এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  স্মৃতিচারণ  আত্মজৈবনিক

  • কাপালিক The Skull Man

    সে
    স্মৃতিচারণ | আত্মজৈবনিক | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৪৮২৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • খেই ধরানো

    যে কোনও বই পড়বার সময় ভূমিকাটুকু বাদ দিয়ে পড়া আমার বরাবরের স্বভাব। ঐটে মূল পাঠ্যাংশের তুলনায় কম আকর্ষণীয় লাগে। কিন্তু নিজে লিখবার বেলায় খেয়াল হলো যে কিছু কৈফিয়ৎ আগেভাগেই জানিয়ে না দিলে পাঠকদের ওপর অন্যায় করা হবে।
    "কাপালিক" আমার নিজের জীবনের ঘটনা, যদিও চরিত্রদের নাম বদলাতে হয়েছে। এর সময়কাল উনিশশো ছিয়ানব্বই সালের মধ্যেই সীমিত। এই সময়টা আমার বিদেশ থেকে ভারতে ফিরে আসার সন্ধিক্ষণ।
    আমি ভেঙে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের তাশখন্দ থেকে ফিরেছিলাম কলকাতায়। যে কলকাতাকে ছেড়ে আমি দশ বছর আগে সোভিয়েত ইউনিয়নে গেছলাম উচ্চশিক্ষার্থে, ফিরে আসবার পরে সেই কলকাতাই কেমন যেন অচেনা ঠেকছিল। অথচ দশটা বছরে আমি কতবার ঘুরে গেছি আমার শহর থেকে, যদিও সেসব ছিল ছুটি কাটানোর মত শর্টট্রিপ, এবার এলাম পাকাপাকি থাকতে। অর্থাৎ আমার একটা উপার্জনের ব্যবস্থা চাই, অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত দম ফেলবার সময় নেই। না, আমার কাছে কোনও নিজস্ব সঞ্চয় ছিল না।তাশখন্দে আমি ছিলাম শুধুই ছাত্র, কোনও চাকরি করিনি সেখানে।আমার সঙ্গে ফিরেছিল আমার বয়ফ্রেণ্ড, সেও সবে পাশ করেছে, সেও ভারতীয়, সেও বাঙালী, তবে তার বাড়ি কলকাতা থেকে বহুদূরে পাহাড়ে ভরা মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে। ছবছর আমরা একসঙ্গে থেকেছি তাশখন্দে। এই ছবছরে আমাদের একটা সন্তান জন্মেছে, মেয়েসন্তান, অবশ্য বিয়ে করি নি আমরা। আমাদের মেয়েকে কলকাতায় আমার মায়ের কাছে রেখে গিয়েছিলাম কিছু বছর আগে। তার বয়সও সবে পাঁচ হয়েছে। সে আমার মায়ের কাছেই থাকে। আমার বয়ফ্রেণ্ড তার বাড়িতে সব খবরই গোপন রেখেছিল। তাদের রক্ষণশীল পরিবার, তার দিদির তখনও বিয়ে হয় নি। ছোটভাই বান্ধবীর সঙ্গে থাকে, সে বিয়ে না করেই বাবা হয়েছে, এসব লজ্জার ঘটনা বলেই ধরা হয় তাদের পরিবারে, বলা হয় স্ক্যাণ্ডাল। এসব খবর জানাজানি হলে দিদির বিয়ে আটকে যেতে পারে। ভারতীয় অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ প্রথায় শুধু পাত্রপাত্রীই নয়, তাদের পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক বিরাট ভুমিকা পালন করে। অন্যদিকে, আমার মা আমার মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে রাজি হলেও আমাদের দুজনের সম্পর্ককে মেনে নিতে পারে নি।এর পেছনে যে আমাদের দুজনের বিয়ে না করে একসঙ্গে বসবাস করাটাই একমাত্র কারণ, তা কিন্তু আমার মনে হয় না। আমরা দুইবোন, বাবা মারা গেছে শৈশবে, আমিই বড়। মা আমাকে কোনওদিনও আদর করেছে কি ভালোবেসে কিছু বলেছে বলে আমার মনে পড়ে না, আমার বোনের প্রতি অবশ্য তার ব্যবহার ছিল খুবই নরম। এর কারন ছিল স্পষ্ট। আমার গায়ের রং এজন্য দায়ী। বোনের তুলনায় আমার গায়ের রং বেশ কয়েক পোঁচ কালো। ছোটবেলা থেকেই গায়ের রং কালো হবার কারণে আমি তার কাছ অপ্রিয় হয়ে থেকেছি। আমাদের সমাজে এখনও ফর্সা মেয়ের চাহিদা বিয়ের বাজারে সবচেয়ে বেশি।মেয়েদের দৈহিক সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে অগ্রাধিকার পেত গায়ের রং, সেই প্রথম রাউন্ডেই আমি ফেল মেরেছি। আর কে না জানে, যতই পড়াশোনা করে চাকরি বাকরি নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াই না কেন, বিয়ে তো একসময় করতেই হবে। এ সমস্তই আমার অবচেতনে গেঁথে গেছল স্বতঃসিদ্ধের মত। কিন্তু সব কিছু আমূল পাল্টে দিল আমার সোভিয়েত ইউনিয়নে যাওয়া। সিলেবাসের পড়ার থেকেও অনেক বেশি শিখেছি সেখানে পারিপার্শ্বিক থেকে। এ কেবল অন্য দেশে যাওয়া নয়। এ ছিল টাইম ট্র্যাভেল। টাইম মেশিনে করে যেন কোন এক স্বপ্নের মত ভবিষ্যতে চলে যাওয়া। যেখানে গিয়ে জানলাম আশৈশব জেনে আসা অনেক স্বতঃসিদ্ধ আসলে ভুল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি দ্রুত বদলে যেতে থাকি। গায়ের রং সম্পর্কে, বিয়ে সম্পর্কে, জীবনের নানান ব্যাপারে আমার চিরাচরিত ধারণা এবং সংস্কার টুপটাপ খসে খসে পড়ে যেতে থাকে, যেমনটা সীতাহরণের ঘটনায় পুষ্পক রথে করে লঙ্কার পথে উড়ে যেতে যেতে সীতা তার সমস্ত অলংকার এক এক করে ত্যাগ করেছিল। জীবনে প্রেম এসেছে একের পর এক। বিয়ে সম্পর্কে প্রথমে দোটানায় থাকলেও ক্রমশ বিয়ে আমার কাছে আর আকর্ষণীয় মনে হয় নি। অবিবাহিতা মা দেখলে সেই সময়ে অনেকেই মনে করত এ সন্তান কোনও দুর্ঘটনার পরিণতি। নিরাপত্তাহীন যৌন জীবনের জ্যান্ত দলিল। এই সন্তান যেন একটা দায়, একটা লজ্জার ব্যাপার। বিয়ের অপশন থাকা সত্ত্বেও কেন তুমি বিয়ে না করে মা হবে? এ তোমার কেমন বেয়াড়া আবদার, এত বড়ো দুঃসাহস! সকলেই এর পেছনে একটা বঞ্চনার ইতিহাস খুঁজতে চেয়েছে, দেখতে চেয়েছে একটা করুণ কাহিনি। এটা যে আমার নিজের পছন্দে, চয়েসের ফলেই হয়েছে, তা আমার সমাজের অধিকাংশ মানুষই মেনে নেয় নি। তারা ভাবত, আমি মিথ্যে বলছি, প্রেমে ঠকে গিয়ে লজ্জায় আঙুর ফলকে টক বলে চালাতে চাইছি। যদি তখন তাদের কথাই শিরোধার্য করে মাথা নুইয়ে বলতাম যে তাদের গণনাই ঠিক, আমি সত্যিই অভাগিনী, তাহলে হয়ত তারা সন্তুষ্ট হতো। দেশে ফিরবার পরে তাই প্রথমে নিজের মায়ের কাছে উঠলেও সেখানে বেশিদিন ঠাঁই হয় নি। ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন সব রাতারাতি পর হয়ে যাচ্ছিল। কলকাতা শহরে আমাদের থাকবার কোনও জায়গা ছিল না। পর্য্যাপ্ত টাকার অভাবে কোনও ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে পারি নি, ফলে বাধ্য হয়ে নিজেদের স্বামীস্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে একটা বস্তিতে ঘর ভাড়া নিই। জীবনে সেই প্রথম বস্তিতে বাস করা। যারা আগে কখনও বস্তিতে থাকে নি তাদের জন্য একেবারেই সহজ নয় সেই নতুন পরিবেশে বসবাস করা। সেখানে জলের কল থেকে শুরু করে বাথরুম টয়লেট সমস্তই কমন। একটি মাত্র আসবাবহীন স্যাঁৎসেতে ড্যাম্প ধরা ঘরের মেঝেয় চাদর পেতে শোবার ব্যবস্থা। টাকা পয়সার তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে নানান ধরণের চাকরি করেছি ন্যূনতম খরচ জোটাতে। আমার বয়ফ্রেণ্ডের পরিবারকেও ক্রমে জানানো হয় সব। আমরা চলে যাই শিলং এ। কিন্তু সেখানে পরিস্থিতি আয়ত্ত্বের বাইরে চলে যায়। তারা আমাকে দুটো অপশনের মধ্যে একটা বেছে নিতে বলে। এক, ঐ সম্পর্কের ইতি টেনে কলকাতায় একা ফিরে যাওয়া, দুই, ওখানে থাকতে চেয়ে খুন হয়ে যাওয়া। ওখানে জোর করে থাকবার চেষ্টা করলে আমাকে তারা মেরে ফেলে ওয়ার্ডস লেকের গভীর জলে বস্তায় পুরে ফেলে দেবে। আমার পায়ে বেঁধে দেবে ভারীভারী বাটখারা। আমার মৃতদেহ অদূর ভবিষ্যতে ভেসে উঠবে না কিছুতেই। হয়ত এটা ভয় দেখানোর জন্যই তারা বলেছিল। কিন্তু প্রতিদিন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে শহর গ্রাম নির্ব্বিশেষে কোনও না কোনও বিবাহিত মেয়ের অস্বাভাবাবিক মৃত্যু ঘটে চলেছে, সেসব খবর তো আমাদের অগোচরে থাকে না। আর এক্ষেত্রে আমি বিবাহিত মেয়ে না হলেও এই বাড়ীর ছেলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক স্থাপন হয়েছে যা তাদের মনোনয়ন পায় নি, পাবেও না, সেক্ষেত্রে আমার প্রাণেরও বেশ ঝুঁকিই রয়েছে তা বুঝে ফেলি। বুঝি প্রাণ নিয়ে পালানো ছাড়া খুব বেশি অপশন আমার হাতে নেই। জনবল নেই, লোক নেই। আমি প্রথমটাই বেছে নিয়েছিলাম। কারন সেই প্রেমটার মৃত্যু ঘটেছে তখনই। জোর করে সেই মৃত প্রেমের কাছ থেকে কিছুই পাওয়া যাবে না, বরং নিজের প্রাণটিও খোয়া যেতে পারে।ফলে ভাগ্যের এই বিড়ম্বনায় পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে নিজের জন্মভূমিতেই নির্বাসিতের জীবন বেছে নিয়েছি। আমার সন্তানকেও নিজের কাছে এনে রাখতে পারিনি। মধ্যনব্বইয়ের সেই দিনগুলোয় অবিবাহিত মায়েদের জন্য এই ধরণের শাস্তিই হয়ত বরাদ্দ ছিল। আমাদের এই নীল গ্রহটায় অনেকগুলো পৃথিবী আছে, সেই পৃথিবীগুলোয় যেতে হলে সবসময় যে টিকিট কেটে যেতে হবে তেমন নয়। আমাদের চারপাশেই রয়েছে সেই সব পৃথিবী। তাদের একটার সঙ্গে অন্যটার ব্যবধান সময়ে, ভাবনায়, মূল্যবোধে, শিক্ষায়, ভালোবাসায়, নিষ্ঠুরতায়, আরও অনেক কিছুতে। স্রোতের বিপরীতে চলার কারণে বিভিন্ন জীবিকার পেছনে ছুটতে হয়েছে। ফলতঃ বেঁচে থাকার চেষ্টায় একের পর এক নানান জীবিকা নিতে হয়েছে। কখনও পড়ানোর কাজ নিয়েছি, তো কখনও মডেলিং করেছি। টাকার অঙ্কে মজুরি পড়তায় না পোষালেও অভিজ্ঞতার ঝুলি এমন ভরেছে, যে হিসেব কষলে সব মিলিয়ে লাভের অঙ্কই বেশি মনে হয়। এমনি নানান সব চাকরির মধ্যে একটা চাকরির কিছু অভিজ্ঞতা ধরা রইল এইখানে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f42b:28d5:6bdd:***:*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:২২735752
  • আমি চেষ্টা করছি পয়েন্ট দুটো একটু পরিস্কার করতে।
    ১) গন্ধের ব্যাপারে যা ঘটেছিল সেটাই লিখেছি। আপনি মনে করছেন আমি ওভার সেনসিটিভ। 
    ২) আমার জীবনই তো। সেটা নিজের ইচ্ছে মত বাঁচতে চেয়েছি এবং সফল হয়েছি। তার জন্য মূল্য অবশ্যই দিতে হয়। ফ্রি তে স্বাধীনতা পাওয়া যায় না এটা আমার অভিজ্ঞতা। দাম দিয়ে কিনতে হয়, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে। আর "শিশু অকারণে পিতৃস্নেহ ..." এটা আমিও বুঝলাম না। মন্দ পিতার চেয়ে পিতৃস্নেহ না থাকা ভালো নয়? অবশ্য শিশুটি পরে অনেক পিতৃস্নেহ পেয়েছে যা এই লেখাটির সময়সীমার বাইরে।
    পিতা যে সবসময় বায়োলজিকাল পিতা হবে এরকম অনুশাসনের ভেতরে আমার চিন্তা কখনই ছিল না, তখনও নয়, এখনও নয়।
  • :|: | 174.25.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:৫৫735753
  • লেখিকাকে ধন্যবাদ। উত্তর দেবার জন্যে। 
     
     
    ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:৫২: শুধুই মেসো বা মাসিমা? তৃতীয় লিঙ্গের অনুল্লেখ মনে বড় দাগা দিলো যে! 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f42b:28d5:6bdd:***:*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:০৯735754
  • তৃতীয় কেন? নিশ্চয় জানেন যে আরও অনেক আছে। 
    তবে তাঁদের কে বলা হয় নি।
  • Amit | 121.2.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:১৪735755
  • তা আর বলতে। 
    তবে কিনা যাদের  অন্তর্জালের পরিচয় বলতে একটা ড্যাশ আর চারটে ফুটকি আর হ্যাবিট বলতে অন্যের লেখার খুঁত খুঁজে বেড়ানো  বা ফ্রি মরাল চর্বিত চর্বন বিতরণ করা , তাদের কোমল প্রাণে কখন কিসে দাগা লাগে তা বোঝা বড়ো মুশকিল। 
  • :|: | 174.25.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:১৪735756
  • লেখার সময়সীমার বাইরের ঘটনা এখন জানলাম। ভালো লাগলো জেনে যে সে পুরোটাই ডিপ্রাইভড হয় নি।
    তবু ওই ছোটো মনের চাপ আর কষ্টের দিনগুলো তো কোনোদিনই রিপ্লেসড হবে না। পাঠক হিসেবে জন্মদাতাকে "মন্দ" মনে হয় নি। অকারণ সাহসী তিনি না-ই হয়ে থাকতে পারেন, সেই বয়েসে বা সেই পরিস্থিতিতে -- তা বলে মন্দ বলে দাগিয়ে দেওয়া বা সেই পিতার স্নেহ পাবার চেয়ে না পাওয়া ভালো -- এমন ভাবাটা একটু মুশকিলের। 
    যাই হোক আনন্দে আছেন শেষ অবধি -- এইটাই কাম্য।
  • :|: | 174.25.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:১৬735757
  • ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:১৪: দুর্দান্ত! তারপর? আপনার নেমেসেক স্যারের খবর কী? 
  • Amit | 121.2.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:৪৪735758
  • বাহ্। এইতো আসলে রূপ বেরিয়ে পড়েছে। চালিয়ে যান।
  • :|: | 174.25.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:০৫735759
  • ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:৪৪
    সুখের বিষয় অযাচিত মন্তব্য করে নিজের আসল রূপটি প্রকাশ করার প্রথম পুরস্কারটি আপনারই ঝুলিতে গেলো। অভিনন্দন জানাই। এক্ষেত্রেও নামের মর্যাদা রক্ষা করলেন এবং ঘটনাচক্রে আমারই সূত্রে। এজন্য অত্যন্ত আনন্দিত।
  • Amit | 121.2.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:১৬735760
  • নিশ্চয় নিশ্চয়। কেও আনন্দ পেলে তো সক্কলের খুশি হওয়া উচিত। তা সে যেভাবেই হোক না। 
     
    আমার নামের যে আদৌ কোনো মর্যাদা আছে তাই এদ্দিন জানতাম না। অবশ্য সেনসিটিভ মরাল মেসো মাসিমা রা কত কি খুঁজে পান  আর জাজমেন্ট দিয়ে দ্যান না চাইতেই। দেখেও ভালো লাগে। 
     
  • :|: | 174.25.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:১৭735761
  • বাই দ্য ওয়ে, অন এ সিরিয়াস নোট, বিরুদ্ধ মত সহ্য করতে শিখলে আখেরে আপনারই লাভ। এই প্রত্যাশা থাকবেই বা কেন সবাই একই কথা বলবে? লেখিকার তো তেমন দাবী নেই দেখাই যাচ্ছে। কিন্তু আপনার সমস্যা হচ্ছে, এর আগেও দেখেছি, তাই ভেবে দেখতে বললাম। জাস্ট ফেলো নেটিজেনের সাজেশন। উড়িয়ে দেওয়া আপনার মৌলিক অধিকার। এবং তা প্রয়োগে দ্বিধা করবেননা বলেই আমার বিশ্বাস। 
  • Amit | 121.2.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:২০735762
  • নিশ্চয়। অযাচিত ভাবে কাউকে মরাল উপদেশ দিয়ে বেড়ানোটাও যে বিশেষ কাজের জিনিস নয় সেটাও ফেলো নেটিজেন এর সাজেশন  মাত্তর । উড়িয়ে দেওয়া আপনার মৌলিক অধিকার। এবং তা প্রয়োগে দ্বিধা করবেননা বলেই আমার বিশ্বাস। 
  • :|: | 174.25.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:২৪735763
  • হায় হায় কাকে কি বলছি! আমি চিহ্ন দিয়ে কাজ চালাই একটা নাম পর্যন্ত নাই তাই কত কি বললেন। আপনার নিজের নাম আছে অন্তর্জালে অথচ তার নাকি দাম/মর্যাদা নাই? 
     
    যাগ্গে, জাজমেন্টটা ঠিক কোথায় পেলেন? আর সেন্সিটিভিটিই বা কোথায় দেখলেন? আমি তো দুটি না বোঝা উল্লেখ করেছি। একটু কোট আনকোট করবেন? পরিশ্রমের জন্য আগাম ধন্যবাদ।
  • :|: | 174.25.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:২৫735764
  • অবশ্যই "মরাল উপদেশ"-টাও উল্লেখ করবেন। অনেক ধন্যবাদ। 
  • Amit | 121.2.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:২৬735765
  • এতক্ষনেও  সেটা না বুঝে উঠতে পারলে কাটিয়ে দেওয়াই ভালো। 
  • :|: | 174.25.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:৩৪735766
  • না আপনাকে বলতেই হবে। মিথ্যা অপবাদ দিলে সেটা প্রমান করার দ্বায়িত্ব আপনার। কাটাবো না। আপনি মেনে নিন মিথ্যা অভিযোগ এবং অন্যায় গালি দিচ্ছিলেন -- আমি কাটিয়ে দেবো। 
  • Amit | 121.2.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:৪৩735767
  • ও আচ্ছা  - তাই ? নরমালি যারা জেগে ঘুমোয় তাদেরকে উঠানোর চেষ্টা বৃথা - তবু তুলে দিলাম যদি অন্য কারোর কাজে লাগে। :)
     
    "পড়াশোনার সময় পড়ালেখা করা, ঠিকঠাক নিজের পায়ে দাঁড়ানো আর তারপর আরেকজন মানুষকে ডাকা  -- এই তুচ্ছ সিকোয়েন্সটি অনুসরণে কী অসুবিধা তাও বুঝিনি! "
     
    এই ধরণের সুইপিং স্টেটমেন্ট গুলো সভ্য দেশ গুলোতে বা সমাজে অকারণ জাজমেন্ট বা অযাচিত উপদেশ হিসেবেই  ধরা হয়। 
     
    যাকগে - যা দিনকাল। একদিকে কারোর কাছে হিজাব পড়া আনএক্সেপ্টেবল , আবার কারোর কাছে পৃ-ম্যারিটাল সেক্স আনএক্সেপ্টেবল। জ্যে যার ওপিনিয়ন নিয়ে থাক। 
     
    বাই দ্য ওয়ে, অন এ সিরিয়াস নোট, বিরুদ্ধ মত সহ্য করতে শিখলে আখেরে আপনারই লাভ। এই প্রত্যাশা থাকবেই বা কেন সবাই একই কথা বলবে? 
     
  • :|: | 174.25.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৯:৫৫735768
  • ওহ এইটা আপনার "মরাল উপদেশ" মনে হয়েছে? নাকি "জাজমেন্ট"? তা এই বক্তব্যের কোনও রেফারেন্স আছে? এই যে এইটা: "এই ধরণের সুইপিং স্টেটমেন্ট গুলো সভ্য দেশ গুলোতে বা সমাজে অকারণ জাজমেন্ট বা অযাচিত উপদেশ হিসেবেই  ধরা হয়।" নাকি আপনার স্বকপোল কল্পিত? 
    ওটা তো স্টেটমেন্ট ​​​​​​​ছিলো ​​​​​​​না -- না ​​​​​​​বোঝা জিজ্ঞাসা ​​​​​​​ছিলো। ​​​​​​​জিজ্ঞাসার ​​​​​​​উত্তর ​​​​​​​আছে ​​​​​​​নাকি ​​​​​​​আপনার কাছে? 
     
    বাকি কিছু নিয়ে কোনও মন্তব্য আমি করিনি। আপনি কার কাছে কী শুনেছেন তার দায় আমার নয়। হিজাব তো লোকে "পরে" বলেই জানি। আর কোরান "পড়ে"। এই নিয়ে কখনও বিরুদ্ধ মত পোষণ করিনা। 
  • :|: | 174.25.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:০৩735769
  • জাজমেন্ট আর মরাল উপদেশ দুইটা আলাদা ব্যাপার। আসলে হয়েছে কি আপনি ভেবেছেন এমন একটা অসাধারণ অভূতপূর্ব ছকভাঙ্গা ঘটনা জনতা আগে দেখে নি শোনেনি। তাই অত্যন্ত আশা ছিলো, একটা কেউ নিশ্চয়ই কিছু বলবে। কিন্তু সেটা হলো না। সরাসরি প্রশংসাকারীদের কিছু বলার নেই। এখন একজনকে পাওয়া গেছে যে কিনা একটু প্রশ্ন করেছে। ব্যাস আর যায় কোথায়! জল মিলবে না? বললেই হলো? কত মিল চাই? বলি, বৈকালের সঙ্গে নৈপাল কে মিলিয়েছিলো? ইত্যাদিপ্রভৃতি কাব্য প্রতিভা! 
    অবাক ...
  • Amit | 121.2.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:১৮735770
  • সত্যি। আপনি কত জানেন। আমারই ভুল। নতমস্তকে স্বীকার ​​​​​​​করছি। 
     
    আপনি এবার চালিয়ে যেতে পারেন। আর কোনো মন্তব্য নেই। 
  • :|: | 174.25.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:২৯735771
  • ধন্যবাদ। বলেছিলাম আপনি ভুল স্বীকার করলেই কাটিয়ে দেবো -- কথা রাখলাম। আর এই আলোচনায় আসবো না। যে যাই লিখুক এইটেই আপাতত শেষ পোস্ট। 
    আরও একবার লেখিকাকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করি।   
  • Amit | 121.2.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:৫১735773
  • যাক। বাঁচা গেছে। সে - আপনি এবার শান্তিতে লিখুন। 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f42b:28d5:6bdd:***:*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:০৮735774
  • অমিত,
    থ্যাংকু :-)
  • aranya | 2601:84:4600:5410:2454:34d9:8a5d:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০২:২৪735779
  • সে, আগে লিখতে ভুলেছি, মেয়েটির জন্য এসকেপ রুট খোঁজা - কিছুটা তো বটেই। তবে আমি নিজে ১৯৮৯-৯০ নাগাদ দেশে ফিরব ভেবেছিলাম, একটা ইউএস  ডিগ্রী নিয়ে। তখন ঐ রকম প্ল্যান করেছিলাম - বিবিধ কোম্পানি-র দুয়ারে যাব, যদি রেজুমি দেওয়া যায়। 
    তবে আমার থাকার জন্য একটা বাড়ি ছিল, আর চাকরি খোঁজার সময় ঘোরাঘুরি, খাওয়া দাওয়ার জন্য কিছু টাকাও পাওয়া যেত সেই বাড়ি থেকে, আপনার অবস্থা অনেক কঠিন , এই মিনিমাম সাপোর্ট টুকুও ছিল না 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:c953:ee1e:bf4f:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০২:৪৬735780
  • হ্যাঁ অরণ্য। বুঝেছি। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা, আমার ওপর প্রাণহানির হামলা হয় দুতিনবার, ধর্ষণের চেষ্টা একবার, মারধোর বহুবার। এছাড়া মানসিক অত্যাচার অগণিত। আমাদের সমাজে মেয়েদের অবস্থা ভালো নয়।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:2454:34d9:8a5d:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০২:৫৬735781
  • ভয়াবহ :-((
  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:০৯735791
  • এই লেখা পড়তে বসলে ছাড়া যায় না। আইটি আইটি পা পা বইটা পড়েছি,।  তাই কিছুটা ধারণা ছিল, তবে এই দুটি লেখা ময়ুর-ময়ুরী আর এই লেখার মধ্যে ফুটে ওঠা জীবনের মত জীবন খুব কম দেখেছি। এই রকম মেয়ে যদি আরও একশটা হত না, এই সমাজটাকে একটা ঝাঁকি দিয়ে সোজা করে দিতে পারত! টেক আ বাও। 

    আমার আর একটা বিষম কৌতুহল আছে। আপনি ১৯৮৭ নাগাদ উজবেকিস্তানে গেছেন বোধহয়। সেই সময় যখন সাধারণ বাড়িতে মেয়েরা চাকরি করতেও বাইরে যাওয়ার কথা ভাবে না,সেই আমলে আপনি উজবেকিস্তান পড়তে চলে গেলেন কি ভাবে? তার উপর আবার উজবেকিস্তান যে জায়গার নাম বললে অনেক লোকে ম্যাপেও খুঁজে পাবে না! এই খানেও মনে হয় কোন পাঁচিল- ডিঙ্গানোর গল্প আছে- সেটা শোনার খুব আগ্রহ।       
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:5cea:d118:9cd:***:*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৪১735792
  • স্বাতী,
    কী বলি বলোতো? অনেক ধন্যবাদ।
    দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফের উত্তর তো টুক করে দেয়া যাবে না। নতুন লেখা নামিয়ে ফেলব।
    অনেক ভালোবাসা।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:80bd:3eae:b80a:***:*** | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:০৬735794
  • এটা আমিও জানতে চাই। ঐ সময়ে আমেরিকা আর কিছুটা ইউকে, জার্মানী, কানাডা ইঃ দেশে পড়তে যাওয়ার চল ছিল বেশী। 
    উজবেকিস্তান খুবই আনকমন ডেস্টিনেশন 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:e8d7:1e6:3e9:***:*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:২৩735795
  • কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন টই পাবেন অরণ্য
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন