এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • একটু ভাবুন

    Rashmita Das লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ মে ২০২৪ | ২০২ বার পঠিত | রেটিং ১ (২ জন)
  • রবিবার শপিং মলএ গিয়েছিলাম কিছু শপিং করার জন্য। শাড়ির চাইতে আধুনিক পোশাক আশাকের দিকেই আমার ঝোঁকটা একটু বেশি তাই শাড়ি অথবা সালোয়ার না খুঁজে একটু ফ্যান্সি ড্রেসের খোঁজেই ছিলাম। কিন্তু আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখেছি, পছন্দের পোশাক খুঁজে পেতে আমার সময় লাগে কারণ ফ্যান্সি বা আধুনিক পোশাকের আসল সংজ্ঞাটা প্রকৃতপক্ষে কিছু অন্যরকম যা আমার চিন্তাভাবনার সাথে একেবারেই খাপ খায় না। বেশির ভাগ পোশাকেরই হয় কাঁধছেঁড়া, নয় হাঁটুর থেকে বেশ অনেকখানি উপরে ওঠা, নয়তো পোশাকের ভিতর হতে নাভির অথবা বুকের খাঁজের অশুচি আত্মপ্রকাশের খোলা জানলার বেহায়া বন্দোবস্ত। এইসবের মাঝে ঠিকঠাক আব্রুসমেত শালীন অথচ আধুনিক পোশাক খুঁজে পেতে আমার বরাবরই বেশ সময় লেগে যায়। এটাও ঠিক, শেষ পর্যন্ত কোনোবারই শপিং শেষ না করে ফিরতে হয় না। বাজারে সব ধরনের পোশাকই খোঁজ করলে মেলে। তবে গত রবিবারটায় সময় একটু বেশি থাকায় বেশ সময় নিয়েই শপিংমলটা ঘুরছিলাম। এখানে ভিন্ন ভাষাভাষীর ভীড়ে হিন্দি ভাষাটাও খারাপ চলে না। মা বাবা আর মেয়ের মধ্যে একটা মতবিরোধ বেশ অনেক্ষণ ধরেই বেশ তিক্ততার উদ্রেক করছিল। তারা দূরে অবস্থান করা সত্ত্বেও তাদের হিন্দি কথপোকথনগুলো সেই জায়গার অনেক মানুষেরই কানে পৌঁছাচ্ছিল। বছর ষোলো সতেরোর মেয়েটির তার মায়ের কাছে বায়না, ওকে এমন একটা পোশাক কিনে দিতে হবে যাতে পেট আর নাভি দেখা যায়। আর মেয়েটির বাবা মা ওকে বোঝাচ্ছেন, দামী পোশাক সে নিতে পারে, কিন্তু শরীর দেখানোর মত পোশাক সে যেন পছন্দ না করে। মেয়েটি তার কথায় ক্রমাগত বাবা মাকে বুঝিয়ে চলেছে যে তারা আসলেই কতখানি ব্যাকডেটেড। দুনিয়ার থেকে কতখানি পিছিয়ে। ভৎসনা যখন সীমা ছাড়াতে শুরু করেছে ততক্ষণে আমি সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছি। পরে ব্যাপারটা আমার ভিতরটা বেশ নাড়িয়ে দিয়ে যায়। সত্যিই... এটা তো একটি কিংবা দুটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়... । চারপাশে চোখ মেলে তাকালেই দেখতে পাই... মেয়েদের পোশাক আশাকের এবং রুচিবোধের প্রকৃত চিত্রখানি। কারোর কাঁধ থেকে হাত দিয়ে যেন কাপড় টেনে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে নীচে, কারোর ছোট্ট টপের নীচ দিয়ে উঁকি দিচ্ছে নাভি, কারোর পোশাকে আবার ক্লিভেজের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার তুমুল উদগ্রীবতা, আবার কারোর পিঠের আব্রুটাব্রু নেহাতই অপ্র‌য়োজনীয় ব্যাপার। না থাকলেই ভালো। আসলেই এগুলি কি?যেকোনো মানুষ বলবে, এগুলো হল আধুনিকতা। হাল ফ্যাশন। আর আধুনিকতা আর ট্রেন্ডি লুকের ফ্যাশন বলেই সকলের চোখে নিজেকে আধুনিকা প্রমাণ করতে সকলের এমন পোশাকের চাহিদার এমন হিড়িক। কিন্তু ভীড়ে মিশে গিয়ে এই হাল ফ্যাশনের ট্রেন্ডি লুকের এমন বাজারে নিজেকে একদম খাপে খাপ মেলানোর এই হিড়িকের অংশীদার হওয়ার আগে কোনো মেয়ে কি একবারও এটা ভেবে দেখেছে, যে এমন শরীর দেখানো পোশাকগুলিকে ফ্যাশন হিসেবে  যারা প্রতিষ্ঠিত করেছে তারা আসলেই কারা... ! কোনো নারীর নিশ্চয়ই অন্য কোনো নারীকে কাঁধ থেকে খুবলে তোলা বা টেনে নামিয়ে আনা কাপড়ে দেখার আগ্রহ হবে না। পোশাকের ফাঁকফোকরে নাভি বা ক্লিভেজ নিশ্চয়ই কোনো নারীর মনের  সন্তুষ্টির ঠিকানা নয়... । শরীরের যে যে অংশগুলি পুরুষের মনে কামনার উদ্রেক করে ঠিক সেই সেই অংশগুলি  জামাকাপড় না ছিঁড়ে যদি পোশাকের ভিতরেই ওগুলির বেহায়াভাবে চোখের সামনে উন্মুক্ত করার ব্যবস্হা করা যায় আর নির্বোধ নারীদের বোঝানো হয়, এইটাই আধুনিকতা... হাল ফ্যাশন, তাহ‌লে তো এক ঢিলে দুই পাখি মারা হয়ে যায়। রাস্তাঘাটে মেয়েরা নিজেদের আধু‌নিকা প্রমাণ করতে নিজেদের শরীরের আনাচকানাচ নিজেরাই বেআব্রু করবে পুরুষদের চাহিদা অনুযায়ী। আর সরাসরি কাঁধ থেকে কষ্ট করে কাপড় টেনে না নামিয়ে বা তলপেট হতে কষ্ট করে কাপড় সরানোর ঝামেলায় না গিয়েই নিজেদের প্রয়োজনের অক্ষিস্ফূর্তির খোরাক পাওয়া যাবে অত্যন্ত সহজেই। ফ্যাশন আধুনিকতার জোয়ারে গা ভাসিয়ে আসলেই নারী নিজের চাওয়া পাওয়া প্রয়োজন অপ্র‌য়োজনের হিসেব ভুলে নিঃশর্তভাবে সমর্পণ করেছে বস্তাপচা পুরুষতান্ত্রিকতারই হাতে যার সূতো ধরে বসে রয়েছে নারীকে অসম্মান করার অভিসন্ধি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ধারণ করে চলা আদিম হতে আদিমতর ঘৃণ্য পিতৃতন্ত্র। আর যাই হোক... এটা বোঝবার মতো ক্ষমতা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের নিশ্চয়ই আছে, যে কোনো নারী কাঁধ থেকে খুবলে আনা উন্মুক্ত কাঁধ... উন্মুক্ত পেট অথবা আত্মপ্রকাশে মরিয়া ক্লিভেজের নির্লজ্জতা নিয়ে ঘরের বাইরে পা রাখলে অন্ততপক্ষে তাকে কেউই প্রকৃত অর্থে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখবে না। বরং চারপাশের বাতাসে তার জন্য ভেসে উঠবে থোকা থোকা অসম্মান আর কামপিপাসু নোংরা দৃষ্টি।  কিছু সস্তার দৃষ্টি আকর্ষণ আর খুব বেশি হলে শরীরের টানে আকৃষ্ট হয়ে জীবনে প্রবেশ করে তৃষ্ণা চরিতার্থ করে নিয়ে উড়ে যাবে অন্যত্র, এমন কিছু মৌমাছির আগমন ব্যতীত নারীর নিজস্ব লাভের খাতা একেবারেই ফাঁকা। কারণ এই জিনিসগুলি অঙ্গে ধারণ করে আয়নায় যখন তারা নিজেদের দেখে, তখন তারা আসলেই নিজেদের চোখদুটিকে পুরুষের চোখ তৈরি করে ফেলে নিজেদেরই অজান্তে। আঠারো শতকের নারীরা পুরুষের হাতে বন্দিনী এবং তাদের হাতের পুতুল হিসেবেই জীবন কাটাতেন। আজকের দিনের তথাকথিত "আধুনিকা"নারীরা হয়তো ভাবেন আজ তাঁরা কতখানি স্বাধীন এবং মুক্ত, এবং হালহকিকতের ট্রেন্ডি ফ্যাশনে একদম আপডেটেড। কিন্তু তারা নিজেদেরই অজান্তে নিজেদের সূতো ধরিয়ে দিয়ে বসে রয়েছেন যুগ যুগ ধরে চলে আসা বস্তাপচা পুরুষতান্ত্রিকতারই ধুয়েমুছে রংচঙে আবরণে মোড়া আপডেটেট সংস্করণেরই হাতের আঙুলে যেখা‌নে চিরকালের মতোই নিজেদের প্রয়োজন অপ্র‌য়োজনের বোধ ও বুদ্ধি শিকেয় তুলে মেয়েরা পুরুষের মনোরঞ্জন করা নিয়েই ব্যস্ত থেকে নিজেদের চলন বলন জীবনযাত্রার ছক সাজাবে। আর তার ফায়দা খুবই অল্প পরিশ্রম আর কম ঝামেলায় করে নেবে যাবতীয় পুরুষতান্ত্রিক একপেশে দৃষ্টি ও চিন্তাধারা। আগেকার দিনে নারীকে বোঝানো হত, লেখাপড়া করলে বিধবা হয়। একবার বোঝানোটাই যথেষ্ট ছিল। মেয়েরা বইখাতাতে হাত দিতেই ভয় পেত বিধবা হওয়ার ভয়ে আর পুরুষের অভিসন্ধিগুলো কি ভীষণ সহজেই বাস্তব রূপ পেয়ে যেত। আজও তথাকথিত আধুনিকা নারীকে হাজারটা ঝলমলে বিজ্ঞাপন আর প্রচারের মাধ্যমে বোঝানো হয়, কনুই বা থুতনি নয়, পায়ের নখ বা গোড়ালি নয়... বরং ক্লিভেজ, পেটের নাভি অথবা কাঁধ হতে আপনা হতেই কাপড় টেনে নামিয়ে এনে ধরার ভঙ্গিতে ডিজাইন করা জামাকাপড় পরা হল আধুনিকতার মাপকাঠি এবং ফ্যাশন। আজকের নারীরাও যুক্তিবুদ্ধির ধারপাশ না মাড়িয়ে সেটাকেই অন্ধের মতো মানছে এবং অনুসরণ করে চলেছে। একটা প্রশ্ন তাদের মাথায় কেন আসে না... মানুষ অথবা আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে বিপরীত লিঙ্গের আকর্ষণ পাওয়ার জন্য নিজেদের শরীরের বিশেষ বিশেষ অংশগুলি বেআব্রু করে সবাইকে দেখিয়ে বেড়ানোর প্রয়োজন কেন শুধু নারীরই হবে... পুরুষদের কেন নয়!কোনোদিন কেউ কোনো ছেলেকে সামান্য স্লিভলেস জামা বা টিশার্ট পরে ঘর থেকে বেরোতে দেখেছে?ছেলেদের বাইরে পরার জন্য স্লিভলেস টিশার্ট বা জামা আমার অন্তত কোনোদিন নজরে আসেনি। অথচ মাসল বলে যে বস্তুটি কিছু কিছু পুরুষ জিম করে তৈরি করেছে সুন্দরভাবে, সেটি কিন্তু নারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য একেবারে দারুণ। কিন্তু শরীর যে পুরুষের যেমনই হোক... তাদের কোনোদিনই নারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য নিজেদের শরীরের কোনো অংশকেই বেআব্রু করবার প্রয়োজন পড়ে না। এমনকি সব পুরুষ রূপে কার্তিক না হলেও কোনো একজন পুরুষও নারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পয়সা দিয়ে রংচঙ কিনে নিজেদের চোখে ঠোঁটে ঘষে না। কিন্তু তাই বলে কোনো পুরুষের জীবনই রঙচঙহীন ম্যাড়ম্যাড়ে নয়। তাই সত্যি বলতে কি... নিজেকে অন্যের পছন্দ অপছন্দের নিক্তিতে পুতুলে পরিণত না করে একবার নারী দাঁড়াক নিজের আয়নার সামনে শুধু নিজের অস্তিত্বটুকু নিয়ে। নিজের প্রয়োজন অপ্রয়োজন চাওয়া পাওয়াগুলিকে সাথে করে নিয়েই সে দাঁড়াক একবার। তাহলেই সে বুঝতে পারবে, শরীরের আনাচকানাচ দেখানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা তার নেই। প্রয়োজন নেই গাদাগুচ্ছের রংচঙ মাখবার। একমাথা ঘোমটা বা বোরখাও নয়... সসম্মানে শরীর ঢাকা থাকে এমন বহু ফ্যাশনেবল পোশাক পাওয়া যায় বাজারে যা পড়লে কারোর চোখ দিয়ে অসম্মান সূচক লালা ঝরার রাস্তাও বন্ধ থাকে আর নারীকে লাগে একবিংশ শতাব্দীর আধুনিকা জাতিকা। আর যে আসবার, সে আপনিই কাছে আসবে... এতে ঠোঁটে বা গালে রংচঙের ভূমিকা খুবই ক্ষণস্থায়ী। বরং নারী আসলেই যা অথবা যেমন সেটাকেই যদি সসম্মানে... অতিরিক্ত রংচঙএর পোচ ব্যতীত বাইরে প্রকাশ করে তাহলেই বরং লাভটা বেশি। আসলে কি... চারপাশে যা ঘটছে... সবকিছুতেই মাথা খাটিয়ে বিবেচনা করার ব্যাপার রয়েছে। চলমান স্রোতে গা ভাসিয়ে না দিয়ে নিজেদের চিন্তাভাবনা আর বিবেচনাগুলিকে একটু জাগ্রত করা যায় তাহ‌লে আজকের নারীর হাত ধরেই ভাবীকালের মেয়েরা এমন জায়গায় পৌঁছবে যে তারা পথেঘাটে বেরোলে কেউই তাদের সুস্বাদু খাবার নয়... মানুষ হিসেবে সম্মান করবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন