[ আমি সাধারণতঃ এখানে কবিতা খুব একটা লিখেছি বলে মনে পড়ে না। কারণ ছন্দময় কবিতায় যে প্রচন্ড পরিশ্রম ছন্দ,মাত্রা ও structure -এর উপর করতে হয়, তা আমার নেই। যাইহোক, এই কবিতাটিও মনের রূপকেরই বহিঃপ্রকাশ। এই রচনাটি বিগত ২৭.০৯.২০২৪ -এর রচনা।]
হাতে তুলে নিলাম শ্বেত পুন্ডরীক।
বললাম, 'এখন তো নিস্তব্ধ চারিদিক
নেওয়া যায় না আমার অঞ্জলি?'
তুমি তীক্ষ্ম - কঠিন পরিহাসচ্ছলে,
ফিরিয়ে দিলে আমায় আমারই দেওয়া ফুল।
বললে, 'আমি নির্ভুল
শ্বেতপদ্ম নীরব শান্তির প্রকাশ।
আজ কঠোর সময়ের অগ্নিভ আকাশ
তাই অস্বীকার করছে তোমার অর্ঘ্য...'
আবার অধরা থেকে গেল আমার
স্পর্শমিলনের স্বর্গ।
সেদিন ইন্দ্রের কানন থেকে তুলে আনি লাল কোকনদ।
হৃদয়ে সুরভিত তারই পদচিহ্নময় কুসুমিত পথ,
বললাম, 'গ্রহণ করো আমার একান্ত ভালোবাসা...'
বললে সে, 'অনেকের এখনো বুকভরা আশা
এ দেবীপক্ষে শেষ হবে শোষণতন্ত্র,
হৃদয়? সে তো রক্তবাহী এক যন্ত্র মাত্র আমার কাছে!"
ব্যর্থ হলো অর্ঘ্যপ্রদান?
কীই বা অধিক বলার আছে?
মানস সরোবর হতে সংগৃহীত নীল ইন্দিবর
সম্মুখে রেখে বলি, 'গ্রহণ করো ঈশ্বর।'
সে বললো, 'এসব মোহনীয় উপহারে কেন
বারবার নিজেকেই করছো হাস্যকর?'
হৃদয়তন্ত্রী ছিঁড়ে বলি, 'প্রয়োজনে খুঁজে দেখবো
ভূলোক থেকে স্বর্গ,
বলো, কীভাবে চাও আজিকার শ্রদ্ধার্ঘ্য?'
কোন্ পুষ্পে সার্থক হবে তোমার আরাধনা?
হেসে বললে, 'ব্যর্থ এ সাধনা।
ভুলে যাও যান্ত্রিকতার লড়াই
আর বৃথা প্রেমের মায়াজাল।
পারলে সৃষ্টি করো,
পথশিশুর নিষ্কলুষ হাসিমাখা একটি রক্তিম সকাল।'
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।