এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বিষিয়ে ওঠা শতদ্রু ও এক প্রতিবাদী আন্দোলন

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২০০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • বিষিয়ে ওঠা শতদ্রু ও এক প্রতিবাদী আন্দোলন

    সোমনাথ মুখোপাধ্যায়।

    একটা লেখায় লিখেছিলাম পাপীদের পাপ ধুতে ধুতে আমাদের প্রাণ প্রবাহী গঙ্গা নদী একটি নর্দমায় পরিণত হয়েছে অথচ তাঁর তীরে রোজ‌ই আরতি হচ্ছে। প্রথমে ব্যাপারটা বেনারসের ঘাটেই আটকে ছিল, এখন আমাদের দুয়ারেও গঙ্গা আরতির ঢেউ এসে দোলা দিচ্ছে। নদী,তা সে গঙ্গা হোক বা মেকং,মেনাম, ইছামতী - মানুষের পরম উপকারী একটি প্রাকৃতিক সম্পদ। আমাদের উচিত তাকে, তার জলকে পরিস্রুত রাখা যাতে মানুষের বহুবিধ প্রয়োজনের কাজে তাকে ব্যবহার করতে পারি আমরা। নদীর জলকে নোংরা,অব্যবহার্য করে ফেললে আখেরে আমাদের‌ই ক্ষতি।

    এই লেখাটি যখন তৈরি করছি তখন পাঞ্জাবে এক নতুন প্রতিবাদী আন্দোলন শুরু হয়েছে “ কালে পানি দা মোর্চা"  বা  " War Against Black Water ” এই আন্দোলনে কেবল পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার মানুষজন সামিল হয়েছেন তা কিন্তু নয়, পার্শ্ববর্তী হরিয়ানা ও রাজস্থানের পরিবেশ আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ও গণ সংগঠনগুলো,কৃষক ইউনিয়নের সদস্যরা এবং নাগরিক সমাজের একটা বড় অংশ এই আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষকতায় পথে নেমেছেন বা বলা ভালো, নামতে বাধ্য হয়েছেন। এই সব প্রতিবাদী মানুষেরা পায়ে পায়ে এসে জমা হচ্ছে লুধিয়ানা শহরে। উদ্দেশ্য নদীর কালো হয়ে যাওয়া জলকে আবার তার হারিয়ে যাওয়া পুরনো চেহারায় ফিরিয়ে দেওয়া। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, দীর্ঘ চার দশক ধরে পাঞ্জাবের নদীগুলো লাগামছাড়া অবহেলা ও দূষণের শিকার হয়েছে। দূষণের দাপট কেবল পৃষ্ঠ জলের উৎসগুলোতে‌ই থমকে আছে তা নয় মাটির নীচে থাকা ভৌমজল‌ও আজ মাত্রাহীন দূষণের কারণে অব্যবহার্য হয়ে পড়েছে। মানুষ যাবে কোথায়?

    লুধিয়ানা শহরের পথ জুড়ে এখন সাদা ও হালকা নীল রঙের পতাকার ছড়াছড়ি। এই আন্দোলনের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে এমন প্রতীকি পতাকা। দলে দলে মানুষ চলেছে সড়ক দাপিয়ে। তাঁদের হাতে গুরুমুখী লিপিতে লেখা পোস্টার আর মুখে পাঞ্জাবী ভাষায় দৃপ্ত শ্লোগান - "আয়ো পাঞ্জাব দে​​​​​ দারিয়াওয়া দে জেহারি কালে  প্রদূষণ নু রোকিয়ে” ( এসো, পাঞ্জাবের নদীগুলোকে বিষাক্ত কালো দূষণের হাত থেকে রক্ষা করি ), উন রঙ্গান নু সাফ পানি, পিন লায়ি জেহারি পানি  (উল রঙ করার জন্য পরিষ্কার জল, আর পান করার জন্য বিষাক্ত কালো জল ! )। অনেকেই গলায় ঝুলিয়ে নিয়েছেন পোস্টার। ফলে খালি হাতদুটো মনের ভেতর জমে থাকা ক্ষোভ আরও সাবলীলভাবে তুলে ধরছে । প্রতিবাদী মানুষদের এমন দাবি পাঞ্জাব সরকারের কাছে। তাঁরা এই আন্দোলনের মধ্যেই চরম সতর্কবার্তা ঘোষণা করে জানিয়েছে যে যদি আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরকার এই দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে চরম পরিণতির জন্য সরকারকে তৈরি থাকতে হবে। তাঁদের আরও দাবি বুধা নালার বিষাক্ত কালো জল নদীতে ফেলা বন্ধ করতে হবে। নালাকে দরিয়ায় রূপান্তরিত করতে চায় তাঁরা।

    আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট বক্তব্য, নদী দূষণের বিষয়ে সরকারের উদাসীনতার ফলেই আজ বুধা নালার দুই পাশে থাকা প্রায় ১২ টি গ্রামের মানুষজন শতদ্রু নদীর দূষিত জল ব্যবহার করতে একরকম বাধ্য হচ্ছে। এই নালার জল গিয়ে মিশেছে শতদ্রু নদীতে, ফলে পাঞ্জাবের মালোয়া অঞ্চলের পাশাপাশি রাজস্থানের ৭ টি জেলার অধিবাসীরাও এক‌ই সমস্যা ভোগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে ঐ অঞ্চলের মানুষজনের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সার, হেপাটাইটিস সি, লিভার সিরোসিস, ত্বক ও চোখের নানান সমস্যার আশঙ্কা।

    আন্দোলনকারীরা তাঁদের দাবিপত্রে জানিয়েছে –
    " ভারতের সংবিধান দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে যার অর্থ হলো পরিস্রুত পানীয় জল ও বিশুদ্ধ শ্বাস বায়ুর অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। পাঞ্জাব সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এই দাবিকে খর্ব করার ফলে গণহত্যার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আমাদের সহযোগী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা স্থির করবো।"

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, লুধিয়ানা শহরে হোসিয়ারি বয়ন শিল্পের ব্যাপক কেন্দ্রীভবন ঘটেছে। এই কারণে লুধিয়ানা শহর পাঞ্জাবের ম্যাঞ্চেস্টার নামেই পরিচিত। পাশাপাশি এখানে গড়ে উঠেছে সুতো রঙ করার জন্য ডাইং শিল্প, ইলেক্ট্রোপ্লেটিঙ্ শিল্প,এবং সাইকেল তৈরির কারখানা। অবশ্য যে দাবি নিয়ে এবারের আন্দোলনের সূত্রপাত সেই নদী দূষণ রোধে বিষয়ে প্রথম সরব হন লুধিয়ানার ভারকা মিল্ক প্লান্ট থেকে ভাই বালা চকের মধ্যবর্তী অংশের অধিবাসীরা।

    তথ্যসূত্র থেকে জানা যায় যে বিগত আড়াই তিন বছরের মধ্যে পাঞ্জাব রাজ্যের মানুষদের পক্ষ থেকে এই নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর আগে লুধিয়ানা জেলায় ১০০০কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত মাট্টেওয়ারা টেক্সটাইল পার্ক, জিরা’তে অ্যালকোহল তৈরির কারখানা মালব্রোস ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড তৈরির বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়িয়েছিল এই রাজ্যের মানুষেরা। দুটো ক্ষেত্রেই শিল্প স্থাপনের ফলে পরিবেশের ওপর গভীর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা ছিল। কোনো প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ মদত ছাড়াই সম্পূর্ণভাবে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে গড়ে ওঠা ঐ দুই আন্দোলন এবারের আন্দোলনের পেছনে পরোক্ষভাবে প্রেরণা যুগিয়েছে বলে মনে করছেন সকলেই।

    এবারের আন্দোলন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নারোয়া পাঞ্জাব মঞ্চের সদস্য জসকিরাত সিং জানিয়েছেন – “২০০৬ - ২০০৭ সালেই প্রথমবারের জন্য এই সমস্যার কথা আলোচনায় উঠে আসে। পাঞ্জাব হাইকোর্ট, পাঞ্জাব দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনালের মতো সরকারি সংস্থার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে এই সমস্যাটির উল্লেখ করা হলেও তা মূল সমস্যাটিকে তুলে ধরতে সফল হয়নি। জল পরিশোধনের জন্য একাধিক ব্যবস্থা যেমন Common Effluent Treatment Plant (CEPT), Sewage Treatment Plants (STPs) স্থাপন করা হলেও বুধা নালার জলের চরিত্রে কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেই দূষিত কালো জলের প্রবাহ যেমন ছিল তেমনি রয়ে গেল। নালা পথে গড়িয়ে যাওয়া জল গিয়ে মিশেছে শতদ্রু নদীতে, তাই বেড়েছে নদী জলের দূষণের মাত্রা।

    নদীর জল দূষিত হয়ে যাবার সমস্যা কেবল পাঞ্জাবের নয়, সমগ্র ভারতবর্ষ সহ গোটা দুনিয়া জুড়েই আজ নদী দূষণের সমস্যা মানুষকে চোখ রাঙাচ্ছে। মাত্র কয়েকদিন আগেই আমরা দেখতে পেলাম প্যারিস শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া সীন নদীর জল এতোটাই দূষিত হয়ে পড়েছিল যে স্বয়ং মেয়র সাহেবা নদীতে নেমে ছিলেন সীন নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে। আসলে নদীর সঙ্গে মানুষের এক আত্মিক সম্পর্ক। নদী অববাহিকাকে কেন্দ্র করেই মানুষের আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক যাপনের বহুবিধ আয়োজন। এই কারণেই বোধহয় নদীর জল দ্রুত বিষিয়ে যায়। খুব সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে যে ভারতের প্রায় ৮১ টি নদীর জলে অত্যন্ত ক্ষতিকর এক বা একাধিক হেভি মেটালের সঞ্চয় লক্ষ করা গেছে। অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হলো এই যে,  প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই উপস্থিত হেভি মেটালের সঞ্চয় নির্দিষ্ট বিপদসীমার অনেক ওপরেই রয়েছে ‌। কোনো রাসায়নিক পদার্থ জলে মিশলে যদি নদীর জলের রঙ বদলে যায় তাহলে সম্ভাব্য দূষণ সম্পর্কে একটা আভাস পাওয়া যায় কিন্তু জলে হেভি মেটালের উপস্থিতির কথা কেবলমাত্র বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা সম্ভব। Central Water Commission দেশের ১০ টি প্রধান নদী অববাহিকায় সমীক্ষা সূত্রে পারদ, আর্সেনিক এবং ক্রোমিয়ামের মতো দূষণকারী হেভি মেটালের সঞ্চয় লক্ষ করেছে। দেশের মোট ৩২৮ টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ১৪১ টি কেন্দ্রেই নদীর জলে হেভি মেটালের সঞ্চয় নথিভুক্ত করা হয়েছে। দেশের ১৩ টি রাজ্যের ৯৯টি জেলার ৮১ টি প্রধান নদী ও তাদের উপনদীতে এই সমীক্ষা চালিয়ে CWC আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম,তামা, লোহা, সীসা,পারদ এবং নিকেলের মতো হেভি মেটালের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।

    এই সমীক্ষা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে আমাদের নদীগুলো একদম ভালো নেই। সমস্যাটি শুধুমাত্র বুধা নালাতেই সীমায়িত নেই। আমাদের অবহেলা আর অপরিণামদর্শীতার কারণে তা একটু একটু করে অনেক বিস্তৃত পরিসরে জাল ছড়িয়েছে। আবার পাঞ্জাবের আলোচনায় ফিরি।

    কালে পানি দা মোর্চার আন্দোলনকারীদের অভিযোগ – “বর্তমান পাঞ্জাব সরকার নদী দূষণ রোধে কোনো কার্যকর উদ্যোগ এখনো গ্রহণ করে নি। নির্বাচনের আগে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়েছে সরকার। তবে পরিবেশ নিয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা যে একটু একটু করে বাড়ছে এটাই হয়তো সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। দীর্ঘ সময়ের জন্য উদাসীন হয়ে থাকার খেসারত দিতে হচ্ছে এখনকার প্রজন্মকে। বুধা নালার দুপাশে ছড়িয়ে থাকা ডাইং এবং এবং ইলেক্ট্রোপ্লেটিঙ কারখানার বর্জ্য পদার্থ জলে মিশে আজ এই অবস্থা। সরকার এখনও সচেতন না হলে আর কবে হবে?”

    আজ শেষ করবো নদী দূষণ কীভাবে আমাদের তিলতিল করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেই বিষয়ে দু একটি কথা বলে। জল‌ই জীবন কিন্তু দূষিত জল হলো মরণের কারণ। নদীর জলকে দূষিত করে ফেলার পেছনে প্রাকৃতিক কিছু কারণ থাকলেও , মুখ্যত মানুষের ভূমিকা রয়েছে। নদীকে শিল্পের বর্জ্য জমা করার আস্তাকুড়ে পরিণত করেছি আমরা। যে ঘটনা আজ পাঞ্জাবের বুধা নালার ক্ষেত্রে ঘটেছে সেই ঘটনাই ঘটেছে দেশের অন্যান্য নদীর ক্ষেত্রে। খনিজ সম্পদ আহরণ, ধাতু গলন, ঢালাইয়ের কারখানা স্থাপন এবং অন্যান্য ধাতু ভিত্তিক শিল্প স্থাপনের ফলে নদীর জলে হেভি মেটালের সঞ্চয় বাড়ছে হু হু করে, অথচ আমাদের কোনো হুঁশ নেই। 

    বিজ্ঞানীদের মতে কৃষিকাজের ফলেও পরিবেশে হেভি মেটাল জমা হয়ে থাকে। ল্যান্ড ফিল বা ভাগাড়ে যেসব আবর্জনা জমা হয় সেগুলো থেকেও ক্ষতিকর ধাতু ধৌত প্রক্রিয়ায় মাটিতে জমা হয় ; আর তারপর বৃষ্টির জলবাহিত হয়ে নদীতে মিশে জল দূষণ ঘটায়। স্বাভাবিক সহনমাত্রার অতিরিক্ত সঞ্চয় মানুষের পাশাপাশি জলজ প্রাণি ও উদ্ভিদদের বিপন্নতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মুশকিল হলো এই যে এমন সব উপাদানের বেশিরভাগ অ বিয়োজ্য। তাদের দীর্ঘকালীন উপস্থিতি পরিবেশ তথা নদীর জলকে বিষময় করে তোলে। আমাদের শরীর স্বাস্থ্য বিপন্ন হয়।

    এই মুহূর্তে এক অসুস্থ সমাজবৃত্তে বাস করছি আমরা, বলা ভালো আমরা বাধ্য হচ্ছি। দ্রুত অপসৃয়মান আমাদের বিশ্বাস আর নির্ভরতার পরিচিত ক্ষেত্রগুলো। এজন্য সব দায় প্রশাসনের ওপর চাপিয়ে আমরা নিরালম্ব হয়ে থাকছি। আজ পাঞ্জাবের নদী জলের দূষণের সমস্যা নিয়ে কেবল লুধিয়ানার মানুষজনেরাই সরব হয়ে পথে নাববে তা নয়, আমাদের‌ও সমান্তরাল ভাবে সচেতন হয়ে উঠতে হবে, কান পেতে শুনতে হবে আমাদের বিপন্ন নদীদের কান্না। নদী আমাদের মেয়ের মতো, মায়ের মতো। তাই নদীর হাহাকারের সঙ্গে আমাদের‌ও গলা মেলাতে হবে। না হলে কাঁদতে হবে আমাদেরকেই। সেই কান্না শোনার জন্য কেউ কি তখন‌ও জেগে থাকবে?
     


    *কৃতজ্ঞতা স্বীকার 
    বিভিন্ন সর্ব ভারতীয় পত্রিকায় এই বিষয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট এই লেখাটি তৈরিতে সাহায্য করেছে। এদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অভিক রায় | 2409:40e0:1048:72ac:242e:52ff:fe27:***:*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৬537395
  • অসাধারণ লেখা। অনেকদিন পরে এই ধরনের লেখা পড়ে দারুন লাগলো। 
  • সৌমেন রায়। | 103.7.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:০০537396
  • প্রথমেই লেখককে ধন্যবাদ জানাই।তিনি একটি সার্বিক সমস্যা ও তার পরিপ্রেক্ষিতে একটি সাম্প্রতিক ঘটনা  নিটোল গদ্যে তুলে ধরেছেন। প্রাত্যহিক 'রসে বসে ' র জীবন যাপনে এমন ঘটনা আমরা ফিরেই দেখিনা।লেখক চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।
    সত্যি বিরাট সংকটের মধ্যে আমরা।লেখক যথার্থই বলেছেন  একদিকে প্রশাসনিক উদাসীনতা অন্যদিকে আমাদের মানে নাগরিকদের দায়হীন মনোভাব প্রকৃতিকে সহ্যের শেষ সীমায় নিয়ে যাচ্ছে।সহাবস্থান নয়,বল্গাহীন জীবনের জন্য দোহন কার্যে সকলে ব্যাস্ত।
    মনে রাখতে হবে প্রকৃতি কিন্তু একদিন ডাইনোসর,ম্যামথ কেও অবলুপ্ত করে দিয়েছিল।
  • cd | 116.24.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৪537397
  • "তাঁদের মুখে গুরুমুখী ভাষায় শ্লোগান"।..... গুরুমুখী  আবার কোন ভাষা, ? 
  • পলি মুখার্জি | 2405:201:8000:b1a1:f543:3b28:328:***:*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:০৭537398
  •  অনেক দিন পর এই লেখকের লেখা পাঠের সুযোগ পেলাম। সুদূর পাঞ্জাব প্রদেশে নদী দূষণের  ঘটনাকে ঘিরে গড়ে ওঠা এক প্রতিবাদী আন্দোলনের কথা প্রসঙ্গে উঠে এসেছে নদী জলের দূষিত হয়ে যাবার কথা। আজকের দুনিয়ায় প্রতিবাদী না হলে কোনো প্রতিকার মেলেনা তা সে নারীর সম্মান হোক বা নদীর। 
  • অর্ণব দাস | 2409:4060:2e9e:e7f5:f4c5:358e:b3cb:***:*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৫২537412
  •  সত্যি এই বিষয় টা নিয়ে আমরা সবাই যদি এখন ও জেগে না উঠি তাহলে ভবিষ্যতে খুব খারাপ সময় অপেক্ষা করে আছে আমাদের জন্য। সত্যি বলতে  এটা নির্দিষ্ট কোনো একটি নদীর বিষয় নয় এটা সারা বিশ্বের যত নদী আছে সেই সব নদীর সমস্যা। আসলে  মানুষ যত দিন যাচ্ছে উন্নত হচ্ছে সবাই সবার নিজ নিজ জীবন নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে আছে যে এই সব নিয়ে ভাববার কারোর সময় নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মানুষ আর কবে জেগে উঠবে ? তবে মানুষ এই বিষয় নিয়ে বুঝবে নিশ্চয়ই কিন্তু ততদিনে বেশি দেরি না হয়ে যায় মানে দেখা গেলো বুঝেয় তাদের করবার মতো কিছুই রইলোনা। তবে আপনার মতো এই রকম লেখা গুলি থেকে আশা করি যে অনেকেই এই বিষয় জানতে পারবে এবং সচেতন হবে। আমার  ব্যক্তিগত ভাবে এই লেখাটি অনেক ভালো লাগলো পড়ে
  • উন্মেষ | 103.24.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৫৫537413
  • এই আন্দোলনের বিষয়ে জানা ছিল না। আপনার লেখায় জানতে পারলাম। 
  • Ritabrata Gupta | 2401:4900:7074:1ca7:465f:cc6c:6077:***:*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৯537434
  • এই  সমস্যা  সর্বত্র .  অতি  উন্নয়ন  এর  কারণ  .
    অত্যন্ত  সাবলীল  ও  সহজবোধ্য  ভাষায়  লেখা  এই  প্রবন্ধটি  অত্যন্ত  গুরুত্বপূর্ণ .  লেখক কে  ধন্যবাদ !  অসাধারণ  আর  একটি  লেখা  উপহার  পেলাম  !
  • Kaushik Guha | 2401:4900:735e:ff9d:ce18:aeb2:47f2:***:*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:২৯538255
  • Onek obhinondon. Lekhta pore chintito. 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন