প্রথম যেদিন এই ফ্ল্যাটে আসি, সেদিন সবকিছু ছেড়ে মন ছুঁয়ে গিয়েছিল এই একফালি বারান্দাটুকু। দক্ষিণখোলা ফ্ল্যাটে এক টুকরো বারান্দা। তখন ফ্ল্যাটে ইন্টেরিয়র কাজ চলছিল। তাছাড়া আমার প্রথমদিন। তোমার ফ্ল্যাটে ঢুকে ভীষণ সলজ্জ ছিলাম। তুমি ঘুরে ঘুরে সব দেখাচ্ছিলে। এটা আমাদের বেডরুম। ওটা কিচেন। এটা অ্যাটাচড আর ওটা কমন বাথরুম। সবই দেখেছিলাম সলজ্জ দৃষ্টির অন্তরালে। তখন কি আর ভেবেছিলাম, এই একফালি বারান্দাটুকুই আমার শ্বাস নেওয়ার অন্তঃস্থল হয়ে উঠবে! সেদিনই স্বপ্ন দেখেছিলাম গাছগাছালিতে ভরিয়ে তুলব, আমাদের সাধের বারান্দায়। করেও ছিলাম তাই। বোগেনভেলিয়া, গোলাপ, মানিপ্ল্যান্ট যেমন ছিল তেমনি দেশি গাঁদা কিংবা জবাকেও সযত্নে ফুটিয়ে তুলেছিলাম। ওপাশের ফ্ল্যাটের অনামিকা বৌদিতো কথায় কথায় প্রশংসা করতেন। একটু ঈর্ষাও হয়ত মনে মনে পুষতেন।
বারান্দাতে বিকেল কিংবা সন্ধ্যায় গিয়ে বসতাম। পাশের বড় দীঘির ওপর দিয়ে ভেসে আসা দখিনা বাতাসটুকু আলগোছে সারা শরীরে মেখে তৃপ্ত হতাম। ভোরবেলা উঠে স্নান সেরে প্রত্যেক ক'টা গাছে আগে জল দিতাম। পরে অন্য কাজ। কাজ বলতে সেরকম তো কিচ্ছু করতে হত না। বিনু মাসি একটা কুটো পর্য্যন্ত আমায় নাড়তে দিত না। সারাটা দিন সংসারের সমস্ত কাজ সেরে রাতের খাবার গুছিয়ে তবে বিনু মাসির ছুটি। ড্রয়িংরুমে রাখা বইয়ের শোকেসগুলোর সবকটা বই কবে যে শেষ করে ফেলেছিলাম, বুঝতেই পারিনি! ওই বইগুলো আর দক্ষিণের বারান্দাটাই তো আমার সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিল। বিকেল থেকে সন্ধ্যে। সন্ধ্যে থেকে রাত অবধি ওই একফালি গাছগাছালি ভরা বারান্দাটুকু যেন আমায় নেশাগ্রস্ত করে তুলেছিল।
পূর্ণিমা রাতে বড় দীঘির টলটলে জলে চাঁদের আলো পড়ে প্রতিবিম্ব তৈরি হত। আমি শুধু প্রাণ ভরে দেখতাম। শিরশিরে মেদুর এক অদ্ভুত গন্ধ মাখা ওই দখিনা বাতাসটুকু গায়ে লাগলেই বোধহয় মাতাল হয়ে যেতাম। দূরের রাস্তা দিয়ে একের পর এক গাড়ির সাঁ সাঁ শব্দ করে চলে যেত। গাড়িগুলোর সেই যাওয়াটাও বোধহয় মাদকতা তৈরিতে ইন্ধন যোগাতো।
বিকেলবেলায় বারান্দায় এসে বসলে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় কিংবা কণিকা বন্দোপাধ্যায়ের রবীন্দ্রসঙ্গীত চালিয়ে দিতাম। আমাদের বিল্ডিংয়ের পাশের সরু রাস্তা দিয়ে যে-ই যাক না কেন, সে তার অন্তর ভরে গানের রেশটুকু নিয়ে তবে যেত। অনামিকা বৌদির হাজব্যান্ডকে লক্ষ্য করতাম। ওঁর বোধহয় আমার বারান্দার সবকিছুই ভাল লেগে যেত। একদিন বৌদি নিজেই বলে ফেলেছিলেন বলে জানতে পেরেছিলাম। আসলে উনিও তো শিল্পী মানুষ তাই আমাদের বারান্দাতে হয়ত কোনো শিল্পের ছোঁয়া খুঁজে পেতেন! গভীর রাত অবধি ওঁর বাজানো সেতার কতদিন ওই বারান্দায় বসে বসে শুনেছি। কি ভাল যে বাজান উনি। তা ভাষায় প্রকাশ করা বোধহয় সম্ভব নয়। আর হবে না-ই বা কেন? দেশ বিদেশ জুড়ে ওঁর শ্রোতা ছড়িয়ে, শুনেছি। মাঝে মাঝেই নানান লোকজন এসে ওঁদের ফ্ল্যাটে ভিড় জমায় দেখেছি। ভেবেই বেশ ভাল লাগত বিখ্যাত শিল্পীর প্রতিবেশী আমি।
সেই কোন ছোটবেলায় আমিও তো ওরকম কিছু একটা হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। তাই বোধহয়...! সেই চারবছর বয়েসে বাবার হাত ধরে গিয়ে গানের স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। ছোট ছোট অনুষ্ঠানে ডাক পড়ত। সকলেই বলত, আমার গানের গলাটা নাকি খুব মিষ্টি। স্কুলে পড়তে পড়তে ভাবতাম, আমিও গায়িকা হবো। নাম ডাক হবে। সকলে আমায় চিনবে। সেসব আর হল কই?
কলেজের ফার্স্ট ইয়ারেই তোমার প্রেমে পড়ে ভেসে গিয়েছিলাম। তোমায় প্রথম দেখে মনে হয়েছিল আকাশের সূর্য্যটাকে বুঝি মাটিতে পেয়েছি। মনে পড়ে, যেদিন তুমি আর আমি প্রথম সেন্ট্রাল পার্কে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেদিন আমি অপলক দৃষ্টিতে শুধু তোমার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। দেখার আশ বোধহয় কিছুতেই মিটছিল না। অমনি করেই কয়েকটি বছর আমাদের একে অপরকে ভালবেসে জানতে বুঝতেই কেটে গিয়েছিল। সেই দিনগুলোয় তোমার অমন নিশ্ছিদ্র ভালবাসায় আমার মনপ্রাণ ভিজে থাকত। তোমার স্বপ্নে বিভোর হয়েই আমার রাতদিন কোথা থেকে কেটে যেত বুঝতেই পারতাম না!
তুমি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর চাকরি পেলে। তার একবছর পরেই ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ফ্ল্যাটটা কিনেছিলে। আরও দু বছর পর আমাদের ঘটা করে বিয়ে হয়েছিল। সেই ফ্ল্যাটের দক্ষিণের বারান্দাই যে পরবর্তীকালে আমার সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে উঠবে, তা আগে বুঝিনি।
গুরগাঁওয়ের চাকরিতে জয়েন করবার আগে বলেছিলে, আমাকেও ওখানে নিয়ে চলে যাবে। উচ্চপদের মায়াবী মোহে আমার কথা যে ক্রমশ ভুলেই যাবে... সেটা সত্যিই একবারের জন্যে হলেও বুঝিনি। বরাবর আমার বোকা মেয়ে বলে বদনাম ছিল যে! তোমার পছন্দ নয় বলে গান ছেড়ে ছিলাম। তোমার পছন্দ নয় বলে ভাল একটা চাকরি পেয়েও জয়েন করিনি। সবটুকু তোমায় উজাড় করে দেব বলেই এই ক্ষুদ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলাম। তোমার সুখকেই নিজের সুখ ভেবে যাকিছু স্বপ্ন, সাধ, আহ্লাদ একবাক্যে ছুঁড়ে ফেলে দিতে একটুও কার্পণ্য বোধ করিনি। আমার তো আর কোনো চাহিদা ছিল না। শুধু তোমায়, নিবিড় করে পাব বলেই তো একসাথে এই পথ চলা শুরু করেছিলাম।
সাত বছর প্রেম করার সময়ে প্রতিটি প্রহর তোমায় কামনা করতাম। সেই সাত বছর প্রতীক্ষার শেষে বিয়ের পরের মাত্র সাত মাস এই ফ্ল্যাটটিতে একসাথে কাটিয়ে ছিলাম। কত কম সময়.. তাই না? পুরানো চাকরিটাতে ইস্তফা দিয়ে উন্নতির লোভে তুমি এ শহর, এ বাড়ি আর এই আমায় ছেড়ে চলে গেলে। তারপরও এই বোকা আমি, তোমার প্রতীক্ষাতেই দক্ষিণের বারান্দাটাকে আপন করে বসে ছিলাম। দীর্ঘ পাঁচবছর পাঁচ মাসে আমার অস্থি মজ্জায় একচিলতে বারান্দাটুকুই মিশে গিয়েছিল। আর কিই বা করতাম বলো? তোমায় বাদ দিয়ে নিজের অস্তিত্বকে কখনও বড় করে ভাবতে শিখিনি যে। অবিশ্যি সে চেষ্টাও কোনদিন করিনি। তার জন্যেই চার পাঁচ মাস অন্তর কখনও কখনও যখন তুমি বাড়ি ফিরতে... অসম্ভব আনন্দ পেতাম। ভীষণ ভাল লাগায় মনপ্রাণ ভরে উঠত। মনের কোনায় কোনায় ছুটে বেড়াত ভালবাসার ভেলা। সেই ভেলা তোমার মনের গভীরে ডুবে মরতে চাইত। নিঃশব্দে নির্বিঘ্নে নিরালায় তোমায়, শুধু তোমায় পেতে চাইত।
আমার তো নিজের জগত বলতে তেমন কিচ্ছু ছিল না। এই আট'শ স্কোয়ার ফুটের জনমানুষহীন ফ্ল্যাট। ভর্তি আসবাবপত্র। কয়েকটি আলমারি ভর্তি পড়ে ফেলা বেশকিছু বই। সহস্রবার শুনে ফেলা কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত। আর দক্ষিণের মায়ায় ঘেরা একফালি বারান্দাটি। সেই বারান্দা থেকে রোজ দেখতে পাওয়া একচিলতে আকাশটুকু। আকাশের নিচে প্রকাণ্ড এক দীঘি। এই তো আমার জগত। নিঃসঙ্গ, নিস্তরঙ্গ একাকী জীবনের বড় আশ্রয় ছিল প্রিয় গাছগুলো। ওদের সঙ্গেই মনের যাবতীয় কথা বলে বুকটা খালি করতাম। কথার তো কোনো শেষ নেই। রোজ তারা জন্ম নেয়। রোজই তারা কারোর কাছে বুক খালি করে চলে যেতে চায়। মরে যেতে চায়। আবার পরের দিন জন্ম নেবে বলে।
এমনভাবেই কেটে যেত হয়ত। যদি না শেষ বর্ষায় দুদিনের জন্য এসে সব তোলপাড় করে.. তছনছ করে দিতে। সেই ফোনটা না শুনতে পেলে আমি ভাবতেও পারতাম না, যে তুমি অন্য কাউকে...!
যাক ওসব কথা বলে তোমায় খাটো করবার এতটুকু ইচ্ছে বা প্রবৃত্তি আমার নেই। তোমার স্বাধীনতায় ভাগ বসানোর হীন মানসিকতা আমি দেখাতে পারব না। আমার অহমিকায় বাধে। যার আজ কিচ্ছু নেই তারও আবার অহমিকা বোধ? হয়ত ভাবছ! ঠিকই ভাবছ। অনুপরমাণুরও বোধহয় আমার মত স্বাভিমান থাকে। একরকম অহংকার থাকে। যা আমার এখনও বেঁচে রয়েছে। সব মরে হেজে গেলেও ওটুকু আমার থাকতে দাও। সব খুইয়ে ফেলেও একটুখানি অনুভূতি বাঁচিয়ে রাখাটা ভীষণ জরুরি। আমার মত না পাওয়া জগতের মানুষগুলোর এটুকু সম্বল বোধহয় থাকা উচিত।
ভেবো না, এ লেখা তোমার বিড়ম্বনা বাড়ানোর জন্যে লিখে রেখে যাচ্ছি। এতগুলো বছরের মায়া কাটিয়ে চলে যাওয়া তো কম নয়! তাই সেই মায়ার বাঁধনই এই লেখাটি লিখিয়ে নিলো।
তোমার এই প্রাচুর্যের সংসার থেকে আমি কিছুই সঙ্গে নিয়ে গেলাম না। তুমি তো জানো আমি নিঃস্ব হতে পারি কিন্তু লোভী নয়। তোমার কাছ থেকে আর কিছু না পেলেও একটা বড় জিনিস না চাইতেও পেয়েছি। একা একা বাঁচা। আমি নিজের সঙ্গে মিশে একাকীত্বকে সঙ্গী করে পথ চলতে শিখে গেছি। বলতে বাধা নেই, এই শক্তিটুকু তোমার জন্যই পেয়েছি। তাই নতুন করে একাকী বাঁচতে ঘর থেকে পথে নামতে চলেছি। ও হ্যাঁ, বলা হয়নি! বেরিয়ে গিয়ে না খেয়ে মরব না। তোমার কোনো সাহায্যের প্রত্যাশীও নই। চেষ্টা করে একটা ছোটখাট চাকরি জুটিয়ে নিয়েছি। আমার একার বাকি জীবনটুকু আশা করি চলে যাবে।
বিয়ের আগের কিছু শাড়ি সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম। সেগুলোকেই আবার ব্যাগে ভরে নিয়েছি। হোক পুরানো তবু সেগুলোতো আমার নিজস্ব ছিল। এত বইয়ের মধ্যে মাত্র তিনখানা বই আমার সঙ্গেই এই ফ্ল্যাটে এসে উঠেছিল। রবীন্দ্রনাথের গীতবিতান, সঞ্চয়িতা আর জীবনানন্দের কবিতা সংকলন। বইগুলো সঙ্গে নিয়েছি। আর বলবার মত সঙ্গে কিছু নিই নি। আগামী পরশু তুমি শহরে আসছ। যথারীতি এই ফ্ল্যাটেও আসবে। নিজের পোশাক কোনটা পরবে তা নিজে হাতে কখনও নিতে দেখিনি। তাই প্রথম বছর বিবাহ বার্ষিকীতে দেওয়া সেই নীল রংয়ের পাঞ্জাবি আর সাথে সাদা পায়জামাটা বিছানার ওপরে রেখে গেলাম। তোয়ালেটা কেচে বাথরুমের বাইরে হ্যান্ডেলে রেখে দিয়েছি। চন্দন সাবান ছাড়া অন্যকিছু মাখতে দেখিনি। তাই নতুন একটা সাবান কিনে মোড়ক খুলে সাবান দানিতে রেখে দিয়েছি। আমি টিভি দেখতে ভালবাসতাম না বলে কেবলের লাইন কাটা ছিল। কেবলের লোককে তা জুড়ে দিতে বলে দিয়েছি। লোক এসে জুড়ে দিয়ে গেলেই টিভি চালু হয়ে যাবে। বিনু মাসি প্রতিদিন যথারীতি কাজে আসবে। রান্নাবান্না নিয়ে চিন্তা করার কারণ নেই। তুমি যা যা খেতে পছন্দ করো সব বাজার করিয়ে রেখে দিয়েছি। বিনুমাসি সব ঠিকঠাক রেঁধে দেবে। আর এসির রিমোটটা টেবিলের ড্রয়ারে রাখা রইলো। কুড়ির নিচে নামিও না তোমার অত ঠান্ডা সহ্য হয় না। গলার টনসিল ফুলে গিয়ে বিপত্তি হবে। সর্দি কাশিও বেধে যেতে পারে।
আমার অবর্তমানে তোমায় শুধু একটাই কাজ একটু কষ্ট করে হলেও করতে হবে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বলতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বলছি, আমার এতদিনের বন্ধু গাছগুলোকে রোজ একটু সময় করে নিয়মমত জল দিও। আমি হয়ত যেভাবেই হোক বেঁচে বর্তে থাকব। কিন্তু নিয়মিত জল না পেলে ওরা যে বাঁচবে না! এ বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে গিয়ে আর কোনো কিছুর জন্য আমার প্রাণ এতটুকু কাঁদেনি। কারণ বুকের মধ্যে ধুকপুক করে প্রাণ আছে জানান দিলেও তার মধ্যে কতটা প্রাণ আর কতটা পাথর এখনও মেপে দেখতে পারিনি।
কিন্তু বারান্দা জুড়ে রয়ে যাওয়া গাছগুলোর প্রাণ আছে। ওরা আমার মত নয়। ওরা এখনও জীবন্ত। ওরা গতকালও আমার সঙ্গে কথা বলেছিল। কেঁদেছিল। আমায় আগলে রাখতে চেয়েছিল। অবুঝ তো, তাই বোঝে না। অপাংক্তেয়দের একটা সময় এলে, মায়া ত্যাগ করার ঔদ্ধত্যটুকু দেখানোর স্পর্ধা দেখাতে হয়। আমার ক্ষমতা থাকলে ওদেরকেও সঙ্গে নিয়ে যেতাম। আশা করি আমার অক্ষমতাটুকুকে ওরা ক্ষমা করে দেবে। আর দক্ষিণের বারান্দায় দখিনা বাতাস এসে আমায় খুঁজলে... ওদের বলে দিও, ওরা যেন আমায় আর না খোঁজে! যে ছিল সে নদীর মতই ভেসে গেছে। ঝোড়ো হাওয়ায় খড়কুটোর মতই কোনো এক অজানা কুলের পানে।
ভাল থেকো।
____________
©রজত দাস
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।