বই বৈ তো নয় : বৈজয়ন্ত চক্রবর্তী
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ২০ এপ্রিল ২০০৭ | ১০৭৬ বার পঠিত
লক্ষ্য করে দেখবেন, ইদানীং বঙ্গীয় মধ্যবিত্ত সমাজের (মধ্যবিত্ত বোল্ড এবং আন্ডারলাইন সমেত) যাবতীয় তক্কোবাজির শুরু হয় আবেগ দিয়ে, তারপর ঢোকে সি পি এমাদি, এবং শেষে নির্জলা খেউড়। সিঙ্গুর-নন্দীগেরাম, সি এ বি নির্বাচন থেকে বইমেলা- সবেতেই মোটামুটি একই প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে। বলতেই পারেন যে "তুমি কোতাকার কোন হনু এলে বাওয়া যে গাছের ডালে ন্যাজ ঝুলিয়ে জ্ঞান মারাচ্চো?" আম্মো আলাদা কিছু নই। সেই আবেগ, সি পি এমাদি এবং খেউড়। তবে জিনগত মর্ষকামিতার জন্য খালি আয়নায় তাকাই আর দেখি নৈনিতালের একটা ভ্যাদভেদে পুরোনো আলু। তো এই আলুকিত সমাজের জ্ঞানীজনেরাই যখন এই সব বাচালতা পড়ে থাকেন, অতএব নিজেদের নিয়ে চর্বিতচর্বণ করাই ভালো। আপাতত: মিডিয়ার এই চর্বিতচর্বণের ফোকাল পয়েন্ট হল বইমেলা।
মহাকালীর বাচ্চা : বৈজয়ন্ত চক্রবর্তী
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | ৯৭৬ বার পঠিত
এই সপ্তাহে মুখ চুলকানো খবরের অভাব নেই- টোটো কাপ হাতে বিশ্বজয়ী ভারত, রিজওয়ানুর রহস্যকান্ড ও পুলিশের অবৈধ জুলুমবাজি, রাহুল গান্ধীর রাজ্যাভিষেক, এবং কলিকাতা ডুবুডুবু, বঙ্গ ভেসে যায় রে। একের পর এক খবর, এক একটি খবর পরিশীলিত, অপরিশীলিত, লিবারেল, অ-লিবারেল, হুল্লোড়ে, গম্ভীর- যাবতীয় বৃত্ত, উপবৃত্ত, পরাবৃত্তের নিস্তরঙ্গ জীবনে এক একটি আধলা ইঁট। জলতরঙ্গ জন্মায়, জল বুজ্কুড়ি কাটে, তরঙ্গ মিলায় যায়, তরঙ্গ উঠে, তারপর ঘরে ফিরে নিরালা নি:ঝুম অন্ধকার।
বিসু, সিসু ও পাপাদের গপ্পো : বৈজয়ন্ত চক্রবর্তী
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | ৯২৬ বার পঠিত
মানুষকে বেঁচে থাকতে গেলে, এমনকি মরতে হলেও দুটি শব্দ বলা বা না বলার নিয়ম শিখতে হয়- হ্যাঁ এবং না। প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও সেই একই নিয়ম। আমরা যে দুটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সবথেকে বেশি পরিচিত, অর্থাৎ, রাষ্ট্র ও বাজার- উভয়ই স্বধর্ম বজায় রাখে কিছু কাজে "হ্যাঁ" করে ও কিছু কাজে "না" করে। কয়েক দশক হল এই দুই বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের বাইরে আরও একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যার নাম সিভিল সোসাইটি। খুব বেশি না ঘেঁটে এইটুকু বলা যায় যে রাষ্ট্র ও বাজার মিলে মানবসমাজের সব জরুরী কাজগুলো সেরে ফেলতে পরছে না দেখে মানবসমাজ কিঞ্চিৎ স্বালম্বনের প্রতিজ্ঞা নিয়ে ঠিক করেছে যে কিছু কাজ নিজেরাই সেরে ফেলা যাক।
যে শিল্পের ভাষা নেই : বৈজয়ন্ত চক্রবর্তী
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ০৩ জুন ২০০৭ | ১২৯১ বার পঠিত
গুরু কয়েছেন স্যাভেজের মধ্যে যেমন সেজ, ঠিক তেমনি জানার মধ্যে জান লুকিয়ে আছে। এই যে গুরুর কাছে সমাদ্দারস্যার আসেন, ওনার কাছ থেকেই না জানলাম কিভাবে তিরুপতির থেকে কাটাচুল এনে উনি "বালকুন্তল" ব্র্যান্ড উইগ বানিয়ে বাজারে ছাড়েন। স্পেশাল মাল ওনলি ফর টেকো বাচ্চাস। এই সমাদ্দার স্যারের থেকে কম জেনেছি! মধ্যমগ্রামে ফ্ল্যাটের পার স্কোয়ার ফিট হাজার হয়ে গেছে, অশোকনগর হরিদাস নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের হেডমাস্টারের গরুভাড়া দেওয়ার সাইড বিজনেস আছে, চাম্পাহাটি স্টেশনের এক মাসির কাছে বেস্ট সবরিকলা পাওয়া যায়, মায় "যাহাদের লিঙ্গে তিল থাকে তাহাদের কামভাব প্রবল হয়" এত অব্দি।