২২ জুলাই কলকাতা প্রেস ক্লাবের ইতিহাসে এক কলঙ্কের দিন। কলকাতার সাংবাদিকদের এক লজ্জার দিন। যাঁদের তোলা ছবি এক একটি ছবি সহস্র বাক্যের সমান, তাঁরা নাকি ‘সাংবাদিক’ নন। হয়তো আরও কিছু সদস্য বৃষ্টি, ব্যস্ততা ঠেলে ভোট দিতে এলে অন্য রকম হত ফলটা। সে আক্ষেপ বারবার ঠেলা দিচ্ছে চিন্তাকে। কিন্তু কলকাতার শতাধিক সাংবাদিক যে মনে করেন, চিত্রসাংবাদিকরা সাংবাদিক নন, সে কথাটা ছুরির মত বিঁধছে। তবে কি ছোঁয়ান্যাপার ভয়ের মত, ক্রমাগত আমরা অন্যকে ছোট করে নিজেকে শুদ্ধ, ভদ্র, সম্মানযোগ্য রাখার চেষ্টা করতে করতে কাণ্ডজ্ঞানকেও ফিনাইল-জলে ধুয়ে ঝেঁটিয়ে বের করে দিয়েছি? ভুলে যাচ্ছি, যোগ্যকে মর্যাদা দিতে না জানার মত অযোগ্যতা আর কিছুতে নেই? ... ...
হাথরস ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গোটা দেশ আজ অন্ধকারে ডুবে গেছে বলে হাতে টর্চ নিয়ে গোটা দেশে আলো জ্বালানোর বার্তা দেন তিনি। তাঁর কথায়, 'আমরা নাকি পুজো করতে দিই না, যোগীজি কেন দুর্গাপুজো করতে দিচ্ছেন না? মমতা দি মন্দির, মসজিদ, গীর্জা নিয়ে রাজনীতি করে না। সবাইকে নিয়ে চলি আমরা। ওয়ান নেশন, ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টির দিকে এগোচ্ছে। রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে দেশে। ... ...
এর মধ্যে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন এনকাউন্টার চই। 'দোষীদের রাস্তার মাঝখানে সবার সামনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে দেওয়া উচিত।' লকেট বলেছেন যখন, খুবই যুক্তিযুক্ত কথা। কিন্তু কাকে মারা হবে খুব পরিষ্কার নয়। প্রসঙ্গত যোগী প্রশাসনের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের কোথাও ধর্ষণের উল্লেখ নেই। বলা হয়, মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যাওয়ার কারণেই তীব্র শ্বাকষ্টের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। দু'টি পা এবং হাত অসাড় হয়ে যায়। জিভের একাংশে যে গভীর কামড়ের ক্ষত ছিল, তা-ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আছে। নেই শুধু ধর্ষণের উল্লেখ ... ...
তিনি বলছেন ইন্ডিয়ার কয়েকশ' মিলিয়ন গরিবলোকের উপকার, যাদের কোনো আইডেন্টিটি নেই, যারা কোনো বেনিফিট পান না। তিনি আরও বলছেন ঝুঁকির থেকেও বড় হল এই গরিবলোকেদের আইডেন্টিটি দেওয়া, তবে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যাতে ঝুঁকি পুরোপুরি দূর হয়। এর পরই অরুণোদয় মুন্সিয়ানার সাথে আমাদের দেখাচ্ছেন একটি উপকারের উদাহরণ। দিনমজুর রাম বাবুর নম্বর না থাকার জন্য এতদিন সেল ফোন হচ্ছিল না, এখন আইডেন্টিফিকেশন হবার সাথে সাথে সেলফোন হল - আই ডি কে ধন্যবাদ। তার পর আবার অরুণোদয়ের তথ্য সম্বৃদ্ধ রিপোর্টিং - ৩০০০কোটি টাকার প্রজেক্ট শুরু হচ্ছে "পুওরেস্ট অফ দ্য পুওর'-দের দিয়ে। ২০১৪ সালের মধ্যে ৬০০ মিলিয়ন ভারতবাসী এই কার্ড পাবেন। একজন আদর্শ সাংবাদিকের মত অরুণোদয় লেখার শেষদিকে ইন্ডিয়ানদের আশার আলো দেখাচ্ছেন। বলছেন, হরি সিং-এর মত ভিখারীরাও, যারা দিল্লীর ওখলা ফ্লাই-ওভারের তলায় থাকেন, আশা করছেন লাইফ বেটার হবে, - "থ্যাংক্স্ টু এ ফিউ ডিজিট্স্।' আই ডি ছাড়া ফ্লাই-ওভারের তলায় থাকা আর আই ডি নিয়ে ফ্লাই-ওভারের তলায় থাকার যে তফাত, তা বুঝে নিতে কোনো অসুবিধেই হল না এইবার। ... ...
পন্ডিতরা শিল্পায়নের দুই ধরণের সংজ্ঞা দিয়ে থাকেন। একটি বাংলায় অন্যটি ইংরিজিতে। একটি পিপলস ডেমোক্রেসিতে অন্যটি আনন্দবাজারে। ইংরিজি তাত্ত্বিক শ্রী প্রকাশ কারাত,পিপলস ডেমোক্রেসিতে এ বিষয়ে লিখেছেন, "কলকাতার পার্শ্ববর্তী পাঁচটি জেলায় করা একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, যে, বন্ধ কল-কারখানা আর রুগ্ন শিল্পগুলিতে ৪১০০০ একর এমন জমি পড়ে আছে, যা কোনো শিল্প সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছেনা।অএই সমস্ত জমি পুনরুদ্ধার করলে, তা, অনেকগুলি উদ্দেশ্যকে সিদ্ধ করতে পারে। এই সমস্ত জমিগুলিকে বিক্রি করে সেই অর্থে রুগ্ন শিল্পগুলির পুনুরুজ্জীবন ঘটানো যেতে পারে, বা কর্মচারীদের বকেয়া বেতন মেটানো যেতে পারে। বিভিন্ন ক্ষুদ্র শিল্প, বা অন্যান্য শিল্পসংস্থাকে বাকি জমি দেওয়া যেতে পারে। এইরকম জমিগুলি দশকের পর দশক ধরে আইনী জটিলতায় অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে।" ... ...
এভাবে হয়না। য¢দ হত, আগেও হত। রাজ্য আক্রান্ত আয়লার দাপটে। গাছ ফেলে, রাع¡ বন্ধ করে, ¢বদ্যুতের তার কেটে, জলে ভা¢সয়ে মানুষকে ¢ব¢চ্ছন্ন করার চক্রান্ত জা¢র আছে। জা¢র আছে প্রবল বর্ষণ ও ঝড় ¢দয়ে মানুষের সম্প¢ত্ত নষ্ট করার প্র¢ক্রয়াও। আর আছে প্রশাসন। সঙ্গে বাংলার অগ¢ণত মু¢ক্তকামী মানুষ। আমরাও আ¢ছ। ¢নজেদের মত করে। লড়াই কর¢ছ চক্রান্তের ¢বরুদ্ধে। প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধ ¢ম¢লয়ে। ... ...