এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন দর্শন

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ২৫৪ বার পঠিত
  • Philosophy of life বা জীবন দর্শন একটি বহুল প্রচলিত শব্দ। বিশেষ করে মহাপুরুষ বা সমাজের প্রতিষ্ঠিত লোকেদের সম্পর্কে কথাটি বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু - এই বৃত্তটাকেই জীবন বলে আখ্যা দেওয়া হয়। আবার এই পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি থেকে আজ অব্দি বিবর্তনের যে বৃত্ত, সেই বৃত্তকেও জীবন বলে আখ্যা দেওয়া যায়। জীবন অর্থে সচল, একটি প্রাণ যেমন মৃত্যুর আগে অব্দি সচল, তেমনি প্রাণীকুলও সচল। প্রাণীকুলেরও জন্ম এবং মৃত্যু থাকে। ডাইনোসর এই পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হয়েছে, অর্থাৎ সেই ডাইনোসর গোষ্ঠীর জন্ম-মৃত্যুর বৃত্ত পূর্ণ হয়েছে। মানবজাতি পৃথিবীতে এখনও বিদ্যমান, অর্থাৎ মানবকুলের জীবন-বৃত্ত পূর্ণ হয়নি।

    প্রজ্ঞার অনুসন্ধান এবং চর্চাই দর্শন এবং জীবন দর্শন বলতে সারাজীবন অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি প্রজ্ঞার অনুসন্ধান ও চর্চা করাকে বোঝানো হতে পারে। যদি জিজ্ঞেস করা যায় যে, কেনো সারাজীবন ধরে প্রজ্ঞার অনুসন্ধান করে যাবো? তাহলে উত্তর আসে, কর্ম যখন আছে তখন উদ্দেশ্য কিছু না কিছু থাকবেই। এবার প্রশ্ন হলো, সেই উদ্দেশ্যটা কি? প্রাণীকুল ধরলে বলতে হবে, সেই উদ্দেশ্য হলো, এই পৃথিবীতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা। পৃথিবীতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য প্রজ্ঞার অনুসন্ধান করা, জ্ঞানের নিরন্তর চর্চা করা। এটা একদিকে যেমন সমষ্ঠিগত চর্চা তেমনি একক চর্চাও বটে। আবার একক প্রাণীর কথা ভাবলে পৃথিবীতে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি তার নিজস্ব স্বপ্নের বাস্তবায়ন করার নিরন্তর প্রচেষ্টাও বটে। একজন মানুষ জন্মের পর থেকেই প্রকৃতিগত ও পারিপার্শ্বিকগতভাবে প্রাপ্ত কিছু স্বপ্নের লালন পালন করে। এই স্বপ্নের সাথে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কোনো সম্পর্ক নেই। সারাজীবন সে সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটে বেড়ায় এবং তার বাস্তবায়নের চেষ্টায় মত্ত থাকে। সেই স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়িত করার জন্য নিরন্তর জ্ঞানের দরকার পড়ে, প্রজ্ঞার দরকার পড়ে। এই জ্ঞানের সাথে পুঁথিগত বিদ্যার কোনো সম্পর্ক নেই, এই জ্ঞান সম্পূর্ণভাবেই প্রকৃতি থেকে আহরিত। স্বপ্ন ছাড়া মানুষের জীবন অর্থহীন। সমষ্টিগত জীবনের থেকে ব্যক্তিগত জীবন এখানে অনেক বড়। আত্মকেন্দ্রিকতা এখানে মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ। আগে সে আত্মকেন্দ্রিক তারপরে সে সমষ্টিকেন্দ্রিক।

    জীবনের অর্থ খোঁজার এবং বোঝার যে প্রয়াস মানুষ করে চলেছে অনাদি অনন্তকাল ধরে, তাকে মূলতঃ দুইভাগে ভাগ করা হয়। অস্তিত্ববাদ বা existentialism এবং অযৌক্তিকবাদ বা absurdism। এরমধ্যে ঈশ্বরের অস্তিত্বের কোনো স্থান নেই। ঈশ্বরবাদী এবং নিরীশ্বরবাদীর মধ্যে এখানে কোনো পার্থক্য নেই। জীবনের অর্থ যারা খুঁজতে জানে আর যারা জীবনের কোনো অর্থের তত্বে বিশ্বাস করে না। যারা বিশ্বাস করে না তারা শুধু জানে জীবনকে উপভোগ করতে। কিন্তু এসব হলো জীবন দর্শনের দার্শনিক তত্ব। তত্বের মধ্যে না গিয়ে যদি সারাংশটুকু বা নির্যাসটুকু বের করে আনা যায় তাহলে, মানবজাতির এক অংশ জীবনের অর্থ খুঁজে বেড়ায় অর্থাৎ প্রজ্ঞার অনুসন্ধান করে বেড়ায় আর এক দল ওসবের মধ্যে না গিয়ে জীবনকে উপভোগ করে। এখন প্রশ্ন হলো এই দ্বিতীয় দলের সারা জীবনকে বিশ্লেষণ করলে কি তাদের কোনো জীবন দর্শন পাওয়া যায় না? উত্তর হলো, নিশ্চয়ই পাওয়া যায়। জীবনকে উপভোগ করাটাও তো একটা দর্শন। জন্মের পরে মৃত্যু অবধি কোনো না কোনো উদ্দেশ্য নিয়েই তো এগিয়ে যাই আমরা। যে সমাজবিরোধী বা সন্ত্রাসবাদী তারও কোনো দর্শন থাকে, মানে সেও কোনো না কোনো উদ্দেশ্য নিয়েই এগিয়ে চলে, যাপন করে তার মানব জীবন।

    আর তত্বের কথা ছাড়া যারা আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজী হন না, তারা প্রকৃতিগতভাবে জীবনের অর্থহীনতাকে আবিষ্কার করতে গিয়ে টেনে আনেন Existentialism বা অস্তিত্ববাদ তত্ত্বের। গত শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় তত্ত্ব ছিল এটি, যা মানুষকে তার ব্যক্তিসত্তা সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। এ তত্ত্বের ধারণাটি প্রথম দেন সোরন কিয়ের্কেগার্দ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জ্যঁ পল সার্ত্রে এবং আলবেয়ার কামুর হাত ধরে ফ্রান্সে জনপ্রিয় হয়। এই তত্ব অনুসারে, মানুষ নিজের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে জীবনের অর্থ ও উদ্দেশ্য খুঁজে নেয় এবং তার যে কোন কার্যকলাপের জন্য সে নিজেই দায়ী থাকে। সেক্ষেত্রে বলা যায়, "What is the meaning of life? প্রশ্নের উত্তর হতে পারে, "Whatever you want it to be."

    অস্তিত্ববাদ মতে, ব্যাক্তিসত্তা সার্বিক সত্তার পূর্বগামী এবং নৈতিকতা বা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে অস্তিত্ববাদীরা অতিমাত্রায় আত্মকেন্দ্রিক। সুতরাং জীবনের অর্থ হল শুধুমাত্র একক ব্যক্তির জন্য। সেটা হতে পারে নিরীশ্বরবাদী হয়ে কিংবা পরকাল এবং নিজের কর্মফলে বিশ্বাস করার মাধ্যমে। ধর্মও এটাকে পুঁজি করে নিজস্ব ধারণা তৈরী করে নিয়েছে। পশ্চিম বিশ্বে Christian Existentialism একটা জনপ্রিয় ধারণা। আলবেয়ার কামুর Absurdism তত্ত্বের ধারণাটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে। তিনি মানুষের জীবনের অর্থ জানার আগ্রহ এবং অক্ষমতা দুইটার মধ্যে যে দ্বন্দ সেটাকে Absurd বলে অভিহিত করেছেন। Absurdity বলতে এখানে 'লজিক্যালি ইম্পসিবল' বোঝানো হচ্ছে না, বরং 'হিউম্যানলি ইম্পসিবল' বোঝানো হয়েছে। তার মানে মানব জীবনের সার্বজনীন অর্থ যে নেই তা কিন্তু নয়। অর্থ হয়ত থাকতে পারে, কিন্তু সেটা মানুষ এবং মহাজগতের অস্তিত্বগত বৈশিষ্ট্যের মিশ্রণের কারণে বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। তাই মানুষ Absurdity এর মুখোমুখি হয়েও জীবনের কোন অর্থ বের করতে পারে না। কিয়ের্কেগার্দ এবং কামু এই Absurdity কাটিয়ে ওঠার ৩টি সমাধানও দিয়েছেন।
    (১) আত্মহত্যা করা, নিজেকে শেষ করে দেয়া। জীবনের অর্থ থাকা না থাকার দ্বন্দে আত্মহত্যা করা বা না করার মধ্যে কোন বিবেচ্য পার্থক্য থাকে না।
    (২) ধর্মে বা অলৌকিকতায় বিশ্বাস করা। ধর্মের শাস্ত্র বা নীতি দিয়ে জীবনের অর্থ রচনা করা তথা পরকাল ও কর্মফলে বিশ্বাস করা এবং সে মতে জীবন যাপন করা।
    (৩) Absurdity এর মধ্যেই জীবন কাটিয়ে দেয়া। যুক্তিবাদীদের কাছে এটাই সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত। কামুর মত অনেক Absurdists মনে করেন, মানুষের জীবনের Absurdity কে মেনে নিয়েই পাশাপাশি জীবনের অর্থ খোঁজার কাজটা চালিয়ে যাওয়া উচিত।

    আর জীবনের অর্থ নিয়ে সবচেয়ে ভাল উক্তিটি হয়ত Colorado State University-এর দর্শনের প্রখ্যাত প্রফেসর Donald A. Corsby-এর দেয়া এই উক্তিটি,
    "There is no justification for life, but also no reason not to live. Those who claim to find meaning in their lives are either dishonest or deluded. In either case, they fail to face up to the harsh reality of the human situation".
    "জীবনের কোন অর্থ বা যৌক্তিকতা নেই। তাই বলে জীবন উপভোগ না করারও কোন কারণ নেই। যারা জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়েছে বলে দাবী করে তারা হয় মিথ্যা বলছে অথবা কোন মিথ্যা বিষয়ে বিশ্বাস করছে। দু'টো ক্ষেত্রেই তারা মানব জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে মোকাবিলা করতে বিফল হয়।"

    এবার যদি আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তাহলে প্রথমেই বলতে হয়, সব মানুষেরই একটা নির্দিষ্ট জীবন দর্শন আছে। এমনকি প্রাণীকুলেরও নিজস্ব এবং নির্দিষ্ট জীবন দর্শন আছে। ভালো বা খারাপ - দুটোই সেই জীবন দর্শনের অঙ্গ হতে পারে। মানুষের মধ্যে নিহিত স্বপ্নই সেই জীবন দর্শনকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কেউ স্বপ্ন দেখে ভালো খেলোয়াড় হবে, কেউ স্বপ্ন দেখে ভালো অভিনেতা হবে, কেউ স্বপ্ন দেখে ভালো শিল্পী হবে, কেউ স্বপ্ন দেখে ভালো চাকুরী করবে, কেউ স্বপ্ন দেখে দেশসেবা করবে। সেই স্বপ্নগুলোই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায় তার লক্ষের দিকে। কেউ সফল হয় আবার কেউ হয় না। আমরা বিফলের স্বপ্ন বা জীবন দর্শন নিয়ে আলোচনা করি না কারণ এখানেও সেই স্বপ্ন। মানুষের ভিতরের স্বপ্নকে জারিত করার জন্যেই সফলের সাফল্যকে তুলে ধরি সকলের সামনে। আরও আরও মানুষ সেই সাফল্যে জারিত হতে পারে, অনুপ্রাণিত হতে পারে, আরও বেশী করে স্বপ্নে বিভোর হতে পারে। অস্কার পিস্টোরিয়াস-এর সাফল্যকে ততদিন আলোচনা করি যখনও তিনি তার বান্ধবীকে খুন করেননি। এই খুনের ঘটনা সামনে আসার পরে আর তার সম্পর্কে আলোচনা করি না। আজহারউদ্দিন বা অজয় জাদেজার সাফল্য নিয়েও ততদিন আলোচনা করি যতদিন তাদের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবর জনসমক্ষে আসেনি। সুধা চন্দ্রন-এর সাফল্য কিন্তু আজও আলোচিত। ছোটখাটো পদস্ক্ষলন হয়তো এক্ষেত্রে বিবেচিত হয়না। ঋত্বিক ঘটক বা কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় বা রামকিঙ্কর বেইজ নইলে আমাদের আলোচনায় আসত না কোনোদিন।

    কারুর জীবন দর্শনের প্রভাবে কারুর স্বপ্ন যদি বাস্তবায়িত হওয়ার পথে কিছুটা এগিয়ে যায় সেটাই আলোচনার সাফল্য এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য। সেই কারণেই মহাপুরুষ এবং সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের জীবন দর্শন আমরা বারেবারে আলোচনা করি। গত ১৩ই জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচার-এর বিবেকানন্দ হলে আয়োজিত হলো প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অধ্যাপক কাত্যায়নীদাস ভট্টাচার্য্যের (১৯১৭-১৯৬৬) চতুর্থ স্মারক অনুষ্ঠান। যেখানে আলোচিত হলো, সত্যজিৎ রায়ের জীবন-দর্শন। আলোচনায় ছিলেন সত্যজিৎ-পুত্র এবং স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক সন্দীপ রায় এবং বিশিষ্ঠ লেখক ও চলচ্চিত্র সমালোচক শ্যমীক বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনায় উঠে এলো সত্যজিতের সৃষ্টিসমগ্রের মধ্যে দিয়ে তাঁর জীবনের প্রজ্ঞার অনুসন্ধান পর্ব। সৃষ্টিশীল মানুষেরা আহরিত প্রজ্ঞাকে তাঁদের সৃষ্টির মাধ্যমেই জনসাধারণের সামনে তুলে ধরেন, নিজ অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিকে ভাগ করে নেন বিশ্ববাসীর সাথে। ফলে সৃষ্টিশীল মানুষের সৃষ্টিকে এবং তাঁর সৃষ্টিসত্তাকে বিশ্লেষণ করলেই তাঁর জীবন দর্শনের আকৃতি গড়ে ওঠে আমাদের মানসপটে। দেড়ঘণ্টা ব্যাপী আলোচনায় ঋদ্ধ হলাম আমরা সবাই। সত্যজিতের সৃষ্টির বিপুল সম্ভার নিয়ে আলোচনা নিশ্চয়ই মাত্র দেড়ঘণ্টায় সম্ভব নয়, তবু যতটা পারা যায় সেই চেষ্টা করেছেন দুজনেই। শ্রোতাদের পিপাসাকে থামতে হয়েছে কিছু বৈষয়িক কারণে, নইলে সারারাত পেরিয়ে গেলেও সে আলোচনা পাহাড় প্রমাণ বাকী থেকে যেত। আয়োজক হিসেবে অধ্যাপক ভট্টাচার্য্যের সুযোগ্য চার পুত্র এবং তাঁদের পরিবারকে ধন্যবাদ জানাতেই হয় শহরবাসীকে এমন একটি সন্ধ্যা উপহার দেওয়ার জন্য।









    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন