FSSAI (ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) এর চরম ব্যর্থতা। খাদ্যদ্রব্যের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং রাসায়নিক পেস্টিসাইড নিয়ন্ত্রণ করতে FSSAI সম্পূর্ণ ব্যর্থ। দায়ের করা একটি পিটিশনে বলা হয়েছে যে কীটনাশক যুক্ত খাবারের ব্যবহার সারাদেশে ক্যান্সার রোগের প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে এবং তাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। কীটনাশক এবং ক্যান্সারের মধ্যে একটি সরাসরি বৈজ্ঞানিক সম্পর্ক রয়েছে। ফলে কীটনাশক যুক্ত খাবার, তার ব্যবহার, অতিব্যবহার এক বিরাট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবেদনকারী সারা দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন যা দেখায় যে কীটনাশকের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হচ্ছে। সিনিয়র আইনজীবী অনিথা শেনয়, আবেদনকারী অ্যাডভোকেট আকাশ বশিষ্ঠের পক্ষে উপস্থিত হয়ে সুপ্রিম কোর্টকে জানালেন। পাশাপাশি পিটিশনে ক্যালসিয়াম কার্বাইড এর মতো রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে ফল কৃত্রিমভাবে পাকানো, আপেলের মত ফলগুলির রং বা আবরণ প্যারাফিন, শেলাক এবং পলিথিনের মত উপাদান দিয়ে তৈরি মোম দিয়ে পলিশিংয়ের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ডাল এবং খাদ্যশস্যে কৃত্রিম রং ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করা হয়। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের এক বেঞ্চ 17 মে, 2024 পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা ও মান অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে (FSSAI) নোটিশ জারি করেছে এবং তাদের প্রতিক্রিয়া চেয়েছে। ... ...
গান্ধিজী ১৯৩৫ সালে তাঁর হরিজন পত্রিকায় চকচকে পালিশ করা মিলের চাল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কারন ওই চাল খেয়ে ভারতবাসীর স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আজকে তাঁর কথা মিলে গিয়েছে। মধুমেহ রোগ ঘরে ঘরে। অন্যান্য কারণের সঙ্গে আগাছা নাশক গ্লাইফোসেটও দায়ী। বিভিন্ন খাবার ও জলের মাধ্যমে গ্লাইফোসেটের অবশেষ শরীরে প্রবেশ করে এবং ইনসুলিন তৈরির প্রক্রিয়াকে বন্ধ করে দেয়। সেটা মানুষের শরীরের উপর নির্ভর করে। অনেকের শরীরে হয় না বা দেরীতে হয়। তাছাড়া ওই বিষ কিডনির রোগ ও ক্যানসার সৃষ্টি করে। রেললাইনে ও সবজির ক্ষেতে ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। বিষমুক্ত খাবার নিয়ে কেউ সচেতন নয়। ... ...
এটাও বুঝতে হবে যে আমার ১৩৫ কোটির দেশ। প্রতিদিন তার প্রত্যেকটা মানুষকে যদি দিনের শেষে দু-বেলা খাওয়াতে হয় তাহলে আমাকে কোথাও না কোথাও একটা ব্যালেন্স করতে হবে। যদি আপনি বলেন যে ব্যালেন্সটা কী হওয়া উচিত অভিষেক, সত্যি আমার কাছে তার কোনো উত্তর নেই। হয়তো অর্গানিক ফার্মিং একটা বিকল্প কিন্তু শুধু এই অর্গানিক ফার্মিং দিয়ে আমি ১৩৫ কোটি মানুষের মুখে অন্ন কালকেই জোগাতে পারব কি না আমার কাছে উত্তর নেই। তাই অবশ্যই আমাদের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে যারা হয়তো একটা ভালো ভবিষ্যৎ আমাদের উপহার দেবেন। ... ...
গ্রামীণ জীবন ও কৃষি বিষয়ের প্রখ্যাত সাংবাদিক পি সাইনাথ এবং অর্থনীতিবিদ রতন খাসনবিশের বক্তব্যের সংক্ষেপিত অনুলিখন, রাইট টু এডুকেশন ফোরামের অনুমতিক্রমে প্রকাশ করা হল। এই আলোচনাসভাটি গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবং মূলত বুদ্ধিজীবীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন, বিষয়টি রাজনৈতিক হলেও, অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তনে যে মতাদর্শের ভূমিকা থাকে তার অবশ্যম্ভাবী উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও, আলোচনাটি, বক্তাদের গুণেই দলীয়, বিশেষত নির্বাচনী রাজনীতির সঙ্গে খুব সম্পর্কিত কিছু হয়ে ওঠেনি। ... ...
আমার একটা চেষ্টা থাকে, আমার পদ্ধতিতে কিছু বায়ো অর্গানিক বস্তু নষ্ট হলেও, কিছু যাতে অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি হয়। কোন কোন মাঠে অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করি। কিন্তু মূল উদ্দেশ্য হল নানা ধরনের ডেটা জেনারেট করা। কোথাও কোন ডেটা নাই, পাঁচবিঘে জমিতে কতটা চুনোমাছ হতে পারে, কেউ বলতে পারে না। পুঁটি, মৈয়ে মাছে কতটা পুষ্টি কী আছে, তার কোন হিসেবও নেই কোথাও। গুণীন চ্যাটার্জি, মৃত্তিকা বিজ্ঞানী, কিছু কাজ করেছিলেন, কেঁচোর চাষ করেছিলেন, জমির উপকারে লাগবে বলে, ধান মাঠে মাছের চাষ কিছু করেছিলেন। ... ...
কৃষক যে কম দাম পাবে, সেটাকে শুধু তার বিপদ হিসেবে দেখাটাই ভুল। সরষের তেলের দাম, বড় রিটেল প্লেয়াররা যেরকম দাম ঠিক করে দিচ্ছে, সেরকমই চলছে। এসেনশিয়াল কমোডিটি অ্যাক্ট এর তালিকা হ্রাস হবার ফলে ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স বস্তুটা সরকারি কর্মচারীরা কিসের ভিত্তিতে পাবেন? সেটি উবে যাবে না এরকম কোন গ্যারান্টি নেই। খাদ্য সুরক্ষা কি শুধু ফসল উৎপাদকের লাগে? ... ...
পরিষ্কার করে নেওয়া দরকার, সংকলক হিসেবে আমার অকারণ নিরপেক্ষতার কোন ঘোড়ারোগ নেই। এই পরিস্থিতিতে আমার দার্শনিক অবস্থান সম্পূর্ণ ভাবে আন্দোলনকারী কৃষকের পক্ষে, আর আইনে, আইন প্রণয়ন পদ্ধতিতে প্রতিভাত সরকারি অবস্থানটির মধ্যেও আসলে খুব সুক্ষ্ম বিচার বিশেষ কিছু নেই, গোদা করেই কৃষিজাত বিপণনে বৃহৎ পুঁজির সার্বিক নিয়ন্ত্রণ তৈরিই অতি সংক্ষিপ্ত উদ্দেশ্য। অতএব নিরপেক্ষতার পরিসরের সংকোচন মূলত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্যোগেই হয়েছে, বাকিটুকু প্রতিক্রিয়া মাত্র। ... ...
এপিএমসি ব্যবস্থায় মধ্যস্বত্বভোগীদের ভূমিকার কথা প্রায়ই উল্লেখ করা হয়। বলা হয় এদের ক্ষমতা অতিরিক্ত বেশি, এরাই মূল সুবিধাভোগী। মজাটা হল, এখন পশ্চিম উত্তর প্রদেশে তৈরি হতে শুরু করেছে এফ পি ও (ফারমার প্রডিউসার অরগানাইজেশন), এগুলি কোম্পানি হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে, যাদের নতুন করে ক্ষমতায়িত করা হয়েছে। যারা নাকি উৎপাদক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি হবে এবং কৃষিজাত পণ্য ক্রয়ের কাজ করবে। বিহারেও ২০০৬ থেকেই এটা চলছে। কিছুই না, নতুন মধ্যস্বত্বভোগী তৈরি করা হচ্ছে মাত্র। ... ...