এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • উন্মনা আনফান

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ মে ২০২০ | ১৪৪০ বার পঠিত

  • সাগরের খাড়ির ধারে ও-ই মস্ত উঁচু টাওয়ারে পতাকাটা শনশনিয়ে পাক খাচ্ছে কদিন ধরে। ঘোলাটে আকাশ । বাতাসে ভিজে ঢেউ। জব্বর একটা ঝড় আসছে নাকি।
    ম্যানগ্রোভের সংসারে যেন কিসের শংকা। কড়াক লড়াইয়ের প্রস্তুতি। ঝরঝর ঝরঝর করে বেপরোয়া ডাকাবুকো হাওয়া জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে দৌড়োদৌড়ি করছে যুদ্ধবাজের মতো। আজ রাতেই বুঝি ঝাঁপাবে ওরা বুকে কাঁপ ধরানো দস্যুর মতো। এখন দুপুর বেলা। যদ্দুর চোখ যায় খাড়ি আর জঙ্গলের ডাঁয়ে বাঁয়ে সামনে পিছনে—ছাইরঙা গহন ছায়া লেপটা লেপটি।
    ওর বোধ হয় জলতেষ্টা পেয়েছিল। পায়ে পায়ে বেরিয়ে এল গোড়ালি জলে ডোবা কেঁদুর বন থেকে। ওই খড়িয়ালের পাড়ে দাঁড়িয়ে জলে জিভ ঠেকায় ও। প্রায় পাঁচ বছর ধরে এমনি ঠেকিয়ে আসছে। জন্মের পর থেকে এ জঙ্গল ছেড়ে কোথাও যায়নি ও। তেষ্টা মেটবার পর একটা তৃপ্তির ঢেকুর তোলে ও প্রতিবার। এবারও তুলল। ঘাঁ-উ-উ-র্-র্.... । একবার ঘাড় ঘুরিয়ে উদাস চোখে তাকিয়ে রইল খাড়ির ওপার পানে তাকিয়ে। থম মেরে আছে আকাশ । জল ঘুরছে থেকে থেকে চরকির মতো। কিছু একটা ঘোরালো ব্যাপারের সংকেত পেল বুঝি। তা সে যাই হোক, ধীর গতিতে আবার ফিরে চলল জঙ্গলের ভেতরে।

    নামখানার পাতিবুনিয়ার চিনাই নদী .... ট্রলার চন্দ্রানী..
    ট্রলার পাক মারছে মাঝ নদীতে। ইলিশের কোন দেখা নেই। লালপাতা, বোমলা, রুলি আর লইট্যার ঝাঁক তুলে ট্রলার বোঝাই করতে হয়। শুঁটকি মাছের মশলা সব। ট্রলারের মালিক বাড়ি বসে ঠিকে দার সামলাচ্ছে মোবাইলে। দানবের মতো ঝড় ছুটে আসছে জেনেও নির্বিকার।নিয়মমাফিক ট্রলার ছাড়ার হুকুম দিয়েছে।এক এক ট্রলারে সাত আট জন। উত্তম মন্ডল সওয়ার হয়েছে একটা ট্রলারে। মৌসুমির নদীজলে ভয়ানক ঘোরা লেগেছে । ঝড় এল বলে। ঝড় উঠে গেলে সাত আট ফুট ঢেউ উঠবে। ট্রলার উল্টে গেলে অতি বড় সাঁতারুকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবু পাড়ি দিয়েছে মাঝ দরিয়ায়। প্রাণের মায়া করে লাভ নেই। পয়সা না পেলে কালকে পরিবার খাবে কি ! ট্রলার মালিক অবুঝ।
    ঠিকে দার গুলো চামার। এক ঠিকে দার থেকে আর এক ঠিকে দারে হাতবদল হয় উত্তমেরা। এটাই এ কারবারের দস্তুর এ দিকে। কার ঠিকে য় যে আসে এক একবারে তাও উত্তমদের অজানা।
    টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছে সমানে। ভর দুপুরবেলায় মনে হচ্ছে ভর সন্ধে নেমেছে।

    উন্মনা বেশ উন্মনা আজ। সন্ধে হয়ে এসেছে। তার বর গেছে মাঝ নদীতে মাছ ধরতে ট্রলার চেপে। উন্মনা খবর টবর শোনে না। সে আকাশ দেখে, হাওয়া দেখেই আন্দাজ পায় প্রকৃতি হামলা বাঁধাতে চলেছে। ঝিরঝিরে বৃষ্টি নেমেছে অনেকক্ষণ হল। যে কোন সময়ে হাওড়ে পড়বে ঝড়
    নামখানার নরম শরীরে কামে ভেজা মুষকো মরদের মতো ।
    ঘূর্ণি হোক তুফান হোক । উত্তম এখন ঘর ছাড়া ।অচ্যূতানন্দ মাছের আড়তদার হোক আর যাই লোকটা বড় আবেগপ্রবণ।সে কম পয়সা ঢালে না এ সংসারে। তার মাশুল উসুল করে নেওয়ার জন্য তার ঝাঁপাঝাঁপি নেই কিন্তু। উন্মনার ভাবনায় তার বুকের ভেতর তিরতির করে কাঁপতে থাকে।মায়ার আবেশে জবুথবু মেরে যায় নোনা মাছের নিরস আড়তদার।গভীর কালো অাঁধার নেমেছে । দলা পাকানো দানব ছুটে আসছে। অচ্যুতানন্দ ঘূর্ণির মতোই আছড়ে পড়ল উন্মনার সপ্তপর্ণী শরীরে।
    শরীর জুড়োলে পর উন্মনার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে, ‘ কি হল...এত আনমনা কেন আজ ? আমি খুব খারাপ.. তাই না উমা ? কি করব বল, পারি না যে... বুকের ভেতর কেমন করে যেন...’
    উন্মনা আনমনেই থাকে। বাইরে অন্ধকারে অপাটে বাতাসের ঝটকা শুরু হয়েছে। নতুন কিছু নয়। ফি বছরই নিয়ম করে আসে এই বালাই। বুক চিতিয়ে লড়ে যাওয়াই সোঁদরবনের মানুষের বারোমেসে কাজ। ঝড় ঝাপটা, জলের ঢেউ, বাঘের হানা নিয়েই এখানে মানুষের বারোমাস্যা।
    বাইরের অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে উত্তম মন্ডলের ঘরনী উন্মনা মৃদুস্বরে বলে, ‘ ও তো এখনও ফিরল না.... এই ভরা দুর্যোগ... ঘূর্ণি লেগেছে হাওয়ায় ...’
    — ‘ ও , এ..ই কথা । আমি এক্ষুণি যাচ্ছি । দেখি কোন খোঁজ পাই কিনা। আমার ঠি কেয় হলি তো কোন ব্যাপার ছিল না। কিন্তু এ যে ভেন্ন লোক। তবু যাই দেখি... ‘ বলে গায়ে পোশাক গলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে অচ্যূতানন্দ।
    — ‘ না না আপনি আবার এই বিপদের মধ্যে কোথায় বেরোবেন... ঝড় এসে পড়ল বলে। ছেড়ে দিন , কাজ নেই বেরিয়ে। যা কপালে আছে হবে।’ উন্মনা মৃদু আপত্তি জানায়।
    — ‘ না তা হয় না। সব কিছু জেনেশুনে চুপ করে বসে থাকব আমি তেমন মানুষ নয় গো... তেমন মানুষ নয়। তুমি আমাকে চিনলে না... সবই আমার কপাল...’ আবেগপ্রবণ অচ্যূৎ উন্মনা আবেগের তাড়নায় দরজা খুলে ঝটকা মেরে বেরিয়ে গেল।

    পাঁচবছরের জোয়ান বাঘটা হোগলার ঘন ঝাড়ের পাশের ফাঁকা জায়গায় গিয়ে দাঁড়াল। ঝুঁঝকো আঁধারে ভরা বন। আকাশের দিকে তাকাল মুখ তুলে। বিপদের গন্ধ পাচ্ছে বোধ হয়। ঝড়ের সর্দার ছুটে আসছে লুটপাট চালাবার জন্য। আগে সৈন্য সামন্ত পাঠিয়ে দিয়েছে।
    আশপাশের বিরাট গাছগুলো ভীষণ দুলতে লাগল। গাছগুলো মরণপণ মাটি আঁকড়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাঘটার ইদানীং কিছু ভাল লাগে না। বড় নিঃসঙ্গ লাগে। ভাবে একটা সাথী খুঁজতে বেরোবে সে । খুঁজতে খুঁজতে বহু দূরে যাবে সে । এই হোগলা বাদার জঙ্গল পেরিয়ে , মাতলা মৌসুনির জল সাঁতরে ও-ই ওপারে ওই দেশের জঙ্গলে গিয়ে উঠবে। সেখানে নিশ্চয়ই পাবে কোন সঙ্গিনী।
    দলা পাকানো ঝড়ের ঝটকা পড়তে লাগল এবার ম্যানগ্রোভের অরণ্যে। ঝাঁপিয়ে পড়েছে নির্মম বায়ু সেনারা। সাহসে অটল ম্যানগ্রোভের ঝাঁক বীরের মতো লড়াই দিতে লাগল। বিনা যুদ্ধে তারা কোনদিন কোন ঝটিকাকে এক ইঞ্চি রাস্তাও ছেড়ে দেয়নি। এবারও ওলোটপালোট খেতে খেতে ভয়ানক যুদ্ধ চালিয়ে যেতে লাগল। বাঘটা হোগলার ঝাড়ের পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই বুক কাঁপানো লড়াই দেখতে লাগল। খুব নতুন কিছু নয়। তার পাঁচ বছরের জীবনে এমন ঘটনা আরও দু একবার দেখেছে সে। সে আস্তে আস্তে সরে গেল মোটামুটি নিরাপদ জায়গায় একটা বড় মাটির ঢিপির পেছনে। বিড়ম্বনা এবং বিরক্তিতে মাখামাখি হয়ে তার মুখ দিয়ে আচমকা উষ্মা নিসৃত হল — ঘাঁ..উ..র্..র্ ।

    জলে স্থলে ঝাঁপিয়ে পড়ল মারণ ঝটিকা। ঝড়ের চাবুক খেয়ে সাত আট ফুট করে লাফিয়ে উঠছে জল। চারিদিক অন্ধকারে ডুবে।লালপাতা, বোমলা, রুলি মাছে ট্রলার আধ বোঝাই করে ডাঙার দিকে ফেরত আসছিল ট্রলার চন্দ্রানী। মোচার খোলের মতো উথাল পাথাল টাল খেতে লাগল ট্রলার। উত্তমরা আটজন প্রাণভয়ে হাল্লাক দিয়ে উঠল।ট্রলার ডাঁয়ে কাত হয়ে এই ডোবে তো সেই ডোবে আবার বাঁয়ে কাত হয়ে এই উল্টোয় তো সেই উল্টোয়।
    উত্তম জান বাজি রেখে জলে ঝাঁপ মারল বাঁচার তাগিদে। ফিরে দেখার ফুরসৎ ছিল না আর কে কে ঝাঁপাল। প্রাণপণে সাঁতরাতে লাগল মৌসুনির পাড়ের দিকে। ঘোর আঁধারে মুষলধারে বৃষ্টি নেমেছে এবার।প্রাণপণ সাঁতরে যেতে লাগল বাঁচার তাগিদে। দিক আন্দাজ করে মরীয়া উত্তম জল টেনে যেতে লাগল। আন্দাজ পাচ্ছে ডাঙা আর বেশী দূরে নয়।দমটা ধরে রেখে আর একটু টানতে পারলে হয়।
    ওই যে পাড়ের ওপর আলো জ্বেলে কে যেন দাঁড়িয়ে । হ্যাজাগ না বড় টর্চ ঠি ক ঠাওর করা যাচ্ছে না। এই তুমুল ঝড় জলে কে আবার খাড়িয়ে হোথায় ! যাই হোক উত্তমের সুবিধেই হল। আলোর দিশা ধরে হাতে পায়ে জল টানতে লাগল।
    গাছপালার শরীর ধরে নির্লজ্জের মতো টানা হ্যাঁচড়া করতে লাগল ঝড় দস্যু। অনেকক্ষণ ধরে লড়াই চালাবার পর মড়মড় করে মাটিতে পড়ে গেল একটা লম্বাটে বয়স্ক নারকেল গাছ। অন্য গাছগুলোরও চরম হেনস্থা হচ্ছে । নাকানি চোবানি খাচ্ছে দিশাহারা হয়ে। কোন রকমে শিকড়গুলো মাটি আঁকড়ে ধরে আছে মুঠো করে।
    জল কাটতে কাটতে শেষ পর্যন্ত পায়ের তলায় মাটি পেয়ে গেল উত্তম মন্ডল। কে যেন তার গায়ে টর্চ ফেলল। ওখান থেকে আওয়াজ এল, ‘ এই ন্যাও, দড়িটারে ধর। দড়ি ধরে উঠে এস। আর কোন ভয় নেই তোমার.... ‘ কাদা জলে ছপাৎ করে একটা নৌকো বাঁধার মোটা রশি এসে পড়ল। রশিটা জড়িয়ে ধরে কাদা ঠেলে উত্তম হাঁচোড় পাঁচোড় করে ডাঙার দিকে হামা দিতে লাগল। ওপর থেকে আবার একবার আওয়াজ এল , ‘ ...এই তো ...আগাও আগাও ... সাবধানে ... হড়কে যেও না... দড়িটারে ধর শক্ত করে .... ভয় নেই ... আমি আছি এখানে... ‘
    গলাটা যেন চেনা চেনা লাগে উত্তমের। চোখ তুলে দেখে হাতে টর্চ নিয়ে চরাচর ভাসানো বৃষ্টির জলপ্রপাতের নীচে জলে ঝড়ে ছিন্নভিন্ন হতে হতে ডান হাতটা বাড়িয়ে উবু হয়ে বসে আছে অচ্যূতানন্দ কয়াল।
    এক হ্যাঁচকায় সেই হাত ধরে ডাঙায় উঠে এল উত্তম । টাল সামলাতে না পেরে একেবারে অচ্যূতের বুকের ওপর গিয়ে পড়ল।

    বাঘটা ভাবল এই ঝড়ের রাত পুইয়ে গেলে সে আর এই বেহড়ে আর থাকবে না। এখানে কিছু ভাল লাগে না তার । কোন সঙ্গিনী নেই।সাথী নেই। একা একা ঘুরে বেড়ায়। ভাবে, অনেক দূর দেশে যাবে সে ডাঙায় হেঁটে হেঁটে , জলে সাঁতার কেটে কেটে। এ ঝড়টা শুধু থামুক আগে। ডালপালা ছড়ানো একটা গরান গাছের তলায়, মাটির ঢিপির পেছনে গুটিসুটি মেরে বসল সে এই ঝড়ের রাতটা পার করার জন্য।

    উন্মনা দরজা জানলা এঁটে একা একা নিথর ঘরের মধ্যে বসে প্রহর গুনছে। আঁধার রাতের ঘূর্ণিঝড় কখন কবে বসন্তী বাতাস হয়ে তার দরজায় টোকা দেবে । অবারিত চোখের জল গাল বেয়ে নেমে তার রুখা শুখা সন্তপ্ত বুক ভিজিয়ে দিতে লাগল।
    ফ্রেজারগঞ্জের কাছে কটা শরীর ভেসে উঠল দুদিন পরে। আর কজন এখনও বেপাত্তা। এখনও রোদ ওঠেনি ভাল করে ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ঝর্না বিশ্বাস | ২০ মে ২০২০ ১৮:৪৮93502
  • এক ভয়ানক ছবি গল্পে। সুন্দরবনের কথা, ঝড় জল মাথায় নিয়ে সেই মানুষ গুলোর মাছ ধরতে যাওয়া, তাদের পরিবার, মালিকের  দাদাগিরি, বাঘের আনাগোনা -সব আছে এ গল্পে। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর গল্প লেখার জন্য। 

  • ঝড়েশ্বর | 103.204.***.*** | ২১ মে ২০২০ ০৪:০২93517
  • উচ্চারণটা তো আমপান ।

    কালকে দেখলাম এবিপি আনন্দ বলছে উমপুন ।

    আপনি আবার তৃতীয় একটা উচ্চারণ আবিষ্কার করেছেন !

  • Anjan Banerjee | ২২ মে ২০২০ ২০:০০93565
  • আমারটা টাইপো মিসটেক। আমফান লিখতে চেয়েছিলাম।

  • aranya | 2601:84:4600:9ea0:2424:aaae:a7e5:***:*** | ২৪ মে ২০২০ ০৮:৫৯93584
  • ভাল লাগল। খুবই প্রিয় এই বাদা বন, যদিও যাই নি কখনো
  • Anjan Banerjee | ২৪ মে ২০২০ ২০:৪৬93612
  • আন্তরিক ধন্যবাদ

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন