এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে - ১৬১ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৬ জুলাই ২০২৪ | ১৪৪ বার পঠিত
  • রাত একটা বেজে গেল। কাবেরীর কবিতা লেখার নেশা ধরেছে। লিখছে আর কাটছে। যেন অদৃশ্য কার সঙ্গে কাটাকুটি খেলা চলছে কাবেরীর। কেটেকুটে চেঁচে ছুলে যাহোক একটা  দাঁড়াল শেষ পর্যন্ত। রাত সওয়া দুটো বাজে। কাবেরীর বেশ ক্লান্ত লাগছে এবার। এই সব ছাই পাঁশ সে কেন যে  লিখছে কে জানে। এগুলো কার কি কাজে লাগবে ? অবশ্য দু একজন শ্রোতা বা পাঠক যাই  হোক, আছে .... যেমন নীলাঞ্জন , যেমন নিখিল স্যার। ওদের দেখানোর বা শোনানোর জন্যই এই  এত রাত পর্যন্ত নিজেকে কষ্ট দেওয়া। এটা একটা নেশার মতো।  অমিতাভ,  স্নেহাংশুদের নৈর্ঋত-এর কথাও  মনে পড়ল । ওখানে সে একটা কবিতা দেবে ঠিক করেছে। ওরা অবশ্য ভীষণ নাক উঁচু। যদি তার কবিতাটা ছাপে ভাগ্য ভাল বলতে হবে। ছাপলে এক কপি নিখিল স্যারকে দেবে বলে কাবেরীর খুব ইচ্ছে। নীলাঞ্জনকেও দেবে। ছেলেটা বেশ অন্যরকম। যাকে বলে এক হাতে অসি, আর এক হাতে বাঁশি টাইপের চরিত্র। এই সব ভাবতে ভাবতে কাবেরী একসময় ঘুমিয়ে পড়ল।

    সন্তোষের উদ্যোগে সাগরের সঙ্গে মোনা মজুমদারের মোলাকাত হল সাগরের বাড়িতেই।
    মোনাবাবু বললেন, ' আমার লাইফ রিস্ক থাকলেও আমি আর পলিটিক্স করব না ... '
    সাগর বলল, ' তা কেন .... দলে ভাল লোকের সংখ্যাই বেশি। স্বরূপ খাঁড়ার মতো লোকদের দল থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত ... '
    মনোরঞ্জনবাবু হেসে বললেন, ' তা হলেই হয়েছে ...'
    ----- ' আমার মতে এরকম একটা লোককে উড়িয়ে দেওয়াই উচিত ... কানুর ব্যাপারটা আমি কিছুতেই
    ভুলতে পারছি না ... ' সাগর বলল।
    মনোরঞ্জন  এবার গম্ভীর হয়ে গেলেন। বললেন, ' ওড়াতে পারলে তো ভালই হত ... কিন্তু মুশ্কিল আছে ... নাড়াচাড়া হবে খুব ... বরং তলাটাকে আগে ধরলে মনে হয় সুবিধা হবে ...', মোনা মজুমদার একটা সিগারেট ধরালেন।
    ----- ' ঠিক আছে ... কিন্তু কানুর দাদা সামনে পড়বে ভাবিনি কখনও।  কি আর করা যাবে ...
    সন্তোষ দিয়েই ডেকে পাঠাই ... ' সাগর বলল।
    ----- ' কোথায় ডেকে পাঠাবেন ? '
    ----- ' পটলের দোকানে কিংবা আমার বাড়িতে ... '
    ----- ' হ্যাঁ, তা করতে পারেন। যদি চান তো ডাফ স্ট্রিটে আমার ঘরটাতেও ডাকাতে পারেন ... '
    ----- ' হ্যাঁ, সেটাও করা যেতে পারে ... '
    তারপর বলল, ' নাঃ .... ভাবছি আমি নিজেই যাব কানুদের বাড়ি। সময় নষ্ট করে লাভ কি ? '
    ----- ' হমম্ ... আচ্ছা, দেখুন তা'লে ... '
    বলতে বলতে সৌদামিনী চায়ের কাপ নিয়ে ঘরে ঢুকলেন।
    সাগর বলল, ' আমার মা ... '
    মনোরঞ্জনবাবু পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেন।  সৌদামিনীদেবী বললেন, ' বেঁচে থাক বাবা ... '
    মনোরঞ্জন অত্যন্ত আন্তরিক গলায় বললেন, ' ভাল থাকবেন মাসিমা। বেঁচে থাকতে তো সবাই চায় .... তবে এই বাঁচাটাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে ',  বলে থেমে গেলেন। 
    সৌদামিনীদেবী সাগর মন্ডলের মা। তিনি তার ছেলের অনেক কান্ড দেখেছেন জীবনে। সে সবে তার প্রচ্ছন্ন সমর্থন তো নিশ্চয়ই  ছিল। সাগর যথেষ্ট মাতৃভক্ত। কিন্তু সৌদামিনী কখনও  সে দুর্বলতার সুযোগ নেননি। মনে মনে উদ্বেগ পোষণ করলেও সাগরের কোন কাজে তিনি কখনও কৈফিয়ত চাননি। সাগরের জীবনে রাত্রি আসার পর তিনি মানসিক দিক দিয়ে অনেক হাল্কা হয়েছেন। তার দৃঢ় বিশ্বাস তার ছেলে কোন অন্যায় করতে পারে না, নাহলে রাত্রির মতো মেয়ে তার সাথী হত না।
    সে যাই হোক, এরকম একজন উত্তাল জীবনসমুদ্রের পোড় খাওয়া মাঝি সাধারণ কোন মহিলার মতো কথা বলবেন না, এটাই স্বাভাবিক। 
    তিনি এইসময়ে একটা দামী কথা বললেন। তিনি বললেন, ' ক্ষমার চেয়ে বড় ধর্ম আর কিছু নেই। জীবন নেওয়ার থেকে জীবন দেওয়া অনেক বড় কথা ... '
    কথাটা যতই চিরন্তন এবং মহার্ঘ্য হোক, এই  পরিস্থিতিতে তা সাগর এবং মনোরঞ্জন কারো মনেই কোন রেখাপাত করল না।  তারা এই মুহুর্তে একদম এক অন্য মানসিক পরিস্থিতিতে অবস্থান  করছে। 
    মনোরঞ্জনবাবু  দায়সারাভাবে ' হ্যাঁ ... তাই  তো ... '
    বলে চুপচাপ চা খেতে লাগলেন। সাগর কি একটা দরকারে একবার বাইরে গেল। একটু পরে আবার ফিরে এল।
    চা খাওয়া হয়ে গেলে মোনা মজুমদার বলল, ' ঠিক আছে আমি তা'লে এখন উঠি। জানাবেন ... আসি মাসিমা, আবার দেখা হবে ... '
    সাগর মনোরঞ্জনের সঙ্গে বাইরে গেল। বলল, ' আমাকে তো আমার কাজ করতেই হবে। আপনি আমার সঙ্গে আসায় খুব উপকার হল। তবে, একটু চিন্তাও আছে আপনাকে নিয়ে ... সাবধানে চলাফেরা করবেন। খাঁড়া কি জেনে গেছে ? '
    ----- ' জানি না ঠিক।  আপনাদের সন্তোষ দাশ দুটো ছেলেকে দিয়েছে প্রোটেকশানের জন্য। অসুবিধে হবে না। আমিও তো অনেকদিন লাইনে আছি। দু চারটে লোক আমারও আছে। খাঁড়া অত সহজে সুবিধে করতে পারবে না। চিন্তা করবেন না ... জেনে বুঝেই  ঝুঁকি নিয়েছি। আসি এখন ... '

    সাগর সকাল আটটার সময় কানুদের বাড়িতে গিয়ে কড়া নাড়ল। কোন সাড়া শব্দ নেই। আবার কড়া নাড়া দিল সাগর। ভিতর থেকে একটা আওয়াজ শোনা গেল --- ' আ.. সছি ... '।
    আরও মিনিট খানেক  অপেক্ষা  করার পর ভিতর থেকে দরজা খুলে গেল। সাগর দেখল একজন রোগামতো শ্যামবর্ণা মহিলা দরজা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। ভীত চকিত চোখের দৃষ্টি। সাগরকে দেখে তাড়াতাড়ি সারা শরীরে ভাল করে কাপড় জড়িয়ে নিলেন। কোন কথা না বলে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে সাগরের দিকে তাকিয়ে রইলেন। চোখে মুখে উদ্বেগের চিহ্ন।
    সাগর নিরস গলায় বলল, ' প্রীতিময়কে একটু ডেকে দিন না ... '  
    ভদ্রমহিলা নীচু গলায় বিনীত ভঙ্গীতে বললেন, ' ও তো নেই ... '
    ----- ' নেই ? এত সকালে কোথায় গেল ? '
    ---- ' কাল থেকে নেই ... দেশের বাড়িতে গেছে ... '
    ----- ' দেশের বাড়ি কোথায় ? '
    ----- ' বীরভূমে ... সাঁইথিয়ায় ... '
    ----- ' কবে ফিরবে ? '
    ----- ' বলে যায়নি। দু একদিনের মধ্যেই ফিরবে মনে হয় ... আমি দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে একা আছি ... ' ভদ্রমহিলা স্বভাববশে শাড়িটা আর একবার ভাল করে গায়ে জড়িয়ে নিলেন। সাগরের চোখে পড়ল শাড়িটার দু জায়গায় ছেঁড়া।
    সাগর একটু সময় নিল। এরকম যে হতে পারে তার হিসেবের মধ্যেই  ছিল। তাই সকাল সকাল এসেছিল। কিন্তু লাভ হল না। সে অন্যদিকে তাকিয়ে কি ভাবতে লাগল।
    ভদ্রমহিলা দরজার একটা পাল্লা ধরে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সাগরের দিকে বিড়ম্বিত দৃষ্টিতে  তাকিয়ে।
    বললেন, ' ফিরে এলে কি দেখা করতে বলব ? আগে তো দুদিন দেখা করে এসেছে ... '
    ----- ' কোথায় ? '
    ----- ' আপনি থানা থেকে আসছেন তো ? '
    ----- ' ও ... না না ... আমি পুলিশের লোক না। ওরা কি বারবার ডাকছে ? '
    সাগর থানার লোক না শুনে ভদ্রমহিলা বোধহয় কিছুটা স্বস্তি পেলেন।
    ----- ' তিনদিন ডেকেছে ... থানার থেকে ডাকলেই ও
    ভীষণ ভয় পায় ... আমরা কি জানি বলুন তো ... কানু তো ছোটবেলা থেকে আমাদের সঙ্গে আছে ... ও সাগর মন্ডলের দলে গিয়ে ভিড়ল। আমরা কি বলেছিলাম ভিড়তে ... ওখানে গিয়েই তো যত সর্বনাশ ... এভাবে কি সমাজসেবা করা যায় বলুন ? '
    সাগর চুপ করে শুনতে লাগল। এই সময় একটা এগারো বারো বছরের রোগা মেয়ে বেরিয়ে এসে বলল, ' মা, ক্ষিধে পাচ্ছে ... কি খাব ? '
    মেয়ের মা বিরক্ত স্বরে বলল, ' রাত পোয়াতে না পোয়াতে পেটের জ্বালা ধরে গেল ! দেখ গিয়ে কৌটোয় মুড়ি আছে কিনা। থাকলে ভাইকে একমুঠ দে,তুই একমুঠ খে গে যা। আর কিছু নেই এখন ... কি যে পিন্ডির রান্না হবে কে জানে ... বাঁচতে আর ইচ্ছে করে না। কানুকে না মেরে আমাকে তো মারতে পারত ... ' ভদ্রমহিলা কোনরকমে অশ্রু সংবরণ করলেন। মেয়েটা বিরস এবং কুন্ঠিতমুখে  ভিতরে চলে গেল । সাগর অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
    কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সে তার কথায় ফিরে এল আবার।
    ----- ' কোন থানা থেকে আপনাদের  ডাকছে জানেন কি ? '
    ----- ' ওই  তো ... মুচিপাড়া থানা। ওসি একবার  বাড়িতে এসেছিল। দেখলেই ভয় লাগে ... '
    ----- ' হ্যাঁ, তা ঠিক। ওগুলোকে দেখলেই ভয় লাগে। আমারও তাই।  আমরা ছাপোষা লোক ... এসব কি আমরা পারি ... আসল লোককে গিয়ে ধর না ... মনে হয় শালাদের দিই দু ঘা .... আচ্ছা,  ওই  ওসিটাকে কোন দিন শক্তিপদর সঙ্গে দেখেছেন ? '
    ----- ' ওরে বাবা ... বলেন কি ... দু ঘা দেবেন !  তা'লে আর রক্ষে আছে ... শেষ করে ছাড়বে ... সর্বনাশ ! কি বললেন ... ওসিকে ?  হ্যাঁ দেখেছি  তো ... ওই  তো প্রথম দিনই, বাইরে দাঁড়িয়ে শক্তিপদর সঙ্গে কি সব কথা বলছিল অনেকক্ষণ ধরে ... ' 
    ----- ' ও আচ্ছা, ঠিক আছে।  না না ... আমি সত্যি কি আর মারতে যাচ্ছি ?  আমার যদি অত ক্ষমতা থাকত তা'লে তো চিন্তাই ছিল না। মানে, মনের ইচ্ছেটা বললাম আর কি ... '
    ভদ্রমহিলা এতক্ষণে খানিকটা ধাতস্থ হয়েছেন।
    বললেন, ' সেটাই  তো ... সেটাই  তো ... ' 
    ----- ' আচ্ছা ... বৌদি আপনি শক্তিপদ বিশ্বাসকে আগে চিনতেন ? '
    ----- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... ভালরকম চিনতাম। এ পাড়ায় কে না চেনে ?  হাড়বজ্জাত  লোক। ওর পাল্লায় পড়েই তো ওর এই দশা হল ... '
    ----- ' কিরকম ? অবশ্য বলতে না চাইলে বলবেন না ... প্রীতিময়বাবু আমার দাদার মতো ... দেখা হলে বুঝতে পারতেন ... '
    সাগর বুঝতে পারছে ভদ্রমহিলা সংসারের জোয়াল টানতে টানতে অস্থির  নিতান্তই সাদাসিধে এক ঘরোয়া মহিলা এবং ক্রমশ সাগরকে একজন নিরাপদ মানুষ মনে করতে শুরু করেছেন।
    তিনি বলে উঠলেন, ' না না ... এ আর কি এমন কথা ... না বলার কি আছে ? আসলে, বুঝতেই তো পারছেন, আমাদের অভাবের সংসার ... লোকটাকে কিছু টাকার লোভ দেখিয়ে এটা ওটা করিয়ে নিত ... যেগুলো ন্যায্য কাজ নয় কোন মতেই ... '
    ----- ' যেমন ? ' 
    ----- ' অতটা আমি জানি না। আমাকে তো বলত না সবকিছু, পাছে আমি ভয় পাই । তবে আমি আন্দাজ করতে পারতাম। ওই শক্তিপদবাবু টাকার কুমীর। মাঝেমাঝেই আসত আর দুজনে মিলে বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে কি সব গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করত। মোটে পছন্দ করি না লোকটাকে ... '
    ----- ' ও আচ্ছা আচ্ছা.... আর বলতে হবে না, বুঝতে পেরেছি ... '
    ------ ' আচ্ছা বৌদি আপনি স্বরূপ খাঁড়া বলে কারও নাম শুনেছেন ? '
    এবারে ভদ্রমহিলা চমকে উঠলেন। সাগর খেয়াল করল তার গলার আওয়াজ একটু কেঁপে গেল।
    ---- ' স্ব..রূপ ...কি বললেন ? '
    ---- ' খাঁড়া '
    ---- ' ন্না না ... সে আবার কে ? ওসব কাউকে চিনি না ... খাঁড়া টাঁড়া আবার কে ?  নামই শুনি নি ... '
    সাগর বুঝতে পারল এতক্ষণে সে ঠিক জায়গাটায় টোকা দিতে পেরেছে। এত জোরদার অস্বীকার মোটেই  স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। এটা অন্য কোন অর্থ বোঝায়।
    সে বলল, ' ও আচ্ছা আচ্ছা ... ঠিক আছে ঠিক আছে ... কিছু মনে করলেন না তো ? '
    ভদ্রমহিলার নাম রানু।  তার কিছু মনে করার যে কোন মূল্য আছে সেটাই  রানু ভুলে গেছে বহুকাল আগে। সে অসংলগ্নভাবে বলল, ' না না ... সে কি কথা ... সে কি কথা ... '
    সাগর এবার বলল, ' আপনার অনেকটা সময় নষ্ট করে দিলাম ... সকালবেলা আপনাদের  কাজকর্মের সময় .... এখন এসব বাজে বকবক করছি ... খুব খারাপ লাগছে।  প্রীতিময়দা আমার দাদার মতো, উনি আমার কাছে দু'শ টাকা পেতেন। সেটাই  দিতে এসেছিলাম। তা উনি যখন নেই আপনাকেই দিয়ে যাই ... এই  নিন ... '
    রানু তো আকাশ থেকে পড়ল। তার বর যে কাউকে টাকা ধার দেবার ক্ষমতা রাখে সেটা তার কল্পনারও বাইরে। সে বেশ থতমত খেয়ে গেল বটে তবে টাকাটা হাত বাড়িয়ে নিয়ে নিল। সাধা লক্ষী পায়ে ঠেলতে নেই  এই আপ্তবাক্য গরীবের ভুললে চলে না। রানুর মুখে একটা স্বস্তি মাখানো হাসির আভা এসে পড়ল তার নিজের অজান্তেই। 
    সে বলল, ' আপনার নামটা কি বলব ওকে ? '
    ----- ' নাম টাম কিছু বলতে হবে না। এমনিই বুঝতে পারবে ... পরে তো দেখা হবেই।  আজ আসি তা'লে  ... ও হ্যাঁ ... একটা বলছিলাম ... সাগর মন্ডল তো কানুর এই  অবস্থার জন্য অনেকটা দায়ী বলছেন ... '
    ----- ' একটু কি ! ... পুরোপুরি দায়ী .... সামনে পেলে আচ্ছা করে শুনিয়ে দিতাম ... কি আর করবে ? মড়ার ওপর আর ক' ঘাই বা খাঁড়ার ঘা মারবে ? মারে মারুক .... মরতেই তো চাই... '
    ----- ' সেটাই বলছি ... আমি যদি আপনার সামনে সাগরকে হাজির করাতে পারি আপনার সব কথা খুলে বলতে পারবেন তো ? ভয়ের কিছু নেই । আমি সঙ্গে থাকব। সব সামলে নেব ... '
    ----- ' অ্যাঁ, সে কি কথা ! আপনি ওসব করতে যাবেন না। কেন মিছিমিছি  নিজের বিপদ ডেকে আনবেন ? সে কি সোজা লোক ? আপনি ওসব পারবেন না ... '
    ------ ' চেষ্টা করে দেখি না ... পেরেও তো যেতে পারি ... আসলাম ... আবার দেখা হবে ... '
    সাগর দ্রুতবেগে হাঁটতে লাগল আমহার্স্ট স্ট্রিটের দিকে।

    ( চলবে )

    ********************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন