পর্যটন ও কেরালার ওয়াটার প্লেন প্রকল্প
ছোট বেলায় অরণ্য দেবের চিত্রায়িত কাহিনি সূত্রেই জল বিমানের সঙ্গে প্রথম পরিচয়। মুখোশের আড়ালে থাকা অরণ্যদেব দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনে একেবারে সিদ্ধহস্ত। এমন গল্প নতুন মাত্রা পায় , ওয়াটার প্লেন বা জল বিমানের সওয়ারি হয়ে ভিনদেশী দুর্বৃত্তদের আগমনের ফলে। অরণ্যদেব তথা বেতালের পুরুষাণুক্রমিক আবাস, খুলি গুহায় সঞ্চিত বিপুল রত্নরাশি লুটপাট করে নিয়ে যাবার জন্যই জলবিমানে করে তাদের আগমন। কোনো বাঁধানো রানওয়ের দরকার নেই,এক চিলতে জলাভূমি থাকলেই হলো। আকাশ থেকে একেবারে জলে নেমে পড়া। বিমান বা এরোপ্লেন জলে নামছে, এই ব্যাপারটা আমাদের অনেকের কাছেই রীতিমতো রোমাঞ্চকর মনে হতো।
খুব সম্প্রতি এমনই রোমাঞ্চ অনুভব করার জোরকদমে আয়োজন চলছে দক্ষিণী রাজ্য কেরালায়। কেরালা মানেই ঈশ্বরের আপন দেশ ; কেরালা মানেই দেশের প্রথম অকংগ্রেসী কমিউনিস্ট সরকার ; কেরালা মানেই গুরুভায়ুর মন্দির ; কেরালা মানেই ব্যাকওয়াটার ; কেরালা মানেই কথাকলি,কবি ভাল্লাথোল, আদুরের ফিল্ম,ইল্লাইয়ারাজার গানের সুর মামুট্টির অভিনয় ; কেরালা মানেই অপরূপ প্রাকৃতিক শোভায় ভরপুর মুন্নার,কোচি,ত্রিচূর,ওনাম,ওয়েনাড়, বছরভর দেশবিদেশের পর্যটকদের ভিড় ; আর কেরালা মানেই এখন থেকে জল বিমান বা ওয়াটার প্লেনে অন্যরকম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ।
এটা বাস্তব যে, কেরালার অর্থনীতি অনেকটাই পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। পর্যটকদের নিজেদের ঘাটে টেনে আনার জন্য আজকাল প্রায় সব রাজ্যই নানান লোভনীয় প্যাকেজের ব্যবস্থা করছে। পর্যটকরা লক্ষ্মী । অবশ্য একালের পর্যটকদের দৃষ্টিভঙ্গি ও ভ্রমণ মানসিকতায়ও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে এই সব মনোলোভা আয়োজনের কারণে। সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলো বিস্তর সমীক্ষা করে একালের পর্যটকদের চাওয়া পাওয়ার খোঁজ খবর চালিয়ে ,বিনোদনের নতুন পশরা সাজিয়ে বাজার ধরতে নেমেছে। চারিদিকে রব উঠেছে থ্রিলিং কিছু চাই। কেরালা রাজ্যের পর্যটন শিল্পের দ্রষ্টব্যের তালিকায় জলবিমানের সংযোজন ভাবনা তারই ফল বলে মনে করছেন সকলে। বিষয়টি নিয়ে একটু তলিয়ে খোঁজখবর নেওয়া যাক্।
ভারতের একমাত্র এই রাজ্যেই এখনও বাম মনোভাবাপন্ন সরকার রাজত্ব কায়েম রেখেছে যাঁরা মেহনতি মানুষের উন্নয়নের জন্য দায়বদ্ধতা স্বীকার করে নেয়। এমন এক মহতী আদর্শ নিয়ে চলা একটা রাজ্য সরকার আভ্যন্তরীণ পর্যটকদের আকর্ষণ করতে জলবিমান পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই মুহূর্তে চলছে পরীক্ষামূলক উড়ান। অবশ্য প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য গোড়াতেই বাধার মুখে পড়ে এই আয়োজন। তবে সরকারের এহেন উদ্যোগে সবথেকে বড় প্রতিবাদ এসেছে পরিবেশবিদ ও মৎস্যজীবীদের পক্ষ থেকে। প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকেও। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে ধামাচাপা দিয়ে রাখা এমন উচ্চাকাঙ্খী পরিকল্পনাকে রূপায়ণে এখনই তড়িঘড়ি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কেন যেখানে এরফলে বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পরিবেশ পরিমণ্ডল , অনিশ্চয়তা বাড়বে মৎস্যজীবীদের রুটি রুজির সংস্থানে ?
এর মধ্যে একটা অন্যরকম মজাও লুকিয়ে আছে। আসলে এই প্রকল্পটির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল পূর্ববর্তী ইউ ডি এফ জোটের আমলে। তখন প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল সি পি এম নিয়ন্ত্রণাধীন এল.ডি.এফ.। এই প্রকল্প রূপায়ণের চেষ্টার বিরুদ্ধে সেইসময়ে সোচ্চার হয়েছিল তাঁরা। বলেছিল এমন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে রাজ্যের বন পরিবেশ ও বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব গভীর সংকটে পড়বে। আর আজ ? শাসকের আসনে আসীন হয়েই সুর বদলে গেছে। একেই বলে উল্টো পাশার দান!
এই বোধহয় , “দেখে ঝোপ,মারো কোপ নীতি”! গত ১৭ নভেম্বর ২০২৪, সর্বাধিক ১৭ জন যাত্রী বহনে সক্ষম প্রমোদ বিমান কোচি থেকে উড়ান শুরু করে। লক্ষ ইডুক্কি জেলার মাট্টুপেট্টি বাঁধের পেছনে থাকা জলাশয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে এটি বিখ্যাত বাগিচা শহর মুন্নারের একদম লাগোয়া। পরীক্ষামূলক এই উড়ানে প্রধান যাত্রী ছিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী পি.এ. মহম্মদ রিয়াস এবং শিল্প মন্ত্রী পি. রাজীব। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন রাজধানীতে বসে তাঁর দুই সহকর্মীর মস্তিষ্ক প্রসূত স্বপ্নকল্প উড়ান প্রকল্পের সফলতা কামনা করে সংগ্রামী রক্তিম অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই প্রকল্প রূপায়ণের মাধ্যমে মেহনতি, খেটেখাওয়া মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
রিয়াস সাহেবের উচ্ছ্বাস আরও সুদূরপ্রসারী। তিনি মনে করেন এই প্রকল্প রূপায়ণের মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনে পরিবর্তন হবে। বাড়বে অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা, কর্মসংস্থান হবে বহু মানুষের। কেন্দ্রীয় সরকারের “উড়ান” প্রকল্পের আওতায় ( উড়ে দেশ কা আম নাগরিক) এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের আম আদমির দুয়ারে দুয়ারে বিমান পরিবহন পরিষেবাকে পৌঁছে দেবার লক্ষ্যেই কেন্দ্র রাজ্য যৌথ উদ্যোগে এই কাজ। রিয়াস সাহেবের মতে, এই প্রকল্পের সফলতা কেরালার অর্থনীতির উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করবে। উজ্জীবিত পর্যটন ব্যবসায়ীরা এই পরিষেবার হাত ধরে বাড়াবেন বিনিয়োগ। দুর্গম এলাকার লোকজন এই বিমান চলাচলের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আরও সংহত অর্থনৈতিক বুনিয়াদের ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে।
এতোসব গালভরা বুলি ছোটানোর পরেও বিতর্ক থামছে না। ঘরে - বাইরের একাধিক বিতর্ক ঘিরে ধরেছে এই ‘আশাবাতি’ প্রকল্পের ভবিষ্যৎকে। একদা যা ছিল পরিবেশ বিনষ্টকারী ভাবনা, রাতারাতি তা জন উন্নয়নের প্রয়াস হয়ে উঠলো কী করে? এছাড়া পিপিও মডেলে যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব বর্তেছে সেই কোম্পানি ব্যাঙ্কের বিপুল ঋণ না মেটানোর জন্য ব্যাঙ্কের তরফে বিমানটিকে ক্রোক করেছে, ফলে আপাতত দোদুল্যমান এই স্বর্ণপ্রসূ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ। তবে রাজনৈতিক নেতাদের তো অহরহ ভোল পাল্টে ফেলার অভ্যাস আছে। তাই এই মুহূর্তের প্রতিবাদী নেতাই পর মুহূর্তে ভোল বদলে বলেন – “২০১৩ সালে ওম্মান চণ্ডীর সরকারের তরফ থেকে কেরালার ঐতিহ্যবাহী অষ্টমুদী ও ভেমবনাদ কয়ালের জলে জল বিমান নামানোর কথা বলেছিল। তাই আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে বলে। এখন আমাদের প্রস্তাব মতো বিমান নামবে মাট্টুপেট্টি বাঁধের জলাধারের জলে। ফলে এখানে পরিবেশের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।” সাধে কি আর বলা হয় – দুরাত্মার ছলের অভাব হয় না!
কেরালা রাজ্যের পর্যটন ও শিল্প দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে সুখস্বপ্ন দেখা শুরু করলেও খানিকটা বেঁকে বসেছেন রাজ্যের বনদফতর। বারো মাথার সরকার হলে এমনটাই স্বাভাবিক, আর এখানে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। বনবিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গোটা ইদুক্কি জেলা বাস্তুতান্ত্রিক ভাবে অতি সংবেদনশীল। ইতোমধ্যে মুন্নারের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার এক চিঠিতে ইডুক্কির জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন যে গোটা অঞ্চলটি অত্যন্ত ইকো সেনসিটিভ ফলে বিমান ওঠানামা, যথেচ্ছভাবে পর্যটকদের আগমন স্থানীয় বন্যপ্রাণীদের পক্ষে মোটেই স্বস্তিদায়ক হবেনা। ভবিষ্যতে এই কারণে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সংঘাতের আশঙ্কা বেড়ে যাবে অনেকাংশে। এমনটা অনভিপ্রেত।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে মাট্টুপেট্টি বাঁধ ও সংলগ্ন জলাধারটি সম্পূর্ণভাবে বনাঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত। এর চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে ন্যাশনাল পার্ক ও ওয়াইল্ড লাইফ স্যাঙ্চুয়ারি যেখানে বসবাস করে শিডিউল ১ এ থাকা হাতিরা। এখান থেকে মাত্র ৩.৫ কিলোমিটার উত্তরে রয়েছে বিখ্যাত আনামুদি শোলা ন্যাশনাল পার্ক , পূর্ব দিকের সীমান্তে রয়েছে কুরিঞ্জিমালা স্যাঙ্চুয়ারি , পাম্পাদুমশোলা ন্যাশনাল পার্ক এবং অন্যান্য ইকো সেনসিটিভ এলাকা। এখানেই শেষ নয়। জলাধার লাগোয়া অঞ্চলের খুব কাছেই রয়েছে কানন দেভান হিলস্ রিজার্ভ ফরেস্টের কিছু বিক্ষিপ্ত এলাকা , যা হাতি সহ অন্যান্য দুষ্প্রাপ্য বিলীয়মান প্রাণিদের আবাস এলাকা। এই এলাকায় হাতিরা প্রায়শই জল পান করতে আসে। যথেচ্ছভাবে এই অঞ্চলের মধ্য দিয়েই প্রব্রজনে যায়। ফলে এখানে এমন বিনোদনমূলক পরিষেবা চালু করা হলে তার প্রতিফল হবে অত্যন্ত হানিকর ও বিয়োগান্তক। অন্তত দশটি হাতির পাল এই বাঁধের নিকটবর্তী বনাঞ্চলের আবাসিক এবং পর্যটক। সুতরাং এখানে বিমান পরিবহন পরিষেবাকে পৌঁছে দেবার অর্থই হলো একটি বিপর্যয়ের মুখে এখানকার বন পরিবেশকে ঠেলে দেওয়া। আমরা উন্নয়ন বিরুদ্ধে নই । তবে যে বিকাশের ফলে অন্ধকার নেমে আসার আশঙ্কা থাকে, তার বিরোধী।”
কেরালা সরকারের এমন উদ্যোগের কথা জেনে আসরে নেমে পড়েছে স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন “The Coexistence Collective of Kerala” ।সংগঠনের ভাইস্ প্রেসিডেন্ট এম.এন. জয়চন্দ্রন কেরালা হাইকোর্টে এক পিটিশন দাখিল করে জানিয়েছেন – “সরকার পরীক্ষামূলক উড়ানের আয়োজন করেছে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে। এই ধরনের আকস্মিক উড়ান পরিকল্পনা ঐ অঞ্চলে বসবাসকারী বন্যপ্রাণীদের ওপর ঠিক কী ধরনের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে তার আগাম মূল্যায়ন না করেই সরকারের তরফ থেকে এমন কাজ করা হয়েছে। এটা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।” জয়চন্দ্রনের কথা থেকে এটা হয়তো পরিষ্কার যে কেরালা সরকার এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে অযথা হুড়োহুড়ি করছে যা একটি মানুষের জন্য, মানুষকে নিয়ে, মানুষের সরকারের কাছে মোটেই প্রত্যাশিত নয়।
সরকারের তরফ থেকে একটি মরীয়া বিবৃতি দিয়েছেন কেরালার পর্যটন বিভাগের সচিব বীজু প্রভাকর। তিনি জানিয়েছেন – “ইডুক্কি বাঁধের পরিবর্তে মাট্টুপেট্টি বাঁধের পেছনে থাকা জলাশয়কে আমরা বেছে নিয়েছি কারণ এইটি শহরের মধ্যে অবস্থিত। ১৯৯৬ সাল থেকে এখানে পর্যটকদের জন্য বিলাসবহুল নৌকা পরিষেবা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। বিমান পরিবহন পরিষেবা তারই পরিপূরক মাত্র। কোচি থেকে এখানে আসতে সময় লাগবে মাত্র ১৬ মিনিট। কেরালাকে নিয়ে গোটা দেশ তথা দুনিয়া জুড়েই এক গভীর উন্মাদনা কাজ করে পর্যটকদের মধ্যে। এটাকে আমাদের সম্মান করতে হবে। এই পরিষেবা চালু হলে নিশ্চিত ভাবে স্থানীয় মানুষ ও রাজ্যের অধিবাসীরা উপকৃত হবেন। আর তাছাড়া নতুন কিছু করতে গেলেই তথাকথিত পরিবেশ সুরক্ষার কথা বলে একদল মানুষ হৈচৈ শুরু করে দেয়। এর কোনো বাস্তব ভিত্তিই নেই।”
এই সময়ের দুনিয়ায় উন্নয়ন কথাটা বিলকুল অন্যতর মাত্রা পেয়েছে শাসকদের কাছে। উন্নয়নের খুব পরিচিত রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন না কেউ। এই সময়ে উন্নয়ন মানে ঝাঁ চকচকে কিছু একটা করে ফেলা,তা সে শপিং মল হোক,মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ফ্ল্যাট বাড়ি হোক, চালু ব্যবস্থাকে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে উন্নয়নের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হোক। কেরালা সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক স্মরণীয় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বারংবার প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সেসব কথায় কান দিতে বয়েই গেছে শাসকদের। কেরালা সরকার উন্নয়নের যুগধর্ম অস্বীকার করে কী করে? সময়ের সাথে না চললে যে পিছিয়ে পড়তে হবে।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।