এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বর্বরিক ওরফে খাটু শ্যামের উপাখ্যান (তৃতীয় পর্ব)

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৪৫৮ বার পঠিত
  • বারবার কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গন ছেড়ে মন চলে যাচ্ছে মানালির সেই জঙ্গলে, যেখানে হিড়িম্বা বাস করেন পুত্র ঘটোৎকচকে নিয়ে। ঘটোৎকচের বিবাহের পরে সংসারে পুত্রবধূ কামকালীকা এসেছেন। কিছুকালের মধ্যে ঘটোৎকচ এবং কামকালীকার একটি ফুটফুটে পুত্রসন্তান হয়। আঙিনা জুড়ে খেলে বেড়ায় সেই নতুন অতিথি, তার আগমনে জঙ্গলের পশুপাখিদের মধ্যে চঞ্চলতা ফিরে এসেছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশমত পিতামহী হিড়িম্বা তাকে ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান প্রদান করতে থাকেন। শিশুটি ছোটবেলা থেকেই শাস্ত্র, যুদ্ধবিদ্যা, অস্ত্রচালনা, ন্যায়শাস্ত্র ইত্যাদিতে বিদ্বান হয়ে উঠতে লাগল। কালক্রমে পিতামহী হিড়িম্বার প্রচেষ্টায়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদে এবং নিজের সাধনায় সেই শিশুটি এক মহাবীর হয়ে উঠলো। স্কন্ধপুরাণে এই শিশুটির উল্লেখ আছে, এছাড়াও দক্ষিণ ভারত থেকে পশ্চিম ভারত, সর্বত্রই পূজিত হন ঘটোৎকচের এই পুত্র। দক্ষিণ ভারতে তাঁর পরিচয় হল এক শাপভ্রষ্ট যক্ষ। আবার রাজস্থানে তিনি পূজিত হন খাটুশ্যাম নামে।
     
    আসলে মানালির সেই জঙ্গলের বাসিন্দারা পাণ্ডবদের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত হলেও কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ থেকে শতহস্ত দূরে ছিলেন। পিতার নির্দেশে পরবর্তীতে ঘটোৎকচের আগমন ঘটেছিল বটে কুরুক্ষেত্রের সমরাঙ্গণে, কিন্তু সেটা খুব কম সময়ের জন্যে। মানালির জঙ্গলের বাসিন্দারা জাতিতে রাক্ষস হলেও তাঁরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একনিষ্ঠ ভক্ত এবং সেবক ছিলেন। সারাজীবন শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। রাক্ষস শ্রেণীর বলে শ্রেণীগত বৈশিষ্ট্যসমূহ নিশ্চয়ই ছিল তাদের মধ্যে এবং শ্রেণীধর্ম পালনও করতেন কিন্তু সারাজীবন ধরেই তারা মোক্ষলাভের চেষ্টায় নিয়োজিত রেখেছিলেন নিজেদেরকে। সেই কারণেই বোধহয় মোক্ষকে অন্তিম লক্ষ্য ধরে যাঁরা এগিয়ে চলেছেন তাঁদের দিকে মন ধাবিত হচ্ছে। সমরাঙ্গণ আর যাই হোক মোক্ষলাভের ক্ষেত্র নয়। ঘটোৎকচের সেই পুত্র একবার তার পিতামহীর কাছে মোক্ষপ্রাপ্তির সবচেয়ে সহজ উপায় জানতে চাইলেন। হিড়িম্বা বললেন, 'যদি তুমি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হাতে বীরগতি প্রাপ্ত হও, তাহলে সাথে সাথে তোমার মোক্ষ লাভ হবে'। এ কথা শুনে সেই বালক বলল, ‘তাহলে আমি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে গিয়ে অনুরোধ জানাব, তিনি যেন তার সুদর্শন চক্র দিয়ে আমার মস্তক ছেদন করে দেন’। এ কথা শুনে হিড়িম্বা হেসে হেসে বললেন, 'ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কখনই অন্যায়ভাবে কাউকে প্রাণদণ্ড দেন না। তার হাতে বীরগতি প্রাপ্ত হতে হলে তার সমকক্ষ যোদ্ধা হতে হবে, তারপর রণাঙ্গনে দাঁড়াতে হবে তার বিপক্ষে'। ঘটনাচক্রই বলে দিচ্ছে রণাঙ্গন ছেড়ে মন কেনো মানালির জঙ্গলে উঁকি মারছে।
     
    এরপরে সেই বালক মা দূর্গার কঠোর তপস্যায় ব্রতী হন। মা দূর্গা তার তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে তাকে নবরুপে দর্শন দিলেন এবং গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের জ্ঞান দিলেন। কিন্তু এতেও সেই বালক সন্তুষ্ট হতে পারলেন না, কারন তাকে যে শ্রীকৃষ্ণের সমকক্ষ হতে হবে। তখন মা দূর্গা বললেন, ‘তুমি যে স্থানে বসে তপস্যা করেছ, সেই স্থান সিদ্ধ হয়ে গেছে। তাই তুমি এই স্থানে বসে সিদ্ধিমাতার উপাসনা করো। সিদ্ধিমাতা তোমাকে তোমার অভীষ্ট বর প্রদান করবেন।’ শুরু হল সিদ্ধিমাতার তপস্যা। বালকের কঠোর তপস্যায় অত্যান্ত সন্তুষ্ট হলেন সিদ্ধিমাতাও। বর হিসেবে দিলেন তিনটি তিনটি বাণ। অদ্ভুত অমোঘ এই তিন বাণ। প্রথম বাণ যুদ্ধক্ষেত্রের সমস্ত শত্রুকে চিহ্নিত করবে। দ্বিতীয় বাণ চিহ্নিত করবে তাদের যাদের ক্ষতি হবে না।আর তৃতীয় বাণ চিহ্নিত সমস্ত শত্রুর বিনাশ করবে। এই সব অস্ত্রের কারনে সেই বালক হয়ে উঠলেন অজেয়। তবে এই সব কিছুর পিছনে কিন্তু উদ্দেশ্য ছিল শ্রীকৃষ্ণের হাতে মৃত্যু লাভ করা। কারন তিনি জানতেন তার কাছে যে অস্ত্র আছে তাতে কৃষ্ণ ব্যতীত ত্রিভুবনের কেও তাকে মারতে সক্ষম হবে না।
     
    এবারে মনকে কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে নিয়ে আসতেই হবে কারণ সেই অজেয় বালক রওনা দিয়েছেন কুরুক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে। যথারীতি পাণ্ডব শিবিরে আনন্দের বাতাস, কারন ভীমের অজেয় বীর পৌত্র তাদের হয়ে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন। কিন্তু সেই বালক সমরাঙ্গনে শুধু অমোঘ অস্ত্রই আনেননি, সঙ্গে এনেছিলেন গুরুকে দেওয়া একটি অমোঘ প্রতিজ্ঞা। তার প্রতিজ্ঞা ছিল, যুদ্ধে যে পক্ষ দুর্বল, তাকে সবসময় লড়তে হবে সেই পক্ষের হয়ে। এতেও কারোর চিন্তার কারণ ছিল না। কারণ গাণিতিক ভাবে পাণ্ডবপক্ষ দুর্বল। কিন্তু সবাই খুশি হলেও শ্রীকৃষ্ণ খুশি হতে পারছিলেন না। কারন তিনি ওই প্রতিজ্ঞার আসল স্বরূপ ধরতে পেরেছিলেন। তিনি জানতেন দুর্বল আর সবল পক্ষ একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। তাই শ্রীকৃষ্ণ এক ব্রাহ্মনের ছদ্মবেশে সাক্ষাৎ করলেন সেই বিষ্ময় বালকের সাথে,। প্রশ্ন করলেন ‘হে বালক, তুমি যুদ্ধ করতে এসেছ কিন্তু মাত্র তিনটি বাণ নিয়ে এসেছ, তোমার সৈন্য কোথায়?' বালকটি বলল, ‘আমার কোনো সৈন্যের প্রয়োজন নেই। আমার এই তিন বানের এক বানেই আমি সম্পুর্ন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শেষ করতে পারি'। উত্তর শুনে স্তম্ভিত শ্রীকৃষ্ণ। কী করে তা সম্ভব, জানতে চান তিনি। তার সেই বিশেষ ধনুর্বাণ দেখিয়ে সেই বালক বোঝালেন সেগুলোর ক্ষমতার কথা। প্রথম তীরটি নিক্ষেপ করলে তা গিয়ে যাদের নিধন করতে চাই তাদের চিহ্নিত করে ফিরে আসবে। দ্বিতীয়টি এর ঠিক উল্টো – যাদের মারতে চাই না তাদের চিহ্নিত করবে সেটা। আর তৃতীয়টাই আসল কাজ করবে – প্রথম বাণটির দ্বারা চিহ্নিত সবাইকে, অথবা দ্বিতীয় বাণটির দ্বারা চিহ্নিতদের বাদ দিয়ে বাকি সবাইকে মেরে আবার তূণীরে ফিরে আসবে। সুতরাং শুধুমাত্র তিনবার তীরনিক্ষেপ করলেই শত্রুপক্ষ নিঃশেষ হবে এক নিমেষে!এবার ব্রাহ্মনবেশী শ্রীকৃষ্ণ পরীক্ষা দিতে বলেন বালককে “যে অশ্বথ গাছের তলায় আমরা দাঁড়িয়ে আছি তার সবগুলো পাতাকে একটিমাত্র তীরে গেঁথে দেখাও।” রাজি হয় বালক। বালকটির অলক্ষ্যে এই ফাঁকে গাছ থেকে একটি পাতা ছিঁড়ে নিজের পায়ের তলায় লুকিয়ে ফেলেন শ্রীকৃষ্ণ। প্রথম তীরটি ছোঁড়ার পর সেটি চোখের নিমেষে গাছের সবকটি পাতাকে চিহ্নিত করে শ্রীকৃষ্ণের পায়ের ঠিক ওপরে দাঁড়িয়ে পরে, যেখানে লুকোনো পাতাটি আছে। বালক ব্রাহ্মণকে অনুরোধ করে তার পা সরিয়ে ফেলতে, অন্যথায় পরবর্তী বাণ পা ভেদ করে নিচের পাতা ছেদন করবে। এরপর যথারীতি তৃতীয় বাণটি নিক্ষেপ করলেন বালক এবং সমস্ত পাতা ছেদন করে ফিরে ফেল তার তূণীরে। শ্রীকৃষ্ণ বুঝলেন বালকের সম্পর্কে শোনা একটি বর্ণও মিথ্যা নয়। তার এই একটি অস্ত্রেই কৌরব বা পান্ডবপক্ষের তাবড় তাবড় রথী মহারথীকে বধ করতে পারে চক্ষের নিমেষে! আর, সবচেয়ে যা ভয়ানক তা হলো যে লুকিয়েও কোনো নিষ্কৃতি নেই – তীরগুলি  নিয়তির মতো অমোঘ নিয়মে উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে বার করে হত্যা করবে, তা সে যেখানেই আত্মগোপন করুক না কেন! অনায়াসে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সর্বশ্রেষ্ঠ বীর হতে পারে এই বালক! স্বয়ং ভীমসেন যার পিতামহ সে নিঃসন্দেহে পাণ্ডবদের পক্ষে যোগ দেবে এ কথা তো সবাই জানে, তবু নিশ্চিত হওয়ার জন্য বালকের কাছে জানতে চান ব্রাহ্মনবেশী শ্রীকৃষ্ণ – “হে বালক, যুদ্ধে কোন পক্ষে লড়াই করবে তুমি?”। উত্তরে বালক বললেন “ আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যে পক্ষ দুর্বল তাদের হয়েই আমি যুদ্ধ করব” উত্তর শুনে শ্রীকৃষ্ণ নিশ্চিত হলেন এই বালক পাণ্ডবদের হয়েই রণক্ষেত্রে নামবে। কারন কৌরবদের সৈন্য সংখ্যা এগারো অক্ষৌহিণী এবং তার বিপরীতে পান্ডবদের মাত্র সাত অক্ষৌহিণী। এবার শ্রীকৃষ্ণ আসল কথাটা বালকের সামনে আনলেন। তিনি তাকে বোঝালেন যে যুদ্ধে দুর্বল পক্ষ একটি আপেক্ষিক সত্য। ধরা যাক আজ সে পান্ডবদের হয়ে লড়াই শুরু করলো, কৌরবরা তো অচিরেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এরপর কৌরবরাই হবে দুর্বল পক্ষ, সুতরাং প্রতিজ্ঞামতো সে তখন দল পাল্টে তাঁদের হয়ে যুদ্ধ করবে। এবার নির্মূল হওয়ার পালা পান্ডবদের। অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত বালক নিজে ছাড়া আর কেউই বেঁচে থাকবে না। এরকম যুদ্ধ হয়ে লাভটা কী? বালক ব্যাপারটা বুঝতে পারলেন। কিন্তু ক্ষত্রিয়ের প্রতিজ্ঞা বলে কথা, উপায় তো কিছু নেই! তবে এর কোন সমাধান থাকলে তা ব্রাহ্মনবেশী শ্রীকৃষ্ণের কাছে জানতে চাইলেন বালক।  তাতে শ্রীকৃষ্ণ বললেন এর সমাধান হল যুদ্ধে অংশগ্রহন না করা। অনেক ভেবেও শ্রীকৃষ্ণের প্রস্তাবে সম্মত হতে পারল না বালক। কারণ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এতে মনে করবে বালক কাপুরুষ ছিল। তাই যুদ্ধে যোগ না দেয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন