এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • টিংটিং - সেটিং - ফিটিং - চিটিং - টিং

    Amitava Sen লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৯ অক্টোবর ২০২৪ | ১৬১ বার পঠিত
  • পাঠক দয়া করে ভয় পাবেন না। এই বাংলার সেরা কবির দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করছি না। এই লেখা শুধু পরের কয়েকটা অনুচ্ছেদে কয়েকটা তথ্য দেবার চেষ্টা, হয়ত বা আপনার জানা, তাও একবার রিভিশন আর কি!

    টিংটিং - ট্রাম ছাড়লো!

    রিজওয়ানুর, ছোট আঙ্গারিয়া, নারদা, সারদা, নোবেল চুরি ইত্যাদি বেশ কিছু মামলায় বহু বছর পেরিয়ে যাবার পরেও সিবিআই তদন্ত কোথাও পৌঁছায় নি। শিক্ষা দুর্নীতির মামলাও এখন অব্দি ফয়সালা হয় নি। এগুলো অবশ্য একটাও খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ছিল না।

    উন্নাও, হাথরাস, বিলকিস বানুর মামলাগুলো ছিল খুন ও ধর্ষণের। এগুলো সিবিআই তদন্ত করে, আদালতের মনিটরিং এ। ট্রামে যেতে যেতে, একবার চোখ বোলাবেন নাকি সেগুলোর শেষ পর্যন্ত কি হলো?

    উন্নাও

    শীর্ষ আদালতের মনিটরিং এ সিবিআই তদন্ত করে। কুলদীপ সিং সেঙ্গার, যিনি সরকারি দলের বিধায়ক, তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়, ধর্ষণের অপরাধে। দ্বিতীয় মামলায়, পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিতার বাবার মৃত্যুর ঘটনায় ১০ বছরের জেল হয়েছে ৬ জনের - সেঙ্গার, তাঁর ভাই এবং দুইজন পুলিশ সমেত। পুরো পর্যায় জুড়েই উত্তরপ্রদেশ এবং কেন্দ্রে একই দলের সরকার ছিল।

    হাথরাস

    মহামান্য এলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তে নামে সিবিআই। সন্দীপ, চারজন অভিযুক্তর মধ্যে যে দলের পান্ডা ছিল, তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এখানেও রাজ্যে এবং কেন্দ্রে একই দলের সরকার। অপরাধীদের ছাড়াতে মিছিল মিটিং ইত্যাদি সবই হয়েছিল। কিছু উচ্চপদস্থ কর্তারা প্রথমে ধর্ষণের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এই সব উদ্যোগে জল ঢেলে দেয় সিবিআই এর তদন্ত। 

    গোধরা

    জানুয়ারি, ২০০৮ এ, বিলকিস বানু মামলার নিষ্পত্তি হয় সিবিআই আদালতে, মুম্বাইতে। ১৯ জন অভিযুক্ত ছিলেন, যার মধ্যে ৬ জন পুলিশ আধিকারিক ও ১ জন ডাক্তার। এর মধ্যে বেকসুর খালাস পান ৮ জন আর বাকি ১১ জনের হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ৩ জন দণ্ডিত হন বিলকিসকে ধর্ষণের অপরাধে, ১ জন বিলকিসের সাড়ে তিন বছরের মেয়ে সালেহাকে থেঁতলে খুন করার জন্য। বাকি ৬ জন বেআইনি সমাবেশের জন্য দণ্ডিত হন। 

    মে, ২০১৭, মুম্বাই আদালতের রায়ে ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে। ৮ জন, যারা বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন, তাদের পুনর্বিচারের আদেশ হয়। একজন অভিযুক্ত সিবিআই বিচার চলার সময়েই মারা যান। ২০১৭ তে কিন্তু মহারাষ্ট্র অর্থাৎ যেখানে মামলা চলছে, গুজরাট মানে যেখানে অপরাধ হয়েছিল এবং কেন্দ্রে একটি দলেরই সরকার ছিলো। আর হ্যাঁ, সিবিআই তদন্ত হয়েছিল মহামান্য শীর্ষ আদালতের মনিটরিং এ।

    তথ্য পরিবেশন শেষ।

    টিং - ট্রাম থামল, নেমে পড়লাম!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রঞ্জন | 103.59.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:২২538671
  • চমৎকার।  
    কিন্ত এগুলো ভাল করে চেক করে নিয়েছেন নিশ্চয়ই। 
    কারণ কোথাও অপরাধী পুলিশের উপর কোন অ্যাকশন হয় নি।
    যেমন 
    1 হাথরাস কাণ্ডে  যে পুলিশের দল  রাতারাতি নির্যাতিতার দেহ জ্বালিয়ে দিল,
    2  উন্নাও কাণ্ডে কুলদীপ  পরিবারের ট্রাক ফাঁকা রাস্তায় আদালত যাওয়ার পথে নির্যাতিতার গাড়ি গুঁড়িয়ে দিল। উকিল এবং সাক্ষী মারা গেল। নির্যাতিতা গুরুতর আহত হয়ে কোনরকমে বেঁচে গেল।
    3 সাহারানপুর দাঙ্গার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার সূবোধ সিং গুলিতে মারা গেলেন।  অভিযুক্ত  সঙ্ঘ পরিবারের দুই স্থানীয় নেতা জামিনে ছাড়া পেয়েছেন,  সংগঠনে পদোন্নতি হয়েছে।
     
    অবশ্য, ইডির তুলনায় সি বি আইয়ের স্ট্রাইক রেকর্ড অনেক ভাল। 
     
    সে হিসেবে লেখাটি বেশ ভাল। 
  • Amitava Sen | ২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:১৭538710
  • রঞ্জনবাবু, বাঘোরা বলে একজন IPS অফিসার কে বিলকিস বানু কেসে অবসরের একদিন আগে বরখাস্ত করা হয়। কাজেই পেনশন ও গ্র্যাচুইটি দুটোই ভোঁ কাট্টা। এছাড়া উন্নাও এবং বিলকিস বানু কেসে কিছু পুলিশের জেল হয়েছিল।
  • রঞ্জন | 2402:e280:3d02:20a:54ef:31b3:5918:***:*** | ২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:২৩538713
  • খুব ভাল খবর, জানতাম না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন