, ব্লো টা রবীন্দ্রনাথই দিতে পেরেছিলেন।
দীপ | 2402:3a80:196c:3865:778:5634:1232:***:*** | ২৮ মার্চ ২০২৫ ১১:৩৫541956
দীপ | 2402:3a80:196b:f7c4:678:5634:1232:***:*** | ৩০ মার্চ ২০২৫ ০১:২২541988
দীপ | 2402:3a80:196b:f7c4:678:5634:1232:***:*** | ৩০ মার্চ ২০২৫ ০১:২৩541989