এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • দেশ বিভাজনের খেলা (প্রথম পর্ব)

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৭৩ বার পঠিত
  • পৃথিবীর মানচিত্র ক্রমে ক্রমে বদলে যায়। এক দেশ ভেঙে গড়ে ওঠে নতুন কোনো দেশ। আবার দুইটি বা তার বেশী দেশ মিশে যায় একে অপরের সাথে। মানব সভ্যতার পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাস দেখলে এইরকম উদাহরণ শত শত পাওয়া যায়। সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে নিতান্তই একদিনের খবরের কাগজের হেডলাইন। তার বেশী কিছু নয়। ইতিহাস বইয়ের পৃষ্ঠায় আরো অতিরিক্ত একটি বাক্যের সংযোজন। 

    এক রাজা অন্য রাজাকে পরাস্ত করে তার রাজ্য নিজের রাজ্য সীমানায় অন্তর্ভুক্ত করলেও সেই একই ইতিহাস। আদিম যুগ থেকেই অন্যের রাজ্য দখল বা নিজের অধীনে নিয়ে আসার ইতিহাস চলে আসছে। অন্যের ওপর নিজের প্রভাব বিস্তার করার ইচ্ছে বা আকাঙ্ক্ষা আমাদের জন্মের পর থেকেই। এতে অন্যের মনের অবস্থা কি হয় আমার জানার প্রয়োজন পড়ে না, কিন্তু নিজের পাশবিক আকাঙ্ক্ষা পূর্ণতা পায়, এক হিংস্র আনন্দে মন ভরে ওঠে। ধর্মের কারণেও পৃথিবীর ইতিহাসে রাষ্ট্র দ্বিখণ্ডিত হয়েছে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান আমাদের প্রথম এবং প্রধান চাহিদা। ধর্ম কোনোদিনই মানুষের প্রাথমিক চাহিদার তালিকায় ছিল না এবং থাকবেও না। কিন্তু সেই ধর্মের নামেও রাষ্ট্র দ্বিখণ্ডিত হয়েছে। একটি রাষ্ট্র যখন গড়ে ওঠে তখন সেই রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষ একটি অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রনৈতিক, সাংস্কৃতিক আটচালার মধ্যে বসবাস করতে শুরু করে। ক্রমে ক্রমে সেই পরিবেশ বা আবহাওয়ায় সিঞ্চিত হতে থাকে এবং তার শিকড় শেফার্ডস গাছের মত (মাটির নীচে ২৩০ ফুট অব্দি এই গাছের শিকড় পাওয়া যায়) মাটির বহু নীচে প্রোথিত হতে থাকে। 

    ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদাহরণ দিতে গেলে বলতে হয়, আমার জন্ম-কর্ম, বেড়ে ওঠা সবই বহরমপুর শহরে। মধ্য-চল্লিশে এসে সেই শহরের শিকড়কে ছিঁড়ে কলকাতায় এসে নতুনভাবে বসবাস শুরু করেছিলাম। দশ বছর হতে চললো, এখনও সেই শিকড় পাথরকুচি গাছের মতো মাটির ওপরেই ভেসে রয়েছে, মাটির গভীরে যেতে পারেনি। আমার পিতৃদেব ওপার বাংলা থেকে ছোট বয়সে নিঃসহায় অবস্থায় এদেশে এসে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে শেষ অব্দি বহরমপুর শহরে এসে থিতু হয়েছিলেন। প্রায় আশি বছর বহরমপুর শহরে বসবাস করে ইহলোক ত্যাগ করেছেন। তবুও তাঁর শিকড় সেই পাথরকুচি গাছের মতো মাটির ওপরেই ভেসে থেকেছে জীবনের শেষ দিন অব্দি। মনে প্রাণে তিনি এই বাংলার হতে পারেননি কখনও।

    চারা গাছ এক জায়গা থেকে তুলে অন্য জায়গায় লাগালে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই যেমন বাঁচে না, মানুষের ক্ষেত্রেও সেই একই দশা হয়। চারা গাছের অনেক পরিচর্যা করে হয়তো আমরা নতুন জায়গায় বাঁচিয়ে তুলি, মরতে দিই না, কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে সেইরকম হয় না। বেঁচে থাকতে হবে বলেই বেঁচে থাকতে হয়। মৃত্যু তো ডাকলেই আসেনা। ফলে বেঁচে থাকতে হয়, কিন্তু সেই বাঁচার মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দ থাকে না। দেহটাকে বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়।

    Migration-এর আভিধানিক অর্থ অভিপ্রয়াণ, কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়াকেই বলে অভিপ্রয়াণ। কিন্তু বানানটি এখানে লক্ষ করার মতো। প্রয়াণ মানে তো মৃত্যু। তাহলে কি ধরে নেওয়াই হচ্ছে যে, প্রাণীকুল একস্থান থেকে অন্যস্থানে গেলে মৃত্যু অবধারিত? আবার "অভি" কথার অর্থ "সাদৃশ্য" হয় এবং "সমীপ" হয়। অর্থাৎ মৃত্যু-সদৃশ বা মৃত্যু-সমীপ। মানুষের মনের হদিশ যদি আমরা করতে পারতাম তাহলে অর্থটি একশো শতাংশ সত্যি। 

    আমরা যারা পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে বসবাস করি তাদের অধিকাংশের পূর্বপুরুষেরাই ছিলেন অধুনা বাংলাদেশের বাসিন্দা। হয় ভারতবর্ষ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার আগে-বা-পরে নতুবা পাকিস্থান দ্বিখণ্ডিত হয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টির আগে-বা-পরে বাংলাদেশ ছেড়ে এই বাংলায় আগমন তাদের। কয়েক পুরুষ ধরে তারা সেই দেশের, সেই মাটির, সেই গ্রাম-বা-শহরের বাসিন্দা ছিলেন। চেনা পরিবেশ, চেনা মাটি, চেনা জলবায়ু, চেনা মানুষগুলো কেমন পাল্টে গেলো হঠাৎ করে। চেনা মুখগুলো হঠাৎ করেই ঘাতকের আসনে উপবিষ্ট হয়ে গেল। প্রতিবেশীর দরজা থেকে বেড়িয়ে এলো হাজার হাজার শত্রু। ছুট..., ছুট..., ছুট..., সবকিছু ফেলে দিয়ে এক-বস্ত্রে পরিবার-পরিজনসহ দিগন্ত-জোড়া মাঠের ভেতর দিয়ে, সবুজ ধান-গাছগুলোকে মাড়িয়ে, ডহর পেড়িয়ে সোজা ছুট। কেউ পড়ে থাকলো পেছনে, কেউ পা ভাঙলো, কারুর মাথা ফাটলো। কাউকে তুলে নিয়ে গেল খান-সেনারা। পেছন ফিরে দেখা গেল না। ছুটতে ছুটতে বহুদূর এসে, বর্ডারে পৌঁছে পড়তে হলো দালালের খপ্পরে। বর্ডারে পৌঁছে হুঁশ এলো, পরিবারের সদস্য-সংখ্যা কমতে কমতে এসে অর্ধেকের নীচে নেমে গেছে। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো নতুন সমস্যা এসে হাজির হল, টাকা না দিলে ওপারে যাওয়া যাবে না। পকেটে টাকা নেই তো কি দেবে তারা? টাকা নেই তো বউ আছে, বোন আছে, মা আছে, দিদি আছে। তাদের ইজ্জত আছে। সমস্ত ধন-সম্পদ, বাড়ী-ঘর, মান-সন্মান-ইজ্জত ধুলোয় মিশিয়ে এদেশে এসে নতুন নামকরণ হল, "রিফিউজি"। এদেশে এসে পড়তে হল সরকার-বাহাদুরের পাল্লায়। কোনো দলকে পাঠিয়ে দেওয়া হল হ্যাভলক দ্বীপে, কোনো দলকে মরিচঝাঁপি। খাবার নেই, পড়ার মতো জামাকাপড় নেই, জল নেই, প্রাতকৃত্য করার জায়গা নেই, মেয়েদের লজ্জা বাঁচানোর ন্যূনতম আড়াল নেই। এর ওপর সরকারী লোকেদের অত্যাচার। দলে দলে লোককে জোর করে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে জাহাজে বা ট্রেনে। গন্তব্য হ্যাভলক বা মরিচঝাঁপি। আবার ছুট...., ছুট...., ছুট....। চব্বিশ পরগনা বা নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তরবঙ্গ। যারা রংপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী থেকে প্রথমেই মুর্শিদাবাদ বা নদীয়া বা উত্তরবঙ্গে যেতে পেরেছেন তাদের অত সমস্যা হয়নি। কিন্তু যারা ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল থেকে কলকাতা বা পাশের কোনো এলাকায় এসেছিলেন তাদের যে কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে সেসব লিখে বোঝানোর মত নয়। আবার ওদিকে সিলেট, চট্টগ্রাম এলাকা থেকে যারা আসাম, ত্রিপুরা বা মেঘালয়ে এসেছিলেন তাদেরও কষ্ট লিখে বোঝানো যাবে না।

    নতুন, শুধুই নতুন জায়গা। কোনো জায়গায় থিতু হয়ে বসবাস করা যায় না। বিভিন্ন রকমের অত্যাচার, কোথাও সরকার বাহাদুরের, কোথাও স্থানীয় দাদা-ক্লাব-নেতাদের। চৱৈবেতি, চৱৈবেতি। থিতু হয়ে মানুষের মত জীবনযাপন শুরু করতেই দু-তিন বছর চলে গেছে সেই মানুষগুলোর, আবার কোথাও কোথাও আরও বেশী। শহর বা গ্রামের কোনো শেষ প্রান্তে হয়তো একটু থিতু হওয়া গেল, কিন্তু তখনও মাথার ওপর ছাদ নেই, দুবেলা দু-মুঠো অন্নের স্থিরতা নেই। সরকার বাহাদুরের কোনো সাহায্য নেই। সেই "শেষ প্রান্ত" গুলোর নামকরণ হল "রিফিউজি কলোনি" বা "১ নং কলোনি" বা "২ নং কলোনি" ইত্যাদি। সেই দুর্দশার বর্ণনা করা এই কলমের ক্ষমতার বাইরে। "কোমলগান্ধার" সিনেমায় ক্যামেরার ট্রলিটা লালগোলা ট্রেন লাইনের ওপর দিয়ে চলতে চলতে হঠাৎ করে যখন লালগোলা ঘাট স্টেশনের (এখন আর নেই সেই স্টেশন)  কাছে ট্রেন লাইন শেষ হওয়ার বেড়ায় "কাট" হয়ে যায়, তখন বুকটায় যে হাহাকারের বিদ্যুৎ ছলকে ওঠে, সারা পৃথিবীটা ঘন কালোয় ঘনিয়ে আসে, চোখের কোণগুলো রুপোলি  রঙে রেঙে ওঠে, তারই নাম "বিভাজন"।

    রাজনৈতিক নেতাদের কাছে অবশ্য "রিফিউজি" কথার অর্থ একটি "ভোটার"। মাঝে মাঝে একটু সহানুভূতির বক্তৃতা, দু-চারটে লেপ-কম্বল দান আর ভোটের আগে কিছু প্রতিশ্রুতি। কলোনির মধ্যে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই, জলনিকাশী ব্যবস্থা নেই, মল-মুত্র পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেই, নেই, নেই, নেই, কিছুই নেই। আছে শুধু কিছু ভোটার। অবশ্য ভোটারের সুবিধা-অসুবিধার কথা, মনের-ব্যথার কথা, স্বচ্ছলতার কথা কেইবা ভেবেছে এই দুনিয়ায়?

    মন ফিরে যায় পুরোনো সেই গ্রামে, পাড়ায়, বাড়িতে, যেখানে শান্তি ছিল, স্বস্তি ছিল, দুবেলা দু-মুঠো খাদ্যের স্থিরতা ছিল। পরিবারের যে লোকজনেরা এদেশে আসতে পারেনি, যাদের খান-সেনারা তুলে নিয়ে গেছে বা ইজ্জত খুইয়ে যারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে, তাদের জন্য মন উদাস হয়ে ওঠে। সেই সবুজ ক্ষেত, বর্ষায় দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি, নৌকা বা ডিঙ্গিতে করে মাছ ধরা, কত কিছু মনে পড়ে যায়। এদেশ বড়ই রুক্ষ। কথায় কিরকম রুক্ষতা, সেই বাউলের গান, ভাটিয়ালির গান, জলের ছপ-ছপ শব্দ সারাদিন ধরে, মুড়ি-নারকেল, কচুর-লতি, ইলিশ মাছের-মাথা, চিতলের-মুইঠ্যা, ধইন্যা পাতার চাটনি, কোথায় সেসব?

    সেই দেশটা এখন বিদেশ, যেতে গেলে কত ঝামেলা, পাসপোর্ট-ভিসা কত কি! আবার যে ফিরে যাবো সেই গ্রামে, সেই ভিটায়, তারও কোনো উপায় নেই। একবার কোনক্রমে প্রাণটা নিয়ে আসতে পেরেছি, তারা আবার সামনে পেলে মৃত্যু নিশ্চিত। দিদিটা নেই, মা নেই, তাদের ইজ্জত নিয়েছিল ওই খান-সেনারা। ওদেশে ফিরে গেলে মা-দিদিকে কি উত্তর দেব? আর এদিকে দু মুঠো খাবার জোগাড় করা যায়না সারাদিনে, ছোটো মেয়েটা বড় হচ্ছে দিন-দিন, তার লজ্জা-নিবারণের জন্য একটা ফ্রক কিনে দেওয়ার পয়সা নেই। একবেলা ফ্যানে-ভাতে খেয়ে রাত্রে জল খেয়ে শুয়ে পড়তে হয়। কোনদিকে যাবো? এই দেশভাগের প্রয়োজন কি ছিল? এইরকমই ভাবনা-চিন্তায় সারাদিন মগ্ন থাকতে হয় রিফিউজিদের।

    দেশভাগ হয় রাজনৈতিক নেতাদের জমিদারি ভাগাভাগির মত। তাদের নিজেদের স্বার্থে, করে-কম্মে খাওয়ার জন্য। নেপোতে মারার জন্যেই তো গোয়ালা দই বানায়। গোয়ালার কষ্ট তো বইয়ের পাতায় লেখা থাকে না। নেপোর হই-হুল্লোড়ের কথাই ইতিহাসের ছাত্ররা জানে। আর গোয়ালার প্রজন্ম তো বটেই তারপরের দুই-তিন প্রজন্মের জন্য লেখা থাকে শুধুই লড়াই, লড়াই আর লড়াই। আগামী কোন্ প্রজন্মে গিয়ে যে একটু থিতু হয়ে সুখের মুখ দেখতে পারবে, সংসারে স্বচ্ছলতা আসবে, সকালে ঘুম থেকে উঠে আর লড়াইয়ের কথা ভাবতে হবে না, তা ঈশ্বরই জানেন।

    আবার নতুন করে যে দেশের সৃষ্টি হয়, সেই দেশের নাগরিকদেরও পড়তে হয় নতুন সমস্যায়। হয়তো বেশ কয়েক লক্ষ লোককে মেরে বা দেশ থেকে তাড়িয়ে নিজেদের মনমতো পরিবেশ বানিয়ে নিতে পারে। কিন্তু দেশের ভাবি অর্থনৈতিক দুরবস্থাকে রুখবে কার সাধ্য? সেই দুরবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে এক উজ্জ্বল দেশ তৈরী করতে একশো বছর লেগে যায়। সুতরাং তারাও যে দুধে-ভাতে থাকে তাও নয় একেবারেই। লাভ হয় শুধুমাত্র রাজনীতির কারবারিদের।

    "দাদা, আমি বাঁচতে চাই.... ই... ই", নীতার আকুতি পাহাড়ের গায়ে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। শঙ্কর কি করবে বুঝে উঠতে পারে না, কিন্তু সেও তো বোনকে জীবিত আর সুখী দেখতেই চায়। "মেঘে ঢাকা তারা" সিনেমায় দাদা-বোনের এই কথোপকথন দেশ-বিভাজনের এক চরম পরিনতির উদাহরণ।

    তবুও আমরা মত্ত দেশ-বিভাজনের উন্মত্ত খেলায়, নাগরিক-মন গোল্লায় যাক, নাগরিক-জীবন রসাতলে যাক। লক্ষ-লক্ষ নীতা তৈরী হোক এ সমাজে, লক্ষ-লক্ষ পাথরকুচি গাছ তৈরী হোক। শিকড়ের কি কোনো প্রয়োজন আছে? বরং শিকড় যত আলগা হবে ততই নেতাদের ভোট-ব্যাংক বাড়বে, নিশ্চিন্ত হবে তাদের রাজসিক জীবন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন