স্বামীনাথন কমিশন : ভারতীয় কৃষকদের উত্তরনের দিশারী - ২০০৪ সালের ১৮ই নভেম্বর প্রফেসর এম. এস স্বামীনাথন-কে চেয়ারম্যন করে *দ্য ন্যশনাল কমিশন অন ফার্মারস* (NCF) গঠন করা হয়। কমিশন প্রতিষ্ঠার দুবছরের মাথায় ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসের ৬ তারিখে পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা করা হয় । ... ...
স্বাধীনতার পরে ভারতসরকারকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তার মধ্যে অন্যতম প্রধান ছিল প্রায় ৮০ শতাংশ কৃষিজীবি মানুযের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। এটি বাস্তবায়িত করতে গেলে দরকার ব্যপক হারে ভূমি সংস্কার, চাষের জন্য লোন দেওয়া, চাষীকে জমির মালিকানা দেওয়া, উন্নতমানের বীজ, সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা। বলাবাহুল্য সেই উন্নয়নের অফিসিয়াল নাম সবুজ বিপ্লবে, যা মূলত পাঞ্জাব, হরিয়ানা আর পশ্চিম উত্তর প্রদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। গোটা দেশের চিত্র অনেকটাই আলাদা ছিল। ... ...
স্বাধীনতার সাত দশক পেরিয়ে যাওয়ার পরেও প্রায় ৬৫ শতাংশ ভারতীয় কৃষিকাজের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত। দেশের প্রায় ১৫-১৮ শতাংশ জিডিপি কৃষিকাজ থেকে আসে, এবং, বিদেশে রপ্তানীর প্রায় ১৫ শতাংশ কৃষিজ দ্রব্য। অতএব কৃষি সংক্রান্ত যে কোনো আইন ভারতের অধিকাংশ মানুষের জীবনজীবিকার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে এবং অবশ্যই সাধারন মানুষের ওপরেও এর প্রভাব পড়বে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কৃষি সংক্রান্ত তিনটে বিল আমাদের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে পেশ এবং পাশ দুটোই হয়ে যায় এবং রাষ্ট্রপতি এই বিলগুলিতে সম্মতিও দিয়ে দেন ২৭ শে সেপ্টেম্বর ২০২০ তে। ... ...