এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • স্বপ্ন উড়ান

    Rajat Das লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ মার্চ ২০২৪ | ২০৯ বার পঠিত
  • একদমই সাদামাটা দেখতে মেয়ে বলে মল্লিকার বিয়েই হলনা। না! কোনো রূপের ঝলক নেই। নেই তার দেহ সৌষ্ঠবে কোনো উষ্ণতা। এমন নিস্তরঙ্গ মেয়েকে সম্বন্ধ করে কেই বা ঘরের বৌ করে নিয়ে যাবে? কোনো পুরুষ তার প্রেমেও কখনও পড়েনি।

     মল্লিকার যখন উনিশ বছর বয়স তখন থেকেই আত্মীয়স্বজনদের বলাবলি করে কিছু সম্বন্ধ এসেছিল। কিন্তু একবার দেখে গিয়ে আর দ্বিতীয়বার কেউই কথা বাড়ায়নি। মামাতো এক দাদার বাড়ি বীরভূমে। সেখান থেকে এক কৃষক পরিবারে সম্বন্ধ এসেছিল। প্রথমবার পাত্রের বাবা কাকা আরো কারা সব মেয়ে দেখে গেল। পাত্র নিজে কিন্তু পাত্রী দেখতে আসেনি। মামাতো দাদা চার পাঁচ দিন পর সুখবর নিয়ে এলো। পাত্রপক্ষ মল্লিকাকে পছন্দ করেছে। মল্লিকার বাবা মা বড়দা বৌদি কাকা কাকিমা সবারই স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছিল। যাক এতদিনে কোনো পাত্রপক্ষের মল্লিকাকে পছন্দ তো হল! সে হোক না পাড়াগাঁর পাত্র। বেহালার মেয়ের কি বীরভূমে বিয়ে হতে নেই? মামাতো দাদা শঙ্করকে সেদিন সকলে বেশ খাতিরের চোখে দেখতে শুরু করেছিল। শঙ্কর পান্তুয়া খেতে ভালবাসে। মল্লিকার দাদা ছ'খানা বেশ বড় সাইজের লেডিকেনি কিনে এনেছিল। মল্লিকার বৌদি সেগুলো প্লেটে সাজিয়ে শঙ্করের সামনে এনে বলেছিল, "শঙ্করদা এই কটা কিন্তু আপনাকে খেতেই হবে। কোনো না শুনব না...।" কিছুক্ষণ পরেই সেই সব খাতির ফুৎকারে উড়ে গিয়েছিল। যখন শঙ্করের মুখ থেকে শোনা গেল, "এমনিতে সব ঠিকই আছে। পাত্রপক্ষ শুধু দু লক্ষ টাকা দাবি করেছে। ওদের আর তেমন কিছু চাই না। দ্যাখো পিসিমা, আজকালকার দিনে বিএ এমএ পাশের সাথে দেখতে শুনতেও চটকদার হতে হবে।না হলে বিয়ের বাজারে কোনো দাম নেই।" সেদিন শঙ্করদার কথাগুলো মল্লিকার নগ্ন পিঠে যেন শপাং শপাং শব্দে চাবুক হয়ে পড়েছিল। কথাগুলো নিজের কানে শুনে মল্লিকা নিজেকে স্থির রাখতে পারেনি। বসার ঘরে ঢুকে সকলের সামনে চিৎকার করে বলেছিল, তার বিয়ের জন্য যেন আর কেউ কোনো চেষ্টা না করে। সে আর বিয়ে করবে না। দু লক্ষ টাকা দিয়ে একজন চাষাকে বিয়ে করার চেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাওয়া অনেক ভাল। 

    এই পরিবারের সকলে যে মল্লিকাকে বোঝা মনে করছে সেটা সে স্পষ্ট বোঝে। সবার সামনে কথাগুলো বলে ছুটে শোবার ঘরে গিয়ে সেদিন খিল দিয়েছিল। উপুড় হয়ে শুয়ে কেঁদে কেঁদে  বিছানার বালিশ ভিজিয়ে ফেলেছিল। নিজেকে ধিক্কৃত করেছিল, কেন পড়াশোনাটা সে শেষ করল না এই ভেবে...। আজ গ্র্যাজুয়েশনটা কমপ্লিট থাকলে একটা ছোটখাটো চাকরি হয়ত জুটিয়ে নিতে পারতো! সারা দুপুর দরজা বন্ধ ছিল। প্রত্যেকেই একবার দরজা খোলানোর জন্য অনেক চেষ্টা করার পরও ব্যর্থ হয়েছিল। সকলের চোখের আড়ালে বন্ধ ঘরের ভেতর কান্না থামতে মল্লিকা নিজের মনকে এক সংকল্পতে আবদ্ধ করিয়ে নিয়েছিল। মল্লিকার জন্য রূপের ঐশ্বর্য ভগবান দেননি ঠিকই। তিনি একেবারে নিরাশও করেন নি। মল্লিকার ভিতরে এক ঈশ্বরদত্ত গুণ ছোট থেকেই ছিল। মল্লিকা স্কুলে পড়াকালীন সেই ক্লাস সিক্স থেকে প্রতিবছরই ম্যাগাজিনে লিখছে। নাইন থেকে টুয়েলভ অবধি চারবছর টানা তার লেখা প্রথম পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিল। কোনোরকমে বারো ক্লাস পেরোনোর পর কেন সে নিজেই জানে না পড়ার ইচ্ছেটা একদমই চলে গেল। মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়েকে কেউ পড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য জোরাজুরিও করে নি। সেজন্যই সেই উনিশ বছর বয়েস থেকে মল্লিকার বিয়ের চেষ্টা চলছে। এর মধ্যেই নিভৃতে গোপনে মল্লিকা একলা থাকলেই নিজের খাতা ভরিয়ে লিখে গেছে। অগুনতি ছোটগল্প। তিনটে বড় উপন্যাস আর কবিতা। ওর লেখা একমাত্র বান্ধবী লিপি ছাড়া মল্লিকার পরিবারের কেউ পড়েনি। কেউ জানতেও চায়নি সে এত কি লেখে! মল্লিকার পরিবারে পড়াশোনার চল নেই বললে ভুল হবে। পড়াশোনা করাটা নেহাতই জীবন চালানোর জন্য। পরিবারের বিনোদন বলতে টেলিভিশনে সিরিয়াল দেখা। সাহিত্য কি? খায় না মাথায় দেয়? তা নিয়ে কারোর মাথা ব্যাথা নেই। মল্লিকা লিখে গেছে ঠিকই। কিন্তু সেই লেখা নিয়ে কখনই কোনো উচ্চাশা ছিল না। বান্ধবী লিপি বরাবরই উৎসাহিত করেছে, লেখাগুলো কোনো পত্রিকাতে পাঠিয়ে দে। চেষ্টা করতে ক্ষতি কি! কিন্তু মল্লিকা সেসব কানে তোলে নি। তার লেখা নিয়ে সে ওইভাবে সিরিয়াস কিছু ভাবতেই প্রস্তুত ছিল না। বন্ধ ঘরের মধ্যে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নেবার পর নিজের বেঁচে থাকার অবলম্বন খুঁজে পাবার চিন্তায় মরিয়া মল্লিকার মাথায় এসেছিল নিজের লেখার কথা।

    নামী দামী সাহিত্যিকদের মাঝে পুরস্কার নিতে মঞ্চে যেতে মল্লিকার কেমন যেন লজ্জা লজ্জা করছিল। এ যাবত প্রায় সাতাশটি উপন্যাস প্রকাশিত। পাঁচটি গল্প সংকলন প্রকাশিত। একটি প্রেসে রয়েছে। বই হয়ে বের হবার অপেক্ষায়। একটি উপন্যাস নিয়ে বাংলা ফিল্ম তৈরি হবার কথাবার্তা শেষের পর্যায়ে। সাতাশ নম্বর উপন্যাসটি নিজেরই জীবনকাহিনী অবলম্বনে নিতান্তই আটপৌরে সাদামাটা অথচ প্রতিবাদী এক মেয়ের বড় হয়ে ওঠার গল্প। সমাজের বুকে ছাপ রেখে যাওয়ার গল্প। কিভাবে যেন, উপন্যাসটি বেস্ট সেলার হয়ে উঠলো। তারপর মল্লিকাকে অবাক করেই হঠাৎ সুসংবাদ, এবছরের 'সানন্দ' পুরস্কারের জন্য তার উপন্যাস "স্বপ্ন উড়ান" মনোনীত হয়েছে। আজ সেই পুরস্কার বিতরণীর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান শহরের এক নামী হ'লে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

    "এবছরের সানন্দ পুরস্কারের জন্য মনোনীত আমাদের সবার প্রিয় লেখিকা মল্লিকা মিত্রকে মঞ্চে আসতে অনুরোধ করা হচ্ছে...।'' ঘোষণাটি শুনে মল্লিকার সম্বিত ফিরলো। হারিয়ে গিয়েছিল পুরানো স্মৃতিতে। ঘর বন্ধ করে সেই সংকল্প করার পরের দিনেই মল্লিকা যদি একগুঁয়ে হয়ে তিনটে বড় পত্রিকায় লেখা না পাঠাতো তবে আজকের দিনটা তার জীবনে নিশ্চিতরূপে আসতোই না। আজ মধ্য বয়সে পৌঁছে আজকের সাহিত্যিক মল্লিকা মিত্র হয়ে ওঠার জার্নিটা মসৃণ তো ছিলই না, উল্টে কণ্টকময় এক দুর্গম পথ পেরিয়ে আসতে গিয়ে মল্লিকার কোমল পা দুটি আজ ক্ষতবিক্ষত। একাকী জীবনে চলতে গিয়ে হাজারো বাধা বিপত্তি সামনে এসেছিল। সংসারের সমস্ত দায় দায়িত্বও একদিন কাঁধে এসে জুটেছিল। আজ বাবা মা দুজনে কেউই বেঁচে নেই। থাকলেও মল্লিকার এই সফল লেখিকা হয়ে ওঠার কৃতিত্বপূর্ণ কাজের কতটা বুঝে উঠতে পারতো তাও অজানা। সঙ্গে শুধু আজ ভাইঝি তিতলি আর সর্বক্ষণ সঙ্গে থাকা সাহায্যকারিনী সঙ্গীতা রয়েছে। তিতলিই হাত ধরে মঞ্চ অবধি এগিয়ে দিয়ে গেল। প্রৌঢ় প্রথিতযশা সাহিত্যিক বীরেন্দ্র সেনগুপ্তের হাত থেকে পুরস্কার নিয়ে, মল্লিকা তাঁকে প্রণাম করলো। অনেক গণ্যমান্য সাহিত্যিকরা মল্লিকার সম্পর্কে প্রচুর ভাল ভাল কথা বললেন। শেষে মল্লিকার যখন কিছু বলার পালা এলো, তখন তার গলা ধরে এলো। একবুক কান্না ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইলো।

    মঞ্চের ওপর অনেক কষ্টে আবেগটুকু সামলে মল্লিকা বলা শুরু করল। নিজের প্রথম জীবনের সমস্ত কথা যতটা বলা যায় সেই সব। অবিবাহিতা থেকে জীবনযুদ্ধে একাকী লড়াই করার কথা। সর্বোপরি অতি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের অতি সাধারণ এক মেয়ের অসাধারণ হয়ে ওঠার নেপথ্যের নানান কাহিনী ফুলের পাপড়ির মত ছড়িয়ে পড়ছিল হ'লের কোনায় কোনায়। মল্লিকা মিত্র শেষের দিকে আজকালকার সব মেয়েদের উদ্দেশ্যে একটা কথা বলে নিজের বক্তব্য শেষ করলেন, 
    "কখনো কারোর কাছে, কোনো কিছুর জন্য নিজের মাথা নত করবে না। জীবনে কি করতে চাইছ সেটার লক্ষ্য স্থির করো। যদি বিবাহিত জীবনকেই বেছে নিতে চাও তাহলে মন দিয়ে সংসারটা কোরো। আর নাহলে, জীবনে যদি কিছু হয়ে ওঠবার তাগিদ অনুভব করো। তারজন্য মরণপণ লড়াইয়ে নামার জন্য নিজেকে প্রস্তুত কোরো। নিজের লক্ষ্যের প্রতি যদি অবিচল থাকো সাফল্য আসবেই। আর সেই লক্ষ্যের পথে যেই বাধাই আসুক না কেন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিও... জীবন সংগ্রাম কখনও বিফল যায়না। সাফল্য তার নিজের নিয়মেই একদিন আসবে। আসতে তাকে হবেই.. জীবনে সবাই জয়ী হও। এই কামনা করি। সত্যম শিবম সুন্দরম।"
    ____________
    ©রজত দাস 

    (বিশ্বের সব নারীদের উদ্দেশ্যে নারী দিবসের উপহার)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন