এটা আগের সপ্তাহের ঘটনা।
আমাদের একটা পুরনো সোফাসেট আছে, সেটা বিক্রি করার জন্য ওলেক্সে অ্যাড দিয়েছি। পরেরদিন মেসেজ এসেছে তোমার ফোননং দাও, কথা বলবো। এটা অনেক সময়েই হয়, তাই ফোননং মেসেজ করেছি। খানিক বাদে একজন ফোন করেছে, ট্রুকলারে কোন অ্যালার্ট দেয়নি, ফোন ধরেছি। পরের কথোপকথনঃ
কঃ আপনার সোফাসেটের ব্যাপারে কথা বলবো। আপনি এতো দাম দিয়েছেন, আমি অতো দেবো।
আমিঃ বেশ, আগে এসে দেখে যান, পছন্দ হলে দামের ব্যাপারে কথা বলবো।
কঃ দরকার নেই, আমি কাঠের দোকানের মালিক, ছবি দেখেই বুঝতে পারছি। অতো দামে রাজি হলে বলুন।
আমিঃ ঠিক আছে। তবে ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা আপনাকে করতে হবে।
কঃ ঠিক আছে, আপনি ওলেক্সের থেকে অ্যাডটা ডিলিট করে দিন।
আমি (ঘাবড়ে গিয়ে)ঃ আপনি আগে এসে দেখুন তো! বিক্রি না হলে আমি কিকরে ডিলিট করি?
কঃ নানা, আমি কিনবোই। ঠিক আছে, আমি আপনাকে পাঁচ হাজার জিপে করে দিচ্ছি। এই নম্বরেই করবো তো?
আমিঃ হ্যাঁ এই নম্বরেই করতে পারেন, কিন্তু আগে এসে কথা বলে নিলে হয়না?
কঃ নানা আমি এখুনি টাকা ট্রান্সফার করে দিচ্ছি। আপনার হোয়াতে দেখুন, মেসেজ এসেছে।
আমিঃ হোয়াতে??!!!??
কঃ হ্যাঁ আমি কিউআর কোড পাঠিয়েছি, ওটা স্ক্যান করলে টাকা পেয়ে যাবেন।
আমিঃ ধরুন দেখি।
আমি কম্পুতেই ছিলাম, হোয়া খোলা ছিল, দেখি একটা কিউআর কোড ওলা মেসেজ এলো, তার ওপরে লেখা রিসিভ ৫০০০ ফ্রম ওমুক। আমি ততোক্ষনে বুঝে গেছি, তাও সেটা স্ক্যান করে দেখি জিপেতে লিখছে পে ৫০০০ টু অমুক।
আমিঃ এটা তো আমাকে পে করতে বলছে!
কঃ নানা, ওর ওপরে তো লেখা আছে রিসিভ! তুমি স্ক্যান করে সেন্ড টেপো, টাকা পেয়ে যাবে।
তারপর আর কি, আমি ধমক দিয়ে বললাম দাঁড়াও এই ফোন নম্বরটা পুলিসে রিপোর্ট করছি। তারপর খানিক কথা কাটাকাটি হয়ে ফোন কেটে দিলাম। একটা ভুল করেছি, ততক্ষনাত হোয়া নম্বরটা ব্লক করে রিপোর্ট করেছি, ফলে কিউআর কোডটাও আর নেই। নাহলে এখানে আপলোড করে দিতাম।