এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • যুক্তরাজ্যের ডায়েরি # ব্রাডফোর্ড

    Chandan ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ১১৮ বার পঠিত
  • জ্যোতিষে আমার কোনদিনই সেরকম বিশ্বাস ছিল না, ভবিষ্যতেও হবার‌ সম্ভাবনা এখনো অবধি দেখছি না। তবু জ্যোতিষীদের সংস্পর্শে এলে যেন মনে হয় - একবার জানলে হয় ভবিষ্যতে কী আছে কপালে। না মিললে না মিলবে, লটারির টিকিটের মত কাটলেই যে পুরস্কার উঠবে তার তো কোনো নিশ্চয়তা নেই।

    ছোটবেলায়‌ একবার বাবার সাথে গেছিলাম শ্যামবাজারের কাছে এক পন্ডিতের কাছে। তিনি আমার হাত দেখে বলেছিলেন - বিদ্যালাভের জন্য এ ছেলের ভাগ‍্যে বিদেশযাত্রা আছে।  সেই ভবিষ্যতবাণী বাস্তবে ফলে নি। এখন আর তার কোনো সম্ভাবনাও নেই। অর্থাৎ আমার ভাগ‍্যে পন্ডিত‌জী বর্ণিত লটারির পুরস্কার লাগেনি। তবে পন্ডিত‌জীর গননা‌র কৃপায় ভাগ‍্যে কিছু সান্ত্বনা পুরস্কার জুটেছিল। চাকরি সুত্রে দুবার বিদেশ ভ্রমণ হল। অল্প ক'দিনের জন‍্য। একবার ব্যাঙ্কক, অন‍্যবার দুবাই। 

    কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়ে ২০২২ সালের আগস্টে গেছি‌লাম ইংল্যান্ডে  ব্র‍্যাডফোর্ড শহরে আমাদের ছোটমেয়ের কাছে। ওরা ওখানে স্বামী স্ত্রী‌তে কর্মসূত্রে আছে। ওখানে একটা ছোট বাড়ি কিনে ডাকলো আমাদের, কিছুদিন আমাদের কাছে এসো ঘুরে যাও না তোমরা। তাই যাওয়া সস্ত্রীক, প্রায় মাস চারেকের জন‍্য।


    ব্র‍্যাডফোর্ডে মেয়ে জামাইয়ের বাড়ি

    আমার একটু আঁকাআঁকি, ক‍্যালিগ্ৰ‍্যাফির শখ আছে। যৌবনে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে একটা ক্ষুদ্র পত্রিকা বার করেছি‌লাম। অধিকাংশ ক্ষুদ্র পত্রিকার ভাগ‍্যে যা হয়, আমাদের "আঙিনা" পত্রিকা‌র ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। কয়েক সংখ‍্যা প্রকাশিত হয়ে অকালমৃত্যু হয়েছিল তার। তার প্রথম তিনটি সংখ্যা‌র প্রচ্ছদ এঁকে‌ছিলাম আমি। মেয়ে আব্দার করলো, আমাদের বাড়ির নাম দিয়ে একটা লোগো বানিয়ে আনো। এটা আমার পছন্দের বিষয়। তাই নিয়ে গেলাম বানিয়ে। মেয়ে জামাই ওটা বাঁধিয়ে ওদের ঘরে টাঙিয়ে রাখলো।


    ওদের বাড়ির জন‍্য আমার করা লোগো

    ওরা যেখানে থাকে, জায়গাটা বেশ নিরিবিলি। অনেকটা জায়গা নিয়ে গড়ে উঠছে একটা আবাসিক এলাকার প্রকল্প (Residential township project) যেখানে তৈরী হচ্ছে দুই, তিন, চার কামরার স্বয়ংসম্পূর্ন বাড়ি। ভাড়া বা লিজ নয়, বিক্রি হচ্ছে মালিকানার ভিত্তি‌তে। এই প্রকল্প‌টা নির্মাণ করছে KEEP MOUTE নামে এক ডেভেলপার। এমন টাউনশিপ ডেভেলপার আরো কিছু আছে যারা কমন ফেসিলিটি হিসেবে রাস্তা, জল, নিকাশি‌ব‍্যবস্থা, বিদ্যুৎ সংযোগ এসবের সাথে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাড়ি তৈরী করে বিক্রি করে। টাউনশিপের মাঝে একটা সেন্ট্রাল পার্কও হবে।




    ব্র‍্যাডফোর্ডে নির্মিয়মান টাউনশিপ

    ব্র‍্যাডফোর্ড ইয়র্ক‌শায়ারের পশ্চিমে একটি ছোট্ট শহর। ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন থেকে ৩৪০কিমি উত্তর দিশায় তার অবস্থান। দুর অতীতে এই জায়গার পরিচয় ছিল Broad Ford হিসেব। Ford অর্থ ছোট কোনো নদীর অগভীর অংশ যেখান দিয়ে সেতু না থাকলেও বর্ষা‌কাল ছাড়া হাঁটুজল ভেঙে হেঁটে বা গাড়িতেও নদী পেরিয়ে চলে যাওয়া যায়।  এখানে ঐ অগভীর অংশটি চওড়া ছিল বলে নাম হয়েছিল Broad (চওড়া) Ford (অগভীর অংশ)। এক্ষেত্রে সেই নদীর নাম Bradford Beck ছিল বলে কালক্রমে Broadford হয়ে গেল Bradford. 
    যেমন ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড। অতীতে ঐ গ্ৰামেও একটি নদীর অগভীর অংশ লোকে বলদের (Ox) পিঠে চেপে নদী পার হোতো বলে জায়গাটির নাম হয়েছিল অক্সফোর্ড। কে জানতো ষণ্ডপৃষ্ঠে নদী পার হ‌ওয়া ঐ অখ‍্যাত গ্ৰামে একদা গড়ে উঠবে একটি পৃথিবী‌বিখ্যাত বিশ্ববিদ‍্যালয়‌। ব্র‍্যাডফোর্ড নদীটি শহরের মধ‍্যে দিয়ে সেন্ট পিটারের ব্র‍্যাডফোর্ড ক‍্যাথিড্রালের পাশ দিয়ে চলে গেছে ইয়র্ক‌শায়ারের দিকে। ১০৮৬ খ্রীষ্টাব্দের পুরোনো নথিপত্রে এ শহরের নাম ছিল Bradeford, অর্থাৎ শহরটির অস্তিত্ব প্রাচীন।

    ১৮০০ শতাব্দীতেও এটা ছিল ছোট্ট একটা জনপদ যেখানে নানা জিনিসের কেনাবেচা চলতো। পরবর্তী কালে এখানে মুলত বয়নশিল্পের (Textile Industry) ব‍্যাপক উন্নতি হয়। এর ফলে জনপদ‌টি বিশেষ পরিচিতি লাভ করে। ১৮৯৭ সালে ব্র‍্যাডফোর্ড‌ আনুষ্ঠানিকভাবে শহরের মর্যাদা পায়। ১৯৭৪ সালে গঠিত হয় Bradford Metropolitan District Council.

    ব্র‍্যাডফোর্ডের বর্তমান জনসংখ্যা ৫,৭২,৮২৮ এবং শহরের আয়তন প্রায় ৬৫ বর্গকিলোমিটার। এখানে যে কেবল ওদেশে‌র নাগরিকই থাকেন তা নয়। যুক্তরাজ‍্যের অন্য জায়গায়, বিশেষ করে লন্ডন শহরে ভূমিপুত্রদের আধিক্য থাকলেও এখানে ততটা নয়। এটাকে তাই বহুভাষাভাষীদের অঞ্চল বা cosmopolitan শহর বলা যেতে পারে। এখানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মানুষ যেমন আছেন তেমনি আছেন ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের নাগরিক‌‌ও যাঁরা মূলতঃ চাকরি সুত্রে এখানে এসে বসবাস করছেন।

    শহরতলী যেমন হয় ব্র‍্যাডফোর্ডও তেমনই। সিটি সেন্টার এলাকা বেশ জাঁকজমকপূর্ণ। এখানেই আছে রেল স্টেশন, বড় বড় শপিং সেন্টার, থিয়েটার হল। শহরের বাকি জায়গা এখনো ফাঁকা ফাঁকা, অল্প স্বল্প বাড়িঘর, স্থানীয় মানুষের প্রয়োজনের জন‍্য কিছু দোকানপাট‌। তবে পাহাড়ি শহরটি‌ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। 


    ব্র‍্যাডফোর্ড সিটি সেন্টার - ১

    ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ থেকে এখানে এসে কিছু নতুন অভিজ্ঞতা হল। এখানকার অনেক লোকই মনে হোলো আলাপী, অচেনা কারুর সাথে চোখাচোখি হলে Hi - Hello বলতে অভ্যস্ত‌। সরু ফুটপাত ধরে যাতায়াতের সময় কাউকে আগে যাওয়ার জন্য জায়গা করে দিলে সে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে কখনও কুন্ঠাবোধ করে না। এখানকার রাস্থাঘাট সব পরিস্কার এবং জনগণের সিভিক সেন্স ভালো। কাউকে দেখিনি যেখানে সেখানে নির্দ্বিধায় কোন কিছু ফেলতে।

    এখানে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত এলাকাভিত্তিক সরকারি হেল্থ সেন্টার আছে। অসুস্থ হয়ে সেখানে গেলে সরকারি General Physician পরীক্ষা করে ওষুধ লিখে দেবেন। যদি বোঝেন অসুস্থতা গুরুতর তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে রেফার করবেন। সরকারি পরিষেবা‌র ক্ষেত্রে রোগী নিজের ইচ্ছা‌মতো কোনো  ডাক্তারকে দেখাতে পারবে না। GP যে ওষুধ যতটা প্রেসক্রাইব করবেন Pharmacy থেকে ঠিক ততটাই পাওয়া যাবে। একটা stripও বেশি পাওয়া যাবে না। একটা প্রেসক্রিপশন একবারই ব্যাবহার করা যাবে। ওষুধ কিনতেও খরচ নির্দিষ্ট করা আছে - প্রায় সাড়ে নয় পাউন্ড। ওষুধ বেশি দামি, কম দামি, অনেক দিনের, কম দিনের যাই হোক ঐ একই খরচ। এটা সরকারি ব্যবস্থা। তবে বেসরকারি পথে এসবের কোন বাধানিষেধ নেই। শুনেছি সরকারি ডাক্তারের প্রাইভেট প্র‍্যাকটিস করা যায় না, এ ব্যাপারে আমার বিশদে জানা নেই। প্রাইভেট প্র‍্যাকটিশ করা ডাক্তারের ভিজিট এবং অন‍্যান‍্য খরচ অনেক বেশি যা সাধারনের মানুষের পক্ষে যথেষ্ট ব‍্যয়বহুল মনে হতে পারে।

    একদা ব্র‍্যাডফোর্ডে যে বয়নশিল্পে প্রভূত উন্নতি হয়েছিল সেই ইতিহাস সযত্নে রক্ষিত আছে এখানকার মিউজিয়ামে। সারা যুক্তরাজ‍্য জুড়ে রয়েছে এই রকম অনেক মিউজিয়াম যেখানে দর্শনার্থীদের কোন টিকিট লাগে না। সরকারি খরচায় এসবের রক্ষনাবেক্ষন হয়। ইচ্ছুক দর্শক এসব সংগ্ৰহালয়ে গিয়ে ইতিহাসের পাতা ওল্টাতে পারেন।


    মিউজিয়ামে সংরক্ষিত বয়নশিল্পে ব্র‍্যাডফোর্ডের অবদান


    মিউজিয়ামে সংরক্ষিত বয়নশিল্পে ব্র‍্যাডফোর্ডের অবদান

    আদিম যুগে আগুনের আবিস্কার ও ব‍্যবহার মানুষকে এক নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিয়েছিল। তারপর ধাপে ধাপে মানুষ প্রয়োজনের খাতিরে আবিস্কার করেছে আরো নানা জিনিষ। মানবসভ্যতার বিকাশে কারিগরি শিল্পবিপ্লবের ক্ষেত্রে (Industrial Revolution) ইউরোপের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। সেই অগ্ৰগতির যাত্রা‌য় এই ছোট্ট শিল্পনগরী ব্র‍্যাডফোর্ডের অবদানও গুরুত্বপূর্ণ। বয়নশিল্পের সাথে সাথে মটোরগাড়ী, রেল ইঞ্জিন নির্মাণের ক্ষেত্রেও ব্র‍্যাডফোর্ডের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল।


    মিউজিয়ামের মডেল রেল ইঞ্জিন নির্মাণে  ব্র‍্যাডফোর্ডের অবদান নির্দেশক

    মটোরগাড়ি নির্মাণের ব্যাপারে ব্র‍্যাডফোর্ডের দুই ভাই বেঞ্জামিন (১৮৭৭~১৯৬৩) এবং উইলিয়াম জোয়েট (১৮৮০~১৯৬৫) উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল। আর্থার ভি. ল্যাম্বের সাথে তারা ১৯০১ সালে খুলেছিল জোয়েট কোম্পানি। শুরু করেছি‌ল সাইকেল তৈরী দিয়ে। পরে ড্রাইভিং মেশিনারির জন্য ভি-টুইন ইঞ্জিন তৈরি করা শুরু করলো। ১৯০৪ সালে ব্র্যাডফোর্ডের ব্যাক বার্লিংটন স্ট্রিটে শুরু হোলো জোয়েট মোটর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি। সেই কারখানায় প্রথম জোওয়েট লাইট কার তৈরী হোলো ১৯০৬এর ফেব্রুয়ারীতে। প্রায় অর্ধশতাব্দী পরে ১৯৫৫ সালে কোম্পানি‌টি বন্ধ হয়ে গেল।

     
    মিউজিয়ামে সংরক্ষিত জোয়েট কোম্পানির বাইক


    জোয়েট কোম্পানির লাইট মটোর কার

    এই ব্র‍্যাডফোর্ডেই জন্মেছিলেন ১৯৪৭ সালে নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী Sir Edward Victor Appleton (১৮৯২~১৯৬৫). এনার পড়াশোনা‌র সূত্রপাত হয়েছিল ব্র‍্যাডফোর্ড কলেজে। সতেরো থেকে উনিশ বছর বয়সকালে তিনি ঐ কলেজে ল‍্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান হিসেবেও কাজ করেছি‌লেন। পরবর্তী‌কালে তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ‍্যক্ষ ও উপাচার্য হয়েছিলেন। বেতার-পদার্থবিদ‍্যায় তাঁর অবদান স্মরণ করে তাঁর নামে নামাঙ্কিত হয় Appleton layer of the ionosphere যেটি অতি উচ্চ বায়ুমণ্ডলে‌র একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিফলক বেতার তরঙ্গক্ষেত্র। 


    ব্র‍্যাডফোর্ড মিউজিয়ামে স‍্যার এ্যাপলটনের স্মারক
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Dolon | 2a00:23c5:7720:b601:d436:8d1a:d7d:***:*** | ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০২:০৪539582
  • যুক্তরাজ্য হবে , রাষ্ট্র নয় , সরকারী NHS এর Consultant ডাক্তার রা প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করতে paarbe, কোনো বাধা নেই l তবে কেউ তা সরকারী কাজের সময় বা ফাঁকি দিয়ে করেন না l পুরো 40 ঘন্টা বা যেরকম কন্ট্রাক্ট তার বাইরে নিজ সময়ে প্র্যাক্টিস করেন l দুর্নীতি করেন না প্রায় কেউ l এটা সম্ভবত আপনার জানা ছিলো na, তাই বিনীত correctionl লেখা চালিয়ে যান l
  • Ranjan Roy | ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৪৫539585
  • চলুক। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন