শিক্ষার এই দুর্গতি কেন? দায়িত্ব কার? : ভিডিও গুরু
বুলবুলভাজা | ভিডিও গুরু | ০২ আগস্ট ২০২৪ | ১২২৪ বার পঠিত | মন্তব্য : ৮
রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে হাহাকার প্রায়ই নজরে পড়ে। অথচ পিছনের এর বড় চিত্রটা নিয়ে কাউকেই বলতে শোনা যায়না। ২০২৩ সালে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর একটা ঘোষণ নিয়ে খুব হইচই হয়েছিল। ঘোষণা করা হয়েছিল, রাজ্যে আট হাজারেরও বেশি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হবে, কারণ ছাত্র নেই। ত্রিপুরাতেও অবিকল একই রকম একটা ঘোষণা করা হয়েছে এই বছরই। সেখানে ৫০০ রও বেশি স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হতে চলেছে বলে খবর। এর আগে ২০১৮-তে বিজেপি সরকারে এসে ছাত্র সংখ্যা কম রয়েছে রাজ্যের এমন মোট ৯৬১টি বিদ্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। সেই সঙ্গে আরও ৮০০ সরকারি বিদ্যালয়কে বেসরকারি হাতে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। এপর্যন্ত মোট কত বিদ্যালয় বন্ধ হয়েছে এবং কটিকে বেসরকারি হাতে দেওয়া হয়েছে তার কোনও স্পষ্ট যদিও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু কারণটা দুই রাজ্যেই একই। ছাত্ররা আর রাজ্যসরকারের সরকারি বা আধাসরকারি স্কুলে পড়তে যাচ্ছেনা।
ফেক বনাম ফেক বনাম ফেক বনাম ... : ভিডিও গুরু
বুলবুলভাজা | ভিডিও গুরু | ০৯ মে ২০২৫ | ১১১২ বার পঠিত | মন্তব্য : ৯
গত কয়েকদিন ধরেই, বিশেষ করে গতকাল রাত থেকে প্রায় সমস্ত মূলধারার মিডিয়া, ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন অ্যাপে (ট্যুইটার/এক্স, ফেসবুক, হোয়াটস-অ্যাপ ইত্যাদি) নাগাড়ে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছে। সেইগুলি ছড়ানোর কাজ শুরু করেছে মূলধারার মিডিয়া এবং তাদের প্রচার করা খবর সত্যি বলে ধরে নিয়ে সেগুলিকে দাবানলের মত সারাদেশে ছড়িয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে অভূতপূর্ব আতঙ্ক (এবং কোনোক্ষেত্রে উল্লাস)। এই ভুয়ো খবরের যুদ্ধে ভারতের মূলধারার মিডিয়া, যা বহুদিন ধরেই শুধুমাত্র প্রোপাগাণ্ডা মেশিন, যেমন দুষ্ট, তেমনি দুষ্ট পাকিস্তানি ফেক নিউজের কারখানাগুলিও। যুদ্ধবিক্ষত গাজা বা অন্যান্য অঞ্চলের ফুটেজ তো আছেই, তার সাথে খুঁড়ে বের করা হয়েছে কোথায় গ্যাস সিলিণ্ডার ফেটে পুরনো বিস্ফোরণের ভিডিও, কোথায় পুরনো এয়ারপ্লেন ক্র্যাশের ভিডিও, কোথাও আবার ভিডিও গেম সিমুলেশনের ছবি। এইগুলি দুইদেশের মিডিয়া অজান্তে, দুর্ঘটনাবশত করে ফেলেনি, করেছে রীতিমত পরিকল্পনা করে এবং সম্ভবত অনেকে মিলে, এবং কো-অর্ডিনেটেড ভাবেই, এক একটি মিডিয়া দখল করেছে এক-একটি অঞ্চল, কেউ শিয়ালকোট, কেউ লাহোর, কেউ করাচি, কেউ ইসলামাবাদ। ভুয়ো খবরের লক্ষ্যবস্তুগুলিও যথাসম্ভব আলাদা আলাদা করার উদ্দেশ্য মানুষ এবং ফ্যাক্ট-চেকিং এজেন্সিদের আরও আরও দিশেহারা করে দেওয়া, আর কিছু নয়।