আমি বুকের ভিতর একবিন্দু জল নিয়ে জন্মেছিলাম।জল, স্বাতী নক্ষত্রের জলবিন্দু-জলেরই ভিতর।
এখন গায়ে জন্মায় শ্যাওলা, অমসৃণ ধূসর ত্বক
কঠিন, কর্কশ মোহ আবরণ।
জলের তলায় কখনো দমবন্ধ লাগে, কখনো ঘোর;
সবুজ, ভয়ধরানো হিমজাগানো ছ্যাতলাপড়া সবূজ
নিয়ত জাগায় মৃত্যুমোহ, ঝিমধরানো আদিম কালচে
ভাবলেশহীন শীতল শ্যাম।
বুকের ভেতর বালুকণা জমে; কাঁকর, পলি, স্যাঁতাগন্ধ
স্তনযোনিহীন মাংসপিন্ড হয়ে তালগোল পাকিয়ে
পড়ে রই, কলঙ্কছাপ, পাঁকতিলক মেখে, ঊননারী -
ঊর্ণনাভি জাল বুনি নিজেই নিজের রক্ষাকবচ,
লূতাতন্তু দিয়ে সৃজি আপন বিশ্ব :আঁধারবাসিনী,
যে মহামায়া ফল্গুবাহিনী কালস্রোতে বিরাজিতা।
হে নাথ, তবু আমি নারী, শুক্তিলীনা-
মুক্তো কবে আসবে, প্রভু? মুক্তি কবে আসবে? -
এসব প্রশ্নের উত্তর, এখনো জানি না।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।