এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • পাঁচ অক্টোবর প্রসঙ্গে .... কিছু কথা, কিছু ব্যথা

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | ৪৫৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • পাঁচ অক্টোবর প্রসঙ্গে… কিছু কথা, কিছু ব্যথা।

    বেশ কিছুদিন ছাত্রদের সঙ্গে দিন কাটিয়েছি, হয়তো তাই ক্যালেন্ডারের পাতা ছাপিয়ে সেপ্টেম্বর / অক্টোবর মাস, পাঁচ তারিখ এখনও মনের মধ্যে নতুন স্পন্দন তোলার প্রতীক্ষায় থাকে। ওইদিন সকাল থেকেই ফোন আগলে বসে থাকতে হয় গুরু পূজারী মানুষজনের কথা শোনার বা লেখা দেখার জন্য। শুধু এই রাজ্য বা এই দেশ নয়, ছাত্রদের সঙ্গে সঙ্গে আমরা মানে মাস্টারমশাইরাও এখন গ্লোবাল হয়ে উঠেছি। ফলে বিদেশ থেকেও শিক্ষক দিবসের প্রণাম, শুভেচ্ছা এসে মুঠোফোনকে ব্যস্ত করে তোলে। ভালোই লাগে। স্কুলের চৌহদ্দি পার হয়ে নিজেদের নতুন নতুন নির্মিতির কাহিনি এককালের মাস্টারমশাই হিসেবে মনে নতুন ঝড় তোলে। কখনো কখনো চোখের কোল ভিজে ওঠে নিজের অজান্তেই।

    এই বিশেষ দিনটিতে কান পেতে থাকি নতুন বাণী শোনার অপেক্ষায়। দেশ বিদেশের নানা প্রান্তের শিক্ষক শিক্ষিকারা কোন্ নতুন উপাচার সাজিয়ে হাজির হচ্ছেন ছাত্র ছাত্রীদের সামনে সেসব জানতেও মন উশখুশ করে। এমন কথায় ভর করেই ফেলে আসা সময়ের বৃত্তে ফিরে যেতে চায় মন। প্রতিবছর দেশের কৃতী শিক্ষক শিক্ষিকাদের রাষ্ট্রের তরফে সম্মান জানানো হয়। তাঁদের উজ্জ্বল উপস্থিতিতে গমগম করে সম্বর্ধনা কক্ষ। অনেক প্রতিকুল পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে হয় এদেশের শিক্ষক শিক্ষিকাদের। তার মধ্যে রীতিমতো যুদ্ধ করেই শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে রাখতে হয় তাঁদের। তাই স্বীকৃতি মিললে ভালো লাগে ব‌ই কি! এসব ভাবতে ভাবতেই ইউ টিউবে ভেসে আসা একটা ভিডিওতে নজর আটকে যায়। কী দেখলাম সেখানে?

    প্রবল চিৎকার করতে করতে একদল ছাত্রী স্কুলের মধ্যে ব্যাপক ভাঙচুর চালাচ্ছে। পরিপাটি শ্রেণিকক্ষের ভেতরে চেয়ার টেবিল উল্টেপাল্টে ফেলছে, মাথার ওপর ঝুলতে থাকা পাখার ব্লেড গুলোকে বেঁকিয়ে দুমরে মুচড়ে দিতে দিতে উল্লাস করছে , ইলেকট্রিকের ওয়ারিং টেনে ছিঁড়ে ফেলছে প্রচণ্ড উত্তেজনায়, ঘরের ভেতরে রাখা স্টিলের আলমারি উল্টে ফেলছে – এক চরম অরাজক পরিস্থিতি। ভিডিওটা দেখতে দেখতে শিহরিত হয়ে উঠছিলাম। এসব সেপ্টেম্বর মাসের ৪ তারিখের ঘটনা, মানে শিক্ষক দিবসের ঠিক আগের দিন। মনটা ভারী হয়ে উঠলো। স্কুল বাড়িতে ঘটে যাওয়া এমন দৃশ্য একজন মানুষ তথা শিক্ষকের পক্ষে সহ্য করা মোটেও সহজ নয়। কী এমন ঘটেছে ওখানে? খোঁজ করতে ব্যস্ত হয়ে উঠলাম।

    ভিডিও থেকে জানা গেল, ঘটনার অকুস্থল মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের রাজধানী ভূপাল শহরের হবিবগঞ্জ এলাকার সরোজিনী নাইডু হাইস্কুলে। ওই স্কুলে নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিশেষভাবে নিযুক্ত করা হয়েছে বর্ষা ঝা’ কে। ছাত্রীদের ক্ষোভ তাঁকে নিয়েই। বর্ষা দেবী স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নন। উনি সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন। মিলিটারি মানুষেরা তাঁদের পেশাগত কারণেই একটু কড়া ধাঁচের হয়ে থাকেন। তথাকথিত সিভিলিয়ান সোসাইটির গদাইলস্করি চালচলন তাঁদের বিলকুল না পসন্দ্ । এহেন একজন মানুষ ছাত্রীদের দেরিতে স্কুলে আসা , অনাবশ্যক হৈচৈ , হুল্লোড় করা এসব মেনে নিতে পারেন কখনো? অসন্তোষের সূত্রপাত ঠিক এখানেই। বর্ষা দেবীর কড়াকড়ি ছাত্রীরা মেনে নিতে চায়নি। ক্ষুব্ধ ছাত্রীদের বক্তব্য – বর্ষা ম্যাম স্কুলে আসতে সামান্য দেরি করলে তাদের স্কুলে ঢুকতে দেননা, এক দুই মিনিটের দেরিও তিনি মাপ করতে চাননা, স্কুলে ঢুকতে দিলেও ক্লাস করতে দেননা, দেরি করে আসা ছাত্রীদের দিয়ে স্কুল কম্পাউন্ড ঝাড়ু দিতে বাধ্য করেন, তাদের দিয়ে ক্লাসরুম থেকে শুরু করে টয়লেট পরিষ্কার করান ইত্যাদি ইত্যাদি। ছাত্রীদের ক্ষোভ প্রতিবাদ এইসব আরোপিত জোরজুলুমকে নিয়েই।

    এই ঘটনার অভিঘাত যে কোনো সংবেদনশীল মানুষকেই ব্যথিত করবে সন্দেহ নেই। এখান থেকেই উঠে আসে অনেক অনেক প্রশ্ন। আমাদের আলোচনায় আমরা এমন সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজবো, তবে তার আগে আরও একটা ঘটনার কথা আপনাদের সামনে হাজির করবো। এই কাহিনির অকুস্থল অবশ্য আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার দেগঙ্গা ব্লকের অন্তর্গত চ্যাংদানা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানেই শিক্ষয়িত্রী হিসেবে কর্মরতা ছিলেন শ্রীমতী প্রিয়াঙ্কা পাঠক। সরকারি বিদ্যালয়। নিয়মিত ব্যবধানে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলি করা হয়। এমন নিয়মেই প্রিয়াঙ্কা দেবীকে বদলি করা হয়েছে অন্যত্র। গত ১১ সেপ্টেম্বর ছিল প্রিয়াঙ্কা দেবীর চ্যাংদানা স্কুল থেকে বিদায়ের দিন। কিন্তু যাব বললেই তো আর যাওয়া যায় না। পথ আগলে দাঁড়ায় তাঁর বিশ্বস্ত ও প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা। কি বা বয়স তাদের? প্রাক্ প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত সাকুল্যে মাত্র ৪২ জন শিক্ষার্থী – তারাই আজ দিদিমণির পথ আগলে রুখে দাঁড়িয়ে বলছে – দিদিমণি তোমায় যেতে দেবোনা। এদের সঙ্গেই গলা মিলিয়ে হাজির হয়েছিলেন অভিভাবকরা। তাঁদের কন্ঠেও এক অনুরোধ। দিদিমণির গলা রুদ্ধ হয়ে যায়, দু চোখ বেয়ে নামে আবেগাশ্রু। বিদায় মুহূর্তটি এমন আবেগঘন হয়ে উঠবে তা স্বপ্নেও বোধহয় কল্পনা করতে পারেন নি প্রিয়াঙ্কা দেবী। সেপ্টেম্বরের দুটো দিন ৪ এবং ১১ - মনের ভেতর এক আশ্চর্য টানাপোড়েন শুরু করে।

    একালে স্কুলে, বিশেষ করে সরকারি বা সরকার পরিপোষিত স্কুলগুলোতে,পঠনপাঠনের ধারা নিয়ে সমালোচনার অন্ত নেই। গোটা দেশের সঙ্গে এই রাজ্যেও এই ধরনের স্কুলগুলোকে নিয়ে অভিভাবকদের মনোভঙ্গির খুব বড়ো রকমের পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। কেন এমন হলো, তা সত্যিই গবেষণা সাপেক্ষ এবং আমাদের আজকের নিবন্ধে তা মোটেই প্রধান আলোচ্য বিষয় নয়,সেই কারণেই তাকে এড়িয়ে যাব। একটা ব্যবস্থা কতটা টেকস‌ই হবে, কতটা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালিত হবে তা নির্ভর করে গভীর বিশ্বাসবোধকে অবলম্বন করে বা আশ্রয় করে। গুরু মশাইয়ের ছত্র যদি শিক্ষার্থীদের যথাযথ ভাবে নিরাপত্তা দিতে না পারে , তাহলে তারাতো কখনোই ছাত্র হয়ে উঠতে পারে না। শিক্ষক বা শিক্ষিকার স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ যদি শিক্ষার্থীদের ওপর আরোপিত না হয় তাহলে তো সমস্যা দেখা দেবে। ভূপালের দিদিমণি ছাত্রীদের মধ্যে নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিশেষভাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। প্রশ্ন জাগে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই বিষয়ে ভূমিকা কী ছিল? তাঁরা কি শুধুই আসি যাই ,মাইনে পাই দর্শনে নিজেদেরকে অভ্যস্ত করে তুলেছেন? শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের কোনো মানসিক সংযোগ নেই? এভাবে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে কখন‌ও ? বিদ্যালয় পরিবেশে একজন মানুষের নির্মাণ কি এভাবে পূর্ণতা পায়? শিক্ষক বা শিক্ষিকার সংবেদন যদি শিক্ষার্থীদের অনুভূতির তন্ত্রীতে নতুন সৃষ্টি সুরের অনুরণন তুলতে না পারে তাহলে যে গোটা আয়োজনটাই যে বিফলে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখি শিক্ষার্থীদের বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তিত প্রাক্ষোভিক চাহিদাগুলোকে সম্মান করতে না পারার কারণে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। যে স্কুলের সামগ্রিক বাতাবরণে নিয়মানুবর্তিতার ছোঁয়া নেই সেখানেই নিয়মের অনুশাসনে কড়াকড়ির বাড়াবাড়ি। “ যেখানে ছাত্রদের সঙ্গে অধ্যাপকের সম্বন্ধ স্বাভাবিক সেখানে এই সকল এই সকল উৎপাতে জোয়ারের জলের জঞ্জালের মতো ভাসিয়া যাইতে দেওয়া হয় ; কেননা তাকে টানিয়া তুলিতে গেলেই সেটা বিশ্রী হ‌ইয়া ওঠে।” শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে যদি বিশ্বাস, ভালোবাসা, সম্ভ্রম, সততা না থাকে তাহলে শত ডিসিপ্লিন শিক্ষিকার নিযুক্তিতেও শিক্ষার্থীদের হৃদয় জয় করা সম্ভব নয়। মাননীয়া বর্ষা দেবী হয়তো এখানেই সামান্য গলতি করে ফেলেছেন। “ সৈন্যদেরকে তৈরি করিয়া তুলিবার ভার যে ল‌ইয়াছে সে মানুষকে একটিমাত্র সংকীর্ণ প্রয়োজনের দিক হ‌ইতেই দেখিতে বাধ্য। লড়াইয়ের নিখুঁত কল বানাইবার ফর্মাশ তার উপরে। সুতরাং, সেই কলের হিসাবে যে-কিছু ত্রুটি সেইটে সে একান্ত করিয়া দেখে এবং নির্মমভাবে সংশোধন করে।” বর্ষা দেবীর দোষ নেই। সামরিক বাহিনীতে দীর্ঘ নিয়মানুগ কর্মজীবন তাঁর শরীর ও মনে যে বর্ম এঁটে দিয়েছিল তিনি তা থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেন নি। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সামলাটি যে নরম মখমলের তৈরি।

    এই প্রসঙ্গে আমার দেখা এক ফৌজি মানুষের কথা স্মরণে এল। দিল্লির “রিপাবলিকান ডে প্যারেড”এর শ্রেষ্ঠ ক্যাডেটের ক্যারিশমা শরীরে জড়িয়ে মানুষটি এলেন শিক্ষকতার পেশায়। রীতিমতো বাজখাই গলায় হেঁকে ডেকে কথা বলেন। চলনে বলনে একেবারে মিলিটারি মেজাজ। ক্লাস ঘরের মানুষটিকে অন্য সময় দেখে ছেলেপুলেরা হতবাক। ঐ কঠিন চেহারার খোলসের ভিতরে এমন একজন নরম মানুষ লুকিয়ে থাকে কী করে? ছাত্ররা ভাবে , আর ভাবে। আর ঐ মানুষটিই যে কখন একটু একটু করে নিজেকে আত্মনির্মাণের নতুন পাঠে অভ্যস্ত করে তুললেন তা নিজেই হয়তো টের পাননি। বড় অসময়ে যখন তিনি বিদায় নিলেন, তখন চারদিক অসম্ভব শূন্যতায় ভরে উঠলো। ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক, সবাই হাহাকার করে উঠলো মাথার ওপর থেকে বিশ্বাস আর ভালোবাসার ছাদটি সরে গেল বলে। আসলে অরিন্দম চক্রবর্তী জানতেন কখন শাসনের দরকার আর কখন ভালোবাসার। ওঁর কাছে বিউগল ও মুরলি দুইই ছিল। উনি জানতেন কখন কোনটাতে কীভাবে ফুঁ দিতে হবে। দুর্ভাগ্য, অনেকেই তা জানেন‌ই না। এই কারণেই বিসম্বাদ।

    এবার চলুন চ্যাংদানার সেই ছোট্ট স্কুলটির দিদিমণির সঙ্গে কথা বলতে। কোনো শিক্ষক বা শিক্ষিকার বিদায়বেলা যদি এমন আবেগঘন হয়ে ওঠে তাহলে বুঝতে হবে তিনি ভাগ্যবান বা ভাগ্যবতী। কেন বলছি এই কথা? তার কারণ হলো এই যে, সময়ের সাথে সাথেই শিক্ষক - শিক্ষার্থীর পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রটি অনেকটাই মলিন হয়ে উঠেছে। লেনদেনের বাতাবরণে এই সম্পর্কটিও আজ দীন। তার মধ্যেও যাঁরা সম্পর্কটি এক অন্যখাতে ব‌ইয়ে রাখতে পেরেছেন তাঁরাই প্রিয়াঙ্কা পাঠক হয়ে উঠতে পারেন। মাস্টারমশাইদের ব‌ইয়ের ছাপা অক্ষরের বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে, পৌঁছতে হবে শিক্ষার্থীদের একদম হৃদয়ের কাছাকাছি যাতে তারা বুঝতে পারে তিনি তাদের যথার্থ হিতাকাঙ্খী। একেবারেই যে তারা মনদুয়ার হাট করে মেলে ধরবে তা নয়, তবে বরফ গলতে সময় লাগবে না। বর্ষা দেবীর মধ্যেও এই চেতনা বা চিন্তন মজুদ আছে, খালি সময়ের হিসেবে সামান্য হেরফের ঘটে গেছে।

    আজ ইতি টানবো “ছাত্র শাসনতন্ত্র” প্রবন্ধের কয়েকটি প্রাসঙ্গিক কথা দিয়ে। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন –
    ছাত্রেরা গড়িয়া উঠিতেছে ; ভাবের আলোকে, রসের বর্ষণে তাদের প্রাণকোরকের গোপন মর্মস্থলে বিকাশবেদনা কাজ করিতেছে। প্রকাশ তাদের মধ্যে থামিয়া যায় নাই ; তাদের মধ্যে পরিপূর্ণতার ব্যঞ্জনা। সেইজন্যই সৎগুরু ইহাদিগকে শ্রদ্ধা করেন, প্রেমের সহিত কাছে আহ্বান করেন, ক্ষমার সহিত ইহাদের অপরাধ মার্জনা করেন এবং ধৈর্যের সহিত ইহাদের চিত্তবৃত্তিকে ঊর্দ্ধের দিকে উদ্ঘাটন করিতে থাকেন।
    …………. সেই গৌরবের দীপ্তি যাদের চোখে পড়ে না, যারা নিজের বিদ্যা পদ বা জাতির অভিমানে ইহাদিগকে পদে পদে অবজ্ঞা করিতে উদ্যত, তারা গুরুপদের অযোগ্য।”

    আজ আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস। এই দিনটিকে স্মরণ করেই এই নিবন্ধটি লেখা হয়েছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পলি মুখার্জি | 2405:201:8000:b1a1:cdcf:d84f:5c7c:***:*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১২:০৫538252
  • আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখাটি লেখা হলেও, বক্তব্য সর্বকালীন ভাবেই প্রাসঙ্গিক। প্রতিদিন খবরের কাগজে এমন টুকরো টুকরো খবর উঠে আসে যেগুলো স্কুলে শাস্তি ও শান্তির কথা বলে। সময় বদলায়, সমাজ‌ও বদলে যায়,কেবল সম্পর্কের যোগসূত্র রচনার মানবিক পদ্ধতির বোধহয় রদবদল হয়না। প্রয়াত মাস্টারমশাইকে মনে করে বলা - "তার কাছে বিউগল ও মুরলি দুইই ছিল " মনে ঘা দিল। খুব স্মৃতিমেদুর হলাম লেখাটি পড়ে, বিশেষ করে আজকের এই বিশেষ দিনটিতে।
  • সৌমেন রায়। | 2409:40e1:14:d8c9:8000::***:*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৫১538253
  • আজকের দিনে শিক্ষক শিক্ষার্থী সম্পর্ক ও শৃঙ্খলা নিয়ে অসামান্য উপলব্ধি তুলে ধরেছেন।পড়ার পর কিছুক্ষন ভাবতে বাধ্য করল।শেখার এখনও অনেক কিছু বাকি।
     বিউগল, মুরলী নাড়া দিয়ে গেল,সঙ্গে জোয়ারের জলে জঞ্জাল!
  • Kaushik Guha | 2401:4900:735e:ff9d:ce18:aeb2:47f2:***:*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:৪৭538256
  • Aro age lekhta porte parle bhalo hoto, onek kichu sikhlam. 
  • অভিজিৎ চক্রবর্তী | 223.19.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৫৪538258
  • আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবসে আমার মা বাবা সহ পরিবারের এবং পাড়াপড়শির শিক্ষকসম সকলকে এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাক্ষেত্রের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের জানাই প্রণাম। সত্যি বোলতে কি আমার কাছে প্রত্যেকটি দিনই শিক্ষক দিবস। কারণ প্রতিটি দিন চলার পথে যেটাই করিনা না কেন, সেটা কোনও না কোনও শিক্ষক শিক্ষিকাদের থেকে আহরণ করা। আমি কেবল অবস্থার প্রয়োজনে কোনও কোনও সেই জ্ঞানকে পরিমার্জিত করি মাত্র। আমার বিশ্বাস অনেক শিক্ষকদের মধ্যে থেকে বিশেষ কয়েকজন শিক্ষকের সাহচর্যই ছাত্রদের মানসিক গঠনে বিশেষ প্রভাব ফেলে, যা কিনা আমৃত্যু থেকে যায় ছাত্রটির চালচলন এবং স্বভাবে। প্রবন্ধটি পড়ে গুটি কয়েক না জানা ঘটনার কথা জানতে পারলাম। আমার মতে শিক্ষক ছাত্র সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় হওয়া উচিত সমাজের কল্যাণে। এর জন্যে যদিও দুই তরফেরই সমান দায়িত্ব। তবুও প্রথম পদক্ষেপটি আসা উচিৎ শিক্ষকদেরই তরফ থেকে তাদের আকর্ষনীয় চালচলন, স্বভাবের দ্বারা। 
  • সুমিত | 223.229.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৪১538259
  • সময়ের চাহিদায় বাবা মা আর শিক্ষকদেরও যথাযথভাবে বিবেচক ও সংবেদনশীল হয়ে ওঠা দরকার। আজকের অনেক শিক্ষক সেটা করে দেখাচ্ছেন, এটাই আশাজনক। 
  • #:+ | 2405:201:8000:b1a1:cdcf:d84f:5c7c:***:*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:০২538266
  • খুব গুরুত্বপূর্ণ লেখা। সংবেদনশীল মানুষেরাই হয়তো কালজয়ী শিক্ষক বা শিক্ষিকা হতে পারেন। লেখাটি পড়ে তাই মনে হলো। পারস্পরিক বিশ্বাস না থাকলে কোনকিছুই সফলতা পায়না। শিক্ষা তো নয়ই।
  • Tanmay Bain | 2607:fb91:1bc6:2223:f4a8:e32b:31bd:***:*** | ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৪৭539830
  • খুব ভালো লেখাটা . আর যে বিউগল মুরলি তা ব্যবহার করেছেন , ওটা খুব সুন্দর লাগলো পড়ে 
  • DrSouravM | 2409:40e1:3088:ad4d:c0e3:f02b:98c4:***:*** | ০৪ জুন ২০২৫ ১৩:২০731880
  • A little bit different aspect I want to comment on is that if teachers at school can't get the authority to punish students for reasons, the students will not grow as a human being.
    Even physical punishment upto a level is needed, as we all know about the "reward/punishment system to develop behavior and personality". We should come out of forceful improvisation of western systems in the names of humanity, child abuse etc in our schools.
    And regarding Arindam Da, he was a gem, sad that he was lost too early. We need more teachers like him, soft like a petal when needed and strong like steel accordingly.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন