পেদ্রো পারামো পড়ার অনুভূতিঋতব্রত ঘোষ (তৃতীয় পর্বের পর...) এই বই গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের ঠোঁটস্থ ছিল, তা বলেছেন তিনি নিজে। এই বইয়ের প্রভাবই মার্কেজের সাহিত্যজীবনে সর্বোচ্চ- একথাও মার্কেজনিজেই বলেছেন!এই বইয়ের গদ্য পড়ার মতো স্প্যানিশ জ্ঞান আমার নেই। তবে এখানে গল্প বলার, গল্পের জাল বিস্তার করার যে প্রবল নতুনত্ব, ও গল্পের পটভূমিতে ও বিষয়বস্তুতে তার ব্যাপক প্রভাব ও প্রয়োগ মাথা নুইয়ে প্রণামের দাবী রাখে। ফর্ম নিয়ে এইরকম সাহসী অথচ সাবলীল পরীক্ষা কতজন পারেন!জয়েসের Ulysses -এর নাম হয়তো কয়েকগুণ বেশি উচ্চারিত এই ক্ষেত্রে, তবে এই বইয়ের নাম অপেক্ষাকৃত কম কেন, তা বোঝা যায় না। হয়তো Anglo-Saxon sphere -এর বাইরের লোক বলেই!এই বই-ই মার্কেজকে “শতবর্ষের নি:সঙ্গতা” ... ...
(দ্বিতীয় পর্বের পর...) এই গল্পের বেশ কিছু দিক আমার চোখে পড়েছে, যেমন,এক, স্থানীয় মেক্সিকান মৃত্যু পরবর্তী জীবন-সংক্রান্ত বিশ্বাস, আর ক্যাথলিক বিশ্বাস এই উপন্যাসে মিলে মিশে গেছে। লেখকের হাতে এই মিশ্রণ কেমন রূপ নিয়েছে, তা দেখা বেশ উপভোগ্য।দুই, এখানকার কোনো চরিত্রই জীবন-মৃত্যুর মধ্যে কোনো একদিকে স্থির হয়ে বাস করে না। আমাদের কথক হুয়ান প্রেসিয়াদোর সঙ্গে বহু মৃত চরিত্রের সাক্ষাৎ তো হয়ই, তার সাথে আমরা দেখি, আরও অনেক চরিত্রই শহর বেঁচে থাকার সময়ও মৃত চরিত্রদের দেখা পায়, তাদের সাথে কথা বলে। শুধু তাই নয়, পেদ্রো পারামো বা সুসানা সান হুয়ান কাহিনীর অনেক জায়গাতেই এতটাই নিষ্ক্রিয়, এতটাই নিস্পৃহ, যে মনে হয় তারা একই সাথে ... ...
(প্রথম পর্বের পর...) এবার তার উপর জারি হয় সর্বগ্রাসী ভয়। এবং এই ভয়টা তার কাছে আকস্মিক ভাবে আসে না। ধীরে ধীরে তার অভিজ্ঞতা, নতুন লব্ধ জ্ঞানের উপর ভর করেই প্রাণীর প্রাণ বাঁচানোর primal instinct তার উপরে ভর করে।পালানোর পথে তার সাক্ষাৎ হয় এক দম্পতির সাথে যারা পোশাক পড়ে না। পুরুষটি বাইরে গেলে নারীটির বহু উপরোধে সাড়া দিয়ে বিছানায় শুতে যায় হুয়ান। কিন্তু নারী নারী নয়, তার ঘাম আসলে ক্রমে জল, মাটি, কাদা- ঠিক কী তার হিসেব থাকে না। সেই নারীর দেহের ঘামে বা দেহপাঁকেই ডুবে মারা যায় হুয়ান। নাকি তার মৃত্যু আরও আগেই হয়েছে?বোঝা যায় না।সে কবরে শুয়ে আরও এক পুরনো ... ...
পেদ্রো পারামো পড়ার অনুভূতিঋতব্রত ঘোষ বই: পেদ্রো পারামোলেখক: হুয়ান রুল্ফো (মেক্সিকো)প্রকাশকাল: ১৯৫৫পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১৪০শ্রেষ্ঠতম উপন্যাসের পর্যায়ে পড়তে হলে যে সেই উপন্যাসকে বিশালবপু হতে হবে, এই ধারণা আমি তারাশঙ্করের 'কবি' পড়েই ত্যাগ করে দিয়েছি। এই উপন্যাস পড়ে আরেকটা উদাহরণ পেলাম খুব জোরদার ভাবে।উপন্যাস শুরু হয় একজন মানুষকে দিয়ে যার মা মারা যাওয়ার সময় তার বাবার খোঁজে যেতে বলে। সেই বাবা, যাকে সে কোনোদিন চোখে দেখেনি। তার কাছে ন্যায্য দাবী পেশ করতে সে পাড়ি জমায় তার বাবার শহরে, যার নাম কোমালা। মাকোন্দোর মত এ-ও এক কাল্পনিক শহর। দূর থেকে সবাই বলে যে শহর আর নেই নষ্ট হয়ে গেছে। কেউই আর নাকি সেখানে থাকে না।কিন্তু ... ...
Rito আঁতেল হতে পারলেননা। তাঁর পড়ার উপযুক্ত বইঃ রক্তমাখা কুকরি ... ...