এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  ভ্রমণ   যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে

  • মঙ্গোলিয়া সফর

    যোষিতা লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে | ০৩ মে ২০২৩ | ২৬৩১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মঙ্গোলিয়া সফরের খুঁটিনাটি লিখছি এখানে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • যোষিতা | ২৯ মে ২০২৩ ০৭:১৭740178
  • মূল গানটা এখানে দিলাম
     
  • kaktarua | 192.82.***.*** | ২৯ মে ২০২৩ ২৩:২১740181
  • গানটা ভারী সুন্দর। আর লেখাটাও জম্পেশ। এগিয়ে চলুক। পড়ছি মন দিয়ে। 
  • যোষিতা | ৩১ মে ২০২৩ ০৩:৪৫740182
  • এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশনের অফিসাররা কেন কথা কন না, মোটামুটি আকারে ইঙ্গিতে কাজ চালান, তা স্পষ্ট হতে হতে যে আজ দুপুর হয়ে যাবে তা জানা ছিল না। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বেশ কিছু জিনিসের "দুধ কা দুধ, পানি কা পানি " অবস্থা হবে। 
    আমরা যে হোটেলে এসে উপস্থিত হলাম, তা নোমাড বিজনেস ব্র্যান্ডের গোটা কতক তারা খচিত হোটেল, এক্কেবারে পার্লামেন্ট হাউসের তিন চারটে বাড়ির পরেই। 
    আগের হেটেল ছিল সুখবাতার স্ট্রীটে, যেটা বোগি ক্যানসেল করিয়েছে। এখানে নানান নামকরা গানের দল এসেছে, সেসবের ফোটো ঝোলানো আছে রিসেপশনের দেয়ালে, যেমন বনি এম।
    এদিকে আমার তুমুল হিসি পেয়েছে। ঘরে তো এত সকাল সকাল ঢুকতে দেবে না, তাই লাগেজপত্র জমা রেখে, রেস্টুরেন্টের টয়লেটের দিকে দৌড় দিলাম।
    এখানে টাকা পয়সা ক্রেডিটকার্ডের সীন নেই, যা দেবার বোগিকেই দেব।
    ইদ্রের সঙ্গে এরপরে আমরা বোগির অফিসে গিয়ে পৌঁছলাম। 
    একটু পুরোন গোছের রংচটা বাড়ির একতলার একটা চাকচিক্যহীন অফিসে বোগির অফিস। মানে যা দেখলাম বোগিই মালকিন। তরুণী মহিলা, মেরেকেটে পঁয়ত্রিশ, যেমন সুন্দরী তেমনি স্মার্ট, হাতে লেটেস্ট মডেলের আইফোন। বোগি একটা কাগজে খশখশ করে ক্যালকুলেশন করল, সেটাকে তিনহাজার ছশো দিয়ে ভাগ করে আমার কাছে তেরোশো বিশ ইউরো চাইল। ক্যাশ। দিয়ে দিলাম। বোগি জানালো এক ইউরো হচ্ছে মঙ্গোলিয়ান কারেন্সিতে তিনহাজার ছশো। এবার বলল যে ড্রাইভারের যাবতীয় খাবার দাবারের খরচ পড়বে মীল প্রতি সাত ইউরো। তা আট দিনে ষেলোটা মীল মানে ষোলো ইন্টু সাত, আমি ক্যাশ ইউরো ড্রাইভার্র হাতে দিতে তার কী আনন্দ! ব্রেকফাস্ট তো সব হোটেলেই থাকবে, তাই সেসবের খরচ আলাদা করে কিছু নেই। বোগির জন্য উপহার এনেছিলাম, সেটা দিয়ে, বিদায় নেবার আগে বোগিকে বললাম একটা রসিদ লিখে দিতে। সে তৎক্ষণাৎ দিয়ে দিল। 
    এখন আমাদের সামনে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটারের যাত্রা। 
    ইদ্রেই কে নিয়ে আমরা চললাম শপিং মলে। সেখানে একটা ব্যাংক রয়েছে, অন্ততঃ হাজার খানেক ইউরো লাগবে সামনের দিনগুলোয়, পেট্রলের খরচ, টোল ট্যাক্স, খাবার দাবারের খরচ, কোনও দর্শনীয় জায়গায় ঢুকবার এন্ট্রি ফি। ব্যাংকে গিয়ে দেখি ইউরোর দাম তিনহাজার সাতশো পয়ষট্টি। প্রতি ইউরো বোগি আমাকে একশো পঁয়ষট্টি করে বেশি দাম নিয়েছে। 
    মনটা একটু তেতো হলেও আমরা দমি নি। লাঞ্চ্র সময় হয়ে গেছে, ইদ্রেই আমাদের নিয়ে চলল একটা রেস্টুরেন্টে। সে খুব কমদামী খাবার খেল, আমরা দামী খাবার খেয়েও দুজনে বারো ইউরোর বেশি খরচ করতে পারলাম না। জিনিসটা বাজে হচ্ছে, লোকটাকে টাকা দিয়েছি ঠিকই, সে খরচ বাঁচাবে এটাও ঠিক, কিন্তু এভাবে তার সামনে বসে আমরা ভাল ভাল খাব দিনের পর দিন, মন মানতে চাচ্ছে না। আমরা মোমো নিয়েছিলাম। সেফ সাইডে থাকার জন্য বাবু নিয়েছিল নুডলস। মঙ্গোলিয়ায় মাংস প্রায় ফ্রি, দাম নেই বললেই চলে। তবে মোমো খাবার শখ যদি কেউ ঘোচাতে চায়, দিন দশেক মঙ্গোলিয়ীয় থাকলেই জন্মের মত সাধ (এবং স্বাদ) মিটে যাবে।
    এহে বলতেই ভুলে গেছি, ব্যাংকে যারা কাজ করছিল, তারাও কথা বলে না। ঠিক এয়ারপোর্টের মতো। আমি ইংরিজি বললেও চুপ করে তাকিয়ে থাকে, রাশিয়ান বললেও ঐ, জারমান ফ্রেঞ্চ সবেতেই চুপ, বাংলা বলবার ভাবনাও মাথায় এসেছিল। অনেকগুলো ইউরে ভাঙানো হচ্ছে, কারেন্সীগুলো আগে চেখো দেখি নি, রেট কতো জানতে চাচ্ছি, কিন্তু লোকগুলো সব চুপ করে রয়েছে, বাধ্য হয়ে ইদ্রেইকে কাছে ডেকে কথা বলাতে পারলাম। এরা মঙ্গোলিয়ান ছাড়া আর কোলও ভাষা জানে না। এয়ারপোর্ট রহস্যের সমাধান হলো।
    পরবর্তী দিনগুলোর জন্য শুকনো স্ন্যাক্স, বিস্কুট ইত্যাদি, চব্বিশ লিটার পানীয় জল এবং প্রচুর কোকাকোলা মিরিন্ডা গাড়িতে বোঝাই করা হয়েছিল। 
    রেস্টুরেন্টের সেই বিখ্যাত মোমো খাবার পরেই আমার মেজাজ বিগড়ে গেছল। আর মেজাজ বিগড়োলেই আমি কী করি সবাই জানে, বিশেষ করে কোনও দেশে বেড়াতে গেলে। একটা বিউটি সালোন খুঁজে বের করে চুল কাটাই। ঐ অঞ্চলে অনেক বিউটি সালোন, তিন চারটেয় ট্রাই মেরে শেষে যেটায় ঢুকলাম সেটা প্রায় ফাঁকা, আধঘন্টা ওয়েটিং টাইম। কথা বলার স্কোপ দিল না যে মহিলা চুল কেটে দেবে। মাথা শ্যাম্পু করিয়েই তার ফেন থেকে গোটা দশ পনের স্টাইলের হেয়ারকাটের ফোটো বাবুকে দেখিয়ে তার মধ্যে থেকে একটা পছন্দ করিয়ে স্যাটাস্যাট চুল কেটে দিল।
    দাম দেবার সময় ইদ্রেই আমাদের দোভাষী। সেই ইদ্রেই ও মহিলাটির সঙ্গে ভাষায় কব্জা করতে পারছে না। 
    দাম চুকিয়ে হোটেলে ফেরার পথে ইদ্রেই বলল যে মহিলাটি মঙ্গোল ভাষা জানে না, সে কোরিয়ান।
    ইদ্রেই আজ গাড়ি নিয়ে বাড়ি চলে যাক, কাল সকাল থেকে আমাদের লম্বা জার্নি।
  • Kuntala | ৩১ মে ২০২৩ ১৮:১৬740183
  • বাহ, ভালো লাগছে। আমি বেশ কয়েকবার মঙ্গোলিয়া গেছি,  গবেষণার কাজে। খুবই ইন্টারেস্টিং এদেশের সমাজ, মানুষ আর সাম্প্রতিক ইতিহাস। আরও পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
  • Kuntala | ৩১ মে ২০২৩ ১৮:২৩740184
  • এটি মনে হয় আদি ও অকৃত্রিম মঙ্গোলিয়ান গান নয়। ওদের গান ও নৃত্যানুষ্ঠানে গেছি। সে গান অতি ভয়ানক, পেটের ভেতর থেকে উঠে আসা গমগমে গম্ভীর আওয়াজ, ইংরেজিতে যাকে বলে guttaral sound।
  • যোষিতা | ০১ জুন ২০২৩ ০৩:১৭740185
  • পরদিন সকালে আমাদের তেমন তাড়া নেই। নিজের মেজাজে ঘুরব বলেই আমি অরগ্যানাইজড ট্যুরে বা গ্রুপের সঙ্গে কক্ষণো যেতে চাই না। 
    ইদ্রেই আসবে নটায়। নটায় এলেই যে নটাতেই বেরিয়ে পড়তে হবে এমন কোনও মাথার দিব্যি নেই। তার ওপর জেট ল্যাগ রয়েছে। ব্রেকফাস্টের জন্য এসে বুফেতে দেখলাম ভাত আছে। মানে সাদা ভাত নয়, তরিতরকারি দিয়ে ভাজা নিরামিষ ফ্রায়েড রাইস। সঙ্গে ডিম পোচ নিলাম। এক কোণে জানলার পাশে চেয়ারের  ওপর পা মুড়ে বসে ডিম ভাত খেলাম। বাবুও ডিম ভাত। অন্য অপশনে বিলিতি খাবার, যেমন ব্রেড জ্যাম জেলি মাখন বেকন সসেজ সবজির তরকারি। ওগুলো খাবার লোকই হয়ত বেশি। আমার দুবার করে ভাত নিয়েছি, ভাত প্রায় ছিলই না শেষের দিকটায়। মৌজ করে কফি খেয়ে, আমি নীচে বাইরে দাঁড়িয়ে সকালের মৌতাত অর্থাৎ প্রথম সিগারেটটা তরিবৎ করে খেয়ে ওপরে এসে ফ্লাস্কে গরম জল ভরে নিলাম। পথে যদি চা কফির তেষ্টা পায় কোনও নির্জন জায়গায়, তখন এই গরম জলের ফ্লাস্ক কাজে দেবে। বাড়ি থেকে বেরনোর সময় এসব জিনিস আমি সুগৃহিনীর মত সর্বদা দুর্গম গিরি কান্তার মরুপথের জন্য সুটকেসে ভরে রাখি।
    ওমা! কোত্থেকে ইদ্রেই এসে উপস্থিত। 
    বলে কিনা, আমি যখন নিজে ধোঁয়া গিলছিলাম তখনই আমাকে দেখেছে। 
    লোকটি আমাদের কিচ্ছুটি বইতে দেয় না, হুট করে সব সাগেজ নিয়ে নিজেই গাড়িতে ভরল। হেটেলে চেকাউট করে আমার হপ্তাখানেক পরে আসব জানিয়ে, আমরা রওনা দিলাম।
    পেছনের সীটে বসলে বমি পায় বলে, আমি ইদ্রেই এর পাশেই বসি। 
    শহরে ভরপুর ট্র্যাফিক জ্যাম। আমরা চলেছি উত্তরে। আমাদের গন্তব্য খুবসগুল লেক, যেটা রাশিয়ার সীমান্তে।
    দুদিনের বেশিই লাগবে পৌঁছতে। উলানবাতরের ট্যাফিক জ্যামের মধ্যে অনেক কিছুই চোখে পড়ছে। ইউনিভার্সিটি, মিউজিয়াম, হাসপাতাল, নতুন নতুন রুশ ঘেটোর হাইরাইজ, পুরোন দিনের বাড়ি, মনাস্ট্রি, ব্যাংক, স্টক এক্সচেঞ্জ, ছয় লেনের রাস্তা... হঠাৎ লক্ষ্য করলাম প্রায় সব গাড়িই টয়োটা। হরেক কিসিমের সবরকম মডেলের টয়েটায় গিজগিজ করছে উজবেকিস্তানে যেমন সপ গাড়িই ছিল চেভারলেট, থুড়ি শেভ্রোল্, ঠিক তেমনি।
    এরপরে যেটা নজরে পড়ল সেটা আরও অদ্ভূত। কোনও গাড়ির রাইট হ্যান্ড ড্রাইভ, কোনও গাড়ির লেফট হ্যাল্ড ড্রাইভ। রাস্তার ট্র্যাফিক নিয়ম অবশ্য ব্রিটিশ বা ব্রিটিশ উপনিবেশের দেশগুলোর উল্টো। কিন্তু দুধরণের গাড়ি কেন? উত্তর হচ্ছে কিছু গাড়ি সরাসরি জারান থেকে আসছে, জাপান বেশি দূরে নয় যেহেতু। সেগুলো রাইট হ্যান্ড ড্রাইভ। জাপানি গাড়ি প্রসঙ্গে আফ্রিকার ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছিল, সেটা এখানে লিখব না।
    ডানদিকে দেখলাম কিছু ট্রেনের ওয়াগন থেমে রয়েছে। ঐ রেল লাইন কোথায় যায় ইদ্রেই?
    — এটাই ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়ে।
    আহা দেখে যেন জীবন সার্থক হলো। ঐ রেল যাবে সরাসরি উত্তরে সুখবাতার হয়ে রাশিয়ার উলান উদে তে ঢুকবে।
    — আচ্ছা ইদ্রেই, একটা কথা জিগ্যেস করি? উলানবাতর, উলানউদে, নামগুলো সব মঙ্গোলীয়ান, তাই না?
    ইদ্রেইকে একটু গম্ভীর দেখায়। আমরা ট্যাঙ্ক ফুল করার জন্য পেট্রল স্টেশনে ঢুকি, এক লিটার সীসাহীন৯৫ বেনজিন(পেট্রল) এর দাম তখন কাঁটায় কাঁটায় এক ইউরো।
  • Kuntala | ০২ জুন ২০২৩ ১৭:৪০740186
  • পেট্রোলের দাম তো কমের দিকেই মনে হোল।
    আর হুট করে সুতো ছেড়ে দিয়ে এটা কিরকম ঠাট্টা? 
    আমার তো আফ্রিকার জাপানি গাড়ির গল্পের তেষ্টা পেয়ে গেল!
  • যোষিতা | ০৮ জুন ২০২৩ ০০:৫৮740201
  • আমাদের উলানবাতরের হোটেলে প্রাতঃরাশের ছবি। ভাত খাচ্ছি।
  • ব্রেকফাস্ট ভাত? | 165.225.***.*** | ০৮ জুন ২০২৩ ০১:০৬740202
  • অ্যাঁ? 
  • যোষিতা | ০৮ জুন ২০২৩ ০১:১৬740203
  • এই হোটেলে আগে যে সমস্ত বিখ্যাতরা থেকে গেছেন।
  • Kuntala | ০৯ জুন ২০২৩ ১৮:০০740215
  • আমি ভাত দেখেছি বলে মনে নেই। মঙ্গোলিয়ার অর্থনৈতিক উন্নতির হার বিরাট, প্রধানত মাইনিং-এর জন্য। সরকার একদম কাছাখোলা হয়ে বিদেশী পুঁজিকে দুই হাতে আহ্বান করছে, তাই প্রচুর চাইনিজ ওদেশে। কনস্ট্রাকশন সাইটগুলোতে চাইনিজ শ্রমিক, আর পাশেই তাদের জন্য চিনে খাবারের দোকান। হোটেল গুলোতে মনে হয় উচ্চ স্তরের চিনা ব্যবসায়ীদের জন্য ভাতের বন্দোবস্ত।
    আমি 'হুশু' বলে একটা মাংসের পুর ভরা তেলে ডুবিয়ে ভাজা প্যাটিস খুবই খেয়েছি, গোবিতে। তবে উলানবাতার শহরে ঘোড়ার মাংস প্রচুর পাওয়া যায়, ভালোই খেতে।
  • | ০৯ জুন ২০২৩ ১৯:৫৪740216
  • লেখাটা...  লেখাটা
  • ষষ্ঠ পাণ্ডব | 103.98.***.*** | ১০ জুন ২০২৩ ১৮:০৪740217
  • ততঃ কিম! ততঃ কিম!! ততঃ কিম!!!

    (পুনশ্চঃ কোনো ছবি দেখতে পাচ্ছি না)
  • যোষিতা | ১০ জুন ২০২৩ ২৩:৫২740219
  • আগে ট্রেনের টাইমটেবল দেখেছিলাম। তাতে দেখা যাচ্ছিল যে ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনের ফ্রিকোয়েন্সি সপ্তাহে মাত্র কয়েকবার। কিন্তু এখন বুঝলাম এই লম্বা লাইনটা এত খরচ করে বানানোর মূল উদ্দেশ্য। মানুষ পরিবহন নয়, মালগাড়িই এই লাইনে সর্বক্ষণ চলছে, একশোর ওপরে ওয়াগন নিয়ে নিয়ে একেকটা মালগাড়ি চলেছে, রয়েছে তেলের ট্যাঙ্কার। ইলেকট্রিসিটি এবং লোকোমোটিভ, এই দুটোই ছিল সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাথমিক ইনফ্রাস্টাকচার। গোটা দেশের সর্বত্র বিদ্যুৎ থাকবে, এবং সমগ্র দেশকে মুড়ে দেওয়া হবে ইস্পাতের রেল দিয়ে। এখানেও তার ব্যত্যয় হয় নি।
     
  • :|: | 174.25.***.*** | ১১ জুন ২০২৩ ০৯:১১740226
  • ইউটিউব লিঙের বদলে লেখা দেওয়া খুব কঠিন হলে ঠিকাছে। আসলে লেখাটাই পড়ছি। আগেও দুএকটা লিং ছিলো -- দেখেছিলাম। লেখার তুলনায় কিছুইনা। তাই এগুলো আর ক্লিকালাম না। আশা করি লেখা পড়তে পারবো যদিনা লেখিকার অসুবিধা থাকে। 
  • সুকি | 117.194.***.*** | ১১ জুন ২০২৩ ১০:৫৯740227
  • লেখা পড়তে চাই - লিঙ্ক তেমন জমে না
  • kk | 2601:14a:502:e060:65a0:8ad2:7fed:***:*** | ১১ জুন ২০২৩ ২০:০৯740228
  • আমিও লেখা পড়তে চাই। এই লেখা গুলো সময়ে অসময়ে বারবার ফিরে পড়া আমার একটা খুব ভালোলাগার জিনিষ।
  • দীমু | 182.69.***.*** | ১২ জুন ২০২৩ ০০:৪৯740229
  • ভিডিওগুলো তো ভালোই। কিন্তু লেখাটা অন্যরকম মাত্রা যোগ করে।
  • যোষিতা | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:০৫740745
  • এই সফরের গল্পের পাশাপাশি সমান্তরালে চলছিল আরেকটা গল্প। আমার অনেকদিনের পুরোন কোলিগ তথা বন্ধু মিতা রোজই আমাকে ফোন করে কোলকাতা থেকে। যেখানেই আমরা থামি এই সফরে, যেখানেই ইন্টারনেট পাই, সেখানেই মিতার সঙ্গে কথা হয়।
    ও খুব উৎসাহিত থাকে চেঙ্গিজখানের দেশটা আমার চোখ দিয়ে দেখবার জন্য। ভিডিও কল করে করেও ওকে দেখাই মাঝে মাঝে।
    তখন চলেছি খুবসগুলের পথে, প্রথম রাতে থাকব এরডনেট শহরে। মঙ্গোলিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ শহর।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন