এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • আমি ও পাচু রায় 

    Sandipan Majumder লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৩৯ বার পঠিত
  • পত্রপত্রিকায় চিঠিপত্র লেখার অভ্যেস অনেকেরই থাকে। কিন্তু শুধু চিঠি লিখে বিখ্যাত হতে আমি পাচু (পাঁচু নয়) রায়ের মত কাউকেই দেখিনি। অনেকেরই মনে আছে হয়তো একটা সময় কাগজ বা  সামিয়িকীপত্র খুললেই পাচু রায়, কলকাতা-৫৫ লেখা চিঠি চোখে পড়ত। কোন বিষয় নিয়ে তিনি না লিখতেন ? নাটক, সিনেমা, রাজনীতি, সমাজ—সবকিছুই ছিল তার বিষয়। হোমিওপ্যাথির বিরুদ্ধে ছিল জেহাদ ( কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল সংস্থায় উচ্চপদে চাকরি করতেন )। পাচু বাবু পরে আজকাল পত্রিকায় ছোটো ছোটো পোস্ট এডিট লিখতেন। তবে  দৈর্ঘ্যে এবং গভীরতায় সেগুলি চিঠিপত্রর মতই ছিল। রাজনৈতিক ভাবে তখন অতি বাম মনোভাবাপন্ন ছিলেন। পরিবর্তনের পরে তৃণমূল হয়ে  দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান হন।
     
    তখন দেশ পত্রিকায় ভীষণ গুরুত্ব পেত চিঠিপত্র। পাতা উলটে প্রথমেই চোখে পড়ত চিঠিপত্র।গুরুত্ব অনুসারে একেকটি চিঠির দৈর্ঘ্য ছোটোখাটো  নিবন্ধের মত হয়ে যেত। পাচুবাবুর চিঠি দেশে বেরোত। আমিও সেই সময় দেশে চিঠি লিখতাম। ২০০০ সালে  অপর্ণা সেন পরিচালিত ‘পারমিতার একদিন ‘ মুক্তি পেলে জয় গোস্বামী তার একটি রিভিউ লিখেছিলেন দেশে। আমি সেই রিভিউটিকে সামনে রেখে চিঠির মাধ্যমে একটি রিভিউ লিখি প্রায় আড়াই পৃষ্ঠার। অনেকের সেটি ভালো লেগেছিল।
     
    দিলীপকুমার ভারতী নামে একজন কাঁথি থেকে লিখতেন। তার সঙ্গে একবার আমার কয়েক সংখ্যা ধরে বিতর্ক হয়েছিল। দিলীপবাবুর একটু হিন্দুত্ববাদী ঝোঁক ছিল। দিলীপবাবুর বক্তব্য ছিল, রবীন্দ্রনাথ  হিন্দু –মুসলমান ঐক্য ও সম্প্রীতি সম্বন্ধে সন্দিহান ছিলেন।আমি তাঁর এই অবস্থানের বিরোধিতা করেছিলাম।  রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন প্রবন্ধ ও পত্রাবলী  ঘেঁটে চলেছিল দুজনের পত্রযুদ্ধ। অবশেষে দেশ পত্রিকা আমার একটি চিঠি প্রকাশ করে এই বিতর্কের সমাপ্তি টানে।
     
    সিনেমার  মূল কাজ গল্প বলা। দেশের কোনো একটি নিবন্ধে এরকম অভিমত প্রকাশ করা হয়েছিল। আমি তার বিরোধিতা করে দীর্ঘ চিঠি লিখি। শ্রীরামপুর থেকে শিবনাথ খাঁ (সম্ভবত উনি শ্রীরামপুরে টেক্সটাইল কলেজের অধ্যাপক ছিলেন ) আমার বিরোধিতা করে চিঠি লেখেন । শুরু হয় আরেকটি পত্র বিতর্ক। এই সময় পাচু রায় আমাকে সমর্থন করে চিঠি লেখেন । তার উত্তর দেওয়ার সময় শিবনাথ বাবু পাচুবাবুর উদ্দেশ্যে  ‘আপনার গুরুমশাই  সন্দীপন মজুমদার ‘ বলে লেখেন। ২০০২ সালের গুজরাট গণহত্যার পর আমরা  বহরমপুরে অরাজনৈতিক ব্যানারে একটি সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আলোচনায় পাচু রায়কে আলোচক হিসেবে নিয়ে আসি। তখন তিনি আজকালে পোস্ট এডিট লিখছেন। আজকালের সাংবাদিক প্রদীপ দে পাচুবাবুর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেওয়ার সময় ‘ এই যে আপনার গুরুমশাই’  বলে আমাকে লজ্জায় ফেলেছিলেন।

    রাজনৈতিক বিষয়ে চিঠি কম লিখতাম। ২০০৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার বাড়াবাড়ি দেখে একটা চিঠি লিখে বলেছিলাম, যে যেহেতু পঞ্চায়েত স্তরে স্থানীয় উন্নয়নই প্রধান ইস্যু হয়, তাই সেক্ষেত্রে এই নির্বাচন অরাজনৈতিক ভাবে করা যেতে পারে যাতে এই রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ হয়। কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ই এম এস নাম্বুদ্রিপাদের  ‘ সিলেক্টেড ওয়ার্কস’ থেকে কোনো একটা লেখায় এর সমর্থন পেয়েছিলাম এবং সেটার রেফারেন্স চিঠিতে  দিয়েওছিলাম। হয়তো আমার প্রস্তাবটা অবাস্তব ছিল কিংবা আমার ই এম এসের লেখা বুঝতে ভুল হয়েছিল। আমার পরিচিত দু’চারজন সিপিএমের  লোক লেখাটি পড়ে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন এবং ‘ বিজ্ঞ, দিগগজ’ ইত্যাদি বলে  ব্যঙ্গ করেছিলেন।
     
    তা, একসময় বিজ্ঞাপন দেখলাম ‘পাচু রায়ের নির্বাচিত চিঠিপত্র ‘ নামে একটা বইয়ের। দেখে আমারও একবার একটু সাধ হয়েছিল  ওরকম বই করার। একসময় আবুল বাশার দেশের চিঠিপত্র বিভাগটি দেখতেন। বহরমপুরে এক আড্ডায় প্রসঙ্গটি মৃদুভাবে তুলতেই (যেহেতু আমার বেশির ভাগ দীর্ঘ চিঠি দেশ পত্রিকাতেই বেরিয়েছিল) তিনি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বললেন, আরে আপনি ওসব করবেন কেন ? যাঁরা করছেন, তাঁদের করতে দিন।
     
    আমার পত্রাবলী কালের গর্ভে নিহিত হল।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PRABIRJIT SARKAR | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:৪৭541383
  • পাচু রায় চিঠি লিখে বিখ্যাত ছিল। পরে আর ওর লেখা পাইনি। কদিন আগে তসলিমা ওর নামে খারাপ কথা লিখেছিল ফেসবুকে। জানলাম তিনুদের ছোট নেতা হয়েছে। আমাদের ভগবান জজ সাহেবের মত দশা।
  • PRABIRJIT SARKAR | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:৫০541385
  • তসলিমা নসরিনের সঙ্গে যার ছবি তিনি একদা নক্‌শাল, এখন তৃণ। শুধু তৃণ নন একটি পৌরসভার পৌরপ্রধান। এককালে খবরের কাগজে আগুন ছোটাতেন। উনার সম্বন্ধে উনার বন্ধু তসলিমা নসরিন কী লিখেছিলেন পড়ে দেখুন।

    "পাচু রায়ের নামটা জানতাম। এ পাচু চন্দ্রবিন্দুহীন পাচু। সেই বিরানব্বই সাল থেকে কলকাতার পত্র পত্রিকায় আমার পক্ষে চমৎকার চমৎকার চিঠিপত্র লিখতেন। ওঁর সঙ্গে আমার প্রথম মুখোমুখি আলাপ পশ্চিমবঙ্গে আমার বই 'দ্বিখণ্ডিত' নিষিদ্ধ হওয়ার পর। মুসলিমমৌলবাদীতোষণের উদ্দেশে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আমার বই নিষিদ্ধ করেছিল। তখন ২০০৪ সালে। পাচু রায় ঘন কালো চুলের আপোসহীন বিপ্লবী। চারদিকে বই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বলছেন, নানা মঞ্চে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে সিপিএমের গুষ্ঠি উদ্ধার করছেন। আমি তো রীতিমত মুগ্ধ। মুগ্ধ হয়ে তাঁর ভাষণ শুনি। পাশে বসে চা পান করতে করতে তাঁর নকশাল জীবনের নানা গল্প শুনি।পাচু পশ্চিমবঙ্গের কম্যুনিস্টদের কম্যুনিস্ট বলেই মানেন না। ওঁদের নানান ভুলত্রুটি ধরেন। পাচু চরম বামের বাম। পাচু তখন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি অফিসার। অবসর জীবনেও দিনরাত ব্যস্ত, লিখছেন, পড়ছেন, বক্তৃতা করছেন, নাটক দেখছেন, রাজনীতি সমাজ সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে গভীর গভীর আলোচনা করছেন। পাচুকে দেখছি, পাচু দুনিয়ার সমস্ত অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন। পাচু নিঃস্বার্থ,নির্লোভ। পাচুর প্রতি শ্রদ্ধায়-ভালোবাসায় আমার এমনই গলে যাওয়ার মতো অবস্থা যে ওঁর লেখা কিছু কলাম জড়ো করে একটা বই বের করার কথা ভাবি। আমার তো যেই ভাবা সেই কাজ। আমার প্রকাশককে অনুরোধ করি একটা বই করে দিতে। অনুরোধ রাখলেন প্রকাশক। পাচু ওদিকে খুব দ্রুতই আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠলেন। পাচুকে এত আপন ভাবতাম যে, কলকাতায় যে একটা বাড়ি কিনেছিলাম, সেটা আমার নামে কেনা যায়নি বলে পাচুর নামে কিনেছিলাম। সেই পাচু। সেই আদর্শবান পাচু।
    আমাকে পশ্চিমবঙ্গে থেকে ২০০৭ সালে বের করে দেওয়ার পর প্রতিবছর কিছু ছেলেমেয়ে ২২ নভেম্বর তারিখে লজ্জা দিবস উৎযাপন করে। প্রতিটি লজ্জা দিবসে পাচু রায় জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়েছেন। তবে উদ্যোক্তারা একটা সময় তাঁকে আর ডেকেও পাননি । পাচুর তখন পচন শুরু হয়েছে। যখন থেকে তিনি মমতার দিকে ঝুঁকছিলেন, তখন থেকেই তিনি লজ্জা দিবসে অনুপস্থিত থাকছিলেন। যেহেতু মমতাকে মুসলিমমৌলবাদীতোষণের জন্য তসলিমাবিরোধী হতে হবে, তাই পাচু বুঝে যান লজ্জা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসেছেন জানলে মমতা অসন্তুষ্ট হবেন। পাচু এরপর, যা শুনি, নির্লজ্জভাবে সরকারের সব অন্যায়, অত্যাচার, অসভ্যতাকে মেনে নিচ্ছেন, ওসবকে বরং অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে পত্রিকায়, টিভিতে প্রচার করছেন। না, এই পাচুকে আমি চিনি না। এই পাচু আমার বন্ধু নয়। মমতা পদলেহনকারীকে পুরস্কার দিতে কার্পণ্য করেন না। পাচুকে তৃণমূলের টিকিট দিয়েছেন। নির্বাচনে শুনেছি জিতেছেন পাচু। বয়স তো সত্তর পার হয়েছে কয়েক বছর হলো। এ সময় বোকা না হলে নিজের সারাজীবনের অসামান্য সব আদর্শকে কেউ বিসর্জন দেয়! কিসের লোভে! কিছুর তো অভাব ছিল না পাচুর! যে পাচু সিপিএম সরকারকে তুলোধুনো করেছিলেন বই নিষিদ্ধ করেছিল বলে, মমতার সরকার পাচুর চোখের সামনে আমার মেগাসিরিয়াল নিষিদ্ধ করলো, বইমেলায় আমার নির্বাসন নামের বইটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করলো, পশ্চিমবঙ্গে আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ করলো, পাচু একটা টুঁ শব্দ করেনি। কেন? তাহলে কি সামান্য ওই ক্ষমতার লোভ! অতি সামান্য একটুখানি কিছু! একটা ছোটখাটো চেয়ার! যে নেত্রী ধর্ষিতাকে দোষ দেন ধর্ষণের জন্য, যে নেত্রী বাক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কথা বলেন, কার্টুনিস্টদেরও জেলে ভরেন, যে নেত্রীর মদতে মুসলিম মৌলবাদীরা ফুলে ফেঁপে ভয়ংকর হচ্ছে, সেই নেত্রীর সামনে নতজানু পাচু, যে পাচুকে একসময় সত্যের এবং সততার প্রতীক বলে ভাবতাম!
    এই ছবিটা পাচুর সঙ্গে কলকাতার শ্যামবাজারের মোড়ে, একটা ছোট রেস্টুরেন্টে খাচ্ছি। পাচু তখনও পাচু ছিল, তখনও পচেনি।"
    By- Taslima Nasreen
  • Sandipan Majumder | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৯541390
  • @PRABIRJIT SARKAR,হ্যাঁ, এই লেখাটি আগেই পড়েছি। উনি আমার আদর্শ নন। তবে যে সময়ের কথা বলছি,তখন উনি ' অপাপবিদ্ধ ' ছিলেন। 
  • r2h | 208.127.***.*** | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:২৬541394
  • ভালো লাগলো। এক সময় কাগজে, দৈনিক বা সাময়িকী, প্রকাশিত চিঠিপত্র উপভোগ্য হত, পত্রযুদ্ধ, ফলো আপ চিঠি পত্র প্রায় ধারাবাহিক রচনার মতই হত, যার জন্য পাঠক অপেক্ষা করে থাকে।
    পাচু রায় এট আলের চিঠি আমরা ছোট বেলায় পড়েছি, তারও কয়েক দশক আগে শনিবারের চিঠি ইত্যাদির গল্প পড়েছি।

    এই প্রসঙ্গে মনে হল, ঝুমরি তলাইয়া জনপদটির খ্যাতির কারন নাকি বিবিধ ভারতীতে ফোন করা। নতুন জনপদটি সমৃদ্ধ হয়েছিল অল্প সময়ে, অবস্থাপন্ন মধ্যবিত্ত লোকজন ছিলেন যাঁদের বাড়িতে টেলিফোন ছিল (সেই সময় খুব সুলভ না), তাঁদের বিনোদনের প্রায় একমাত্র উপায় ছিল রেডিও।

    সন্দীপনবাবু বিস্তারিত চিঠিপত্রের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে গুরুর পাতাকে নির্বাচন করতেই পারেন!
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৩৫541398
  • মনে আছে বেশ, দেশ এর 'প্রেম ' বিষয়ক সংখ‍্যায় বেচারা শ্রীকৃষ্ণের আদ‍্যশ্রাদ্ধ করে ছেড়েছিলেন রাসলীলা নিয়ে-- 'এক রাধা তে হল না, ষোল হাজার গোপিনী কে ভোগ করে কাম শান্ত হল', বা এই রকম কিছু । তার উত্তরে পাচু রায় লিখলেন- 'এই মহিলার ও বলিহারি - লিখতে বলেছে প্রেম নিয়ে, ইনি কাম নিয়ে পড়লেন'। 
    অনেক নির্মল আনন্দ পেয়েছিলাম - তবে এরা যে ভগ্ন বন্ধু- এটা জানা ছিল না ।
     
  • # | 2402:8100:25da:8196:a094:f9ff:feb8:***:*** | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:১২541402
  • Sandipan Majumder | ০১ মার্চ ২০২৫ ১৬:৪৬541411
  • @*r2h, অনেক ধন্যবাদ। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন