এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাঙালীর বিরুদ্ধে ত্রিফলা আক্রমন

    bip
    অন্যান্য | ০১ অক্টোবর ২০১৭ | ১০০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ | 81.244.***.*** | ০১ অক্টোবর ২০১৭ ২১:১৬368774
  • পূজোর কটাদিন ভাবসাব দেখে মনে হয় বাংলা সংস্কৃতি শত পুস্পে বিকশিত। কিন্ত বাস্তব এটাই পশ্চিম বাংলার বাংলা সংস্কৃতি এখন বিপন্ন। ইসলামিক, উত্তর ভারতীয় হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসন এবং কমিনিউস্টদের দৌড়াত্মে, আমাদের শত শত বছরের পুরাতন বাংলা সংস্কৃতি- যা বৌদ্ধ, চৈতন্য, লালন , রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের উদার আবহে বটবৃক্ষের মতন ছড়াচ্ছিল, তার বিপন্ন জরাজীর্ন হাল।

    আসল সমস্যা বাঙালী জাতির অলস্যে। যে জাতি কঠিন এবং সৎ পরিশ্রমে বিশ্বাস রাখে না। এই জাতি আস্থা রাখে চিট ফান্ডে, বিট কয়েনে। একবার ও বোঝে না, অর্থনীতির নিয়মেই সস্তায় না খেটে বড় লোক হওয়া যায় না, ভাল থাক যায় না। ঠিক এই ধরনের অলস চিন্তা ধরেই বাংলার এক বিশাল অংশের তরুন বিপথে- তাদের ধারনা কমিনিউজম, হিন্দুত্ববাদ বা ইসলাম তাদের সমাজ এবং দেশকে উদ্ধার করবে। বিভিন্ন রকমের হতাশা থেকেই তাদের এই বিপথযাত্রা। কিন্ত বটম লাইন সেই এক- সৎ ভাবে খেটে , সৎ ব্যবসা, আন্তারপ্রেনারশিপের মাধ্যমে বাংলার পরিবর্তন হবে-এই বিশ্বাস বা দৃঢ়তা আমি বাংলার নতুন প্রজন্মে দেখছি না। শুধু দেখা যাবে বিজাতীয় আদর্শবাদের প্রতি ঝোঁক।

    পেট্রো ডলার ঢুকিয়ে বাংলার গ্রামে গ্রামে মাদ্রাসার চাষ করে, বাঙালী মুসলিমদের বাংলার মূল শ্রোত থেকে সরানোর কাজ ভাল ভাবেই সম্পন্ন। তাদেরকে ভাবানো হচ্ছে তারা বাঙালী না মুসলমান। ফল হাতে হাতে টের পাচ্ছেন মীর বা নূরের মতন বাঙালী মুসলিম অভিনেতা অভিনেত্রীরা। ফেসবুকে দূর্গাপূজোর শুভেচ্ছা যদি কোন মুসলিম অভিনেতা অভিনেত্রী জানাচ্ছেন মৌমাছির ছাঁকের মতন দাঁড়িয়ালা মুসলিমরা ভন ভন করছে। অথচ, দূর্গাপূজো, ঈদে পারস্পারিক শুভেচ্ছা জানানো বাঙালীর শত শত বছরের ঐতিহ্য। এই সব বাঙালী মোল্লারা হঠাৎ করে আবিস্কার করেছে, বাঙালী না তাদের পিউর এবং আন ডাইল্যুটেড মুসলমান হতে হবে। তারা তাদেরকে আর বাঙালী মনে করে না-তাদের অস্তিত্বে এখন আন্তর্জাতিক ইসলামিক ব্রাদারহুড! এবং এর পেছনে প্যাট্রোনাইজেশন আছে ভারতের সব রাজনৈতিক দলের।

    ইসলামিক মৌলবাদের উত্থান ঠেকাতে বাঙালী বুদ্ধিজীবি সমাজ কিস্যু করে নি। ফলে ভীত একদল বাঙালী হিন্দু যুবক- উত্তর ভারতের হিন্দুত্বের আশ্রয় চাইছে। পশ্চিম বাংলায় রাম নবমী, ধণতরেশ, হনুমান চল্লিশা-এসব ছিল না। কিন্ত দ্রুত ঢুকছে। নীরব প্রশয় এক বিশাল অংশের বাঙালী হিন্দুদের। এসবই ইসলামিক মৌলবাদের উত্থানের রিয়াকশন -কিন্ত ফল এই যে বাংলার উদার সংস্কৃতি এখন বিপন্ন উত্তর ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে। ফলে এই যে বাংলাকে আরো দাঙ্গা দেখতে হবে আগামী সময়ে।

    এবার আসি বাংলার বাম বুদ্ধিজীবি এবংহরেক রকমের কমিনিউস্টদের নিয়ে। এদের কাছে বিদ্যাসাগর কলোনিস্ট এবং বু্জোয়া। রবীন্দ্রনাথ বুর্জোয়া কবি। স্টালিন, লেনিন, মাওএর মতন কুখ্যাত খুনীরা এদের আরাধ্য দেবতা আজো। এদের ৩৪ বছরের শাসনের তান্ডবে বাংলা ছাড়া হয়েছে বাংলার সব কৃতী সন্তান। যাদের কেউ আজকেও ঘরে ফিরতে চাইছে না। ফলে বাংলায় একটা বিরাট ক্রাইসিস ইন্টেলেকচুয়াল লিডারশিপের। বাংলায় যারা নিজেদের বুদ্ধিজীবি বলে দাবী করে তাদের কারুর কোন আইডিয়াই নেই কিভাবে প্রযুক্তি পালটে দিচ্ছে বা দিচ্ছে গোটা পৃথিবী। তারা স্বপ্নের রাজনীতি ফেরি করে ( সেটা সোভিয়েত কমিনিউস্ট সমাজই হোক বা শরিয়াই হোক ), বাঙালী যুবকদের বোকা বানায়। কারন বাঙালী যুবকরা একে অলস-তারপরে হতাশ। ফলে সস্তায় রাজনৈতিক বাজিমাতের ভাল ভাল কথা শুনে এরা আকৃষ্ট।

    বাংলার বুদ্ধিজীবীদের কাউকে বলতে শুনিনি যে একটা জাতির উন্নতির একটাই উপায়। পরিশ্রম এবং সৎ ব্যবসা । প্রকৃত কারিগড়ি শিক্ষা। তারা নিজেরা গর্দ্ভব এবং আরো কিছু গর্দ্ভভ অনুসারী পেয়ে কলা ঝোলাচ্ছে কখনো কমিনিউস্ট স্বর্গের, কখনো বৈদিক সমাজের , কখনো খিলাফতের। এই ভিসিয়াস সাইকল থেকে বাঙালী বেড়োতে না পারলে বাংলা সংস্কৃতির ভবিষ্যত নেই।

    এখন দরকার একটা বাঙালী জাতিয়তাবাদি আন্দোলনের। যেখানে নতুন করে মুল্যায়ন করা হৌক বিদ্যাসাগর , প্রফুল্ল চন্দ্র এবং স্যার রাজেন মুখার্জিকে। কারন বাংলার ইতিহাসে এই গুটিকয় ব্যক্তিকেই আমি পেয়েছি, যাদের চরিত্র ছিল ইস্পাত সম। ব্যবসায়িক বুদ্ধি এবং আন্তারপ্রেনারশিপকে যারা গুরুত্ব দিয়েছিলেন জীবন দিয়ে। বিদ্যাসাগর বলতেন পথে বসে আলু পটলের দোকান দেবেন, কিন্ত বৃটিশদের অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়াবেন না। আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রসায়নকে ল্যাবে আটকে রাখলেন না। বাড়ির বারন্দায় তৈরী করলেন বেঙ্গল কেমিক্যাল। স্যার রাজেন মুখার্জি দেখিয়েছেন বাঙালীরাও পারে আন্তর্জাতিক মানের ইঞ্জিনিয়িরিং বিজনেস। শুধু দরকার সদিচ্ছা এবং পরশ্রমের।
  • modi | 183.254.***.*** | ০১ অক্টোবর ২০১৭ ২২:২৬368781
  • কি সর্বনাশ!! উদ্যোগপতি বিপও বলে কিনা করা হৌক!! এ তো আমরা অলস, পরিশ্রমবিমুখ বঙ-রা বলে থাকি। বিপেরও যদি ডু ইট নাও না হয় তবে আমাদের আর কি আশা?

    হায় বিপ, সোনালী ডানার বিপ।
  • ্নাই বা জানলেন | 228.248.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:৫৭368782
  • আর ত্রিফলার তৃতীয় ফলাটা আর এস এসের উত্তর ভারতীয় হিন্দুত্ব
  • de | 69.185.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:০৭368783
  • নিজের ভাষাটাই তো বাঙালী ঠিকঠাক বানানে লিখতে পারে না - বাঙালীর উন্নতি হবে কি করে? ভাষাভিত্তিক জাত, যদি ভাষাকেই এতো লাইটলি নেয় তবে কি করে হবে?
  • Atoz | 161.14.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ০৬:৫৩368784
  • এ হে হে , শেষের লাইনে লিখেছেন, "সদিচ্ছা আর পরশ্রম" । যাকে বলে এক্কেবারে খাপে খাপ। পরের শ্রম পেতে কার না সদিচ্ছা জাগে? ঃ-)
  • S | 184.45.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:৫০368785
  • কমিনিউজম, হিন্দুত্ববাদ, ইসলামিক মৌলবাদ, বিট কয়েন, চীট ফান্ড, রোবিন্দনাথ, নজরুল, মীর একসাথে মিলেছে একটা আধ পাতার লেখায় - পুলিটজার চাই বীপদার জন্য।
  • PM | 149.5.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৩:০৪368786
  • সমস্ত বীপ পালীয় ব্যাপার স্যাপারকে উপেক্ষা করেও মুল বক্তব্য টাকে উপেক্ষা করতে পারছি না তো ঃ(

    বাঙালী যখন মাধ্ধী মহোৎসবে ব্যস্ত, উনবিংশ শিতকে তখন এই কলকাতার বুকেই টাটা , বিড়লা , সিংহানিয়া, থাপাররা রক্ত জল করে ব্যাবসা দাঁড় করাচ্ছে - এটা ভুলি কি করে।

    ঐ সময় উত্তর ভারতীয় আধিপত্য ছিলো না--- কলকাতাই ছিলো দেশের কেন্দ্রে--- দেশ ব্যাপী অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারের সোনার সুযোগ ( বৃটিশ শাসন সত্ত্বেও) -- ইতিহাস ১৫০ বছর দিয়েছিলো বাঙালীকে--আত্মঘাতী বাঙালী হেলায় হারিয়েছে
  • S | 184.45.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৩:১৩368787
  • অনেক আগে থেকেই - মানে রোবিন্দোনাথ, বৃটিশ সাম্রাজ্যের সময় থেকেই - কোলকাতায় মাড়োয়ারি, সিন্ধ্রিরা ব্যবসায় অনেক বেশি সফল ছিলো। জমিদারির পয়সা ছাড়া খুব বেশি বাঙালী ব্যবসায় খুব বেশি সফল হয়েছে বলে তো মনে হয়্না। বাঙালী চিরকালই ব্যবসা বিমুখ জাত। তার সাথে বাম সরকার, দিদি, বিটকয়েন, হিন্দুত্ব এসবের কোনো সম্পক্ক নেই। পাল্টালে ভালো, কিন্তু তার জন্য এক বাঙালীর একান্তই নিজের পাকামো ছাড়া কেউ দায়ী নয়।

    চীনারা কম্যু দেশে জন্মেও ভালৈ ব্যবসা করছে। হিন্দুত্বের দুর্গ গুজরাটে কেউ ব্যবসা কম করছে বলে তো শুনিনি।
  • অমিত সেনগুপ্ত | 59.205.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:২৬368788
  • টইয়ের শিরোনাম "বাঙালীর বিরুদ্ধে ত্রিফলা আক্রমন"।

    কিন্তু বিপ পালের লেখাটায় তো কেবল আত্মহননের কথা পড়লাম। আক্রমণের কথা কই? আজকের দিনে কেউ কেন বাঙ্গালীকে আক্রমণ করতে যাবে? বাঙ্গালী বা পশ্চিমবঙ্গ কি আদৌ কোন ফ্যাক্টর জাতীয় রাজনীতিতে? ভারতবর্ষে কোন শাসকের কি কোন থ্রেট পারসেপশান আছে বাঙ্গালীদের থেকে? রাজনীতিতে, বাণিজ্যে, আমলা তন্ত্রে, খেলায়, গানবাজনায় এমনকি সর্বগ্রাসী বলিউডের কি কোন ভয় পাওয়ার আছে বাঙ্গালীদের থেকে?

    তবে কেন কেউ বাঙ্গালীকে আক্রমণ করতে যাবে? তামিলরা নিজেদের ভাষা কে, সংস্কৃতিকে নিজেরাই টিকিয়ে রেখেছে, কারো দয়ায় নয়। বাঙ্গালী কি পারছে? যে নিজেই নিজের ঘর গোছাতে পারছেনা
    তাকে আক্রমণ করার কি কোন দরকার আছে?

    হ্যাঁ বাঙ্গালীর ইতিহাসের গর্ব আছে, কিন্তু সেই তালপুকুরে আজ চামচও ডোবেনা।

    এককভাবে বাঙ্গালী ছেলেমেয়েরা ছড়িয়ে পড়েছে সারা ভারতে, এমনকি দেশের বাইরেও। তাঁরা নিজেদের শিক্ষা, মেধা অনুসারে ভালই কাজকর্ম করছে নানা স্তরে, রাজমিস্ত্রি, সিকিউরিটি গার্ড থেকে টপ ম্যানেজমেন্ট লেভেলে, বরং নীচের দিকেই সংখ্যায় বেশি। কিন্তু তাঁরা প্রত্যেকে ইন্ডিভিজুয়াল রিসোর্স। বাঙ্গালী বলে না, তারা কাজ পাচ্ছে একক যোগ্যতায়, দক্ষতায় ও লোকালদের থেকে সস্তা শ্রমিক বলে।

    তাই বলি বাঙ্গালী আর সেই আগের মতো আক্রমণযোগ্য জাতি নেই, যেমন এককালে ছিল বিহার, আসাম, উড়িষ্যার থেকে ইউপি, এমপির নানা পদের চাকরী অধিকার করে, ইংরাজদের থেকে তাড়াতাড়ি শিক্ষালাভ করে। ব্যবসা? নৈব নৈব চ। তখনও না, এখনও না। বাঙ্গালী নিজেকে আক্রমণ যোগ্য করে তুললে খুশিই হব। আর সে যোগ্যতায় পৌঁছতে পারলে সে নিজেকে রক্ষাও করতে পারবে। কাউকে হা হুতাশ করতে হবেনা।
  • S | 184.45.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:৪৫368775
  • আম্বানী টাটার হাতে পায়ে ধরতে হয় একটা সিল্পো করার জন্য। অথচ পাড়ার ছেলেটা একটা ব্যবসা শুরু করলেই সেখানে লোকাল গুন্ডাদের লেলিয়ে দেওয়া হয়। মুম্বাই আর ব্যাঙ্গালোরেও থেকেছি। সবসময়ই মনে হয়েছে যে কোলকাতার থেকে অনেক কম হ্যাপায় ব্যবসা করা যাবে এই দুই শহরে। পুনেতেও। একজন বাঙালী হয়ে যদি আমারই এরকম মনে হয়।
  • sm | 52.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৬:৩৫368776
  • সিংহানিয়া ,বিড়লা,থাপার দের ব্যবসা রক্তজল করা পরিশ্রমের ফসল নয়।অনেক রকম ছল চাতুরী ,লবিবাজি ,বদমায়েশি ফসল।সিরাজদৌল্লার আমলেও জগৎ শেঠ,উঁমিচাঁদ চাঁদ ছিল।মাড়োয়ারি ,গুজুরা সারা ভারতেই ব্যবসা করে। এমনকি বাংলাদেশ ও নেপালেও। বাংলাদেশ থেকে অবিশ্যি সম্প্রতি অনেক ধাক্কা খেয়েছে।
    ব্যবসা করা কোনো অন্যায় নয়। কিন্তু ব্যবসার মাধ্যমে অন্যায় করলে সেটা অন্যায়।
    বাঙালি চিরকাল ই ব্যবসা বিমুখ জাতি।S এর কথা খুবই গুরুত্ব পূর্ণ। পব তে ব্যবসা করতে গেলেই স্থানীয় তোলাবাজ ও রাজনৈতিক নেতারা কাট খাবার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে।
    সি পি এম আমলে এটা শিল্পের স্তরে ছিল -তিন আমলেও কোনো উন্নতি হয়নি বরঞ্চ খাওয়া -খায়ি বেশি চোখে পড়ে। কারণ এরা অতটা সঙ্গবদ্ধ নয়।
    কিন্তু S এর দ্বিতীয় কথা টা ঠিক মেলানো যাচ্ছেনা।
    বাইরের রাজ্যে ব্যবসা করা যদি এতোই সোজা হবে তাহলে বাঙালি ব্যবসায়ী ভিন রাজ্যে এতো কম কেন?
    আজকের দিনে বাঙালি কারোর পক্ষে ;আম্বানি ,টাটা বা নিদেন আদানি হওয়াও দুষ্কর। কারণ অতটা পলিটিক্যাল কানেকশন ও লবিবাজি করে উঠতে পারবে না।
    রিলায়েন্স টেলিকম,টাটা বা আদানি দের লোন এর পরিমান সমবেত ভাবে লক্ষ কোটি টাকার ওপর। এদের কে ব্যাংক গুলো কেন ধার দেয়?
    কর্পোরেট ট্যাক্স ছাড় কয়েক লক্ষ কোটি টাকা। কি করে ভারত সরকার সহ্য করে?
    ব্যাংক গুলোর এন পি এ কয়েক লক্ষ কোটি টাকা । যার অধিকাংশ বড় শিল্পপতিরা নিয়ে রেখেছে।
    তাহলে এই চক্করে বাঙালি ঢুকবে কি করে বা কে ঢোকাবে ?
    বরঞ্চ বেশি করে বাইরের রাজ্যে বা বিদেশে ছড়িয়ে পড়লে সুবিধা। তাতে করে সারা দেশ এর হাল হকিকত সম্পর্কে সম্যক ধারণা হবে। কুঁয়োর ব্যাঙ হয়ে থাকতে হবে না।
  • S | 184.45.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৬:৫৫368777
  • "তাহলে বাঙালি ব্যবসায়ী ভিন রাজ্যে এতো কম কেন?"

    sm, আমার মনে হয় দুটো কারণ। একটা আগেই বলেছি, বাঙালী ব্যব্সা বিমুখ; সর্বত্রই। দুই, অন্য রাজ্যে বাঙালী কম বলে; আর যারা যায়, তারা চাকরীর সুত্রেই যায়।

    তবে দুটো ঘ্টনা সত্যি।
    ১) এখনকার সিস্টেমটা এমন করে রাখা হয়েছে যাতে গড়পরতা বাঙালীর পক্ষে বড় ব্যবসা বানানো অসম্ভব। এর জন্য অবশ্যি বাঙালীর ব্যবসা সম্বন্ধে বেশ কিছু ভুল ধারণাও আছে। সেটা আমি এই সাইটেও মাঝে মধে লক্ষ্য করি।
    ২) বাঙালী যাতে তেমন খুবেকটা কিছু না করে উঠতে পারে, সেটা খুব সুক্ষ এবং কখনো কখনো স্থুল ভাবেও বন্দোবস্ত করা হয়। আপনি একজন যোগ্য বাঙালীকেও যদি কাজে রাখেন, দেখবেন অন্য রাজ্যের কোলিগরা আপনাকে কথা শুনিয়ে দেবে। যদিও তাঁরা নিজেরা অবশ্য করে নিজেদের রাজ্যের (অযোগ্য হলেও) লোক রাখবেই। এরা কারণ হলো আপনি যাতে পরেরবার আরেকজন বাঙালীকে কাজ না দেন।
  • S | 184.45.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৬:৫৭368778
  • আরেকটা কথাও লিখি।

    "বরঞ্চ বেশি করে বাইরের রাজ্যে বা বিদেশে ছড়িয়ে পড়লে সুবিধা।"
    ঠিকই। কিন্তু তার মানেই এই নয় যে পবে ছোটো-মাঝারি-বড় শিল্পের প্রয়োজন নেই।
  • dc | 132.164.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ১৮:২০368779
  • হায়, অমিত সেনগুপ্তর পোস্ট পড়ে মনে হলো আমাদের ফ্যামিলিতেও তো সবাই কতো ছড়িয়ে পড়েছে। ছোটবেলায় আমরা কলকাতায় অনেকগুলো মাসতুতো ভাইবোন মিলে বড়ো হয়েছি, কিন্তু আজকে একজনও আর কলকাতায় থাকে না। নানান জায়গায় ছড়িয়ে গেছে। অব্শ্য হোআটসয়াপে সবাই মিলে দিনরাত ক্যাঁচোর ম্যাচোর করে চলেছে, কিন্তু সবাই আবার এক জায়গায় জড়ো হবো কিনা তাতে সন্দেহ আছে।
  • Ekak | 52.109.***.*** | ০৪ নভেম্বর ২০১৭ ১০:১৭368780
  • ত্রিফলা খেলে হেব্বি হাগা হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন