এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • AMARBOI / BOIER HAAT - Legality

    Pathok
    অন্যান্য | ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ | ১৬০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Chhoddonam | 209.65.***.*** | ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ২০:৫৭371992
  • Accha AMARBOI kimba BOIERHAAT bole FB community te je prochur ebook free te regularly share kore ,upload kore ,shei kaaj ta ki legal ? Ontoto shei shob boi jar copyright ekhono lekhoker ba tar kono attiyer kache bortomaan.

    Chhoto khato prokashonara hoyto legally marpit korar khomota rakhen na , kintu Ananda/Mitra Ghosh/Deys ei niye jhamela kore na kyano ? AMARBOI ekta udahoron matro , emon aro site ache. Protyektai kholakhuli cholche , hidden proxy jatio kichu nei.

    Amio ei sob site theke boi namai. Kajei oder eka dosh dicchi na.

    PS: Agaam maaph cheye rakhlam Roman horophe Bangla lekhar jonye.
  • dc | 57.15.***.*** | ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ২১:৩৪371999
  • আপনাকে একটা গল্প বলি শুনুন।

    একবার অ্যামেরিকায় একটা বিরাট ট্রেড ফেয়ার শুরু হচ্ছে, কম্পিউটার বিষয়ে। মানে নানারকম কম্পিউটার সফটওয়ার, হার্ডওয়ার, নতুন নতুন অ্যাপ্লিকেশান ইত্যাদি সেখানে দেখানো হবে, আলোচনা হবে। তো প্রথম দিন বিকেলের দিকে এক বুড়োমতো ভদ্রলোক মেন গেটে যে সব গার্ডরা ছিল তাদের নেতাকে একপাশে ডেকেছেন। তার কানে ফিশফিশ করে বল্লেন আমি বিখ্যাত এক চোর, এরকম নানান ট্রেড ফেয়ার থেকে অনেক মূল্যবান জিনিষ চুরি করি। আপনাদের এখান থেকেও চুরি করবো, পারলে আমাকে আটকে দেখান। গার্ডসাহেব তো তটস্থ, ভদ্রলোককে আগাপাস্তলা সার্চ করে তবেই ঢুকতে দিলেন, পেছনে একজন গার্ডকেও লাগিয়ে দিলেন যাতে সে নজর রাখতে পারে। বুড়ো ভদ্রলোক পুরো মেলা ঘুরে টুরে চলে গেলেন। পরদিন আবার এলেন, গার্ডদের নেতাকে আবার একপাশে ডেকে নিয়ে বললেন, গতকাল অনেক কিছু চুরি করেছি, তবে আজ তো স্পেশাল শো আছে, আজ মনে হয় আরও বেশী চুরি করতে পারবো। নেতা আজ দুজন গার্ড লাগিয়ে দিলেন, কিন্তু আজকেও বুড়ো অনেক ঘোরাহুরি করে চলে গেলেন। এরকম কয়েকদিন গেল, শেষ দিন যখন বুড়ো গেট দিয়ে বেরিয়ে আসছেন তখন আর গার্ডসাহেব থাকতে পারলেন না, বুড়োকে একপাশে নিয়ে গিয়ে জিগ্যেস করলেন, আপনার ব্যাপারটা কি বলুন তো? আপনি কিভাবে চুরি করছেন আমি তো কিছুই বুঝছি না! তখন বুড়ো অল্প হেসে বললেন, আমি আইডিয়া চুরি করছি।

    এই অনলাইন কমিউনিটি আর সাইটগুলোও ওরকম। ওদের উৎসাহ দিন আর বলুন জয় এলবাকিয়ান!
  • Ishan | 202.189.***.*** | ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ২১:৪১372000
  • রোমান হরফে লিখছেন কেন ? গুগল যে-আউট ব্যবহার করুন। প্রায় সবই ঠিক হবে। আমি এইটা গুগল লেআউট দিয়ে লিখলাম।
  • | 52.***.*** | ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ২৩:১৪372001
  • আমারবই জাতীয় সাইটদের নিয়ে এই প্রশ্ন আমারও।
    শুধুতো আইডিয়া নয় এর মধ্যে দিয়ে শ্রমের মূল্যও চুরি করা হয়। অন্ত্যত কপিরাইট থাকা বইএর সফটকপি বিতরণ করলে।
    লেখক/প্রকাশক/প্রচ্ছদশিল্পী/মুদ্রণশিল্পী/কর্মীদের তো খাওয়ার আসে এই থেকেই।

    এই সাইটদের এই কপিরাইট থাকা বই খোলাখুলি শেয়ার করা কি আইনত সঠিক? নৈতিকতার কথা বাদই দিলাম।
  • Ishan | 202.189.***.*** | ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:১৭372002
  • বেআইনী তো বটেই। কিন্তু কোনো দেশই এখনও এটা আটকাতে পারেনি। নেট নিউট্রালিটি উঠে গেলে পারলেও পারতে পারে। মানে একটা সম্ভাবনা তবু আছে। কিন্তু তাও খুবই ক্ষীণ। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, যে, তাতেও আটকানো যাবেনা। কারণটা বিশুদ্ধভাবে অর্থনৈতিক। কোনো জিনিসের পুনরুৎপাদনের খরচ কমে গেলে যদি কৃত্রিমভাবে তার দাম উঁচুতে বেঁধে রাখা হয়, তো কালোবাজারি হবেই। পরিকল্পিত অর্থনীতি, মুক্ত অর্থনীতি, কেউই কখনও আটকাতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবেনা। একটাই রাস্তা আছে, দাম কমানো। অনিবার্যতাও বলা চলে। ডিজিটাল কপি এবং ডিসট্রিবিউশনের খরচ এখন খুব খুব কম। সিনেমা, বইয়ের মূল্যমান সেটার কাছাকাছি চলে এলে, এবং সহজলভ্যতা বাড়লে, পাইরেসি এমনিতেই উঠে যাবে। সিনেমা ইতিমধ্যেই সেই রাস্তায় হাঁটছে। অ্যামাজন প্রাইম বা নেটফ্লিক্সে সিনেমা দেখা যায় মাসিক ফি-এর বিনিময়ে বিনাপয়সায়। আর মাসিক ফি না দিলে একটি সিনেমার দাম মেরেকেটে তিন ডলার। সেটাও ভবিষ্যতে আরও কমে আসবে। বই নিয়েও একই রকম চিন্তাভাবনা করার সময় এসে গেছে।
  • | 52.106.***.*** | ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:২৬372004
  • *বইয়ের হাটের
  • | 52.106.***.*** | ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:২৬372003
  • বইয়ের হাতের কিছু কিছু বই জাস্ট অসাম। যেমন সংসদের ডিকশনারীর পিডিএফ, মোবি আর ইপাব ভার্সান। এইটে একটা ম্যমথ টাস্ক, করে ফেলেছেন ওঁরা।

    সব বইয়ের ডিজিটাল ভার্সান যদি প্রকাশকরাই বের করে বিক্রি করেন, তাহলেই অনেক কমে যাবে। 'ইতিবৃত্তে চন্ডালজীবন' মনোরঞ্জন ব্যপারীর বই, বাংলাটা পাওয়া মানে সেই কলেজ স্ট্রীটে গিয়ে তুলতে হবে, অথবা কোনও সাইট যদি দয়া করে বিক্রি করে, তাও একগাদা শিপিং চার্জ দিয়ে তবে পাওয়া যেতে পারে। ঐ বইই শিপ্রা মুখার্জী অনুবাদ করেছেন ইংরাজীতে Interrogating My chandal Life - an Autobiography of Dalit' বইটি আমাজনে পাওয়া যাচ্ছে + কিন্ডল এডিশানও পাওয়া যাচ্ছে। এরপরেও নিশ্চয় কিছু কপি হবে, কিন্তু অনেকে কিন্ডল এডিশান কিনেও নেবেন।
  • dc | 57.15.***.*** | ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:৪৪372005
  • বই, গান, সিনেমা, সফটওঅ্যার এসব পাইরেটেড হবেই। পিটুপি পাইরেসি প্রথম জনপ্রিয় করেছিল ন্যাপস্টার আর লাইমওঅ্যারের মতো সাইট বা প্রোগ্রামগুলো। এদের জানাই লালে লাল লাল সেলাম।
  • | 144.159.***.*** | ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ১১:৫৪372006
  • অ্যাঃ ওরম ভাবে বলে না। বলতে হয় 'লালে ল্লাল ল্লাল সেলাআম'
  • dc | 57.15.***.*** | ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:০০371993
  • ঃ)

    শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং! পাইরেসি চলছে চলবে! কমরেড ন্যাপস্টার অমর রহে!
  • :) | 69.16.***.*** | ১০ জানুয়ারি ২০১৮ ১২:২২371994
  • বইয়ের হাট / আমার বই খাটাখাটনি করে না। জাস্ট প্রিন্টারদের পয়সা দিয়ে পাবলিশারের বইয়ের সফট কপিটা নিয়ে নেয়। বা কোনো অপরিচিত প্লাটফর্মে নবাগতরা ডিজিটাইজেশন করলে সেগুলোও কোনো ক্রেডিটপত্র না দিয়ে ঝেড়ে দেয়। অবশ্য প্রোপাগান্ডা ভালোই করে।
  • pi | 57.29.***.*** | ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ১৭:০৯371995
  • এই পোস্টটা ঘুরছে। বান্গ্লাদেশের যদিও। কিন্তু স্টল ডেকোরেশনের খরচ দেখে চমকে গেছি। এগুলো কত বড় স্টলের হিসেব?
    ওদিকে বান্গ্লাদেশে ছাপা বইয়ের দাম খুব বেশি থাকে বলে অনেকে জানিয়েছেন।
    ্‌্‌্‌্‌
    `একটি বই একজন লেখকের ইন্টালেকচ্যুয়াল প্রোপার্টি। এই বই লিখতে গিয়ে একজন লেখক দিনের পর দিন, মাসের পর মাস অমানবিক পরিশ্রম করেন। ঠিক যেমন আপনি বা অন্যরা সকাল থেকে রাত অবধি অফিস করেন, কিংবা অন্যকোন উপার্জনশীল কাজে আপনার সময়, শ্রম, এবং মেধা খাটান, ঠিক তেমনই। এই মাসের পর মাস একজন লেখক হয়তো অন্য কোন কাজ করতে পারেন না, কিন্তু তাকে খেতে হয়, পরতে হয়, তার সংসার, পরিবার, পরিজনের দায় দায়িত্ব বহন করতে হয়। উপরন্তু একজন প্রকাশকও ঠিক একইভাবে এই বই ছাপতে তার পকেট থেকে অনেক টাকা খরচ করেন। একটি বই লেখকের হাত থেকে গিয়ে প্রকাশকের হাত হয়ে বাজারে আসা অবধি যে কতধরনের প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তা সংশ্লিষ্ট কেউ ছাড়া আসলেই বোঝা সম্ভব না। এই প্রক্রিয়াগুলো অত্যন্ত কষ্টকর, শ্রমসাধ্য, সময়সাপেক্ষ, অত্যন্ত ব্যায়বহুল এবং মেধাসিক্ত। এই বই বিক্রি করেই একজন প্রকাশকের সংসার চলে, তার সন্তান স্কুলে যায়, তার ঘরে তিনবেলা আহার জোটে। কারণ এটিই তার পেশা। এই বই বিক্রির টাকায় তার অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা হয়, সংসারের ভরন পোষণ হয়। ঠিক যেমন আমাদের বাবারা কাজ করে আমাদের পরিবার চালান, ঠিক তেমনই। এখন আমাদের বাবাদের সেই উপার্জনের পথ যদি কেউ রুদ্ধ করে দিতে চান, কেউ যদি আমাদের পেটে লাথি মারতে চান? তখন আমরা কী করব?

    একটি দেশের সামগ্রিক প্রকাশনাশিল্প এই বই বিক্রির উপর নির্ভর করেই টিকে থাকে। ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই, বইমেলায় মোটামুটি মানের একটা স্টল ডেকোরেশনেই এক থেকে দুই লাখ টাকা খরচ হয়ে যায় একজন প্রকাশকের। খেয়াল করুন, মোটামুনি মানের এবং স্রেফ একটি স্টল ডেকোরেশনেই এই খরচ! বরাদ্দকৃত স্টলের চার্জ, মাসব্যাপী যারা এখানে কাজ করেন, তাদের বেতন, বই ছাপা, কাগজের দাম, কভার, বাঁধাই, সরবরাহ, প্রুফ, এসব কিন্তু এর বাইরেই। এখন বলুনতো, শুধুমাত্র ওই একটি স্টলের খরচ ওঠানোর জন্যই একজন প্রকাশককে কত টাকার বই বিক্রি করতে হবে? কতটাকার বই বিক্রি করলে তার দু লাখ টাকা লাভ হবে, সে এটলিস্ট স্টল বানানোর খরচটা ওঠাতে পারবে? বাদবাকী হিসেব না হয় বাদ-ই থাকল!

    শুধু তা-ই না, বই এভেইলেবল করার ক্ষেত্রে কী হয় জানেন?
    আমার ধারণা আপনারা জানেন না, একটু বলতে চাই। আমি নিজে আমার প্রকাশকের সাথে দিনের পর দিন, নানাভাবে অনুরোধ করে, তর্ক করে আমার বই দেশের অনেক বিভাগীয় এবং জেলা শহরে এভেইলেবল করার চেষ্টা করেছি, কিছু জায়গায় পাওয়া যায়ও। তো ধরুন একটি বইয়ের চাহিদা থাকা সত্বেও একজন প্রকাশক কেন সেই বই দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতে আগ্রহ বোধ করেন না? কেন জানেন? আমিও জানতাম না। প্রথমতঃ আমরা যখন একটি বই কিনি, তখন ২৫% বা ২০% কমিশন দেখি, কিন্তু যে দোকান থেকে আমরা বই কিনি সেই দোকানের তাহলে লাভ কী? সে কত কমিশনে বই কেনে? এটা আমরা ভাবিনা, আমরা কেবল বইয়ের গায়ের মূল্যটাই দেখি! সেই দোকানি কিন্তু ৪০% বা এদিক সেদিক কমিশনে বই কেনেন, কারণ তাকেও লাভ করতে হয়। শুধু তা-ই না, এই বই সেই দোকানগুলোতে পাঠাতে হয় প্রকাশকের নিজ খরচে। শুধু তা-ই না, এই বই সেই দোকানমালিকগণ নগদ টাকায় কিনে নেন না। তারা আগে বই নেন, তারপর বই যদি বিক্রি হয়, তাহলে টাকা দেন, তাও আবার একটা দুটা বই বিক্রি হলে সেই টাকা প্রকাশক অবধি ফেরত যাওয়ার সম্ভাবনা শূন্য। শুধু তা-ই না, এই টাকা বেশিরভাগ সময়েই পাওয়াই যায় না! এই হলো একজন প্রকাশকের অবস্থা!যেটা আমরা কখনোইই জানিনা, কিন্তু অজস্র অভিযোগ নিয়ে বসে থাকি। কিন্তু কেউ কী কখনো ভাবি যে এই শিল্পটা টিকিয়ে রাখা দরকার? বাঁচিয়ে রাখা দরকার? জগতের কোন কিছুই মোটিভেশন বা প্রেষণা ছাড়া টিকে থাকেনা। আর এটি যেখানে সরাসরি ব্যায়বহুল, সময় সাপেক্ষ এবং একইসাথে প্রচন্ড পরিশ্রমের একটি কাজ!

    আমি এবার আমার নিজের কথা বলি, আমার বইগুলো আকারে বড় হয়। এত বড় একটা বই লেখা খুবই শ্রমসাধ্য, কষ্টকর, সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ভাবনাচিন্তার বিষয়টি আপাতত উহ্যই রাখলাম। টানা ৪ থেকে ৫ মাস লাগে একেকটি বই লিখতে। এই পুরোটা সময় আমাকে আর সকল কাজ বন্ধ রাখতে হয়। কিন্তু এই পুরোটা সময় আমাকে ৩ বেলা খেতে হয়, বাড়িতে আমার পরিবারের মাসিক খরচের জন্য টাকা পাঠাতে হয়, আমার বাসা ভাড়া দিতে হয়, আমার বোনের কলেজের, হোস্টেলের খরচ মেটাতে হয়। এখন সেই বই বিক্রি বাবদ যদি আমি কিছু সম্মানী পাই, বা আশা করি, তবে সেটি কী অন্যায়? সেটিতো আমাকে বরং আরও একটি বই লিখতে সাহস যোগাবে, উৎসাহ যোগাবে, এবং নির্ভরতা দিবে, খানিকটা হলেও আমার পরিবার পরিজন বাবা মা ভাই বোন নিয়ে দুশ্চিন্তা কমাবে।

    এখন সেখানে আপনি যখন একটি ২-৪-৫-৬ বছরের বই সেই লেখক বা প্রকাশকের কোন রকম অনুমতি ছাড়াই পিডিএফ করে ছেড়ে দেন, তখন সেটি কতটুকু নীতিসঙ্গত কাজ? এটি কী পুরোপুরি অনৈতিক কাজ নয়? শুধু অনৈতিকই নয়, আপনি জেনেশুনে কয়েকটি পরিবারের পেটে লাথি মারছেন, একটি প্রকাশনী শিল্পের সামগ্রিক ধ্বংসের পেছনে
    সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। এমনিতেই দেশে কী পরিমান বই বিক্রি হয়, তা পাঠক প্রকাশক মাত্রই জানেন। সেখানে এমন কাজ কতটুকু একটি শিল্পের জন্য, সেই শিল্পের সাথে যুক্ত মানুষের জন্য মঙ্গলজনক?

    একটি সিনেমা রিলিজ হওয়ার পর সেটি ফেসবুকে বা ইউটিউবে ছেড়ে দেয়া যেমন শাস্তিযোগ্য অপরাধ, অনুমতিবিহীন একটি বইয়ের পিডিএফ করাটাও ঠিক তা-ই। এটি সিনেমা পাইরেসির মতই জঘন্য অপরাধ। বাংলাদেশের অডিও ইন্ডাস্ট্রি এই পাইরেসির কারণে সমূলে ধ্বংস হতে বসেছিল, এমনকি এখনো অনেকেই সেটিই মনে করেন। বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিও সেম একই দুঃসহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই গিয়েছে। কিন্তু বইয়ের বাজারতো সেই সিনেমা বা অডিও ইন্ডাস্ট্রির চেয়েও অনেক অনেকগুন ছোট, তাহলে সেখানেও আপনারা যদি এই কাজটিই করেন, তাহলে একবার ভাবুনতো? এই শিল্পের সাথে যুক্ত লেখক প্রকাশকরা কতটুকু টিকে থাকতে পারবেন? এই শিল্প কতটুকু মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারবে?

    আপনাদের সকলের কাছে করজোড়ে প্রার্থনা করছি, প্রকাশক লেখকের অনুমতি ছাড়া বই পিডিএফ করবেন না। এটি আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ যেমন, তেমনি অনৈতিকও। পাঠকদের অনুরোধ করছি, অন্তত, জীবিত কোন লেখকের প্রকাশিত বইয়ের পিডিএফ-কে না বলুন। আপনাদের এইটুকু সহযোগিতা এই শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে, বাঁচিয়ে রাখতে পারে এই শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত মানুষদেরও। মনে রাখবেন, এই শিল্প, এই মানুষগুলো নিশ্চিন্ত নির্ভরতায় বেঁচে থাকতে পারলে, তাদের চর্চাটা করে যেতে পারলে, আমাদের স্বপ্নের, সম্ভাবনার এই ক্ষেত্রটি বিস্তৃত হবেই, সীমানা ছাড়াবেই। ভালোবাসা সবাইকে...

    ~ সাদাত হোসাইন

    উল্লেখ্য- কপিরাইট বোর্ড এবং কপিরাইট রেজিস্ট্রারকে আইনের ৯৯ ধারা মতে কয়েকটি ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালতে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। কপিরাইট আইনের ৫৬/৫৭ ধারায় কপিরাইট সার্টিফিকেট ইস্যু করার ক্ষমতা রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটসকে প্রদান করা হয়েছে। আইনের ৯৫ ধারা অনুযায়ী কপিরাইট বোর্ডের কাছে আপিল করার বিধান রয়েছে। কপিরাইটের মালিকের অনুমতি ছাড়া কপিরাইটযুক্ত কর্মের চুরি, নকল, মুদ্রণ, পুনঃমুদ্রণ, অনুবাদ, প্রকাশ, পুনঃপ্রকাশ, পুনরুৎপাদন, অভিযোজন, প্রচার, সম্প্রচার, প্রদর্শন, রেকর্ডিং ও ভাড়া বা অধিকার লঙ্ঘন করলে আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা হিসেবে ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের (ধারা-৮২-৮৩) কথা বলা হয়েছে। সুতরাং আইন অনুযায়ী, যাঁরা কোনো লেখক বা প্রকাশকের কপিরাইট করা বই পিডিএফ আকারে অনলাইনে প্রকাশ করেন তাঁরাও অভিযুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন।

    বিস্তারিত পড়ুন: http://infopedia.com.bd/useful-information/2002
  • T | 129.74.***.*** | ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ১৮:২৪371996
  • যদ্দুর জানি বাংলা বই বিক্রিতে লাভ খুব কম থাকে, ইংরিজি বইয়ের তুলনায়। তার উপর পাইরেসি ইত্যাদি হলে তো আরোই বাজে ব্যাপার। প্রকাশকরা যদি কিন্ডল এডিশন বার করতে থাকেন তবে এই পাইরেসির ব্যাপারটা কমতে পারে। পুরোনো বই যেগুলোর কপিরাইট আর নেই সেগুলোর ডিজিটাইজেশন খুবই সমর্থনযোগ্য। পাইরেসিটা বন্ধ হওয়া দরকার।
  • কল্লোল | 233.227.***.*** | ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৯:৩৪371997
  • বেশ কিছু পুরোনো সোভিয়েত প্রকাশনা (বাংলা) আমি কিনতে চাই। কোথায় পাবো?
    নিজে শেখো সিরিজ - শারীরবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন।
  • Du | 57.184.***.*** | ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ১০:০৯371998
  • মুভি ভিডিওর শুরুতে লেখা থাকে পাইরেসি ইজ নট এ ভিক্টিমলেস ক্রাইম
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন