এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সরকারি কর্মচারী

    Bhaskar Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ জুলাই ২০২৫ | ৪৬ বার পঠিত
  • সরকারি কর্মচারীরা প্রায় সব মানুষেরই অপছন্দের।
    একমাত্র বিয়ের পাত্র বা পাত্রী হিসেবেই তাদের পছন্দ হয়।

    এটা কেন বলছি শুনুন আর মিলিয়ে নিন। আপনি বাজারে গেছেন মুদী খানার চাল ডাল আনতে...।
    দোকানদার আপনার বিশেষ পরিচিত।
    সে আপনাকে যেতেই প্রশ্ন করবে: কী দাদা আজ ছুটি?
    আপনি উত্তরে বলবেন: না, এরপর বেরোবো।
    তখন পাল্টা উত্তর দেবে মুদিখানা র লোকটি: আপনাদের যাওয়া আর না যাওয়া সবই সমান, না গেলেও তো পয়সা টা পেয়েই যাবেন।
    *ভাবুন কী চিন্তা ধারা।*

    তাই বলি সরকারি কর্মচারি দের কেউই সেভাবে সহজ করে নিতে পারেনা।
    আবার কোনো সরকারি কর্মী কর্মরত অবস্থায় যদি মারা যান, আর কোনো ব্যক্তি যদি ভুলে বলেও ফেলে আহারে অকালে চলে গেলো!!! 
    তখন পরিচিত আত্মীয় পরিজন প্রতিবেশী নিজেদের মধ্যে বলাবলি করবে, তাতে কী হয়েছে? চাকরী টা ওনার ছেলে বা স্ত্রী ঠিক পেয়ে যাবেI 
    তারমানে শোকহীন মৃত্যু হয় প্রতিটি সরকারি কর্মীর।

    আরো একটা প্রমাণ দিচ্ছি, কোনো অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মীর মৃত্যুর পর কেউ কিঞ্চিৎ চোখের জল ফেলে বলেনা, আ..হা!
    কীবলে?????
    আরে বউ জীবিত থাকবে যতদিন, পেনসন তো পাবেই। চিন্তা করে কী লাভ ওর জন্য।

    কথাটা অনেকটা এমন শোনায়, ব্যাটা মরেছে মরুক ওর পেনসন তো জীবিত; যদি ও অর্ধেক। ওই বাকি অর্ধেক অংশ টুকুর জন্য যা চোখের জল পড়ে বা কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে, মৃত দেহের সামনে তারচেয়ে অনেক কম জল পড়ে চোখ থেকে।

    তাই সরকারি কর্মী রা হলেন সবচেয়ে নিকৃষ্ট, লোকের চোখের বিষ। যারা সরকারি চাকরি পাননি তারা বুকে হাত দিয়ে এভাবেই ভাবেন না, এটা যদি বলেন তবে ডাঁহা মিথ্যে। হাজার উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি ভালো মোটা অঙ্কের মাইনার চাকরি ছেড়ে দিতেও দ্বিধা করেনা, একটা কম মাইনার সরকারি চাকরি পেলেও।

    তাই যারা পায়না, সরকারি চাকরি তাদের কাছে হয়ে ওঠে কাঁটার মত, কর্মী দের সর্বক্ষণ গালি গালাজ করতে থাকেন। কাজ করেনা, বসে বসে মাইনা পায় সব ইত্যাদি, ইত্যাদি।
    কর্মী দের যখন ভোটের ডিউটি কিংবা জন গণনা পড়ে তখন ও বাকি মানুষেরা চুপিসাড়ে হাত তালি দেয়। মনে মনে বলে, বেশ হয়েছে বোঝ তোরা এবার সরকারি চাকরীর জ্বালা, মর কয়েক টা, তাহলে হাড় জুড়োয়। সরকারি কর্মিরা যেন ছোট্ট শিশুর মা নয়, কারোর বাবা নয়, কারোর স্বামী নয়, কারোর স্ত্রী নয়। সমাজের বুকে এরা  নিশ্চিন্ত চাকরির যৎসামাণ্য মাইনা নিয়ে দিন যাপন করতে এসেছে। এদের বিপদে, দুঃখে কিছু মানুষের আজীবনের মজা।
    তারা টিচারদের উদ্দেশ্যে বলে ওঠে, যার কিছু হয়না সে টিচার হয়।  আচ্ছা বাবা তোমাদের কে হতে মানা করেছে? তারও উত্তর একদম রেডি, দরকার নেই আমাদের অত কম মাইনার চাকরি করে...
    *"আঙুর ফল টক"।*

    যাই হোক এই আলোচনা থেকে বোঝা গেলো সরকারি কর্মী রা হলেন সমাজের বুকে এক তাচ্ছিল্যে, ব্যঙ্গ করার মত জীব। যাঁদের অবহেলায় না আছে প্রতিবাদ, না আছে তার ভাষা জানা। তাই নিচু তলা থেকে উচ্চ সবার চিন্তা ধারাই এক। কেউ সাহসের সাথে কথা ফোসকে চলকে ফেলে, কেউ মনে মনে করে।

    তাই আজ থেকে সরকারি কর্মীদের বলি: আপনারা সংখ্যায় কম, কেউ অপমান করলে, কেউ নিশ্চিন্তের চাকরি, আসি যাই মাইনা পাই, এধরনের মন্তব্য করলে হেসে উড়িয়ে দেবেন না...
    একটাই উত্তর দেবেন: "সবই কর্মফল", দেখবেন পাল্টা উত্তর আর পাবেন না।

    ছোট গন্ডি থেকে প্র্যাকটিস করুন শিড়দাঁরার ফিজিওথেরাপি করার, তারপর না হয় মানহানী,  কালোব্যাচ, মৌন ব্রত এসব ভাববেন।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১৬ জুলাই ২০২৫ ১২:৪১732442
  • বেশ লেখা। আরও হোক। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন