এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বিজেপি র তিন জাদু অস্ত্র :-

    Souhardya Kar লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৮০২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • সাম্রাজ্যবাদী লগ্নি পুঁজির অতি মুনাফার স্বার্থে ফ্যাসিকরণ চলছে ভারত রাষ্ট্রের। কমবেশি সমস্ত সংসদীয় দলই লগ্নি পুঁজির স্বার্থে ফ্যাসিবাদী আক্রমণ নামাচ্ছে শ্রমজীবী জনগণের উপর। তবে সেই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা শক্তি হল বিজেপি। ২০১৪ য় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কোথাও টাকা ছড়িয়ে, কোথাও আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জাতীয় হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলোর সাংগঠনিক ভিত্তি কাজে লাগিয়ে সাংগাঠনিক বিস্তারও  করেছে তারা। এর সাথেই চলেছে বিরোধ স্বর দমন, গুপ্তচর সংস্থা, পুলিশ কে কাজে লাগিয়ে নানান ষড়যন্ত্র ফেঁদে গণআন্দোলনের কর্মীদের বেআইনিভাবে আটক, দীর্ঘদিন বিনা বিচারে জেলবন্দী রাখা। বিজেপি এই সকল কর্মকাণ্ড চালাতে অতি দক্ষভাবে ব্যবহার করছে তিনটে অস্ত্র - ১) প্রচার মাধ্যম  ২) CBI/ED ৩)NIA । দেখা যাক কিভাবে! 

    প্রচার/অপপ্রচার :- 

    প্রচার বা মিথ্যা প্রচার বিজেপির জুড়ি মেলা ভার। বিজেপির অপপ্রচারের সহজ সরল নীতিই হচ্ছে, একটি মিথ্যা দিনে দশবার সত্য বলে জনগণের সামনে পরিবেশন করা হলে, একটা বড়ো অংশের জনগণ সেটাকেই সত্য ভাববে। মিথ্যা প্রচারের কন্টেন্ট মূলত মুসলিম বিদ্বেষ, "হিন্দু খতরে মে হ্যায়", বিজেপিই একমাত্র হিন্দুদের রক্ষক। এই তিনটে মিথ্যা ন্যারেটিভকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে আরো শতাধিক মিথ্যা ন্যারেটিভ, কমিউনিস্টরা হিন্দুবিদ্বেষী এবং ইসলামী মৌলবাদীদের পৃষ্ঠপোষক, গণআন্দোলনের কর্মীর পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এর থেকে আর্থিক সাহায্য পায়, মানবাধিকারকর্মীরা বিদেশি ফান্ডিং পায়, মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা দশটা করে শিশু প্রসব করে ২০৫০ এর মধ্যে দেশের জনসংখ্যার ৯০% এর অধিকারী হয়ে যাবে তারা, মুসলিম যুবকরা পরিকল্পনামাফিক হিন্দু মেয়েদের প্রেমের জালে ফেলছে। 

    যদিও কেবলই মুসলিম বিদ্বেষেই থেমে থাকে না তারা। আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে এই হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলোর মাথায় রয়েছে সবর্ণ হিন্দু, মূলত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় বড়ো জমির মালিক ও দালাল পুঁজিপতিরা। নিজেদের শ্রেণী আধিপত্য টিকিয়ে রাখতেই ব্রাহ্মণ্যবাদী সামন্ততান্ত্রিক মূল্যবোধ, সংস্কৃতির প্রচার প্রসারও করে তারা। তাই রিজার্ভেশন বা নারীদের সমানাধিকার এর মত গণতান্ত্রিক দাবিদাওয়া গুলোকেও নানান ভাবে আক্রমণ করে তারা, এই সংক্রান্ত অপপ্রচারও চলে ভালো মত। এছাড়াও স্থান ও কাল বিশেষে চলে ক্রিষ্টান, শিখ বিদ্বেষী অপপ্রচার।  একদিকে যেমন চলে মুসলিম, দলিত, আদিবাসী, নারী বিদ্বেষী প্রচার, অপরদিকে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বিরোধী প্রচারের নামে চলে ব্রাহ্মণ্যবাদী সামন্ততান্ত্রিক সমাজের সুখ্যাতি। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকভাবে ঈঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কাছে সমর্পন হয়ে যাওয়া  হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিবাদী বিজেপির পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বিরোধী প্রচারের উদ্দেশ্য যদিও আলোকপ্রাপ্তির যুগের, আধুনিক, যুক্তিবাদী চিন্তাকাঠামোকে আক্রমণ করা। বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বদলে ভাববাদী দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা। গণতান্ত্রিক চেতনা, মানবাধিকার ও মার্ক্সবাদ কে বিদেশ থেকে আমদানি করা মতাদর্শ হিসেবে অপপ্রচার চালানো। এবং একথা অনস্বীকার্য যে, বিজেপি আইটি সেল যে দক্ষতার সাথে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই অপপ্রচার গুলো পৌঁছে দিতে সক্ষম, সে তুলনায় আমরা শতকোষ পিছিয়ে। 

    এই গেল অপপ্রচারের কন্টেন্ট। তার ফর্ম নিয়েও সামান্য আলোচনা থাক। হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি থেকে শুরু করে দেশের নামি দামি ইউনিভার্সিটি, বিজেপি র অপপ্রচার চলে সমস্ত স্তরেই। হোয়াটসঅ্যাপ এ মিম, ছোট চটকদার লেখা, ফটোশপে এডিট করা ছবি শেয়ার হয় আইটি সেলের তৈরী লাখ লাখ গ্রুপের সদস্যদের কাছে। পথচলতি, ট্রেনে, বাসে, ট্রামে ঝুলতে ঝুলতে যাওয়া মানুষকে মিথ্যা পরিবেশনের জন্য রয়েছে ইউটিউব শর্টস, ফেসবুক রিলস, সোস্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। আবার বৌদ্ধিক চর্চার রসদও জোগাচ্ছে তারা। ইতিহাস থেকে শুরু করে বিজ্ঞান, সবেরই গেড়ুয়াকরণ চলছেই। ইতিহাসের গেড়ুয়াকরণ নিয়ে আলোচনা হয় হামেশাই। তবে বিজ্ঞানের গেড়ুয়াকরণ  নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়না। হয়ত মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে স্পষ্টতার অভাবেই হয় না। যেমন বিজ্ঞান চেতনা ও প্রযুক্তিগত শিক্ষাকে গুলিয়ে ফেলা। বিজ্ঞান চর্চা থেকে সত্যেন্দ্রনাথ বোস, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, মেঘনাদ সাহার বদলে স্থান দখল করছে উলঙ্গ সাধুদের সামনে হাতজোড় করে বসা আব্দুল কালাম। একইভাবে ডারউইনের যুগান্তকারী বিবর্তন তত্ত্বকেও আজ আক্রমণ করছে হিন্দুত্ববাদীরা‌। এ ছাড়াও রয়েছে অসংখ্য সংবাদ মাধ্যম, যা আদতে বিজেপির প্রচার মাধ্যম হিসেবেই কাজ করে। 

    CBI/ED :- 

    ভারতে এমন কোনো সংসদীয় রাজনৈতিক দল নেই, যারা ক্ষমতায় এসেও তাদের নেতানেত্রীরা দূর্ণীতিগ্ৰস্ত হয়নি। রাজ্য সরকার, কেন্দ্র সরকার তো দূর কি বাত, সামান্য পঞ্চায়েত প্রধান, কাউন্সিলর পদ থেকেই দূর্ণীতির হাতেখড়ি হয়ে যায় "গণতান্ত্রিক" ভারতবর্ষের সংসদীয় রাজনীতিতে। তৃণমূল স্তর থেকেই চলে জনগণের উপর জুলুমবাজি, চোখ রাঙানি। কিন্তু জোর যার মুল্লুক তার। বর্তমানে কেন্দ্রের ক্ষমতাকে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে মরিয়া বিজেপি। আসলে ফ্যাসিবাদের উত্থান হয় এভাবেই, চোর ছ্যাঁচড় দের জুলুমবাজিতে বিরক্ত জনগণ কর্তৃক তাদের বাটাম পেটা করিয়ে মসনদের দখল নেয় ডাকাতরা। ভারতের "সংসদীয় গণতন্ত্রের" নিয়ম ছিল যে কাক কখনও কাকের মাংস খাবে না। অর্থাৎ শাসক শ্রেণীর মধ্যেকার দ্বন্দ্ব যতই প্রকট হোক, এবং তার ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেকার দোষারোপের পালা যতই দীর্ঘ হোক, রাষ্ট্র ক্ষমতার জোরে বিরোধী অংশকে সরাসরি জেলবন্দী করার উদাহরণ, একমাত্র জরুরি অবস্থা ছাড়া তেমন নেই। বাংলার ক্ষেত্রেই যদি দেখি, সাতাত্তরে ক্ষমতায় আসার আগে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার আগে সিপিআইএম ই কি কম গলা ফাটিয়েছিল তৎকালীন রাজবন্দীদের উপর হওয়া অমানবিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে, কুখ্যাত ধর্ষক ও খুনি রুণু গুহ নিয়োগির বিরুদ্ধে? কিন্তু ক্ষমতায় এসে কি হল? শাস্তি পেল তৎকালীন সিপিআইএম ও নকশালপন্থী কর্মীদের খুন করা কংগ্রেসি নেতা ও পুলিশ অফিসাররা? উত্তর টা না। তেমনই ফের কয়েক দশক পর, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, লালগড় এ ঘটে যাওয়া রাষ্ট্রীয় গণহত্যার বিরুদ্ধে যে গণপ্রতিরোধ গড়ে ওঠে, তাকে "হাইজ্যাক" করেই ক্ষমতায় আসে তৃণমূল, তারপর শাস্তি পেল সেসব গণহত্যাকারীরা? উত্তরটা নাবাচক। এটাই সংসদীয় রাজনীতির চেনা ছক, মানুষ দশকের পর দশক ধরে এটাই দেখেছে। বিজেপি রাষ্ট্র ক্ষমতার বলে বলিয়ান হয়ে এই বোঝাপড়া ভেঙে, আজ প্রায় সমস্ত NDA জোট বিরোধী দলের বাহুবলী নেতাদের পিছনে CBI/ED লেলিয়ে দিয়েছে। এতে করে একদিকে যেমন ব্যপক জনগণের ক্ষোভ প্রশমিত হল এবং বিজেপি একটা দুর্ণীতি বিরোধী "ইমেজ" তৈরী করে তাদের সমর্থন পেল অপরদিকে বিরোধী দলগুলোর একাকটা স্তম্ভ ভেঙে পড়ল।  এইভাবেই সংসদীয় রাজনীতিতে বিজেপি একক শক্তি হিসেবে সমস্ত ক্ষমতার দখল নিতে চাইছে।

    NIA :- 

    ভোট সর্বস্ব রাজনীতির বাইরেও ভারতে এমন কিছু বিপ্লবী ও গণতান্ত্রিক শক্তি আছে যারা সত্যিই  সমাজ বদলের স্বপ্ন আঁকড়ে লড়াই চালাচ্ছে। তারা কেউ শ্রমিক, কৃষক তো কেউ ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, আইনজীবী, সমাজকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী। তারা কেউ লড়ছে আদিবাসীদের জল জঙ্গল জমি ইজ্জত রক্ষা, আদিবাসীদের সায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য, কেউ শাসক দলের মাফিয়াদের থেকে চাষের জমি বাঁচাতে, কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে, কেউ কল কারখানায় শ্রমিকদের ন্যায‌্য মজুরির দাবিতে, কেউ স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বেলাগাম বেসরকারিকরণের ফলে ফিজ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে তো কেউ দলিতদের অধিকারের পক্ষে। কিছুদিন আগেই আমরা দেখেছি যে উত্তরপ্রদেশের, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সংগ্রামী বামপন্থী শিক্ষার্থী সংগঠন Bhagat Singh Students Morcha র কর্মীদের ঘরে তল্লাশি চালায় এবং তাদের লিফলেট, ল্যাপটপ, কয়েকজন কর্মীর ফোন বাজেয়াপ্ত করে NIA। একইদিনে মানবাধিকার কর্মী সীমা আজাদ, আইনজীবী বিশ্ব বিজয়, ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী রীতেশ কে বেআইনিভাবে আটক রেখে জেরা করে NIA। 

    তারা সৎ, আদর্শের সাথে আপোষহীন। তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির দায় দেওয়া যাবে না। তাই তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রদ্রোহ এর মিথ্যা মামলা রুজু করে বিনা বিচারে জেলবন্দী রাখার পথ বেছে নিয়েছে বিজেপি। বিজেপি কার্যত প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী আন্দোলন ও তাদের ব্রাহ্মণ্যবাদী ফ্যাসিবাদ বিরোধী স্বর দমন করতে মুক্ত হস্তে UAPA দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে NIA কে। আমরা ভীমা কোরেগাও ষড়যন্ত্র দেখলাম, যেখানে মাওবাদী তকমা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জেলে বন্দী রাখা হল দেশের বিভিন্ন রাজ্যের অধ্যাপক, আইনজীবী, সমাজকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মীদের। এখনও বন্দী আছেন বহু গণআন্দোলনের কর্মী। ঝড়খন্ডের বিস্থাপন বিরোধী লড়াই এর কর্মী, ফাদার স্ট্যান স্বামী কে NIA মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে শেষমেষ সুচিকিৎসার অভাবে হত্যা করল তাঁকে। বিজেপি তথা তদন্তকারী এজেন্সি NIA র মিথ্যা প্রচার অনুযায়ী এরা সকলে "আর্বান নকশাল", তাই এনাদের কোনো মানবাধিকার রক্ষার প্রয়োজন নেই। 

    বর্তমানে এই আর্বান নকশাল ন্যারেটিভকেই আরো বিস্তৃত করে নতুন শব্দ আনা হয়েছে, "কলমধারী নকশাল"। এই কলমধারী নকশাল কারা? দেশি বিদেশি বৃহৎ কর্পোরেটদের স্বার্থে বিজেপির ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুত্ব ফ্যাসিবাদী এজেন্ডার বিরুদ্ধে যেই প্রশ্ন তুলবে, সেই কলমধারী নকশাল। এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আরো কঠোর আইন আনছে বিজেপি। কেন্দ্র ও রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসারদের সাথে নিয়ে সুরজকুণ্ড রণনৈতিক প্রকল্প নামে এক নতুন আক্রমণের নীল নকশা সাজিয়েছে তারা। NIA কে আরো আক্রমণাত্মক করার পরিকল্পনা রয়েছে এতে। ইতিমধ্যেই প্রতিটা রাজ্যে NIA  র দফতর খোলা হয়েছে। গণআন্দোলনের কর্মীদের উপর চলবে নজরদারি এবং বিজেপি বিরোধী যেকোনো স্বরকেই "সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে উস্কানি" হিসেবে দমনের চেষ্টা চলবে বা ইতিমধ্যেই চলছে বলা যায়। 

    দেশি বিদেশি বৃহৎ কর্পোরেটদের স্বার্থে, দেশের জল জঙ্গল জমি, খনিজ সম্পদ, কায়িক ও বৌদ্ধিক শ্রম, ফ্যাসিবাদী  বিজেপি  সমস্ত কিছুর সস্তার ভাণ্ডারে পরিণত করছে দেশকে। হিন্দুত্ববাদীরা তাদের শাখা প্রশাখা আজ ছড়িয়ে ফেলেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। সামরিক, প্রসাশনিক, বিচার, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, শিক্ষা সমস্ত বিভাগের উচ্চপদেই তাদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন