এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  সমাজ

  • আমিষ-নিরামিষ বিতর্ক 

    দীপ
    আলোচনা | সমাজ | ২১ জুলাই ২০২৩ | ১২২১ বার পঠিত
  • আজকাল হিন্দুধর্মের রক্ষাকর্তা রূপে একশ্রেণীর মাতব্বরের আবির্ভাব ঘটেছে। আগেকার দিনের টিকিনাড়া পুরুতের মতো এঁরা নিজেদের সর্বজ্ঞ মনে করেন, সব ব্যাপারে মাতব্বরি ফলাতে ছুটে আসেন। বর্তমানে এঁরা নিরামিষ আহার নিয়ে বড়োই নাচানাচি শুরু করেছেন! এই ঘাসখেকোদের দাবী, সবাইকে নিরামিষ খেতে হবে, তবেই হিন্দুধর্ম রক্ষা পাবে!

    কে কি খাবেন, সেটা সম্পূর্ণভাবেই তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। নিরামিষাশী ব্যক্তিকে জোর করে আমিষ খাওয়ানো যেমন অসভ্যতা, আমিষাশী ব্যক্তির উপর খাওয়া নিয়ে জোরজুলুম করা ততোটাই অসভ্যতা!

    আর হিন্দুধর্মের এই স্বঘোষিত রক্ষাকারীদের মনে করিয়ে দিতে চাই, হিন্দুধর্মে কখনোই কারো ওপর খাদ্যাভ্যাস জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়নি! সাধারণত বৈষ্ণব শাস্ত্রে অহিংসা কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কোনোকিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়নি! আর শাক্ত ও শৈবদের শাস্ত্রে আমিষাহারকে সমর্থন জানানো হয়েছে, পূজার আবশ্যকীয় অঙ্গরূপে বলিদান করতে বলা হয়েছে।

    বৈদিক যুগে বলিদান ও সোমরসপান যজ্ঞের আবশ্যকীয় অঙ্গ ছিল। রামায়ণ, মহাভারত ও অন্যান্য গ্রন্থে মাংসাহার ও সুরাপানের অসংখ্য বর্ণনা পাওয়া যায়! রামচন্দ্র ও কৃষ্ণ উভয়েই মাংসাহারী ছিলেন। মহাবীর ও বুদ্ধ‌ও তাই।

    ভারতীয় ইতিহাসের গবেষকদের মতে মূলত বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের প্রভাবে ভারতীয় সমাজে সপ্তম-অষ্টম শতক থেকে অহিংসাকে অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আধুনিক বৈষ্ণবধর্ম বৌদ্ধ অহিংসার দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত। সেজন্য‌ই বৈষ্ণবধর্মে অহিংসা ও নিরামিষ আহার কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে! কিন্তু অন্যান্য শাখায় নিরামিষাহারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি!
    এবার হিন্দুধর্মের রক্ষাকর্তাদের উদ্দেশ্যে কিছু শাস্ত্রপ্রমাণ নিবেদন করা যাক!

    "ছাগ, মেষ, মহিষ, শশক, শজারু, শূকর, কৃষ্ণসার মৃগ প্রভৃতি পশু মন্ত্রসাধক বলিরূপে প্রদান করবে। হে পরমেশ্বরি! এই সকল পশুর রক্তও নৈবেদ্যরূপে প্রদান করবে।" (কুমারীতন্ত্র)

    "কলিকালে অশ্বমেধাদি মহাযজ্ঞ নিষিদ্ধ, বলিদানই কলিকালের মহাযজ্ঞ।" (মাতৃকাভেদ তন্ত্র)

    "যজ্ঞে পশুবধ বধ নয়; এতে কোনো পাপ নেই।" (মনুসংহিতা)

    "যাদবশ্রেষ্ঠ কৃষ্ণ বীরদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে যজ্ঞে নিবেদনের উদ্দেশ্যে পশুবধ করেছিলেন।"
    ( শ্রীমদ্ভাগবত, দশম স্কন্ধ)
    (অ্যাঁ, কৃষ্ণ বলি দিচ্ছে! তাও আবার বৈষ্ণবগ্রন্থে লেখা!)

    "বলিদানে, দেবতার পূজায়, যজ্ঞ ও হোমাদিতে এবং মহোৎসবে আমার এই মাহাত্ম্য সম্পূর্ণরূপে পাঠ ও শ্রবণ করা কর্তব্য। আমার মাহাত্ম্যপাঠের পর বিধিজ্ঞানপূর্বক বা অজ্ঞানপূর্বক অনুষ্ঠিত বলিদানসহকারে পূজা এবং আমার উদ্দেশে অনুষ্ঠিত হোমাদি আমি প্রীতিপূর্বক গ্রহণ করি।"
    (শ্রীশ্রীচণ্ডী, দ্বাদশ অধ্যায়, দেবীবাক্য)

    "আশ্বিন মাসে অষ্টমী অর্ধরাতে দেবীকে নিষ্ঠার সাথে পূজা করে যাঁরা মহিষ, ছাগ বলি প্রদান করেন, জগতে তাঁরা মহাবলশালী হয়ে থাকেন।"

    "কার্ত্তিক মাসে দীপমালা দান করে পূজা করবে। ঐ মাসের চতুর্দশী এবং অমাবস্যার দিন দীপমালা, দীপচক্র ও দীপবৃক্ষাদি নির্মাণ করবে। ঐ দিবস বলি, পূজা, হোম করা কর্তব্য।" (দেবীপুরাণ)

    "সপ্তমীতে গৃহে পূজা করবে। এরপরে দুইদিন নানাবিধ বলি, পূজা, ও জাগরণাদি দ্বারা আমার পূজা করবে।" (বৃহদ্ধর্মপুরাণ)

    অর্থাৎ হিন্দুধর্মে মাংসাহার নিয়ে কোনো সমস্যা নেই! ঘাসখেকো মাতব্বরদের এগুলো একটু জেনে রাখা ভালো! অবশ্য ঘাসপাতা চিবিয়ে মাথাটাও গরুছাগলের মতো হয়ে গেছে!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • আসমা চৌধুরি জয়িতা | 2607:fb90:ac9d:dea6:474:6e44:e734:***:*** | ২১ জুলাই ২০২৩ ২১:৩১740361
  • কী রাগ রে!
  • Kuntala | ২৪ জুলাই ২০২৩ ০৫:১৯740367
  • ঘাসখেকো শব্দটা বাংলা ভাষায় একটি মূল্যবান নতুন সংযোজন। 
  • Whatever | 24.206.***.*** | ২৫ জুলাই ২০২৩ ২০:৫০740372
  • আসমা চৌধুরি জয়িতা, উত্তুরে ঘেসো ছাগলের উপদ্রব দু বেলা দেখেও রাগ না হলে মেরুদণ্ডের চিকিৎসা প্রয়োজন! 
  • guru | 103.135.***.*** | ২৯ জুলাই ২০২৩ ১৫:৩১740440
  • @দীপবাবু 
     
                    এদেশে আমিষ নিরামিষ নিয়ে যে বিতর্ক বর্তমানে তার সঙ্গে তথাকথিত "হিন্দু " শাস্ত্র এর ব্যাপারটি গৌণ , মূল ব্যাপারটি হলো এখানে কাউবেল্টের সংস্কৃতির বাদবাকি দেশের উপর চাপিয়ে দেওয়া | গোবলয়ের সংস্কৃতির মধ্যে জৈন প্রভাবে নিরামিষ রান্না খাবার ব্যাপারটি এখন সংস্কৃতির মূলস্রোতে এসেছে | বর্তমানে কাউবেল্ট এই ব্যাপারটি সারা ভারতে চাপাতে চাইছে | ধর্ম এখানে বাহানা মাত্র | অর্থাৎ আসল সমস্যাটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক , ধর্ম নয় |
  • Ranjan Roy | ৩০ জুলাই ২০২৩ ০৬:৪১740442
  • Guru
    সঠিক প্রেক্ষিত। 
  • guru | 103.2.***.*** | ৩০ জুলাই ২০২৩ ০৯:৫৯740445
  • @দীপ বাবু 
     
                    "ভারতীয় ইতিহাসের গবেষকদের মতে মূলত বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের প্রভাবে ভারতীয় সমাজে সপ্তম-অষ্টম শতক থেকে অহিংসাকে অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আধুনিক বৈষ্ণবধর্ম বৌদ্ধ অহিংসার দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত। সেজন্য‌ই বৈষ্ণবধর্মে অহিংসা ও নিরামিষ আহার কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে! "
     
                     বৌদ্ধধর্ম অহিংস হতে পারে কিন্তু নিরামিষভোজী এটা কেন হলো ? স্বয়ং সিদ্ধার্থ বুদ্ধ বলা হয় মৃত্যুর আগে শেষ আহার হিসেবে পশু মাংস ভক্ষণ করেছিলেন | তাছাড়া চীন জাপান কোরিয়া পশ্চিম এশিয়া যেখানেই বৌদ্ধধর্ম বিকশিত হয়েছিল সেখানে সংস্কৃতিতে কোথাও কিন্তু নিরামিষ আহারের উল্লেখ সেইভাবে পাওয়া যাচ্ছেনা | আমি অনেক বছর আগে তিব্বতের পটভূমিকাতে "নিষিদ্ধ দেশের ঘুম ভাঙছে " বলে একটি বাংলা উপন্যাস পড়েছিলাম এতদিন পরে লেখকের নাম ঠিক মনে পড়ছেনা তবে এটা মনে আছে যে তিব্বতের লামারা ভীষণ ভালোবাসতেন চিকেন খেতে কিন্তু বৌদ্ধ লামারা তো অহিংস তাহলে তারা কিকরে জীবহত্যা করবে ? তখন একটি মধ্যপন্থা আয়োজন করা হলো , যে একটি বিশেষ কসাই শ্রেণীর তিব্বতে প্রচলন করা হলো সেই শ্রেণীটি শুধু মুরগি ধরে একটি বাক্সে বন্দি করে রেখে দিতো যাতে দমবন্ধ হয়ে মুরগির মৃত্যু হয় | এভাবে জীব হত্যার দায় থেকেও বাঁচা গেলো আবার পাতে চিকেনও পড়লো | অর্থাৎ ধর্মও রক্ষা হলো কিন্তু রসনাতৃপ্তিও হলো | 
     
                  এপ্রসংগে আরো মনে পড়ছে বাদশাহ ঔরংজেবের ভাই শাহসুজা যখন আরাকানে পালিয়ে যান তখন আরাকানরাজ মোঘল বাদশার কোপদৃষ্টিতে না পড়ে কৌশলে পথের কাঁটা সুজাকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন | কিন্তু তিনি তো বৌদ্ধ তাহলে তিনি কি করে বিধর্মী মোঘলদের মতো ছুরি বা বিষ দিয়ে গুপ্ত হত্যা করবেন ? সেটা তো তার বৌদ্ধ ধর্ম বিরোধী | তখন তিনি পরিবারসহ সুজাকে না খাইয়ে মারলেন কারাগারেই | এটি হলো বৌদ্ধ ধর্মের মধ্যপন্থাতে গুপ্তহত্যা যেখানে গুপ্তহত্যা হয় অথচ পাপ হয়না |
     
              আমার মনে হয় বৌদ্ধধর্ম নিরামিষভোজী এটি ঠিক নয় | আপনি কি আরো একটু বিস্তারিত ভাবে জানাবেন যে ভারতে বৌদ্ধধর্ম নিরামিষভোজী হলেও ভারতের বাইরে বৌদ্ধধর্ম কেন নিরামিষভোজী হয়নি কোনোদিনই ?
  • দীপ | 42.***.*** | ৩০ জুলাই ২০২৩ ২২:২৭740447
  • এখানে ভারতীয় উপমহাদেশ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম অহিংসার উপর অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। আধুনিক বৈষ্ণবধর্ম এই চিন্তার দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত। 
    এনিয়ে বিস্তৃত আলোচনার সুযোগ এখানে নেই। আগ্রহী ব্যক্তি ভারতীয় ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞানের ব‌ই পড়তে পারেন।
  • দীপ | 42.***.*** | ৩০ জুলাই ২০২৩ ২২:৩৭740448
  • আর সন্ন্যাসীর নিজস্ব ইচ্ছা-অনিচ্ছা বলে কিছু নেই। তাঁকে যা দেওয়া হয়, তাই তিনি গ্রহণ করেন। আমিষ বা নিরামিষ, ভিক্ষা হিসেবে যা মেলে; তাই তিনি গ্রহণ করেন। তবে বৈষ্ণবেরা মূলত নিরামিষ আহার গ্রহণ করেন।
    বুদ্ধ ভিক্ষায় আমিষ গ্রহণ করেছেন। তবে তাঁর শেষ আহার নিয়ে মতবিরোধ আছে। বৌদ্ধগ্রন্থ অনুসারে বুদ্ধ চুন্দের দেওয়া শূকরমদ্দব গ্রহণ করেন। একমতে এটি শূকরমাংস, অন্যমতে এটি ছত্রাকের তরকারি। অধিকাংশ একে ছত্রাক বলেই মনে করেন। ছত্রাকের তরকারি থেকে বিষক্রিয়া হ‌ওয়া খুব‌ই সম্ভব।
  • Kishore Ghosal | ০১ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৫৮740456
  • দীপবাবু  এবং গুরুবাবু 
     
    প্রকৃতি মানুষের পরিপাক সিস্টেমটিকে সর্বভুক জীব হিসেবেই বানিয়ে তুলেছে,সেটাই মনুষ্য নামক জীবটির অনন্য বৈশিষ্ট্য।  গরম ভাত-কল্মিশাক হোক, কিংবা পান্তাভাত-গুগলির ঝাল হোক - চাপাটি -করেলা সব্জি,বা চাপাটি পালক-পনির হোক - এধরনের খাবার থেকে মানুষের দৈনন্দিন পুষ্টি মোটামুটি পূরণ হয়ে যায়। বৌদ্ধ-জৈনতত্ত্ব আসার আগে মানুষ বিভিন্ন অঞ্চলে এভাবেই দিব্যি বেঁচে বর্তে ছিল।
     
    জৈন আর বৌদ্ধ এসে সেই খাদ্য সুখে মানুষকে বঞ্চিত করল।  আচ্ছা গাছকে হত্যা করা,বা তার ভ্রূণকে সেদ্ধ করে ভেজে পুরিয়ে খাওয়ায় হিংস্রতা নেই?  তারা চিৎকার করে না,গ্যালগ্যাল করে লাল রক্ত ঝরায় না, বা কাটা পাঁঠার মতো ছটফট করতে পারে না,তাই? 
     
    অহিংসা মানে, আমার ধারণা মহাবীর ও বুদ্ধ বলতে চেয়েছিলেন অকারণ হত্যা না করা - আমাদের জীবন রক্ষার জন্যে  যতটুকু একান্ত প্রয়োজন ততটুকুর বেশি হত্যার মানে হিংসা। যতদূর জানি - শত্রুর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা বা অন্য রাজ্য জয়ের  জন্যে যুদ্ধ না করার পরামর্শ - দুজনের কেউই বলেননি।  বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড় তাঁদের শিষ্যরা দিনে দিনে বিধান বাড়াল, প্রাণীহত্যা মহাপাপ। 
     
    কিন্তু গোমাতার দুধ নিংড়ে আমাদের বৈমাত্রেয় ভ্রাতা -গোবৎসকে বঞ্চনা করা মহা পুণ্যের কাজ। এমনকি সেই বাছুর কোন কারণে মারা গেলে - তার ছাল ছাড়িয়ে খড় গুঁজে নকল বাছুর দেখিয়ে গোমাতা দোহনে বালতি ভরে তোলাও মহাপুণ্যের কাজ বৈকি!  
     
    আর ধান? গম? বহু যত্নে সঠিক পরিমাণে সঠিক সময়ে জল সেচ করে, সার দিয়ে কোটি কোটি ধানগাছ উৎপন্ন করে - তার বীজগুলিকে - যার থেকে নতুন ধান বা গম গাছের সৃষ্টি হতে পারত - হত্যা করে ছাল ছাড়িয়ে সেদ্ধ করে,গুঁড়ো করে সেঁকে  - আহা গরম ভাত কিংবা গরম ফুলকার মতো অহিংস পবিত্র খাদ্য আর কী হতে পারে? 
     
    জানি না - আমার মানসিক কোন গণ্ডগোল আছে কিনা - ছোটবেলায় ধানকাটার সময় - সেই মাঠে দাঁড়িয়ে বাতাসে কেমন যেন গন্ধ পেতাম - সে গন্ধ কেমন যেন হত্যার গন্ধ।   
     
     
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন