এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • একাদশ শ্রেণীতে ট্যাব প্রদান প্রসঙ্গে

    Sandipan Majumder লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ জুলাই ২০২৪ | ১৯৩১ বার পঠিত
  • একাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব দেওয়া নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল।

    আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রথম পাতার এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল ট্যাবের পেছনে ১৫০০ কোটি টাকা খরচ না করে শিক্ষার উন্নতিকল্পে আর কী কী করা যায় ? এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মনে হয়েছিল মিড ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি। মনে পড়ে যাচ্ছিল, বোধহয় গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে একমাসের জন্য ছাত্রছাত্রীদের বরাদ্দ বৃদ্ধি করে রাজ্য সরকার যখন এক পিস করে চিকেন আর ফল দিয়েছিল তখন বাচ্চাদের মধ্যে কেমন সাড়া পড়ে গিয়েছিল। যদিও একমাসের ব্যাপারটা ভোটজোগাড়ের নির্লজ্জ প্রহসনই ছিল। কিছুদিন আগে একটা ফোটো চোখে পড়েছে অনেকের যেখানে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রান্তিক এলাকায় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা মিড ডে মিল খাচ্ছে স্কুলে আর সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা সেই দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এই টাকার একটা ভগ্নাংশ খরচ করেই তাদেরকে মিড ডে মিলের আওতায় আনা যেত।

    মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রিক একটি গ্রুপে এই নিয়ে বিতর্কে এক তৃণমূলপন্থী প্রগতি শীল ব্যক্তি (প্রগতিশীল, কারণ উনি এ পি ডি আর করেন) মন্তব্য করলেন, ইনটারনেট থেকে কি শুধু বড়লোকের বাচ্চারাই শিখবে ? সত্যিই দেখলাম প্রগতিশীলরা সবসময় শ্রেণীর ব্যাপারটা মাথায় রাখেন। যেমন এটা যদি রাশিয়া হত আর স্কুলে ভদকা দেওয়া হত , তাহলে উনি সেটাকে সমর্থন করে বলতেন, ভদকা কি শুধু বড়লোকের বাচ্চারাই খাবে ?

    কেউ যদি ভদকার সঙ্গে মোবাইল বা ট্যাবের তুলনায় আপত্তি করেন তাহলে আমি তাদের সঙ্গে একমত হব। কারণ সত্যিই ভদকার সঙ্গে মোবাইল বা ট্যাবের কোনো তুলনাই চলে না কারণ দু এক পেগ ভদকার তুলনায় মোবাইল বা ট্যাব অনেক বেশি বিপজ্জনক।

    তাহলে ঐ প্রগতিশীল ব্যক্তি যেমন বলছিলেন, তেমনি ইনটারনেট থেকে কি শেখা যায় না ? কেন যাবে না, গুটিকতক সাত্ত্বিক প্রকৃতির লোক নিশ্চয়ই আছেন যাঁরা ইনটারনেট থেকে শুধু জ্ঞান আহরণ করেন। বাকি আমার, আপনার মত বেশির ভাগ তামসিক প্রকৃতির লোক নেট থেকে শুধু মজা নিয়েই কাটিয়ে দিই ঘন্টার পর ঘণ্টা। এ মজার প্রকারভেদ থাকতে পারে — কেউ হয়ত পুরোনো বাংলা গান শুনছেন, কেউ সেলিব্রিটিদের রিল দেখছেন, কেউ প্রিয় খেলোয়াড়ের ক্লিপিংস দেখছেন, কেউ হোয়াটসঅ্যাপে ‘চেপে রাখা ইতিহাস’ পড়ে শিহরিত হচ্ছেন, কেউ ইনকগনিটো ট্যাব খুলে, বিনে পয়সার ভিপিএন ব্যবহার করে বা না করে পর্নোগ্রাফির থরে থরে সাজিয়ে রাখা সফটকোর আর হার্ডকোর সম্ভার দেখছেন। মোট কথা জ্ঞানের জন্য ইনটারনেট ব্যবহার রিসার্চ লাইব্রেরীর বাইরে কাউকে করতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না। অবশ্য গুগল করে ইনফরমেশন কালেক্ট করতে দেখেছি। যাইহোক ইনফরমেশনকে তো আর নলেজ বলে না । আর সেই ইনফরমেশন ঠিকঠাক পেতে গেলেও কিন্তু যেটা লাগে সেটা হল ইংরেজী ভাষায় মোটামুটি জ্ঞান।

    মোবাইল সম্পর্কে এই ব্রহ্মজ্ঞানটুকু ছিল বলেই আমার ছেলেকে টুয়েলভ পাস করার আগে আমি মোবাইল কিনে দিইনি এবং আমার পরিচিত কোনো অভিভাবককেও দেখিনি কিনে দিতে। তাদের অবশ্য ডেস্কটপ কম্পিউটার ছিল প্রত্যেকের কিন্তু তাতে নেট সংযোগ ছিল না এবং সেগুলো গেম খেলার কাজেই বেশি ব্যবহৃত হত। কিন্তু আজকে সরকারী স্কুলের কোনো অভিভাবক যদি সিদ্ধান্ত নেন যে পড়াশোনার ক্ষতির থেকে বাঁচাতে সন্তানকে দ্বাদশ শ্রেণী পাস করার আগে মোবাইল বা ট্যাব দেবেন না, সরকারী নীতিতে তাঁর সেই সিদ্ধান্তে ভেটো পড়ে গেল। শুধু তাই নয় আর্থিক ভাবে অসচ্ছল পরিবারের ওপর চাপল নেট রিচার্জ করার বাড়তি চাপ হিসেবে মাসিক অন্তত পাঁচশ টাকার খরচ।

    তাহলে বিদ্যালয় শিক্ষায় ইনটারনেটের ব্যবহার কি কোনো সুফল দিতে পারে না ? দিতেও পারে হয়ত গুটিকয় খুব এগিয়ে থাকা ছাত্রছাত্রীদের কাছে। তাদের জন্য বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে কয়েকটি ডেস্কটপ কমপিউটার ইনটারনেট সংযোগ সমেত দিয়ে দিলেই হয়, যদি অতটা বাড়াবাড়ি রকমের পরিকাঠামো উন্নতির দরকার হয় আদৌ।

    তাহলে এত এত ছাত্রছাত্রী ইনটারনেট সমেত ট্যাব নিয়ে কি করবে ? মজা করবে যে মজাগুলোর উল্লেখ ওপরে করেছি। তবে একটা বড় অংশ মুলত পর্ণগ্রাফি দেখবে।মনে রাখতে হবে তাদের বয়স সবে পনের কি ষোল। মনে আছে ইলেভেনে পড়ার সময় কেউ একজন একটা রগরগে থ্রিলার নিয়ে ক্লাসে এসেছিল – নিক কার্টারের সাগর সহেলীর ফাঁস। ক্লাস ভর্তি ভালো ছেলেদের পড়া সেদিন মাথায় উঠেছিল। আর এখন তো অডিও ভিস্যুয়াল। না, পর্ণগ্রাফির বিরুদ্ধে কোনো নৈতিক যুক্তি আমি এখানে দিচ্ছি না। কিন্তু মুশকিল হল ইনটারনেটে এর অসীম সংগ্রহ ওই বয়সে অ্যাডিকশনের জন্ম দেয় এবং প্রচুর সময় নষ্ট করায়। তাই পৃথিবীর যেসব দেশে পর্ণগ্রাফি লিগাল, সেখানেও আঠার বছর বয়সের আগে তারা যাতে অ্যাকসেস না পায় সেটা দেখা হয়। তাছাড়া আমাদের দেশের সমাজব্যবস্থায় যেখানে যৌনতা এখনও একটা প্রকাশ্যে অনালোচিত ট্যাবু সেখানে অপ্রাপ্তবয়স্ক কেউ এসব দেখে অপরাধবোধ বা ধর্মীয় কারণে পাপবোধে ভুগতে পারে। তখন পড়াশোনা যেটুকু হচ্ছিল সেটুকুও মাথায় উঠবে। আর জেনে রাখুন শুধু করোনার সময় ভারতে যে সহস্রাধিক সফটকোর বা হার্ডকোর পর্ণগ্রাফি তৈরি হয়েছে (শিল্পা শেঠীর স্বামী রাজ কুন্দ্রার গ্রেফতারি মনে আছে নিশ্চয় ) সেগুলোও এখনো নেটে সহজলভ্য। আর এসবের ঠিকানা মোবাইল বা ট্যাবের কয়েকটি বাটনচালনার দ্বারাই উপলব্ধ যেটার সন্ধান নন- ডিজিটাল আপনি না জানলেও আপনার ডিজিটাল সন্তান নিশ্চয়ই জানবে।

    পড়াশোনা কি হবে জানিনা। এরা ছাব্বিশে ভোটার হলে ঠিক জায়গাতেই ভোট দেবে এটুকু অন্তত অনুমান করা যায়। ওই বলে না, যাবৎ জীবেৎ, সুখং জীবেৎ...
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্টু গা | 42.***.*** | ২৭ জুলাই ২০২৪ ০৪:২৮535406
  • দিনের শেষে একজনের বক্তব্য শুধুই দুর্নীতি আর অসততা। কাউকে ট্যাব দেওয়া হচ্ছে (ট্যাবের জন্য টাকা ব্যপারটা একই হল। সরকার সরাসরি ট্যাব দিলে আর তাতে টেকনিকাল সমস্যা হলে, খারাপ হয়ে গেলে ওয়ার‍্যান্টি সারাই তজ্জনিত স্টুডেন্টের ভোগান্তির ক্ষতিপূরণ সকল ঝক্কি সরকারের, তদুপরি ভেন্ডার সিলেকশন, কাটমানি, সরকারি সাপ্লাইয়ের জন্যে স্পেশালি তৈরি মালের কোয়ালিটি সাপ্রেশন, কেউ চাইলে নিজে আরেকটু টাকা জুড়ে বেটার কোয়ালিটির মাল কিনতে পারবে এমন অপশন থাকা ইত্যাদির জন্য ওয়েলফেয়ার সরাসরি মানিটারি টার্মসে করাই শ্রেয়) আর বক্তব্যের অভিমুখ হল সেই টাকার কী কী ভাবে অপব্যবহার হতে পারে। ইমপ্লিমেন্টেশনের সমস্যা। নকল বিল সাবমিশন। তা হেডটিচার সব স্টুডেন্টের বিল ও ট্যাব হাতে নাতে সিরিয়াল নাম্বার মিলিয়ে দেখে নিলেই পারেন। রোজ স্কুলে প্রত্যেকের নিজস্ব ট্যাব সহ হাজিরা বাধ্যতামূলক হলেই পারে। নাকি স্কুল টিচাররাও কাটমানি খেয়ে নকল বিল অ্যাপ্রুভ করে দেবেন বলা হচ্ছে? সেটাও কোনো কোনো স্কুল বা টিচারের ব্যক্তিগত অসততাই হল, স্কিমটার ইনটেনশন বাজে এমনটা প্রমাণিত হল না। স্টুডেন্ট বাবামার অমতে ব্যাঙ্ক থেকে ট্যাব কেনার টাকা তুলে ফুর্তি করবে। সে তো বাপের মানিব্যাগ থেকেও টাকা চুরি করতে পারে, মায়ের গয়না চুরি করেও বেচে দিয়ে ফুর্তি করতে পারে। বাবা মা জানছে ব্যাঙ্কে ট্যাব কেনার টাকা এসেছে, অথচ বাচ্চা ট্যাব কেনেনি। আর ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ওঠানো হয়েছে। এর প্রতিকার বাবামা বাচ্চার সাথে বুঝে নেবে না, বাচ্চা বলবে "টাকা তোলার অধিকার" মানে "ট্যাবের টাকা তুলে সেই টাকায় ফুত্তি করার অধিকার" তার রয়েছে। তাতে বাবা মা স্কুল টিচার সবাই সোনামুখ করে তাকে ফুর্তি করার ছাড় দিয়ে দেবে? নাকি তারপর সে স্কুল ড্রপ দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে হুলিগানগিরি করে বেরাবে? মানে তর্কের গরু তো, গাছে কেন চাঁদে গেলেই বা আটকায় কে।
     
    আর বাকিটাতো আরো সরল, বাচ্চাদের পড়াশুনোয় ডিভিডেন্ট না দিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মাইনে বাড়াও। স্কুল মাস্টারদের কাছে এর থেকে বেশি কীই বা দাবি আশা করার।  মাস্টারদের মাইনে বাড়ালেই বাচ্চাদের গাইডেন্স ভালো হবে, সরকারী স্কুলগুলি কোটা সম আইআইটি ট্রেনিং সেন্টারের ক্যাপাবিলিটি অর্জন করবে। যেখানে সরকার নিজেই জানে কীভাবে কোন কোয়ালিটির পাবলিকদের টিচিং স্টাফ হিসেবে রিক্রুট করা হচ্ছে। করোনা আর লকডাউন তো আলোচনায় আনাই যাবে না, সস্নেহে ভুলে থাকা ইত্যাদি।
     
    নদী লিখতে কুমির রচনা কী না মিড ডে মিল আর তার রাধুনি হেল্পারদের মাইনে, ক্লাবে টাকা, জগন্নাথ আর কালীঘাটের মন্দির।  কথা হচ্ছে ট্যাব দিলে কী লাভ বা কী ক্ষতি, এসে গেল কুমীরের পিঠে চাকা চাকা চাকা চাকা....... 
     
    মিড ডে মিল নিয়ে আলোচনা করতে হলে সেই নিয়ে টই খুললেই হয়। যার যাতে এক্সপারটিজ। ওতে স্কুলে একটা বিশেষ অর্থনৈতিক স্ট্র‍্যাটার বাচ্চাদের অ্যাটেনডেন্স বাড়ানো যায়। এটুকুই।  মিড ডে মিলে সবজি আর ঘ্যাটের বদলে চিকেন মাটন চিংড়ির মালাইকারি বা ভেটকি মাছের পাতুরি দিলে বাচ্চারা সব ক্লাসে এবং বাড়িতে পড়ে ফাটিয়ে দেবে এমনটাও নয়। হ্যাঁ "সাড়া পড়ে যাওয়া"র কথা বললে সে তো বিয়েবাড়ির নেমতন্ন হলেও সাড়া পড়ে যায়। যারা সাধারণত বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে স্কুলে যায় মিড ডে মিলের ডাল তরকারি খাবে না বলে, তারাও ঝালাতে ঝালাতে ওগুলো খাবে, এর বেশি আর কি? 
  • dc | 2a02:26f7:d6cc:6805:0:e36:e457:***:*** | ২৭ জুলাই ২০২৪ ০৯:০২535410
  • নানা মিড ডে মিলের এফেক্টিভনেস কিন্তু ওয়েল রিকগনাইজড। ইস্কুলের বাচ্চাদের খাবার দেওয়ার পলিসি অনেক দেশেই আছে, যেমন জাপান, আর এ নিয়ে অনেক স্টাডিও হয়েছে। আমাদের দেশে জঁ দ্রেজের একটা পুরনো পেপারের অ্যাবস্ট্রাক্টে কি লিখেছে দেখুনঃ 
     

    Future of Mid-Day Meals
    Dreze, Jean and Goyal, Aparajita (2003): Future of Mid-Day Meals. Published in: Economic and Political Weekly , Vol. 38, No. 44 (2003): pp. 4673-4683.
     
    Spurred by a recent Supreme Court order, many Indian states have introduced cooked mid-day meals in primary schools. This article reports the findings of a recent survey which suggests that this initiative could have a major impact on child nutrition, school attendance and social equity. However, quality issues need urgent attention if mid-day meal programmes are to realise their full potential. Universal and nutritious mid-day meals would be a significant step towards the realisation of the right to food.
     
    রাইট টু ফুড, রাইট টু এডুকেশান, এগুলো বেশ ক্লোজলি রিলেটেড। 
  • স্টু গা | 103.244.***.*** | ২৭ জুলাই ২০২৪ ১২:০৯535418
  • আপনি নিজে যেটুকু কোট করেছেন সেটা মন দিয়ে পড়ে দেখবেন? প্রো, কন ইত্যাদি? সেটা আনবায়াসডভাবে লিস্ট করবেন?  পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে গ্রাম গঞ্জ শহরে মিড ডে মিল হিসেবে কী খাওয়ানো হয়, কতজন খায়, বাকিটুকুর হিসেবের কী হয় আপনার কোনো ধারণা আছে? পড়াশুনোর ক্ষেত্রে অ্যাটেনডেন্স ছাড়া আর কোনো এফেক্ট আছে? কেউ বলেছে? 
    সরকারের স্কুলে বাচ্চাদের জন্য ফ্রি ক্যান্টিন চালানো শিক্ষকদের উপর চাল ডাল আলু পেঁয়াজের হিসাবের দায়িত্ব না চাপিয়ে স্বতন্ত্রভাবে চালানো উচিত।  তার কোয়ালিটি কন্ট্রোল স্ট্যান্ড অ্যালোন হওয়া উচিত। যাকগে, এ সব এখানে অপ্রাসঙ্গিক।
  • এলেবেলে | ২৭ জুলাই ২০২৪ ২১:০৪535435
  • মূল লেখাটা কি খালি ট্যাব দেওয়া নিয়ে ছিল? আদপেই নয়। বরং লেখাটির একেবারে শুরুতেই ছিল - "ট্যাবের পেছনে ১৫০০ কোটি টাকা খরচ না করে শিক্ষার উন্নতিকল্পে আর কী কী করা যায়? এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মনে হয়েছিল মিড ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধি।" অর্থাৎ বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে মিড ডে মিলের উল্লেখ ছিল।
     
    শুধু তাই নয়, একই লেখায় এ কথাও উচ্চারিত হয়েছিল "...পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রান্তিক এলাকায় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা মিড ডে মিল খাচ্ছে স্কুলে আর সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা সেই দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এই টাকার একটা ভগ্নাংশ খরচ করেই তাদেরকে মিড ডে মিলের আওতায় আনা যেত।" অর্থাৎ আরও দুটি বা ক্ষেত্রবিশেষে আরও চারটি শ্রেণিকে মিড ডে মিলের আওতায় নিয়ে আসা।
     
    কিন্তু মিড ডে মিল আবার কী বস্তু? খায় না মাথায় দেয়? তার বরাদ্দ বৃদ্ধি কিংবা আওতা বৃদ্ধি করেই বা কী হবে? কারণ? কারণটা খুব সিম্পল। সেটা হল "যারা সাধারণত বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে স্কুলে যায় মিড ডে মিলের ডাল তরকারি খাবে না বলে" তাদের নিয়েই আমাদের মুল মাথাব্যথা। শ্রেণিবিন্যাসটা একেবারে জলের মতো স্পষ্ট। কাজেই মিড ডে মিল সংক্রান্ত যাবতীয় আলোচনা হল "কথা হচ্ছে ট্যাব দিলে কী লাভ বা কী ক্ষতি, এসে গেল কুমীরের পিঠে চাকা চাকা চাকা চাকা......." (ডট সংখ্যা অপরিবর্তিত)। মানে আমার বা আমাদের শ্রেণির ভাবনাটাই হচ্ছে আসল ভাবনা, বাকি সব তুশ্চু।
     
    বেশ, এবারে তবে আমাদের শ্রেণির ভাবনটা একবার দেখা যাক। সেটা মোটামুটি এইরকম ---
    ১. সরকারী স্কুলে যারা পড়ায় তাদের লেভেল সম্বন্ধে ধারণা আছে? দুয়েকজনকে তো এই ফোরামেই দেখছেন। যারা এই ২০১১ র পর থেকে চাকরিতে ঢুকেছে তাদের কথা আর নতুন করে বলারও কিছু নেই। বাংলা ভাষায় উচ্চশিক্ষার বইপত্রের অবস্থা জানেন? সরকারী শিক্ষকেরা টিউশনি করাতেও পারেন না, আর স্কুলের অর্ধেক সময় তো মিডডেমিলের আলুপেঁয়াজআদারসুনমসলার হিসেব করতেই যায়। এবার সমস্ত গাঁ গঞ্জে তিনটি বিজ্ঞান বিষয়ে রাজ্যস্তরে জাতীয়স্তরের পরীক্ষার জন্য তৈরি করে দেওয়ার মত প্রাইভেট টিউটর থাকে বলে মনে হয়? [মিড ডে মিল যে নিছকই 'আলুপেঁয়াজআদারসুনমসলার' হিসেব করতে গিয়ে অর্ধেক কর্মদিবস নষ্ট বই অন্য কিছু নয়, সেটা ফের মনে করিয়ে দেওয়া]
     
    ২. আরে স্কুলে ১১/১২ এ কদিন কঘন্টা যায় বাচ্চারা। কেনই বা যাবে? কলেজ থেকে ১১/১২ সরিয়ে দিয়ে তো মোস্ট ইনকমপিটেন্ট কোটায় আর ঘুষে চাকরি পাওয়া জনতার হাতে তুলে দিয়েছে বাচ্চাদের। [জেনারাইলেজেশনটা বাঁধিয়ে রাখার মতো]
     
    ৩. পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা গোটাটাই গত চোদ্দ বছরে চ'কারান্তের একশেষ করে গাধার ইয়েতে পাঠানো হয়েছে।
     
    আপাতত এটুকু বিশ্লেষণ করে যা যা পাওয়া যাচ্ছে, তা হল - ক) স্কুলের সমস্ত শিক্ষক হয় ইনকমপিটেন্ট নয় ঘুষদাতা; খ) কলেজ থেকে এগারো-বারো স্কুলে চলে আসায় তার আরও বারোটা বেজেছে; গ) গত ১৪ বছরে গোটা শিক্ষাব্যবস্থাটাই গাধার ইয়েতে চলে গেছে এবং ঘ) রাজ্যের সমস্ত উমা স্কুলের এক ও একমাত্র দায়িত্ব ও পবিত্রতম কর্তব্য হচ্ছে আমার ছেলে/মেয়েটিকে তিনটি বিজ্ঞান বিষয়ে রাজ্যস্তরে কিংবা জাতীয় স্তরের পরীক্ষার জন্য তৈরি করে দেওয়া। তাতে উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাস শেষ করা গেল কি গেল না (যেটা কি না সরকারি উমা স্কুলগুলোর মুল কাজ), তা দেখে লাভ নেই। কারণ আমার প্রায়োরিটি তা নয়।
     
    এরই অনুষঙ্গ হিসাবে তাই দিব্যি উচ্চারণ করা যায়-
    ১. ১১-১২ এর সায়েন্স টেকস্ট আর রেফারেন্স বইপত্রের যা দাম হয়েছে আর IIT JEE mains advance NEET এসবের জন্য সব সাবজেক্টের এত বেশি রেফারেন্স বই বাজারে আছে, যার বেশিটাই খুব জরুরি, এমনকি FIITJEE, RESONANCE, ALLEN এসবের সম্পূর্ণ মেটেরিয়াল থেকে শুরু করে প্রায় সমস্ত সাবজেক্টের সব বই সফট কপি পাওয়া যায় বলে, স্টুডেন্টরা নিজেরাও বই যা কিনতে বাধ্য হচ্ছে, মোবাইলে স্ক্যান করে জনহিতার্থে পিডিএফ করে দিচ্ছে বলে, একটু বড় স্ক্রিনে ব্যবহার করলে প্রায় কাগজের বইয়ের মতই এই সফট কপি বইগুলো ব্যবহার করা যায় বলে ট্যাব এখন ১০ পাস করার পর মাস্ট।
     
    একেবারে জলবৎ তরলং যুক্তি। রাজ্যের এবং রাজ্য সরকারি স্কুলগুলির একমাত্র মাথাব্যথার কারণ হবে জেইই মেন বা অ্যাডভান্স কিংবা নিট পরীক্ষায় সাফল্যলাভের জন্য সেই ছেলেমেয়েদের (সংখ্যায় যারা সাকুল্যে ৫০ হাজার বা তারও কম অর্থাৎ মোট পড়ুয়ার ৫%) ট্যাব দেওয়া। সরকারের একমাত্র মোক্ষ হবে কতগুলো কর্পোরেট শিক্ষা হাঙরের আনুকূল্য লাভ করা। তাতে বাকি ৯৫% গাধার ইয়েতে গেলে যাক।
     
    ২. ব্যাপারটা যেহেতু মারাত্মক রকমের দৃষ্টিকটু (শ্রুতিকটু তো বটেই), তাই সেটাকে খানিক মোলায়েম করতে এর গায়ে একটা ওয়েলফেয়ারের পাতলা চাদর জড়িয়ে দাও। সেই চাদর জড়ানোর জন্য উচ্চারণ করতে হবে যে ক) শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষকদের আলুপেঁয়াজআদারসুনমসলার হিসেব রাখা অবান্তর এবং সময়ের চূড়ান্ত অপব্যয়। কিন্তু আমার প্রয়োজনীয় ওয়েলফেয়ারটির জন্য ওই একই প্রধান শিক্ষকরা বরং 'সব স্টুডেন্টের বিল ও ট্যাব হাতে নাতে সিরিয়াল নাম্বার মিলিয়ে দেখে নিলে' অনেক উবগার হবে। এবং খ) যদিও নিজেই বলে ফেলেছি যে ১১-১২তে বাচ্চারা মোটে স্কুলে যায় না কারণ যাওয়ার কোনও কারণই নেই, কিন্তু ওয়েলফেয়ারের চাদরটাকে অক্ষত রাখার জন্য 'রোজ স্কুলে প্রত্যেকের নিজস্ব ট্যাব সহ হাজিরা বাধ্যতামূলক'-টাও টুক করে বলে দায় সেরে ফেলব।
     
    দেখার চোখে নিজের আর্থসামাজিক অবস্থানের রঙিন চশমা এমন সেঁটে গেছে যে আর সেটাকে আলাদা ভাবে বোঝা যায় না, চোখ চশমা গুলিয়ে এক হয়ে যায় - এহেন নির্জলা সত্য উচ্চারণের এমন উদাহরণ খুব বেশি পাওয়া যায় না বলেই আমার ধারণা।
     
  • hutum | 2001:67c:2628:647:13::***:*** | ২৭ জুলাই ২০২৪ ২১:২৭535438
  • কিন্তু গাঁ গেরামের বোকাহাবাদের কথা ভেবে এডুকেশন পলিসি তৈরী হবে নাকি? গাঁয়ের ছেলেপুলে এক প্রজন্ম চাষ করুক, তারপর শহরে এসে পড়াশোনা করুক। 
     
    গ্রাম থেকে মফস্বল বা কলকাতা, কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু, তাপ্পর ক্যালিফোর্নিয়া। এই তো মেকলের ডাউনওয়ার্ড ফিল্ট্রেশন আর আপওয়ার্ড মোবিলিটি।
     
    পাঁচ শতাংশ মেধাবী পড়ুয়ার ট্যাব কাজে লাগলে ট্যাব দিতে হবে। কারণ তারা মেধাবী।
  • স্টু গা | 103.244.***.*** | ২৭ জুলাই ২০২৪ ২২:৫৭535439
  • করোনা লকডাউনএ কিনা শুধু ৫% এরই অনলাইন পড়াশুনোর দরকার ছিল, আবার হলে ওই ৫% এরই শুধু থাকবে কিনা। তাই ট্যাবের প্রয়োজন শুধু তাদেরই ছিল ও আছে। বাকিদের ট্যাব দেওয়া হচ্ছে স্ক্যাম তথা ভোটের রাজনীতি। 
     
    গাঁ গেরামের বোকাহাবাদের আবার ন্যাশনাল লেভেলে (যেহেতু বিজ্ঞানের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে তাই এটা আবার বিজ্ঞান ছাড়া কোনো শাখাতেই সম্ভব নয় আর কি, আচ্ছা ছাড়ুন স্টেট লেভেলেই বা) কমপিট করার বলা ভাল শিক্ষাক্ষেত্রে মফস্বল শহর কি অন্য কোথাওয়ের স্টুডেনটদের সমান লেভেলে নিয়ে যাওয়ার মত টেকনোলজিকাল বা গ্যাজেটের সাহায্য দেওয়ার দরকার কী? স্কুলে পেট ভরে খেতে পাচ্ছে এই না কত। সবটুকু ফোকাস খেতে পাওয়াতেই দেওয়া উচিত। ভুলেতালে তারমধ্যে একটু আধটু পড়ে ফেললেই যথেষ্ট মোক্ষ হবে। আর এগোনোর স্বপ্ন আসে কোথা থেকে? এডুকেশন পলিসির লক্ষ্য হল খেতে দেওয়া, শেখার সুযোগ হাতে এনে দেওয়া নয়।
     
    কন্ট্রাডিকশনের বাকিটুকু নিয়ে বলে লাভ নেই,  ওই যন্ত্রটির মাধ্যমেই বরং নিজের প্রত্যন্ত ঘরে বসে রাজ্যের ও দেশের সবচেয়ে ভাল টিচিং, গাইডেন্স, স্টাডি মেটেরিয়াল অ্যাকসেস করা সম্ভব। অবশ্য ধারণা হল ভালো জিনিস আবার সবার দরকার হবে কেন? গাঁয়ের ছেলেপুলে আগে তো খেতে পাক। পড়াশুনোটা ওই ৫% করলেই হবে, কারণ মেধা জিনিসসটাকে ডিফাইন করব আমরা, স্টুডেন্টদের আর্থসামাজিক অবস্থানের নিরিখে। তারপর এও নিদান দেব, যাদের মেধা নেই, অর্থাৎ টাকা নেই, তারা শুধু খেতে পেলেই হল। পড়ানোর মুরোদ তো নেই, যেটা পারি সেটাই মন দিয়ে করতে দিতে হবে, ওই চালডালআলুপিঁয়াজরসুনমসলার হিসেবনিকেশ। আর যারা মিডডেমিল না খেয়ে বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যায়, তারা এমনই আর্থসামাজিক কাঠামোর যে শুধু দশ হাজারের ট্যাব পাওয়ার জন্যই হেদিয়ে রয়েছে, কেননা শুধু ওটুকুই কিনে ওঠার গ্যাঁট খরচ করতে পারছে না। তাই আলোচনাটা সেই চশমার তলাতেই চলছে।
    বলিহারি যুক্তিবিন্যাস আরকি।
  • এলেবেলে | ২৭ জুলাই ২০২৪ ২৩:১৩535440
  • হ্যাঁ, নিদান তো কখন হাঁকা হয়ে গেছে যে শিক্ষকরা হয় ইনকমপিটেন্ট নয় ঘুষদাতা। তাদের কাজ কেবল চালডালের হিসেব রাখা। এই কারণেই তো ছেলেপুলেরা ইস্কুলে যায় না। পোঁদে খানদশেক শিক্ষক গুঁজে আর আকাশ-বাতাসের কর্পোরেট পোঁদে গুচ্ছের টাকার মলম লাগিয়ে তাদের ম্যাধা উপচে পড়ে। কিন্তু ট্যাবটা তাদের লাগে ওই সরকারি স্কুল থেকেই। সেটা অবিশ্যি ১২ ক্লাসের পড়ুয়ারা গত বছরে পেয়েছিল শিক্ষক দিবসের দিন! কাজেই বলিহারি যুক্তিবিন্যাস। কারণটা আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগে দুই ব্যক্তি বলে গেছেন।
     
    বাংলায় আমরা বিপুল সরকারি খরচে কয়েকশো বাবুকে ইংরেজি শিক্ষা দিচ্ছি। এদের অনেকেই নিজের খরচে এই শিক্ষা নিতে পারেএরা সরকারি চাকরির যোগ্য হওয়ার জন্য বিবেচিত হওয়া ছাড়া অন্য কিছুর জন্য এই শিক্ষা নিচ্ছে না। ইতিমধ্যে অগণিত জনগণের মধ্যে শিক্ষাবিস্তারের জন্য আমরা কিছুই করিনি। বাবুরা কখনও এটা করবে না। যতই এদের শিক্ষা দাও, এরা ততই তা নিজেদের মধ্যে আবদ্ধ রাখবে এবং অতিরিক্ত শিক্ষাকে এরা অত্যাচারের কাজে লাগাবে। - বন্ধুকে লেখা লর্ড মেয়োর চিঠি।
     
    ...ইহা স্মরণ করিতে হইবে যে, সকল মনুষ্যেরই শিক্ষায় সমান অধিকার। শিক্ষায় ধনীর পুত্রের যে অধিকার, কৃষকপুত্রের সেই অধিকার। রাজকোষ হইতে ধনীদিগের শিক্ষার জন্য অধিক অর্থব্যয় হউক, নির্ধনদিগের শিক্ষায় অল্প ব্যয় হউক, ইহা ন্যায়বিগর্হিত কথা। বরং নির্ধনদিগের শিক্ষার্থ অধিক ব্যয়, এবং ধনীদিগের শিক্ষার্থ অল্প ব্যয়ই ন্যায়সঙ্গত; কেন না ধনীগণ আপন ব্যয়ে শিক্ষাপ্রাপ্ত হইতে পারে, কিন্তু নির্ধনগণ, সংখ্যায় অধিক, এবং রাজকোষ ভিন্ন অনন্যগতি। - বঙ্কিমচন্দ্র
     
    মেকলের মানসসন্তানরা যুগে যুগে দৃশ্যমান।
  • পোঁদ | 115.187.***.*** | ২৭ জুলাই ২০২৪ ২৩:২২535441
  • পোঁদ শব্দবন্ধটার কি খুব দরকার ছিল এলেবেলেদা? পিছন লিখলে কি হত না? 
  • এলেবেলে | ২৭ জুলাই ২০২৪ ২৩:৩৩535442
  • বিদ্যাসাগরও লিখেছিলেন। পরে বঙ্কিমের আপত্তিতে শব্দটাকে বদলে পাছা লেখেন। এতে আপত্তির কিছু নেই তো। বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়াদের কম দিন হল দেখছি না। তাদের ম্যাধ্যার সঙ্গেও সম্যক পরিচিত। কাজেই...
  • পাছা | 115.187.***.*** | ২৭ জুলাই ২০২৪ ২৩:৩৮535443
  • আমার বিজ্ঞান বিভাগ , কলা বিভাগ নিয়ে আগ্রহ নেই। আর বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করা বাচ্চাকাচ্চার তো একটা বড় অংশই কুসংস্কারাচ্ছন্ন। নিজে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হয়েই বলছি।
     
    তবে সেসব নিয়ে আমার আগ্রহ নেই। ইমফ্যাক্ট বিজ্ঞান বিভাগ ,কলা বিভাগ ভাগ করাটাই বোকাবোকা। 
     
    আমার প্রশ্ন হল ,বিদ্যাসাগর কোন লেখায় পোঁদ শব্দটা ব্যবহার করেছিলেন?
  • এলেবেলে | ২৮ জুলাই ২০২৪ ০০:১৪535444
  • 'বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার' বিষয়ক দ্বিতীয় পুস্তকে। মুর্শিদাবাদনিবাসী গঙ্গাধর রায় কবিরত্নের লেখা 'বহুবিবাহ রাহিত্যারাহিত্য নির্ণয়'-এর আলোচনার সময়। 
  • Gopal | 2001:67c:198c:906:24::***:*** | ২৮ জুলাই ২০২৪ ০০:২৪535445
  • কারোর কারোর মহাপুরুষের মাথার পিছনের জ্যোতির্বিলয়টা চোখে পড়ে, কারোর আবার পোঁদটা। যার যেরকম রুচি।
  • এলেবেলে | ২৮ জুলাই ২০২৪ ০০:৪৩535447
  • 'জ্যোতির্বিলয়'-টা চমৎকার ফ্রয়েডিয়ান স্লিপ।
     
    সিপিএম টরাসে লেনিনের নিতম্ব নিয়ে মহা বিব্রত হয়েছিল কারণ সিপিএম জানত মহাপুরুষদের নিতম্ব থাকে না কিংবা থাকতে নেই।
  • :-) | 67.159.***.*** | ২৮ জুলাই ২০২৪ ০১:১০535448
  • " ... তাই আমি যাবতীয় মহাপুরুষদের নিতম্বে ফোকাস করেই লেখা শুরু করি, নিতম্বে ফোকাস করেই লেখা শেষ করি। সিপিএম এভাবেই আমার দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবনদর্শন গড়ে দিয়েছে, বলা উচিত কিয়দংশে বিদ্যাসাগরও, না বঙ্কিম যে নয় সে প্রমাণ তো দিলামই। ... "
     
    শিশু-কিশোর শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন কম্পোনেন্টের মধ্যে প্রাইভেট টিউশন-এর পিছনে খরচ দেখলে সবচেয়ে বেশ জ্বলে সরকারী স্কুলমাস্টারদের। যেহেতু নিজেদের টিউশনি করানো আইনত বন্ধ হয়ে গেছে। সেই জ্বালায় স্কুলে আরও অসহ্য রকমের বাজে পড়ায় যাতে যে প্রাইভেট টিউশনি নিতে চায় না, সেও নিতে বাধ্য হয়। এরে কয় ডাইকোটমি।
  • আ খোঁ | 2402:3a80:1985:48c2:378:5634:1232:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২৪ ০১:১৭535450
  • অপ্রাসঙ্গিক বটে কিন্তু চুলবুল পান্ডে থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমারও ইয়ে থেকে ইয়ে মনে এসে যাচ্ছে। যেমনি নিতম্ব। বেশ একটা খাজুরাহো মার্কা শব্দ। মানুষের নিতম্ব হয় কিন্ত শিয়ালের নিতম্ব থাকে কি? পাছা কথাটাতেও বেশ একটা কামগন্ধ ভদ্রবিত্ততা আছে (বঙ্কিমের এডভাইস এমনি না)। কিন্তু শিয়ালের পোঁদ থাকে। ছোটলোকেরও পোঁদই থাকে। তবে আমার মনে হয় এ ব্যাপারে সবচেয়ে লাগসই হলো গাঁড়। দাঁড়ান ডেমো দেই। বাক্য গঠনের অপরিহার্যতা লক্ষ্য করুন - ট্যাবলেট দিয়ে কর্পোরেট চাকর তৈরির ক্ষেত্রে সরকার হয়তো সফল হলেও হতে পারে, কিন্তু পড়ুয়াদের কল্পনা শক্তির যে একেবারে গাঁড় মেরে দিচ্ছে তা নিয়ে আমার অন্ততঃ কোনো সন্দেহ নেই (যেটা নিজের পয়সায় ভদ্রবিত্তের আগেই ঘটে গেছে, এখন বাকিদের জন্য সরকারি ভাবে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।)  
     
    ডি: আমি কিন্তু কন্যাশ্রী ইত্যাদির সমর্থক।
  • / | 77.***.*** | ২৮ জুলাই ২০২৪ ০১:১৭535451
  • এবং ইস্কুলে ফাঁকি মেরে বিদ্যাসাগর ও রামমোহনের নিন্দে লিখে দু'পহা কামিয়ে নেয়। গেরামের ইস্কুলের মাস্টাররা কী পরিমাণ ফাঁকি মারে এলবোর গুরুর পাতায় লম্বা হ্যাজ নামানো দেখে টের পাওয়া যায়। এত সময় অন্য কোনো চাকরিতে মিলবে না।
  • পলিটিশিয়ান | 2607:fb90:bd38:5345:ad2:3351:7e41:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২৪ ০১:৩২535452
  • স্কুল টিচাররা গবেষণার কাজ করলে ফাঁকি মারা হয়!! 
     
    ভাগ্যে বাঙালির স্কুল কলেজে কখনো পড়াইনি।
  • dc | 2a02:26f7:d6c0:6805:0:eb90:cb39:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:৪৫535459
  • আসলে তর্কটা ট্যাবলেট বনাম মিড ডে মিল নিয়ে নয়। আমার মতে তর্কটা হওয়া উচিত সরকারের এডুকেশান পলিসি কি হওয়া উচিত, যাতে সোশ্যাল ইকুইটি ম্যাক্সিমাইজ হয়, সে নিয়ে। খেয়াল করে দেখুন, সরকারের তরফে ট্যাবলেট বা ল্যাপটপ দেওয়াটা হলো ইকুয়ালিটির দিকে পদক্ষেপ, আর মিড ডে মিল, ইস্কুলের পরিকাঠামো ডেভেলপ করা, শিক্ষকদের সহায়তা করা, রাইট টু এডুকেশান অ্যাক্ট ইমপ্লিমেন্ট করা ইত্যাদিগুলো হলো ইকুইটির দিকে পদক্ষেপ। দ্বিতীয়টা হলে সবরকম ইকোনমিক ক্যাটেগোরির ছাত্রছাত্রীদের পার্টিসিপেশান বাড়বে। তাই দ্বিতীয়টাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। 
  • স্টু গা | 103.244.***.*** | ২৮ জুলাই ২০২৪ ২০:৫০535475
  • Equality means each individual or group of people is given the same resources or opportunities. 
    Equity recognizes that each person has different circumstances and allocates the exact resources and opportunities needed to reach an equal outcome.

    এবার বলুন স্কুলশিক্ষায় বাচ্চাদের মধ্যে এই বৈষম্যমূলক রিসোর্স অ্যালোকেশন আগে কবে কীভাবে হয়েছে আর আপনি নতুনভাবে কী করার কথা প্রোপোজ করছেন? 

    করোনা লকডাউন হলেও সকলের সমানভাবে পড়াশুনো চালিয়ে যাওয়ার জন্য নেওয়া জরুরি পদক্ষেপ কোনটা হবে?
     
    লকডাউন জিনিসটা সকলের পড়াশুনোকে ইকুয়ালি ইমপ্যাক্ট করে কি?
     
    ক্লাস এইট পর্যন্ত নিচু ক্লাসের জন্য মিড ডে মিল দিয়ে স্টুডেন্ট অ্যাটেনডেন্স বাড়ানো এবং পাশ ফেল না রেখে ন্যূনতম সর্বশিক্ষা অভিযান, উঁচু ক্লাসে সাইকেল, আরও উঁচু ক্লাসে ট্যাব দেওয়াই বা কোনটা?
     
    উঁচু নিচু সব ক্লাসের জন্য মিড ডে মিলই বা কোনটা। 
     
    আর উঁচু ক্লাসেও পাশ ফেল তুলে দেওয়া হবে কি?
     
    যেটা বলেননি, মিড ডে মিল-এ স্কুলে অ্যাটেনডেন্স বাড়ানো ছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে কী বাড়তি অ্যাচিভ করা যাচ্ছে? 
     
    এটাকে স্কুলে আলাদা এক্সপার্টিজওয়ালা অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মাধ্যমে চালিয়ে শিক্ষকদের শুধু পড়ানোয় মনোনিবেশ করানো, বড়জোর মিলের কোয়ালিটি ইন্সপেকশনে ইনভলভড রাখা হলে সমস্যা কী?
     
  • স্কন্ধকাটা | 45.249.***.*** | ০৩ আগস্ট ২০২৪ ১৫:৩৬535646
  • > মোবাইল সম্পর্কে এই ব্রহ্মজ্ঞানটুকু ছিল বলেই আমার ছেলেকে টুয়েলভ পাস করার আগে আমি মোবাইল কিনে দিইনি এবং আমার পরিচিত কোনো অভিভাবককেও দেখিনি কিনে দিতে। তাদের অবশ্য ডেস্কটপ কম্পিউটার ছিল প্রত্যেকের কিন্তু তাতে নেট সংযোগ ছিল না এবং সেগুলো গেম খেলার কাজেই বেশি ব্যবহৃত হত।
     
    উদ্ধার করেছেন। নোবেল কুরিয়ার মারফত নেবেন নাকি এসে নিয়ে যাবেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন