এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • til | 220.253.***.*** | ১৫ মে ২০১০ ১৬:৩৬447256
  • এ কী?
    টিকটিকি কোন বিষয় হলো?
    নো আভাস, নো কিচ্ছু! ধ্যুস!
  • sda | 117.194.***.*** | ১৬ মে ২০১০ ০২:৩৬447264
  • আহা এটাই তো রহস্য। এবারই তো আসবে টিকটিকি। পরনে রেনকোট , হাতে আতস কাচ।
  • Abhyu | 107.89.***.*** | ০৮ জানুয়ারি ২০১৩ ২২:০০447265
  • এবংপুরের টিকটিকি বলে একটা বই ছিল।
  • | 233.227.***.*** | ০৮ জানুয়ারি ২০১৩ ২২:৩৪447266
  • "টিকটিকির ডিম " বলে এক পিস গল্প ও ছিল।
  • Abhyu | 107.89.***.*** | ২১ মার্চ ২০১৩ ২১:১৩447268
  • ভালো ভালো টইগুলো কেন যে ডুবে যায়?
  • চান্দু মিঁঞা | 127.216.***.*** | ২১ মার্চ ২০১৩ ২১:১৮447269
  • রসজ্ঞ লোকের নিতান্তই অভাব।
  • Abhyu | 107.89.***.*** | ২১ মার্চ ২০১৩ ২১:২১447270
  • কে যেন বলেছিল ঠিক ঠিক-ই?
    টিকটিকি টিকটিকি টিকটিকি!
  • achintyarup | 69.93.***.*** | ২২ মার্চ ২০১৩ ০৫:০৯447271
  • কেউ কিছু ল্যাখেই নাই দেখি। আমি তাহলে টিকটিকি বিষয়ক একটা সত্য ঘটনার কথা এইখানে লিপিবদ্ধ করে যাই।

    আমার কাঁটাকলের হস্টেলের ঘরটা ছিল চার তলার ওপর, কোনার দিকে, দু দিক খোলা। এবং তাতে ছ'টা জানালা ছিল, দুটো পাখা ছিল, অ্যাটাচড বাথ ছিল (মানে ঘরের পাশেই একটা একেবারে আলাদা বাদ্রুম, হস্টেলের বাদ্রুমের মত না), আর একটা টিকটিকি ছিল। ঘরটা ছিল ছ জনের জন্য, কিন্তু তাতে আমি একাই থাকতাম, কারণ ওটা এক কালে হস্টেলের সিক রুম বা ওরকম কিছু ছিল এবং নিয়ম অনুযায়ী হস্টেলে থাকার অধিকার আমার ছিল না। ইউনিভার্সিটির ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে বাড়ি হলে হস্টেলে থাকা যেত না। বাড়ি থেকে যাতায়াতে রোজ আট ঘণ্টা সময় খরচ হলেও না।

    হস্টেলে থাকার সময় কি কারণে মনে নেই, আমাকে একটা ইঞ্জেকশন নিতে হয়েছিল। ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর ডিসপোজেবল সিরিঞ্জটা আমি ফেলিনি, কারণ সেটা নানা কাজে লাগত। যেমন, শীতকালে মাঝরাত্তিরে তাতে জল ভরে অন্য ঘরের জানালার ফাঁকফোকর দিয়ে সিরিঞ্জের ছুঁচ ঢুকিয়ে চিরিক করে লোকের গায়ে জল দেওয়া যেত। একবার রাত্তিরবেলা কমন বাথরুমে দাঁড়িয়ে সেই সিরিঞ্জের মুখ ছাদের দিকে করে পার্টিশনের ও পাশের ছেলেটির গায়ে জল দেওয়াতে সে ঘুমচোখে ভারি আশ্চর্য হয়ে বলল, মেঘ করেছে নাকি, বৃষ্টি পড়ছে দেখছি। এই সব কাজের জন্য আমাকে কেউ বিশেষ সন্দেহ করত না, কারণ আমি ভারি ভালমানুষ, ভদ্র-সভ্য গোছের ছাত্র ছিলাম। (আমার আরও কম বয়সের একখানা পাসপোর্ট সাইজ ছবি দেখে কালিদাস বলেছিল, বাঃ, দেখেই মনে হচ্ছে নিচে লেখা থাকবে, কৃতী ছাত্র নিখোঁজ।)

    তো ওই সিরিঞ্জ দিয়ে আমি আমার ঘরের টিকটিকিটার গায়ে জল দিতাম। এবং সে নিজের জায়গা থেকে না সরে লম্বা জিভ বের করে সেই জল চেটেপুটে খেয়ে নিত। বলা বাহুল্য, আমার ঘরটিই ছিল হস্টেলের আড্ডার ঘর, কারণ এত জায়গা এবং এমন অখণ্ড অবসরওয়ালা আবাসিক আর কোনো ঘরে ছিল না। একটা গোটা খবরের কাগজ গোটা মেঝে জুড়ে পেতে তাতে প্রচুর পরিমাণে মুড়ি ঢেলে মেখে খাওয়া হত। যারা আড্ডা দিতে আসত, তাদের একজন ছিল বহরমপুরের শৈবাল। সে তখন ডিপার্টমেন্টে এস এফ আইয়ের জাঁদরেল নেতা। এবং টিকটিকিতে তার দারুণ ভয়। সে এলেই আমি নিজের বিছানায় আধশোয়া হয়ে ছাদের গায়ে আলোর কাছে ঝুলে থাকা টিকটিকিটাকে সিরিঞ্জ দিয়ে জল খাওয়াতে শুরু করতাম, আর ঘরের মাঝখানে তোষকবিহীন একটা লোহার খাটের ওপর উঠে শৈবাল তিড়িং-বিড়িং করে লাফাত। আমার বেশ ভাল লাগত।
  • Abhyu | 138.192.***.*** | ২২ মার্চ ২০১৩ ০৫:৫৮447257
  • বাঃ পড়েই মন খুশি হয়ে গেল।
  • sosen | 111.63.***.*** | ২২ মার্চ ২০১৩ ০৯:১২447258
  • যদিও টিকি আমার দুচক্ষের বিষ, কিন্তু এই সিরিঞ্জ থেকে জল খাওয়া টিকির ছবিটা বেশ মিত্তি।
  • Ekak | 69.99.***.*** | ২২ মার্চ ২০১৩ ১১:৪০447259
  • আমাদের তাঁতি পাড়া মানে আলমবাজার বাস স্টপের কাছে যে বাড়িটার রান্নাঘর সেখানে একটা দেয়াল রঙের টিকটিকি ছিল । তখন কয়লার উনুন । এক কোনে ঝুল । আর একদিকে পরিস্কার । এই প্রসঙ্গে মনে পড়ল আমি আর কে এম এর এডমিশন টেস্ট এ ঝুল দিয়ে বাক্যরচনা লিখে এসেছিলুম "আমাদের রান্নাঘরে অনেক ঝুল আছে " এবং হল থেকে বেরিয়ে নিজের ক্ষুদ্র সাফল্যের কথা চিত্কার করে বলায় মাতৃদেবী যারপরনাই লজ্জায় পরেন । সে যাই হোক সেই রান্নাঘরেই আমি প্রথম আবিস্কার করি যে টিকি দের কোনো রং হয়না । বা তারা দেয়াল রং ।
    এরপর হিজিবিজি কৈশোর কালে কেও আমাকে বলে যে টিকি র হাগু তে বিষ থাকে যা পেটে গেলে মৃত্যু অনিবার্য্য । অতএব আমি টিকি দেখলেই তেড়ে গিয়ে মেরে ফেলতুম । সব সময় তারা প্রাণত্যাগ করত তা নয় । অর্ধেক অর্থাত ন্যাজ ফেলে রেখে পগার পার হত । তাই প্রথম যখন শুনলুম যে বিপদে পড়লে পন্ডিত রা অর্ধেক ত্যাগ করেন তখন চটপট বুঝে ফেলি যে টিকটিকি রা যাতে পন্ডিত । আমি চিরকাল এমন অনেক কিছু চটপট বুঝে ফেলি । অন্যদের বোঝার সঙ্গে মেলেনা সে দায় তো আমার নয় । কেলাস ৭ এ আবার নতুন জ্ঞানের ডালি ভেসে এলো আমার কাছে । টিকটিকির নেশা !! তদ্দিনে জেনে গেছি বিড়ি-সিগ্রেট -মদ এসব খেলে নেশা হয় । শরদিন্দু পরে মাকড়সার রস জেনেছি । টিকটিকির নেশা কি রে ? জানা গেল একটি টিকটিকি ধরে তার মধ্যে লম্বালম্বি সুচ সুতো চালান করে ৭ দিন ফেলে রাখলে ওই সুতো তায় টিকি র শরীরের রস ছড়িয়ে পরে । তখন সেই সুতো জিভে নিয়ে চাটলে হুলিয়ে নেশা হয় । কিন্তু নিজে কোনদিন করে দেখা হলনা কারণ সেই টিকি র হাগু ও বিষ সংক্রান্ত ভয় । তখোন ও মৃত্যু অনেক দুরে । ভয় পাই । শেষ মেষ অনির্বানের কথা বলে টিকিবাতেলা র ঝাঁপ ফেলব । সে আমার পুরনো বন্ধু । বাঘাজতিনেব্র কাছে একটি মেসে আমরা কিছুদিন একত্র ছিলুম । সেখানে ছিল এক টিক টিকি । অনির্বানের তুখোর উদ্ভাবনী বুদ্ধি । টিকটিকির গায়ে নাকি স্পিরিট ঢেলে আগুন দিয়ে দিলে তারা সারা বাড়িতে এনলায়তেন্দ টিকটিকি হয়ে দৌড়ে বেড়ায় । বলামাত্র কাজ । লেগে পড়লুম । ঘন্টাখানেক এর চেষ্টার পর বুঝতে পারলুম ব্যাপারটা মোটেই সোজা না । টিকটিকির গায়ে আগুন লাগার আগেই সে ব্যাটা এক লম্ফ দিয়ে পালায় এবং আগুন লাগলেও ওদের ইন্ফ্লেমেবিলিতি খুব লো । আমাদের আর এন লায়টেন্দ টিকি দেখা হলো না । এইভাবে সারাজীবন টিকি দের নিয়ে বিভিন্ন অভিনব জ্ঞান আহরণে কেটে গ্যালো । এসব নিয়ে মানুষ জনের তো তেমন আগ্রহ নেই । কবিতাও লেখা হয় না । ওই রবিবাবু র "আর থাকে একটা টিকটিকি " আর বটুক বাবু র "টিকটিকি গিরগিটি দুজনেই এম এ বিটি " এতেই শেষ । আমি একবার ব্রনবয়েসে লিটল ম্যাগ এ পাঠিয়েছিলুম " জ্বলন্ত সুরিয়া টিউব লাইট এর আড়ালে পরান্মুখ টিকটিকির চোদাচুদির মত নিবিড় তোমার ভুরু দুটি " । সে শালা রা ছাপলো তো না ইইই , হাংরি মান্গ্রী বলে খিস্তে দিল । ধুত্তেরি বকেই চলেছি । এবার থামি । কেও একটা এসে লিখে যাক "ভাগ্যিস " ।
  • কৃশানু | 177.124.***.*** | ২২ মার্চ ২০১৩ ১১:৪৮447260
  • ভাগ্যিস!!
  • Abhyu | 107.89.***.*** | ২৪ মার্চ ২০১৩ ২৩:০৬447261
  • Abhyu | 34.18.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১১:৪৮447262
  • দমদি বলল এবংপুরের টিকটিকি, আমি খুঁজে পেলাম এইটা।
  • 2 | 109.172.***.*** | ২৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:১২447263
  • তুলে দিলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন