এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • স্মৃতি ও বাড়ি খোঁজা

    Suvasri Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৮৫০ বার পঠিত
  • এটা একটা স্মৃতিকথা। খুব সামান্য এক মানুষের যার নাম শুভশ্রী, পদবী রায়, ডাকনাম মৌ।

    বাড়িভাড়া, কলকাতায় থাকা এ সব নিয়ে ভয়াবহ স্মৃতি আছে আমার। আমার জন্ম দক্ষিণ কলকাতায়। গোলপার্কের ও দিকে একটা জায়গায়। মামারবাড়িটা ওখানেই ছিল।
    বাবার তো রাজ্য সরকারে বদলির চাকরি। আমার জ্ঞান হয় সোনামুখীতে। ওখানেই হেলথ সেন্টারে আমার বোনের জন্ম। দুই বোনের মধ্যে বয়সের তফাত দু' বছর আট মাস। যাই হোক, ওই সময়টায় মফস্বল শহরগুলোতে কম টাকায় ভালো বাড়ি পাওয়া যেত। সোনামুখীতে বেশ বড় একটা বাড়িতে থাকতাম আমরা। সেটার কথা বেশি মনে নেই। একটা টানা বারান্দা ছিল মনে পড়ে। পরে সেই বাড়িটা ছেড়ে আরেকটা বাড়িতে যাই। সেটার কথা অনেক বেশি মনে আছে।

    এই দ্বিতীয় বাড়িটা সত্যিই বড় ছিল। বিরাট উঠোন, তার ওপাশে বড় বড় ঘর। ঘরগুলোতে কুলুুঙ্গি ছিল, আগেকার দিনের বাড়িগুলোয় থাকত। ওপরে বিরাট ছাদ। ছাদের ও দিকে রাস্তার ওপর একটা সজনে গাছ যার ডালগুলো ছাদে ঝুঁঁকে পড়ত। একেক দিন রাতে মা ছাদে নিয়ে গিয়ে আমাকে ভাত খাওয়াত। মনে আছে, এক রাতে লোডশেডিং হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে মা আমাকে বলল - তুুুমি এখানে বসে থাকো, আমি তোমার খাবারটা নিয়ে আসি। বসেছিলামও আমি শান্ত হয়ে তবে খুব ভয় লাগছিল। চারপাশে চাপচাপ অন্ধকার। ভয়ের সঙ্গে সেই প্রথম পরিচয়। কত বয়স তখন আমার? বড় জোর সাড়ে তিন!

    এই বাড়িটার বিরাট উঠোনে গর্ত করে জল ভরে বাবা বড় বড় রুপালি খেলনা মাছ ভাসিয়ে দিত। দুই মেয়েকে আনন্দ দেওয়ার জন্য মাঝেমাঝে বড়সড় মাটির ঘোড়ার বিয়ে দিত। কে না জানে, বাঁকুড়ার পোড়া মাটির কাজ বিখ্যাত। বাড়িটার কাছাকাছি একটা কুমোরের দোকান ছিল। সেখানে এক দিন এক মাটির কাঠবেড়ালির মুখে কুঁচফলের চোখ লাগানো হচ্ছিল। সেই ছোট্ট বয়সেই আমার কৌতূহল বেশি ছিল, এখানকার মতো। অবাক হয়ে দেখে জিজ্ঞাসা করেছিলাম - কী লাগাচ্ছ গো? এখানেই আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় খেলনা ছোট্ট ছোট্ট মাটির পুতুল প্রথম দেখি। ইঞ্চি দুয়েকের এই সব পুতুল এখনো আমার ভীষণ প্রিয়।

    বাবা দু' হাজার তিন না চার সালে একবার সোনামুখী গিয়েছিল। তখন বাবাকে এগুলো আনতে বলে দিয়েছিলাম। এগুলো চিরাচরিত, অপূর্ব এবং আমার শৈশবের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। খুবই যত্ন করে রাখি। সোনামুখীতে মিষ্টির দোকানগুলোতে শালপাতায় মিষ্টি দিত। উনিশশো চুয়াত্তর পঁচাত্তর সালের কথা বলছি।

    কাঁচা শালপাতার একটা অসামান্য সুন্দর গন্ধ আছে। অপূর্ব সেই গন্ধের কারণে জীবনেও ভুলব না মিষ্টির দোকানে বসে রসগোল্লা খাওয়া। রসগোল্লার স্বাদ ভুলে গেছি কিন্তু শালপাতার গন্ধ মৃত্যুর আগে অবধি মনে থাকবে। ভজ বীটের বিখ্যাত রসগোল্লার কথা বাবা-মা খুব বলত। ওহ্ বলতে ভুলে গেছি, সোনামুখীতেই এক পাঠশালায় আমার বিদ্যারম্ভ।

    সোনামুখীতে একটা পরিবারের সঙ্গে আমাদের আত্মীয়সুলভ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরিবারের মাথা প্রৌঢ়াকে আমরা দিদা বলতাম। দিদা ছিলেন বিধবা। সব সময় সাদা থান পরতেন। তাঁর দুই ছেলে সুনীলকাকু ও দেবুকাকুকে মনে পড়ে। অার এক ছেলে অন্য জায়গায় থাকতেন। তাকে কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না। দিদার এক মেয়ের নাম মনে আছে। তিনি সবার ছোটো রাণুপিসি। বাকিদের নাম তত নাম মনে নেই। সুনীলকাকু ছিলেন খুব হাসিখুশি। বাড়িতে ঢুকেই চিৎকার করে বলতেন, "স্যাকারিন সা পিটারিন সা দুষ্টু হো গয়া!" ওঁনার গলা পেয়েই এক দেড় বছরের মামন ওনার দিকে দৌড়ে যেত আর উনি মামনকে কোলে তুলে নিয়ে আদর করতেন। সুনীলকাকুর বিয়েটাও একটু একটু মনে পড়ে। অনিমা কাকিমাকে দেখিয়ে আমি সুনীলকাকুকে বলেছিলাম- ওই দেখো, তোমার বৌ বসে আছে। সম্ভবত এই বিয়েটার সময়ই দিদাকে একটা রঙীন শাড়ি পরে বসে সব্জি কাটতে দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তার কারণ, দিদা সব সময় সাদা থান পরতেন। হয়তো বিয়ে উপলক্ষ্যে লোকসমাগম হওয়ায় বাড়িতে পরার থানগুলো সে দিন খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
     ওনাদের বাড়িটা ছিল বিরাট। পুরনো ধাঁচের বড় বাড়ি। সামনে দোতলায় লম্বা টানা রেলিং দেওয়া বারান্দা। বারান্দার রেলিংগুলো এখনো মনে পড়ে। ভেতরে অনেকখানি জায়গা, উঠোন। আমরা সোনামুখী ছেড়ে চলে আসার সময় দিদা, সুনীলকাকু সবার খুব মনখারাপ হয়ে গিয়েছিল।
      আমরা কলকাতায় আসার পর সোনামুখীর দিদা আমাদের সব বাড়িতে এবং টবিন রোডের কাছাকাছি বাবা-মায়ের সাধের সরকারি কোয়ার্টারেও এসেছেন। সোনামুখীর দিদা আমাকে ও আমার বোন মামনকে খুব ভালোবাসতেন। কত আদর করতেন! বাবা মারলে কোলে নিয়ে আদর করতেন। হায়, সোনামুখীতে সোনার সময় এক দিন ফুরিয়ে গেল!

    বাবা কলকাতায় বদলি হওয়ার পর আমরা বাড়ির সমস্যায় পড়লাম। সেই সময় মফস্বলে কম টাকায় ভালো বাড়ি ভাড়া পাওয়া গেলেও কলকাতায় পাওয়া যেত না। এখন অবশ্য মফস্বল শহরগুলোতেও কম ভাড়ায় বড় বাড়ি পাওয়া যায় না। যাক গে, ছোটবেলায় ফিরে যাই। মহানগরীতে অাসার পর আমরা অনেক কষ্ট ভোগ করেছি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোনো রকমে এক দেড়খানা ঘরে থাকা। কিছু দিন পর বাড়ি বদল। তখন এই ছিল আমাদের জীবনের গল্প।

    অনেক পরে বাবার মুখে শুনেছি, বাড়িওয়ালার অত্যাচারে ঘন ঘন বাড়ি বদল করতে হত। আমার অবশ্য "বাড়িওয়ালার অত্যাচার" মনে নেই। তার একটা কারণ - আমি তখন ছোট, অত বুঝতাম না। দ্বিতীয় কারণ - শৈশবে সবাই নিস্পাপ থাকে। আমার নিস্পাপ মন ও সব জটিলতা টের পেত না।

    তখন সরকারি কর্মচারীদের মাইনে কম ছিল। সামান্য মাইনেতে বাবা কলকাতায় চালাতে পারছিল না। আর্থিক কষ্ট থেকে প্রায় দিন মায়ের সঙ্গে চেঁচামেচি করত। অন্য দিকে মা চেষ্টা করেও চাকরি পাচ্ছিল না। বিয়ের আগে চাকরি করত অবশ্য। বিয়ের পরে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় কারণ বাবার বদলির চাকরি।

    আমার স্পষ্ট মনে আছে, বাবা রেগে গিয়ে মা-কে বলছে - তুমি ঠোঙা বিক্রি করো। আমি আর চালাতে পারছি না। অর্থাভাব ছিল প্রবল। এর মধ্যে অব্যাহতি দিয়েছিল ঠাকুমার কাছ থেকে পাওয়া এক ট্রাঙ্ক কাঁসার বাসন। মা মাঝেমাঝেই বাবাকে একটা করে বাসন বার করে দিত। বাবা সেটা বিক্রি করে চাল-ডাল, মাছ নিয়ে আসত।

    আমার যখন সাত বছর বয়স তখন মা চাকরি পায়। তখনো বাড়ির কষ্ট ভোগ করছিলাম আমরা। দক্ষিণ কলকাতায় ভালো বাড়ি পাওয়া সোজা নয়। বাবার মুখে শুনতাম, পূর্ববঙ্গ থেকে আসা মানুষজন সমস্ত ফাঁকা বাড়ি ভাড়া নিয়ে নিয়েছে। মায়ের চাকরিটা ছিল দক্ষিণ কলকাতার এক স্কুলে। এ দিকে আমরা তখন একটা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দেড়খানা ঘিঞ্জি ঘরে ভাড়া থাকতাম। সরকারি কোয়ার্টারের জন্য আবেদন করে রেখেছিল বাবা তবে সেটা পাওয়া সময়সাপেক্ষ।
    বাবা মা হন্যে হয়ে বাসযোগ্য একটা বাড়ি খুঁজছিল কিন্তু পাচ্ছিল না। দক্ষিণে আমাদের যত আত্মীয়-পরিচিত-বন্ধু সবাইকে বলা হয়েছিল কিন্তু ফল হয়নি।
    আমার স্পষ্ট মনে আছে, একদিন বাবা বাইরে থেকে এসে হেরে যাওয়া গলায় বলল - "সবার হাতেপায়ে ধরলাম তবু কেউ একটা বাড়ি দেখে দিল না।"

    তারপরে এক দিন বাবা সরকারি কোয়ার্টার পেয়ে গেল। শহরের পুরো উল্টো প্রান্তে টবিন রোডের কাছাকাছি সেই কোয়ার্টার পেয়ে বাবা-মা আনন্দে পাগল পাগল হয়ে গিয়েছিল। মনে পড়ে, বাবা বলেছিল - মন্ত্রীর পিওনকে একশো টাকা বখশিশ দিলাম।

    দক্ষিণে শেষ বাড়িটা ছিল কাঁকুলিয়া রেল ক্রসিং পার হয়ে। রাস্তাটার নাম মনে নেই।

    সেখান থেকে চলে এলাম টবিন রোড। তখন বুঝিনি। অনেক পরে বুঝেছি, আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল এ কে মুখার্জি রোডের ওই সরকারি আবাসনে কাটানো সাড়ে এগারো বছর। তবে "গভর্নমেন্ট কোয়ার্টার" পেয়ে বাবা-মায়ের অসীম আনন্দ যেহেতু "বাড়িওয়ালা বলে কিছু নেই আর চব্বিশ ঘন্টা জল"!
    মা বরানগর থেকে যোধপুর পার্কের স্কুলে যাওয়া আসা শুরু করল। পরিশ্রম বাড়ল। মায়ের সকালে স্কুল। ভোর সাড়ে পাঁচটায় বেরতো। একটা নাগাৎ ফিরত।
    এত দিন দুই বোনেই মায়ের স্কুলে পড়তাম। টবিন রোডে এসে আমি সিস্টার নিবেদিতা স্কুলে ভর্তি হলাম। সেটা ১৯৮১ সাল, পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হলাম। দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া মামন সেই বছরটা মায়ের সঙ্গে পুরনো স্কুলে গিয়েছিল। পরের বছর সেও নিবেদিতায় ভর্তি হ'ল।
    উনিশশো বিরানব্বই - এর ১০ মে থেকে আমরা পাইকপাড়ার এই ফ্ল্যাটে অটল। এটা বাবার কেনা।
    এখন অবশ্য আমি একাই থাকি।
    দক্ষিণ কলকাতায় কখনো আশ মিটিয়ে থাকা হয়নি আমার। স্থায়ী দক্ষিণ বাস হ'ল না এ জীবনে। বিরাট আফশোস। সেই আফশোস নিয়েই মরব। কে জানে পরজন্ম বলে কিছু আছে কিনা। শুনেছি দেহের মৃত্যু হয় কিন্তু বাসনা চিরন্তন, অদম্য, মৃত্যুহীন।
    আমার দক্ষিণবাস-বাসনা পূরণের ব্যাপারটা পরজন্ম নামক ধোঁয়াশার কাছেই গচ্ছিত থাকল!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Rahul Ghosh | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:০৬528744
  • লেখাটা পড়তে আগ্রহী হলাম। কিন্তু প্রথম লাইনের পরে আর কিছু তো দেখা যাচ্ছে না! 
  • র২হ | 96.23.***.*** | ০১ মার্চ ২০২৪ ০৯:৪৬528935
  • দেখা যাচ্ছে তো! প্রথমে হয়তো পোস্ট করতে কিছু সমস্যা হয়েছিল।
     
    ভালো লাগলো।একেকটা বাড়ি, বাড়ি বদলের সঙ্গে যে কত স্মৃতি জুড়ে থাকে।
  • Arindam Basu | ০১ মার্চ ২০২৪ ১০:১০528937
  • "আমার দক্ষিণবাস-বাসনা পূরণের ব্যাপারটা পরজন্ম নামক ধোঁয়াশার কাছেই গচ্ছিত থাকল!"
    আপনার দক্ষিণ কলকাতায় থাকার ইচ্ছেপূরণ হোক। 
     
    তবে কি জানেন, আজকাল যখন কলকাতায় যাই, মনে হয় যে কলকাতাকে আমি ছোট থেকে চিনতাম,  যে শহরটায় বড় হয়েছি (so-called দক্ষিণ কলকাতা), সেই শহরটা আর নেই । 
    উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম, যাই বলুন। 
     
  • Rahul Ghosh | ০১ মার্চ ২০২৪ ১১:৪৫528941
  • হ্যাঁ, এখন দেখা যাচ্ছে। উনি নিশ্চয়ই পরে বাকিটা যোগ করেছেন।
  • kk | 2607:fb90:eab2:c595:cd4d:6d7e:49e5:***:*** | ০২ মার্চ ২০২৪ ০০:৫৫528966
  • ভালো লাগলো পড়তে। সৎ, স্ট্রেট ফরোয়ার্ড লেখা। লেখকের অনুভূতি সুন্দর বুঝতে পারলাম।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:68bb:fff7:dd27:***:*** | ০২ মার্চ ২০২৪ ০১:৪১528967
  • সুন্দর 
  • :|: | 174.25.***.*** | ০২ মার্চ ২০২৪ ০৪:৫৯528972
  • নিষ্পাপ। 
    "আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল এ কে মুখার্জি রোডের ওই সরকারি আবাসনে কাটানো সাড়ে এগারো বছর।" আরও গল্প জানতে মঞ্চায়। 
  • ইন্দ্রাণী | ০২ মার্চ ২০২৪ ০৮:২১528975
  • খুব ভালো লাগলো।
    প্রথম লাইনটাই তো কী অন্যরকম!
    তারপর প্রকাশভঙ্গি, চিত্রকল্প, এক একটা লাইন... মনে থাকবে অনেকদিন।

    আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকব।
  • তরুণ কুমার কর্মকার | 2409:4088:8701:1d4d:81a5:5c6b:d8d9:***:*** | ০৯ মার্চ ২০২৪ ১৬:৩২529143
  • আরও লিখুন...ভালো লাগল।
  • প্রবাল বসু | 2409:4060:ec6:28eb::ac88:***:*** | ০৯ মার্চ ২০২৪ ১৮:৪৪529147
  • আপনার স্মৃতির পাতায় চোখ রেখে আমিও হারিয়ে গেলাম আমার জীবনের ফেলে আসা দিনগুলিতে। হতাশ হবেন না দিদি। একজীবনে মানুষ সবকিছু পায় না। আসলে, আমরা সকলেই মেনে নেওয়া এবং মানিয়ে নেওয়ার মাঝেই গোটা জীবন কাটিয়ে দিতে বাধ্য হই। এটাই বাস্তব। 

  • শুভশ্রী রায় | 2401:4900:3148:2bae:0:4b:482d:***:*** | ০৯ মার্চ ২০২৪ ১৯:২০529149
  • যাঁরা যাঁরা লেখাটি পড়ে মূল্যবান মতামত দিয়েছেন তাঁদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন।
  • শিবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় | 2402:3a80:1c8a:2e97:594e:a818:2593:***:*** | ১০ মার্চ ২০২৪ ১০:১৫529192
  • শুভশ্রী রায় বরাবরই আমার অন্যতম প্রিয় লেখক ও কবি।
    এই লেখা পড়ে আরো একবার মুগ্ধ হলাম।
  • শমীক সরকার | 103.***.*** | ১০ মার্চ ২০২৪ ১০:৪৩529194
  • লেখা কখনও আনন্দ, কখনও মুক্তির আস্বাদ দেয়। এত সহজ, সরল ঝরঝরে কথায় আত্মস্মৃতি পড়ে মনে হলো চোখের সামনে যেন ভেসে উঠছে দৃশ্যগুলো। আপনার আরো লেখার অপেক্ষায় থাকলাম। নমস্কার।  
  • Rouhin Banerjee | ১০ মার্চ ২০২৪ ১৫:৪৯529203
  • বাঁকুড়ার সোনামুখী। একবারইবড়  গেছি, তাও কয়েক ঘন্টার জন্য মাত্র। কিন্তু মনে আছে। আবার কখনো যাব কি না, জানিনা।

    বড় সুন্দর লেখাটি - নির্মল, ঝরঝরে। মন খারাপ আর ভালো করে দিল একই সাথে।
  • চিত্তরঞ্জন হীরা | 2409:4060:2181:6816:d4ad:3925:1dff:***:*** | ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২৪530699
  • এই স্মৃতিকথা পড়তে ভালো লাগছে। পরবর্তী ক্লাইম্যাক্স-এর অপেক্ষায় রইলাম।
  • দীপংকর রায় | 2405:201:8003:d162:140:dc28:d8dd:***:*** | ০৯ জুন ২০২৪ ০৮:১৫532931
  • আমরা বোধহয় ভাবি জীবনের কষ্ট গুলো সত্যিই খুব খারাপ। মনেও হয় এই কষ্টের দিন বোধহয় কাটবে না। সবাইয়ের যে কেটে যায় এমনও নয়। কিন্তু যারা সেই দুঃখের দিন গুলো কাটিয়ে এগোতে সক্ষম হয়, তারাই সাফল্য লাভ করে। আজ যেমন আপনি কিছু লিখতে পারেন। এইসব মশলাগুলো তো জীবনের চলার পথে অর্জন করা। দু:খে আমি না যেন করি ভয়। এই ভাবনা নিয়ে চলতে পারলে সাফল্য আসবেই। সরল রৈখিক জীবনের তেমন কোন দাম নেই। কারণ অভিজ্ঞতা কম। 
    আপনার লেখা বেশ ভালো লাগলো। 
  • Suvasri Roy | ০৯ জুন ২০২৪ ০৯:২৭532934
  • @দীপংকর রায়
       সুচিন্তিত মন্তব্য পড়লাম। আপনার সঙ্গে আমি একমত । জীবনে ওঠাপড়া, মোচড় এবং বাধা না এলে সেই বেঁচে থাকা একদমই পানসে। বাধার সঙ্গে লড়াই করতে করতে জেদ বেড়ে যায়। জীবনের পথে পড়ে যাওয়ার পরে নিজে নিজে উঠে দাঁড়ানোর জন্য যতটা মনের জোর ও জেদ দরকার তা কিন্তু বইয়ের পাতায় থাকে না। তাই সে শিক্ষা অমূল্য এবং অপরিহার্য। তার পরেও বলব, একেক জনের জীবনে সংগ্রাম অতিরিক্ত বেশি আবার কারুর কারুর তুলনামূলক কম। 
      সে যাই হোক, বাধার সঙ্গে লড়াই যেন আমাদের ভেতরটা তেতো না করে তোলে, আমরা যেন সিনিকাল হয়ে না পড়ি।
      শুভেচ্ছা রইল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন