আজ ছিল নবমী। এই ৩রা সেপ্টেম্বর সন্ধ্যাবেলা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা সল্ট লেকের লাবনী-র সামনে তাদের দাবী নিয়ে অকুতোভয়ে দাঁড়িয়েছিল উৎসবমুখর মানুষের সামনে, সবাইকে জানাতে যে তাদের শান্তিপূর্ণ সংগীতময় আন্দোলন ‘হোককলরব’ তাদের ন্যায্য সম্মান রক্ষার ন্যায্য দাবী। সেই ভয়হীনতা সহ্য হল না শাসকের। তারা পাঠিয়ে দিল তাদের ভাড়াটে পুলিশ বাহিনী। বন্ধ করতে হবে সাহসিকতা। চেষ্টা চলল ভীতিপ্রদর্শণের। বিশাল বাহিনী ধরে নিয়ে গেল তেরো জন তরুণ-তরুণীকে। আবার দাঁড়ালো লাঠির মুখে গানের সুর। আরও অনেক বার দাঁড়াবে। আরও ... ...
এখন সেপ্টেম্বর শেষ হতে চলল। ২০১৪ সাল।
সব কলেজে ভর্তি শেষ। প্রায় সব কলেজেই চলছে ঝরতি-পড়তিদের অনুনয়-বিনয়ের পালাও শেষ। যারা ভর্তি হয়েছে তাদের মধ্যে ভাগ্যবানেরা অন্য আরো “ভাল” কলেজে চলে গেছে। বাকিরা “টিউশনি স্যার/ম্যাডাম” খুঁজতে ব্যস্ত। অল্প কয়েকজন বই-টই কিনে ক্লাস করছে। অনেক কলেজে এই সদ্য “রুটিন” তৈরি হয়েছে।
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে।
শেক্সপীয়র সাহেব একটি নাটক লিখেছিলেন – “ম্যাকবেথ”। রাজা হবার লোভে আগের রাজা ডানকান-কে খুন করে নিজের রক্তাক্ত হাত দেখে ম্যাকবেথ স্বগতোক্তি করেছিল : This i ... ...
এই তো সেদিন, ৫ সেপ্টেম্বর, গেল “শিক্ষক দিবস”। বলছিলাম স্কুল থেকে ফেরার পথে এক বন্ধুকে, এই নিয়ে স্কুল কলেজ মিলিয়ে ৪৫টা শিক্ষক দিবসে হাজির থাকলাম আমি। ৪৫ বার ছাত্ররা আমাকে অভিনন্দিত করল, আমি তাদের এই নিয়ে ৪৫ বার স্নেহ ভালোবাসা জানালাম। আমার খুব ভালো লাগল এই নিয়ে ৪৫ বার। ওদেরও নিশ্চয় ভালো লাগল।
সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণকে স্মরণ করা হল। স্মরণ করা হল না লক্ষ লক্ষ গ্রামেগঞ্জে পড়ে থাকা সেই সব দরিদ্র সম্বলহীন শিক্ষকদের যাঁরা নানা প্রতিকূলতা আর স্থানীয় নেতাগুণ্ডাদের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও চেষ্টা করে চলেছেন ত ... ...
এটা দ্বিতীয় বার দিচ্ছি। আগের পোস্টটা ভুলভাল। এখানে ঠিক করে দিলাম।
( আর একটি পূর্ব-প্রকাশিত গল্প। কমলাদি-র কথা বলতে গিয়ে বাস্তবের উপরে একটা আস্তরণ টেনেছিলাম। এই কাহিনীতে স্থান-কাল-পাত্রের নাম শুধু বদলানো হয়েছে। আর কিছু নয়। বাকি ঘটনা প্রায় অবিকৃত। আসুন, আমরা ভাবি, কেমন করে আমাদের সংস্পর্শে তথাকথিত “অপর”-গণকে কেমন করে পরিবর্তিত করে। যে সংস্কৃতি অন্তজ নয়, কেবল স্বতন্ত্র, তাকে বদলে দেবার, সেখানে হস্তক্ষেপ করার অধিকার আছে কি আমাদের? জানি না। )
একটি ছেলে আর একটি লোকের কথা লিখব এখানে। এদের ... ...
( আর একটি পূর্ব-প্রকাশিত গল্প। কমলাদি-র কথা বলতে গিয়ে বাস্তবের উপরে একটা আস্তরণ টেনেছিলাম। এই কাহিনীতে স্থান-কাল-পাত্রের নাম শুধু বদলানো হয়েছে। আর কিছু নয়। বাকি ঘটনা প্রায় অবিকৃত। আসুন, আমরা ভাবি, কেমন করে আমাদের সংস্পর্শে তথাকথিত “অপর”-গণকে কেমন করে পরিবর্তিত করে। যে সংস্কৃতি অন্তজ নয়, কেবল স্বতন্ত্র, তাকে বদলে দেবার, সেখানে হস্তক্ষেপ করার অধিকার আছে কি আমাদের? জানি না। )
একটি ছেলে আর একটি লোকের কথা লিখব এখানে। এদের দু’জনের কেউই গুরুত্বপূর্ণ মানুষ নয়। এদের কথা না জানলে কারো ... ...
এটি একটি পূর্ব-প্রকাশিত গল্প। ‘নবান্ন’ পত্রিকায়। সনতারিখ মনে নেই। এই মুহূর্তে দরকারও নেই। অবশ্য এটাকে শুধু ‘গল্প’ বললে ভুল হবে হয়ত। যা ঘটেছিল (বা বলা ভালো, যা ঘটেছিল ত্তার যতটা আমার মনে আছে) তাই লিখেছিলাম। মাঝে মাঝে ফাঁকফোকর ভরে দিয়েছিলাম কল্পনা থেকে। নামগুলো পাল্টে নিয়েছিলাম। তাছাড়া, ঘটনা যেমন ঘটে তেমন লিখে ফেললে কেমন যেন ম্যাড়মেড়ে লাগে। ঘটনা তো শিল্প মেনে ঘটে না। তাই রংগুলোকে একটু চড়িয়ে নিতে হয়, একটু সীবনশিল্পের আশ্রয় নিতে হয়। এখানেও তাই করা হয়েছে। তবে তেমন বেশি নয় সেই মিশ্রণের পরিমাণ। আর একটা ... ...
কালো একটা ছায়া পড়ে আছে গোটা উপত্যকা জুড়ে। প্রতি মুহূর্তে বন্দুকের নল ক্রূঢ় দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে মানুষের দিকে। তুমি আতঙ্কবাদী, তুমি ভারতবিরোধী, তুমি ভারতের পক্ষে, তুমি দেশদ্রোহী, তুমি পাকিস্তানের পক্ষে, তুমি পাকিস্তানবিরোধী, তুমি দেশদ্রোহী, তুমি আমার শত্রু। তোমাকে শায়েস্তা রাখতে হবে।
ভূস্বর্গের অসামান্য নৈসর্গিক সৌন্দর্য ম্লান হয়ে থাকে ভীতির বাতাবরণে। শুধু প্রহরীদের নয়, তথাকথিত জঙ্গিদেরও কম ভয় পায় না মানুষ।
আমার খেরোর খাতার মূল বিষয় থেকে একটু সরে এসে লিখছি এটা। অল্প ক’টা কথা।
আমি এ ... ...
[এই লেখাটি আরও পরে এখানে দেব ভেবেছিলাম। কিন্তু, এক, আমি তথা আমরা সকলের মতামত চাই, নিজেদের বুঝে নিতে; দুই, এই লেখাটি অন্য নামে, কিছুটা অন্য রূপে ‘শ্রমজীবী স্বাস্থ্য’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, কাজেই এখানে তা দিয়ে দেওয়া যায়। তাছাড়া, শুধু বিবরণ পড়তে আপনাদের সারাক্ষণ ভালো লাগবে না, সেটা স্বাভাবিক। আপনাদের অনুরোধ, এই লেখাটি এবং অন্য যা লিখব পড়ে, খোলাখুলি মতামত জানাবেন। সোজা আমাকে লিখুন এই ঠিকানায় – bissal@rediffmail.com . আপনাদের অকৃপণ উপদেশ আমাদের সঠিকতর হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।]
শ্রমজীবী বিদ্ ... ...
১। দীর্ঘদিন ধরে শ্রমজীবী হাসপাতাল প্যারামেডিক্যাল শিক্ষাদানে সফল ভূমিকা নিয়েছিল। কিন্তু ডক্টরস অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্স নিয়ে চিন্তাভাবনা থাকলেও তা প্রয়োগে নিজেদেরই দ্বন্দ্ব ছিল, যা কাটিয়ে উঠতে আমাদের দীর্ঘ সময় লেগেছে।
২। এই বিষয়ে প্রথম মিটিং হয় ২০১২ সালে নভেম্বর মাসে। মিটিঙে অংশগ্রহণ করেন ডাক্তার গৌরীপদ দত্ত, দীপাঞ্জন রায়চৌধুরী, ডাক্তার তাপস ভট্টাচার্য, শুভাশীষ মুখার্জি ও বিশিষ্ট আরো কিছু ব্যক্তিবর্গ। মিটিং হয় শ্রমজীবী বেলুড় হাসপাতালে।
৩। কেজি টু পিজি ভাবনার কথা আমরা আগেই ঘোষণা করেছিলাম, কি ... ...
প্রথম জানতে পারি দীপাঞ্জনের (রায়চৌধুরি) কাছ থেকে, শ্রমজীবী হাসপাতাল একটি স্কুল তৈরির কথা ভাবছে। আমি কি আগ্রহী? আগ্রহী তো বটেই, এই রকম যে কোনো প্রচেষ্টায় আমি আগ্রহী। কিন্তু এই স্কুল তৈরির কথা শুনে শুনে কান পচে গেছে, ‘আপনাকে বলছি স্যার’ পড়লেই স্কুল করার কথা মনে পড়ে, আর ক’দিন পরেই আরও অনেক ভালো ইচ্ছার মত এও উপে যায়। না, না, এনাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে এঁরা সিরিয়াস। স্কুলটা ওঁরা করতে চাইছেন আমাদের পদ্ধতি মেনে, আমাদের একেবারে ফ্রি হ্যান্ড দেবেন। দরিদ্র কিন্তু মেধাবী ছেলেমেয়েদের নিয়ে হবে স্কুল। পুরো ফ্র ... ...