
উৎসব সংখ্যা ১৪৩২ -র সমস্ত লেখার হদিশ পাবেন এই পাতায় ... ...

যদি মরার হয় তবে আর না ভুগে তাড়াতাড়ি মরুক। যতদিন ভর্তি থাকবে,ততদিন জলের মতো টাকা যাবে। এতো জমিদারের সম্পত্তি নয়,বাপের সম্পত্তিও নয়। কষ্টের রোজগারের টাকা।মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রঙের মিস্ত্রি পরের ঘর রঙ করে। সেই টাকা বৌয়ের পেছনে যদি জলের মতো বেরিয়ে যায়,তবে কার না গায়ে লাগে? বাচ্চা পড়ে আছে ঠাকুমার কাছে। জন্ম হয়ে দেখেওনি মাকে। মাও দেখেনি ছা'কে। একদিন ভিডিওকল না কী করেছিল ছেলে। ফোনে ঐ লিকপিকে মেয়ে ছাওয়াল দেখে স্যালাইনের নল লাগানো মা কেঁদে আকুল। আর বাচ্চা তো ঘুমিয়েই থাকল। সারাদিন ঘুমাচ্ছে আর সারারাত জাগছে। খিদে পেলে তারস্বরে কাঁদছে। কৌটোর দুধে যেন তার খিদে মেটে না। ... ...

পাপানের কলেজ ঠনঠনিয়ায় হলে কি হবে, ও কলকাতার প্রায় কিচ্ছুটি চেনে না। তবে ও নিজেকে সান্ত্বনা দেয় এই বলে, সবে ফার্স্ট ইয়ারে ঢুকেছে, ফাইনাল ইয়ারে উঠতে উঠতে নিশ্চই চিনে যাবে। এই কলেজ স্কোয়ারে ও এতবার এসেছে, এখানে যে এরকম একটা ভূতুড়ে বাড়ি দিব্যি ডালপালা মেলে দাঁড়িয়ে আছে, ও থোড়াই খেয়াল করেছে এদ্দিন। দাদা যখন ত্রিপুরা হলের ঠিকানাটা লিখে দিল চিরকুটে, তখন কি আর পাপান জানত, সামনে এসে শুধু ঢোকার দরজা খুঁজে পেতে এত নাকাল হতে হবে! ... ...

কোথায় কারা যেন খুব হইচই করছে। ঘুমের মধ্যে অস্পষ্ট একটা জড়ানো গোলযোগ শুনতে পাচ্ছিল মিতা। মাথা মুখ চোখ জড়িয়ে থাকা ঘন কুয়াশার মত ঘুম ওকে পুরোপুরি জেগে উঠতে দিচ্ছিল না। বোজা চোখের পাতায় কমলাচে আভা, তার মানে সূর্য রতনদের ছাদ টপকে এসে গেছে মিতার জানলায়। কোথাও থালা বাসন পড়ে যাওয়ার ঝনঝন আওয়াজে ঘুমের ঘোরটা পুরোপুরি ছিঁড়ে যায় এবার। পিটপিটিয়ে চোখ খুলতে খুলতে মনে পড়ে আজ লক্ষ্মীপুজো। কোজাগরি পূর্নিমায় মা সারা বাড়ি জুড়ে আলপনা দিত। তখন অবশ্য ওদের একতলায় ছোট্ট দুটো ঘর আর সরু একফালি বারান্দা। মা তাও ছাদের দরজা থেকে গোটা সিঁড়ি জুড়ে লক্ষ্মীর পা আঁকত। লক্ষ্মী ঠাকরুণ নাকি ছাদ দিয়েই নামবে। এই নিয়ে ওরা ভাইবোনে কম হাসাহাসি করেছে। ভাগ হওয়ার আগে ওদের এজমালি বাড়িতে গোটা পাড়ার লোকের ভোগ খাবার নেমন্তন্ন থাকত। ... ...

ইয়ে... ওপরের নামটা আমি কি বলে যেন... হ্যাঁ, একটু ধার করেছি। আজকাল পালিশিত ভাষা পলিসিতে 'অনুপ্রাণিত' দিয়ে অবশ্য সুন্দর কাজ চালানো যায়। কিন্তু ওলে-লুকৈয়ে আজ রাত্রে আমায় এসে চেপে ধরলে স্বীকার করা ছাড়া গতি থাকবে না যে নামটা আমি চুরি.... মানে ঐ যে ইয়ে... হ্যাঁ ধার করেছি। হুঁ, ওলে-লুকৈয়ে, লোকটার নাম। যে চোখে ধূলো দেয়। দেখুন, এই অনুপ্রেরণা-ধার-চুরি গত ঝামেলা গুলোর জন্য আমি মোটেই দায়ী নই। এই সমস্তটার জন্য দায়ী একমাত্র হ্যান্স ক্রিশ্চান অ্যান্ডারসন। ঐ বুড়ো ওলে-লোকৈয়ে কে যখন উনিই আমার ঘাড়ে চাপিয়েছেন তখন এই নাম টুকু ওঁর থেকে ধার নেওয়াতে আমি কিচ্ছু খারাপ দেখিনা। ... ...
না না, ভুল বুঝবেন না। আমার ছেলের নাম অ্যাডলফ হিটলার নয়। আর আমি কোন নর্ডিক আর্য নই, নেহাৎ ছাপোষা বাঙালি। একেবারে কালোকোলো। আমাকে দেখলে কেউ জার্মান বলে ভুল করবে না। কিন্তু দ্রাবিড় জাতি, মানে মদ্র বা মালয়ালি, ভাবতে পারে। একবার ছত্তিশগড়ের সায়েন্স কলেজে এক মালয়ালি ভদ্রলোক নিজের মেয়েকে ভর্তি করাতে এসে চেনাজানা লোক খুঁজছিলেন। আমাকে দেখে হাসিমুখে এগিয়ে এসে ঝড়ের মত কী কী সব বলে গেলেন। আমি অবাক হয়ে ভাবলাম –গাল দিচ্ছেন নাকি? দু’একবার তাঁর সঙ্গের লবঙ্গলতার দিকে তাকিয়েছি বটে, কিন্তু সেটা এমনকি অপরাধ? মেয়েটা বরং লাজুক হেসে প্রতিদান দিয়েছে। নিরুপায় হয়ে ভাঙা ইংরেজিতে ‘এক্সকিউজ মী, এবং পার্ডন পার্ডন কয়েকবার আওড়ালাম। সত্যিই কিছু বুঝতে পারছিলাম না। শেষে ওঁর ভেতরের টিউবলাইট জ্বলে উঠল। চোখ বড় বড় করে বললেন- নট ফ্রম কেরালা? - নো স্যার। ফ্রম ক্যালকাটা। ... ...
নিশ্চুপে সাঁতরায় স্মৃতির অতলে সহসা উদ্বেল হয়, উঠে আসে, ঘাই মারে অবিশ্রান্ত ধারাজলে চেতনা লুপ্ত হলে ভুলে থাকা ঘ্রাণ ভেসে আসে, ডেকে নেয় আদিম কুহক মায়ায় মেতে উঠি যাত্রা শুরু, জাদুকর খুলিয়াছে মুঠি ... ... ...

নদীর পথে শহর জনপদ নদীর পথ রূদ্ধ পদে পদে অন্ধকারে ক্লান্ত পথবাসী ঘুর্ণি জলে মিশছে হতশ্বাস রাত্রি নামে এবং নামে ভোর পলির পাঁকে প্রাচীন জলযান নদীর জলে মানুষ তার শোক ভাসিয়ে দিয়ে ফিরেছে জনপদে ... ...

সারা বর্ষা গ্রীষ্ম বসন্তে কেউ দেখতে পায়না লোকটাকে। শুধু এই শীতের সকালে একটু একটু করে সূর্যের রশ্মি যখন ছড়িয়ে পড়ে সারা পাড়ায়, দরমার বেড়ার একপাশে উইধরা খয়াটে বাতার দরজাটা ঠেলে আস্তে আস্তে সে বাইরে আসে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত নানা কাপড়ে ঢাকা শরীর। ছেঁড়া শার্টের ওপর ময়লা ধূসর পাঞ্জাবি, মাফলার দিয়ে মাথা ঢেকে তার ওপর একটা শাড়ি পাগড়ির মত করে প্যাঁচানো। যা কাপড় যেখানে পেয়েছে তাই চাপিয়ে, একটা রিলিফের কম্বল সারা গায়ে জড়িয়ে কাঁপতে কাঁপতে বাইরের ধারিটায় এসে রোদে বসে। পেছন পেছন ছোট ছেলেটা আসে একটা এলুমিনিয়ামের তোবড়ানো পিকদানী আর চটের আসন নিয়ে। থুতু রাস্তায় ফেলত আগে, সারাবেলার শ্লেষ্মা ধুলোয় মাখামাখি হয়ে ছোপ ছোপ পড়ে থাকত সামনের চলাফেরার রাস্তা জুড়ে। ... ...

আমার বাল্যবন্ধু দাশু হিমালয় বেড়াতে গেছে। সেখান থেকে, সেই পর্বতের চুড়ো থেকেই, আমাদের এই অনেক দূরের এবং নিচের উপদ্রুত উপত্যকায় ছবি পাঠাচ্ছে এমার্জেন্সি ডিস্প্যাচের মত। সেইরকম একটা ছবিতে মেঘের উপর যাদুকরি বেলাশেষের আলো। ওঠার রাস্তায় দাশু বলেছিল, পাহাড়ে উঠতে উঠতে মেঘের রাজ্যে ঢোকার সময় মাথায় নাকি ক্রমাগত ঘাই মেরেছে শক্তির সেই দুই লাইন, আর মনে হয়েছে মেঘ যে গাভীর মত চরে সেটা হয়তো ঐ নিরুত্তাপ, নির্বিকার আকাশের রূপক, মন্থরতার নয়। কে জানে? "দ্য অথর ইজ় ডেড।" আর আমার মনে হচ্ছিল যেন আর কিছু পড়েছি কোথায়। ... ...

আতঙ্কিত এক প্রাণী বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে আছে। অতিকায় আর এক প্রাণী গিলে খেতে আসছে। এই দুটি বাক্য লিখে তুহিন চুপচাপ। তুহিনের লেখা আটকে গেছে। একে বলে রাইটারস ব্লক। কলম সরছে না। কলম নয় ল্যাপটপে আঙুল। যা লিখছে, তা মুছে দিচ্ছে। শুধু দুটি বাক্য রয়ে গেছে। এর ভিতরে একটি রাখবে, অন্যটি মুছে দেবে? মুছে দিতে গিয়ে আবার ফুটিয়ে তুলছে তার আঙুল এবং ল্যাপটপের কী-প্যাডের ছোঁয়া। ফোন করল ভব মণ্ডল, দাদা হল? তুহিন বলল, দেরি হবে। ভব নাছোড়বান্দা, বলল, প্রেসে সব চলে গেছে। - কী গেল? - গল্প কবিতা প্রবন্ধ বুক রিভিউ। ... ...

তোমাকে বাড়ির পথে খুঁজি অনেক বেড়ার তার, অনেক জেলের গেট ঘুরে নোঙর পেতেছি এই চেনা বাসস্টপে, আছো তুমি সমান্তরাল এক গলি, তার অন্তঃপুরে? ... ...

তোমাদের গায়ে কি বারুদের গন্ধ আছে? নখের ফাঁকে রূপালি গুঁড়ো? ধুয়ে নিয়ে চাই আমি, নতুন করে বসতে চাই রঙীন কাঁচে ... ...

অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে যে পার্টির আসার কথা ছিল আসেনি। তাদের ফোন করে কোনো লাভ নেই। গরজটা আমার নয়। বায়নার আদ্ধেক টাকা পেয়ে গেছি। মৃগেলেকে ফোন করে জানতে পারলাম সে রাস্তায় বেরোয়ইনি। খবরে নাকি বলেছে নিম্নচাপের বৃষ্টি আসবে। স্টুডিও থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতেই বুঝতে পারি লোকটা আজকেও পিছন পিছন আসছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই খেয়াল করছি। রঙিন রিফ্লেক্টিভ রোদচশমা আঁটা অনুসরণকারী। খেলার মাঠে ক্রিকেটাররা যেরকম পরে। একদিন সোজা ঘুরে গিয়ে জিজ্ঞেস করব ভেবেছি - "আপনি প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর? তনয়ার বাড়ির লোক লাগিয়েছে?" কিন্তু এখন ওর দিকে সময় নষ্ট করে কাজ নেই। আসছে আসুক। নন্দন কাননে ঢুকতে পারবে না। ... ...

পাখিরাও উড়ে যায় একেবারে শূন্য হাতেই ... ...

কাজল লকলকে চোখে সুভাষের দিকে তাকায়। বলে, — মাস্টার হয়েছ! আর এটুকু জানো না? নাকি অযোগ্য তালিকার? সুভাষ প্রথমে কিছুই বুঝতে পারে না! সে কাজলের সঙ্গে বেশি কথা বাড়াতে চায় না সকাল সকাল। পুরো স্কুলের দায়িত্ব তার ঘাড়ে। মিড-ডে মিলের রান্না ঠিক করে বাচ্চাদের অ্যাটেন্ডেন্স রেডি করে তা আবার আপলোড করা। সে এসবে নজর না দিয়ে ভাবে মিড-ডে মিলের হিসেবটা করে ফেলা উচিত। সে ক্লাসরুমগুলোর দিকে চলে যায়। প্রতিটি ক্লাস থেকে টোটাল অ্যাটেন্ডেন্স জোগাড় করে। ছোট নোটবুকটায় লিখে রাখে। এবার তাকে কম্পিউটারে চাপাতে হবে টোটাল নাম্বার এবং মিড-ডে মিলের রান্নাকারীদের বলে দিতে হবে। আজ ডিমের দিন। টোটাল ৪৪৭ জন ছাত্র-ছাত্রী। মানে ৪৫৫টি মতো ডিমের অর্ডার যাবে। কোনও ডিম ভাঙা-ফাটা তো থাকতেই পারে। বাচ্চাদের জিনিস বাচ্চারা খাবে, কিন্তু সেখানে দু-চারজন টিচারও ভাগ বসাবেন। যাইহোক, সুভাষ এই সময়টা খুবই ব্যস্ত থাকে। যতক্ষণ পর্যন্ত না রান্না চেপে যায় ততক্ষণ সে আর কিছুতে মন দিতে পারে না। বাচ্চাদের খাওয়া বলে কথা। তাছাড়া শহরের মাঝখানে স্কুল। একটু এদিক ওদিক হলেই অভিভাবক থেকে পার্টির নেতা, রিপোর্টার থেকে টিকটকওয়ালা সবাই হাজির হবে। ... ...

— বিনা ইনজিশনে মিলন হবেক নাই ক্যানে! ইস্ত্রি মাছ আর পুরুষ মাছে মিলন ত জলের ভিতরে আকছার হচ্ছেই। ইখেনে বাঁধে মাছ চাষের কথা হচ্ছে। ত শুনেন! বাইরে থেকে ধরে আনা মাছগুলোকে পুখোরে মানে বাঁধে ছেড়ে দিয়া হলো। একদিন উয়ারা নিজের মনে ইদিক-উদিক খেলব্যাক, লাফালাফি করব্যাক, লিজেদের মদ্যে ভালোবাসাবাসি করব্যাক। এই ফাঁকে ওই ডাক্তারবাবু করব্যাক কি, যত্ত মাথার ঘিলু বা বিজ্জ জোগাড় করেছিল, সেগুলো একটা খল–নুড়িতে ঘষে ঘষে পেস্ট করে আবার শিশিতে ভরব্যাক। তার সঙ্গে আরও যা যা সব মিশায় সে ত আগেই বলেছি! ... ...

এখন তার স্টুডিওয় আলমারিতে সারি সারি ক্যানভাস। সিরিজ ভিত্তিক কাজ। “মাটির সোঁদা জ্যামিতি”, “রাতের মহুয়া দেহ”, “মেঠো রাস্তার চিলেকোঠা।” সে প্রতিদিন একটি করে ক্যানভাস তৈরি করে, রুটিনে বাঁধা। সকাল আটটা, জলখাবার, স্টুডিও, দুপুরে ডাল-ভাত-মাছ, আবার স্টুডিও। রাত্রে সাদা মদের সঙ্গে সামান্য বাদাম। কোনো শব্দ নেই, তাড়াহুড়ো নেই কেবল ক্যানভাসে রঙের শব্দ। আঁকতে আঁকতে তার হাত কাঁপে না, চোখও না। শুধু মাঝে মাঝে থেমে যায়। ব্রাশ থেমে যায় মাঝ-আঁকায়। টানা তিন মিনিট সে বসে থাকে একরঙা মেঝের দিকে তাকিয়ে। কি যেন মনে করার চেষ্টা করে। ঘাড়ের কাছে হাত বোলায়। মনে করতে পারে না। তারপর আবার। ... ...

লবণাক্ত দিনগুলি ঘরবন্দি থাকি, কখনও পুরানো দিনের কথা নির্বাক যুগের চলচ্চিত্রের মত মনের ভিতর ঘুরে ফিরে আসে। ... ...

একটি বালক প্রায় প্রতিদিনই শ্রেণীকক্ষে নানারূপ উৎপাত করিত। সহপাঠীদের জিনিস ছুঁড়িয়া, তাহাদের ঠেলা মারিয়া, চিমটি কাটিয়া তাহার কী সন্তোষ হইতো সেই জানে! সে ইদানিং বালিকাকে ধরিল। তাহার কলম ইত্যাদি কাড়িয়া লইতে লাগিল, চিমটি কাটিতে লাগিল, অবশেষে জলপানের বিরতিতে তাহাকে সহসা এমনই ধাক্কা মারিল যে, সে মুখ থুবড়াইয়া পড়িল, তাহার চশমা ভাঙিল, রক্তপাতও ঘটিল। কী মত অবস্থায় সে গৃহে ফিরিল সেই জানে! কাহাকে নালিশ করা তাহার স্বভাবে ছিলোনা, বন্ধু তাহার হয় নাই তেমন। কাজেই ঘটনার গুরুত্ব পরবর্তী পাঠদানরত শিক্ষকের কাছে ততটা পৌঁছাইলোনা কেবল দু একটি শিশুর অগোছাল বক্তব্যের মধ্য দিয়া ছাড়া। তাহাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হইল মাত্র। মাতৃহৃদয় উদ্বেল হইল। পরবর্তী বিপদের আশংকায় মাতা দৌড়াইলেন। ... ...