[ টি.ভির অধিকাংশ চ্যানেলেই জ্যোতিষ ও ভাগ্যগণনা বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। এমনকী খবরের চ্যানেলে সারাদিন মানবতার শ্রাদ্ধ দ্যাখানোর পর শুরু হয় - 'শৃন্বন্ত্ বিশ্বে অমৃতস্য পুত্রঃ!" যাইহোক, কিন্তু এই ঠিকুজী-কুষ্ঠি বিচার আর রাশিফলের সঙ্গে সেইসব রাশির জাতকদের কোনো মিল পাই না। সবদিক দেখেশুনে ঠিকুজীর নিকুচি করাটাই কি ঠিক নয়?]
কর্কট রাশি মর্কটে ভরা, কন্যায় করে অন্যায়
মেষের জাতক মেসে বাস করে জীবন কাটালো কান্নায়।
বৃষরা দেখতে বড় কৃশ আর ধনু ভাবে নিজেরে বড় 'হনু',
মীনের জাতক চীনে যাক তবে, হোক চাইনিজ মেনু!
সিংহ যদিও হিংস্র তাও হঠাৎ সেদিন দেখিনু হায়,
গলির মোড়ে সিংহ জাতক সারমেয় দ্বারা তাড়া খায়!
মিথুন নিজেকে 'মিঠুন' ভেবেছে, ভাবখানা খুব বেয়াড়া
তুলাযন্ত্রে এ ডিজিটাল যুগে মাপা হয় খালি পেয়ারা।
বৃশ্চিক দংশনে অংশ নেয় না, বিবরে লুকায় মুখ
মকরের শুধু বকর বকর করেই জীবনে সুখ।
কুম্ভ জঠরে শুম্ভ-নিশুম্ভ ভাঁজিতেছে বসে ভ্যানতাড়া
রাশিফল দেখে ফল রাশি রাশি ফলবে ভাবছে কোন্ হতচ্ছাড়া?
নিকুচি করেছে ঠিকুজীর তাই, উড়িয়ে দাও ওসব ঝড়ে
চাপ রাশি-রাশি তবু রাশিফলে বিশ্বাস কেউ আর করে?
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।