এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • আজি হিসাব মিলাতে...

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৪৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আজি হিসাব মিলাতে ….

    আরও একটা বছর বিদায় নিতে চলেছে। সময় তোরণের বাইরে অপেক্ষমাণ আরও একটি নতুন বছর। রাত পোহালেই দরজা ঠেলে ঢুকে পড়বে আমাদের জীবনের পরিসরে। তাকে আগলেই পায়ে পায়ে তিনশো পঁয়ষট্টি দিনের একটা দীর্ঘ পথে পাড়ি দিতে হবে আমাদের। ফেলে আসা দিনগুলো কেমন কাটলো আমাদের পৃথিবীর ? ঠাকুর অবশ্য বলেছেন – হিসাব মিলাতে মন মোর নহে রাজি …… হিসাব নয়,আমরা বরং একটু ফিরে দেখি আমাদের পৃথিবীর বিগত বছরের আখ্যাননামা। পৃথিবী ভালো নেই। দেখে নিই কেমন গেল ফেলে আসা বছরটা!

    কেবলমাত্র বিগত বছরটা নয় শেষ কয়েকটা বছর ধরেই পৃথিবীর বুকে ঘটে চলেছে নানান ঘটনা, বিপর্যয় যা আমাদের পরিচিত অভিজ্ঞতার বাইরে। নানান ধরনের প্রতিশ্রুতির ফোয়ারা ছোটালেও জীবাশ্ম জ্বালানির দহনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হ‌ইনি আমরা। ফলে লাগামহীন ভাবে বেড়েছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। এই তাপদগ্ধ পরিস্থিতি টালমাটাল করে দিয়েছে সমস্ত পার্থিবচক্রের স্বাভাবিক শৃঙ্খলা। ২০২৪ সালকে বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেছেন বিগত ১৭৪ বছরের মধ্যে উষ্ণতম বর্ষ হিসেবে। ওয়ার্ল্ড মিটিরিওলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের মতে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রাক্ শিল্পবিপ্লবের পূর্ববর্তী তাপমাত্রার তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বেড়ে গিয়েছে। এই বৃদ্ধির হার বিগত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। পৃথিবী ইতোমধ্যেই একটি জতুগৃহে পরিণত হয়েছে। এই প্রবণতাকে বশে আনতে না পারলে অচিরেই বসবাসের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়বে আমাদের সাধের সবুজগ্রহ।

    উষ্ণতার এমন লাগামছাড়া বৃদ্ধির অনুবর্তী প্রতিক্রিয়া যে বিস্ময়কর তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। উষ্ণায়নের ফলে দুই মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে অবিশ্বাস্য হারে। হিমবাহ গলনের ফলে দুই মেরু অঞ্চলের ভারসাম্য হারিয়ে গেছে। সুমেরুর বিস্তির্ণ অংশের বরফের চাদর গলে যাওয়ার কারণে একসময়ের শ্বেত ভূখণ্ড এখন ধূসর মরুভূমির চেহারা নিয়েছে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে গোটা সুমেরু মহাদেশ সম্পূর্ণভাবে বরফ শূন্য হয়ে পড়বে। ঠিক অন্য অবস্থা দক্ষিণমেরুর ।গরম বেড়ে যাওয়ায় উষ্ণতার পরশে সবুজ হয়ে উঠেছে গোটা মহাদেশ। এই বৈপরীত্যর প্রতিক্রিয়া হয়তো হতে চলেছে ভয়ঙ্কর রকমের প্রাণঘাতী। মহাদেশীয় হিম চাদরের অপসারণের পাশাপাশি তাপীয় প্রভাবে গলে গেছে সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো। আন্দিজ পর্বতের শিখররাজিকে এতদিন আড়াল করে রাখা সাদা বরফের চাদরগুলো বেবাক লোপাট। এরফলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে নদীগুলোর অস্তিত্ব নিয়ে। নদী না থাকলে জীবন বাঁচবে তো ?

    বরফের গলনের ফলে মহাসাগরীয় জলরাশির ভারসাম্যেও এসেছে পরিবর্তন। উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্র জলের তাপীয় ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটেছে। সমুদ্র এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি গরম। জল ও স্থলের তাপীয় ভারসাম্যের ওপর নির্ভর করে বায়ুমন্ডলের ভারসাম্য। সমুদ্র জলের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় ঝড় ঝঞ্ঝা ঘূর্ণিঝড়ের দাপট অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে। এই দাপট ক্রান্তীয় মন্ডলের সীমান্ত ছাড়িয়ে হানা দিচ্ছে উপক্রান্তীয় অঞ্চলে। এরফলে বিপন্ন হয়েছে মানুষের প্রাত্যহিক জীবন, তাদের অর্থনৈতিক রুজি রুটির মতো অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মহাসাগরের এমন টালমাটাল পরিস্থিতির প্রত্যক্ষ শিকার হয়েছে সমুদ্রবাসী অসংখ্য প্রজাতির প্রাণী, আর পরোক্ষভাবে আমরা সবাই।

    রত্নগর্ভা সমুদ্র এখন উপকুলবাসী মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছে বারংবার। ঝড়ের সাথে যুক্ত হয়েছে সামুদ্রিক প্লাবনের ঘটনা। সমুদ্র জলের উচ্চতা বাড়ছে। আরও বাড়লে তার প্রভাবে প্লাবিত হবে উপকুলের বিস্তির্ণ অঞ্চল। ডুবে যাবে মুম্বাই, কলকাতা সহ আরও অনেক জনপদ। কোন্ আশ্রয়ে ঠাঁই নেবো আমরা?

    উষ্ণায়নের ফলে এই ফেলে যাওয়া বছরে বানভাসি হয়েছে বহুসংখ্যক মানুষ। পৃথিবীর নানা প্রান্তেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন তাঁরা। রোদ বৃষ্টির শৃঙ্খলাকে আমরা ভুলতে বসেছি। আবহবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে বায়ুমন্ডলের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করছে না খরা ও বর্ষণের মতো ঘটনা। এ বছর যত বন্যা ততো খরার সাক্ষী থেকেছে পৃথিবী। চেরাপুঞ্জির কাছে গোবি সাহারার জন্য মেঘ ধার চেয়েছিলেন কবি। আর এখন? সেপ্টেম্বর মাসের বৃষ্টির কারণে সাহারায় বন্যার জল জমে জলাশয় তৈরি করে ফেলেছে। দুবাইয়ের বন্যা পরিস্থিতি চোখের জল নাকের জল এককরে ছেড়েছে সেখানকার ধনকুবের আবাসিকদের। ভারতের রাজস্থানের অবস্থাও তথৈবচ। এসব‌ই হলো বিশ্ব উষ্ণায়নের অনিবার্য প্রতিফল। এই বন্যার পাশাপাশি বৃষ্টিহীন প্রবল খরা পরিস্থিতির কারণে দক্ষিণ ইউরোপীয় দেশগুলোতে ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। খরার সঙ্গে সঙ্গত করেছে দাবানল। বিস্তৃত বনাঞ্চল জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গেছে। এই সমস্যার রেশ কেবলমাত্র ইউরোপেই সীমাবদ্ধ ছিল তেমন নয়। আটলান্টিক মহাসাগর পার হয়ে তার প্রভাব পৌঁছে গেছে সুদূর কানাডা ও মার্কিন মুলুকে। জীবনহানির ঘটনা ঘটেছে সেখানেও।

    এক অস্থির উন্মাদনার মধ্য দিয়ে চলছে আমাদের পৃথিবী। মানুষের সভ্যতা যত এগিয়েছে বলে আমরা বড়াই করে বেড়াচ্ছি ততই অস্তিত্বের সংকট গ্রাস করছে আমাদের। বিজ্ঞানীরা আঙ্গুল তুলে বলছেন – এ সব‌ই মানুষের কৃতকর্মের ফল। জীবাশ্ম জ্বালানির যথেচ্ছ দহনের ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়তে বাড়তে আজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই জড়িয়ে গেছে অপরিমেয় বিশৃঙ্খলা। তাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যে খুব সহজ কর্ম নয় তা হয়তো বুঝতে পারছি আমরা সবাই। তবে কি আর আশা নেই ঘুরে দাঁড়ানোর। তেমনটাও বলছেন না বিজ্ঞানীরা। লড়াই চলছে। তাকে জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বের তাবৎ রাষ্ট্রপ্রধানেরা।

    আরও বেশি করে সবুজ শক্তি উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বিশ্বজুড়ে। চিরায়ত জ্বালানি যেমন কয়লা, পেট্রোলিয়াম বা প্রাকৃতিক গ্যাসের সদর্থক বিকল্প হিসেবে বায়ুশক্তি, সৌরশক্তি, জলশক্তি বা জৈবশক্তিকে আরও আরও বেশি করে কাজে লাগাতে হবে। এমন প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে বিশ্বময়। তাকে নতুন গতি দিতে হবে আমাদের। ভোগবাদী জীবনের পথ ছেড়ে পা বাড়াতে হবে টেকস‌ই জীবন যাপনের পথে। কাজটা কঠিন নয়, ইচ্ছার স্রোতটিকে বেগবতী ধারায় প্রবাহিত করাটাই কঠিন। ২০২৪ এর শেষ সন্ধ্যায় দাঁড়িয়ে আসুন সবাই নতুন স্বপ্ন নিয়ে পথচলা শুরু করি আগামীর সূর্যোদয়ের মঙ্গল মুহূর্ত থেকেই।

    নতুন সূর্য আলো দাও আলো দাও।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রাজীব দাশ | 202.142.***.*** | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৪৭540395
  • খুব সুন্দর মনোগ্রাহী . জানলাম অনেককিছু .
  • সৌমেন রায় | 202.142.***.*** | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৮540403
  • স্বপ্ন দেখি পৃথিবী সবুজ হোক,বাতাস নির্মল হোক, জল বিশুদ্ধ হোক।সর্বোপরি আমাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
  • Somnath mukhopadhyay | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪০540408
  • এমন স্বপ্ন সফল হোক।
  • kk | 172.56.***.*** | ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৫৪540414
  • সাধারণ মানুষ নিজের সাধ্যের মধ্যে কী কী করতে পারে সেই নিয়ে যদি কিছু লেখেন তো ভালো লাগবে।
  • Dr Sourav M | 2401:4900:3bd9:88f7:7138:a111:5cca:***:*** | ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৮540428
  • New year resolution...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন