এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মা 

    রজত দাস লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ মে ২০২২ | ৮৪৬ বার পঠিত
  • বৃদ্ধার বয়েস কত হবে জানিনা। শীর্ণ অশক্ত নুব্জ দেহ। কখনও দাঁড়িয়ে থাকলে হাতে অথবা বসে থাকলে পাশে একটা লাঠি থাকে। ফুটপাতের ধারে রোজ দেখি বসে কিংবা দাঁড়িয়ে ভিক্ষে করেন। বৃদ্ধা ভদ্রমহিলাকে দেখলেই বোঝা যায় বেশ ভাল পরিবারেরই সদস্য...। আমার বড় জানতে ইচ্ছে করে, কোন পরিবার এমন নৃশংস ! এই বয়েসের একজন বৃদ্ধাকে রাস্তায় ভিক্ষে করে খেতে হয় ! রঞ্জুকে অফিস থেকে ফেরার পথে ওঁর কথাই বলছিলাম। রঞ্জু আর আমি প্রায় প্রত্যেকদিনই একসঙ্গে অফিস থেকে ফিরি। ও এখন নামী একটা মাল্টিন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স কোম্পানীতে রয়েছে। ভাল বেতন। ওর বৌও নামী একটা প্রাইভেট স্কুলের টিচার । স্কুলের বেতন ছাড়াও আছে বৃহৎ এক কোচিং ফ্যাক্টরি। স্কুল শিক্ষকদের টিউশন পড়ানোটাকে আমি কলকারখানার চোখেই দেখি। এক ডাক্তারি আর এক স্কুল টিচার প্রফেশনের মত আর কোন প্রফেশনে এই ডবল ইনকামের মজা নেই। ডাক্তার হলে প্রাইভেট প্র্যাকটিস আর শিক্ষক হলে প্রাইভেট টিউশনি। এমনও লোক আছে যাদের চাকরির বেতন ব্যাংকে জমা পড়েই থাকে। রঞ্জুর বৌয়েরও শুনেছি সেরকমই রোজগার। এই বছরেই ওরা দামী একটা গাড়ি কিনেছে। সেটা রঞ্জুর মুখে শোনা ছাড়াও হোয়াটসআ্যপে ছবিও পেয়েছিলাম। রঞ্জুর মেয়ে মায়ের স্কুলেই পড়ে। গাড়িতে চেপে মা মেয়ে স্কুলে না গেলে, নাকি মান বজায় থাকে না। রঞ্জু আমার আগের অফিসের কলিগ ছিল। আগে একসাথেই চাকরি করতাম। কয়েকবছর আগে ও ভাল অফার পেয়ে এই কোম্পানীটাতে চলে গিয়েছিল। আমি সেই একই কোম্পানীতে চর্বিত চর্বণ করে চলেছি। আসলে আমার অত কোয়ালিটি আছে বলে মনেই করিনা। দুম দাম চাকরি বদল করতে গেলে এলেম লাগে। তদুপরি লাগে ভাগ্যদেবীর অসীম কৃপা। প্রত্যহ নির্দ্দিষ্ট জায়গায় দেখা করে মেট্রোতে উঠি। আমি ওর থেকে অনেক আগেই নেমে যাই। দুজনের শেষ পর্যন্ত্য যাত্রা অবশ্য ঘটে না। দীর্ঘ প্রায় পাঁচবছর একসাথে বাড়ির দিকে ফিরলেও আমি ওদের বাড়ি কোনোদিন যাইনি। আসলে রঞ্জু কখনোই আমায় যেতে বলেনি। ওর মত বড়লোকের বাড়িতে আমি বোধহয় বেমানান, তাই জন্যই বলে না। আমি বরং ওকে এই কিছুদিন আগেই দাদার ছেলের পৈতেতে নিমন্ত্রণ করেছিলাম। সস্ত্রীক বললেও ও একাই এসেছিল। ভিখারিনি বৃদ্ধা ভদ্রমহিলার ব্যাপারে দু চার কথা বলতেও ওর কোনো হেলদোল বুঝলাম না। ও এবারের পুজোয় কাশ্মীর বেড়াতে যাবে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই প্রসঙ্গেই নানা প্ল্যান প্রোগ্রামের কথা শোনাতে ব্যস্ত। বৃদ্ধা ভিখারিনীর প্রসঙ্গ তাই কাশ্মীরের চাপে চাপা পড়ে গেল।
     
    "আমাকে ওই হোটেলটা থেকে সকালে এই ছ'খানা বাসি রুটি দিয়ে গেছলো। আজ তো হোটেল বন্দ থাকবে তাই কালকের রুটি কটা আমার ভাগ্যে জুটে গেল রে... আমার এই দুটোতেই পেট ভরে যাবে। এইনে তুই চারটে রুটি নিয়ে যা। তোর মত যদি কেউ আজ না খেয়ে থাকে তাকেও তোর চারটে থেকে দুখানা রুটি অবশ্যই দিবি, বুঝলি ? আর তাকেও এইটা বলে দিবি, সেও যেন একইভাবে কোনো অভুক্ত দেখলে, তার থেকে একটা রুটি খেতে দেয়...॥" 
    রাস্তার ধারে সিগারেটের গুমটি দোকানের আড়ালে দাঁড়িয়ে সেই বৃদ্ধা ভিখারিনীর কথা শুনছিলাম। উনি কয়েকটা রুটি হাতে নিয়ে একজন বাচ্চা কোলে নিয়ে আসা মহিলাকে কথাগুলো বলছিলেন। কত বৃহৎ হৃদয় হলে তবেই নিজের রসদ ঐভাবে ভাগ করে দিয়ে দেওয়া যায় ! আজ বাংলা বন্ধ। রাস্তাঘাট ভীষণ ফাঁকা। এসব বন্ধের দিনে আমাকে বের হতেই হয়, আজও তাই যথারীতি হয়েছে। রাজনীতির দলগুলো নিজেদের কর্মসূচি অনুযায়ী জনজীবন স্তব্ধ করে আস্ফালন করে। একবারও তারা ভাবে না, দিনমজুরি করে খেটে খাওয়া মানুষগুলো কিংবা এই পথে বসা ভিক্ষুকদের কি করে চলবে... একটা গোটা দিন অকেজো হয়ে গেলে ? রাস্তায় যদি মানুষই না বের হয় ভিক্ষুকদের ভিক্ষে কি করে জুটবে ? ওঁদের কথা সত্যিই কেউ ভাবে না..। ভদ্রমহিলার কাছে যাবার আগে হাতের জ্বলা সিগারেটটা নিভিয়ে ফেলে এগোলাম। জেঠিমা বলে ডেকে হাতে পঞ্চাশটি টাকা ধরিয়ে দিলাম। আমারও বাড়িতে মা আছেন। ওঁকে দেখে নিজের মায়ের মুখটা ভীষণ মনে পড়ে যাচ্ছে। বুকের ভিতরটা কেমন যেন দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে। ভীষণরকম একটা কষ্টে গলায় আটকে আসা কান্না কান্না ভাবটা লুকাতে ওনার কাছ থেকে পালিয়ে বাঁচলাম। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
     
    পুজোর আগে হঠাৎ করেই আমায় সপ্তাহ দুয়েকের জন্য উত্তরবঙ্গ চলে যেতে হয়েছিল। প্রাইভেট ফার্মের চাকরির এসব ব্যাথার কোনো উপশম নেই। বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করা মানে হল হাঁড়ি কাঠে গলা রেখে বলির জন্য দিন গোনা... দুটোই একইরকম ঝুঁকিপূর্ণ। দুটি ক্ষেত্রেই ধর থেকে মুণ্ড কখন ছেদ হয়ে যাবে কেউ জানেনা ! উত্তরবঙ্গে যাওয়ার আগেই সেই ভিখারিনী বৃদ্ধা খুব অসুস্থ শুনে গিয়েছিলাম। অফিসেই কে যেন খবরটা শুনিয়েছিল। বেশ কদিন তিনি ভিক্ষের জন্যে নির্দ্দিষ্ট স্থানটিতে এসে বসেননি। তখন উত্তরবঙ্গে ভীষণ বৃষ্টি চলছে। আমি তারই মধ্যে অফিসিয়াল কাজগুলো সারতে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছি। হঠাৎ করেই মহাষষ্ঠীর দিন রঞ্জুর ফোন পেলাম। যেদিন ফোন করেছে তার দুদিন আগে ওর মা মারা গেছেন, দুঃসংবাদটা দিল। বেশ কয়েকদিন অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পর ওর মা গত হয়েছেন। আগামীকাল অর্থাৎ সপ্তমীতে পরিবার নিয়ে ওর কাশ্মীর বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সেটা আর হল না। ফোনে ওর কথা শুনে আমার কেমন যেন মনে হল, রঞ্জু মায়ের মৃত্যু নিয়ে যতটা না দুঃখিত তারচেয়ে ঢের বেশি আপসেট কাশ্মীর যাত্রা ক্যান্সেল নিয়ে। অশৌচ কাটিয়ে ওদের কাজ মিটতে পুজো পেরিয়ে যাবে। আমায় সেজন্য ফোনেতেই মায়ের শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণ সেরে নিল। ঠিক ছিল আমি কাজ মিটিয়ে অষ্টমীতে ট্রেনে উঠব আর নবমীতে শহরে ফিরব। 
     
    লক্ষ্মী পুজোর পরের দিনই রঞ্জুর মায়ের শ্রাদ্ধের কাজ। রঞ্জুর জন্য একটা টি-শার্ট শিলিগুড়ি থেকেই কিনে এনেছিলাম, দেব বলে। বেশ বড় দেখে একটা রজনীগন্ধার মালা আর রজনীগন্ধা ধূপের বড় প্যাকেট কিনে নিয়ে রঞ্জুর বাড়ি চললাম। ওদের দোতলা বাড়িটা খুব সুন্দর। ছাদের ওপর দুধ সাদা প্যান্ডেল করা হয়েছে। ওখানেই রঞ্জু আর ওর দুই দাদা একসঙ্গে মায়ের কাজ করছে। রঞ্জুর দাদারা কেউ প্রতিষ্ঠিত নয়। এক দাদা বিয়েই করেনি। বাউন্ডুলে প্রকৃতির। অর্ধেক সময়ে বাড়িতেই থাকে না। আর এক দাদা স্থানীয় কোন ছোট একটা ফ্যাক্টরিতে সুপারভাইজরের চাকরি করে। ওই দাদার কাছেই নাকি মা থাকতেন। রঞ্জু তো আমায় একদিন কথাপ্রসঙ্গে বলেছিল যে সে মায়ের জন্য প্রতি মাসে দাদার হাতে টাকা দিয়ে আসত। এর সত্যি মিথ্যে জানা নেই। এইসব ভাবতে ভাবতেই রঞ্জুর বৌয়ের সাথে সিঁড়ি দিয়ে তিনতলার ছাদে শ্রাদ্ধ বাসরে উঠছিলাম। ধীরে ধীরে সিঁড়ি দিয়ে যত ওপরে উঠছি তত কানে আসছিল পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণ। হিন্দু শাস্ত্রের এই সংস্কৃত মন্ত্র আমায় বরাবরই ভীষণ টানে। বেশ ভাবের ঘোরে মোহিত হয়ে যাই। মন্ত্রে মোহাবিষ্ট হয়ে এগিয়ে গেলাম। এক ধারে একটা সাদা চাদর দিয়ে আবৃত চেয়ার। তার ওপর রাখা রঞ্জুর মায়ের ছবিটাতে মালাটা খুলে পরাতে গিয়ে আমি মুহূর্তের জন্য তীব্রভাবে চমকে উঠলাম। অনেক অনেক মালাতে ছবিটা ঢেকে গিয়েছিল। আমার মালাটা পরাতে গিয়ে আমি নিজে হাতে ছবির মুখের অংশটা ফাঁক করে সরিয়ে দিতে গিয়েই শক্ লাগলো। মুহূর্তের জন্য কেমন যেন বিহ্বল হয়ে পড়লাম। একি দেখছি ? নিজের চোখকেও বিশ্বাস হচ্ছে না ! অবিকল সেই বৃদ্ধা ভিখারিনীর মুখ ! যিনি ফুটপাতে বসে দিনের পর দিন দুটো খাবার জন্যে ভিক্ষে করে গেছেন, তিনিই রঞ্জুর মা ? প্রশ্নটা আমার বুক ভেদ করে দিকবিদিক ছিন্নভিন্ন করে ছিটকে বেরিয়ে যেতে চাইছিল।
     
     একরাশ কান্না দলা পাকিয়ে বুক ভেদ করে উপরে উঠে গলা দিয়ে বেরিয়ে যেতে চাইছে। পুরোহিতের তীব্র মন্ত্রোচ্চারণে চারিদিকের বাতাবরণ ভেসে যাচ্ছে। নানানরকম ধূপের সৌরভে ছেয়ে আছে চারিদিক। শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের আড়ম্বরতার মাঝে সেই কথাগুলো কানে প্রতিধ্বনির মতই বেজে বেজে যেতে লাগলো,
     
     "...এনে তুই চারটে রুটি নিয়ে যা। তোর মত যদি কেউ আজ না খেয়ে থাকে তাকেও দুখানা রুটি অবশ্যই দিবি, বুঝলি ? আর তাকেও এইটা বলে দিবি, সেও যেন একইভাবে কোনো অভুক্ত দেখলে, তার থেকে একটা রুটি খেতে দেয়...॥"
     
    __________________
    ©রজত দাস

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Rajkumar Mahato | ২৪ মে ২০২২ ১৬:১৩508039
  • লেখাটা চমৎকার হয়েছে রজত বাবু,কিন্তু বাংলায় 'ওনার' বলে কোন শব্দ হয়না। ওনার টা 'ওঁর' হতে পারে। কিছু মনে করবেন না বললাম বলে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন