আরেকবার বাজেট ভাষণ শুনুন। নীচের বড় হরফের শব্দগুলোর একটাও আমি বাজেট স্পীচে শুনতে পাইনি। কেউ যদি আমার ভুল ধরিয়ে দেন তো খুশি হব।
* এখন বেকারির হার শহরে ৮%, গ্রামে ৬%।
* ইনফ্লেশন রেট ৪% থেকে ৬% এর মধ্যে (ইয়ার টু ইয়ার বেসিসে) ওঠানামা করছে।
* ইনফর্মাল সেক্টরে কয়েক কোটি লোক কাজ হারিয়েছে।
* লেবার ফোর্স পার্টিসিপেশন(৫২ কোটি) এর রেট এখন ওয়ার্ক ফোর্সের (৯৪ কোটি) ৩৭.৫%। অর্থাৎ কর্মক্ষম বয়সের ৯৪ কোটির মধ্যে ৫২ কোটি কাজ করছে বা কাজ করতে ইচ্ছুক। বাকিরা (৬২.৫%) হয় বেকার , নয় হতাশ হয়ে কাজ খোঁজা ছেড়ে ঘরে বসে আছে। (সূত্রঃ ইকনমিক সার্ভে, পরিশিষ্ট)।
* পেট্রল/ডিজেল, সার, খাদ্যান্ন, মিড -ডে মিল, ফসল বীমা, মনরেগা ও স্বাস্থ্য খাতে টোটাল সাবসিডি ৬.৪৪ ট্রিলিয়ন থেকে কমে ৫.০৩ হয়েছে। অর্থাৎ সাবসিডি ২২% কমেছে।
* ৮৪% পরিবারএর আয় কমেছে।
* এম এস এম ই ৬০ লাখ ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে।
* প্রতি বছর ৪৭.৫ লাখ নতুন ছেলেমেয়ে ওয়ার্ক ফোর্সে কাজের সন্ধানে যূক্ত হবে। কিন্তু বাজেট বলছে বছরে ২ কোটির বদলে এখন ৫ বছরে ৬০ লাখ বা বছরে ৫ লাখ লোককে কাজ দেবে। মানে কম লেখাপড়া শেখা বা আনস্কিল্ডদের কপালে দুঃখ আছে। এদের ইকো সিস্টেমে বিশাল কর্মহীন বাহিনী তৈরি হবে। সমাজের ক্ষেত্রে তার প্রতিক্রিয়া ভয়ংকর।
* ২০১৭ সালে বলা হয়েছিল ২০২২ নাগাদ চাষির আয় দুগুণো হবে। আরে এখন কত? কিছু একটা তো বলবে নাকি? সোয়া বা দেড়গুণো? সারের দাম তেলের দাম বাড়লে আয়ের জায়গায় ব্যয় বাড়বে যে!
ঁ মাথা পিছু আয় ২০১৯-২০ সালে ৯৪,৫৬৬/- থেকে কমে ২০২০-২১ সালে হয়েছে ৮৬৬৫৯/-। পিছিয়ে পড়েছে পড়শি বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার থেকে।
* শিশু অপুষ্টি (৩৩ লাখ/ ৩.৩ মিলিয়নে) চিন্তাজনক। (ভারত সরকারে আই সিডি এস এর রিপোর্ট)।
* গ্লোবাল হাঙ্গার ইন্ডেক্সে ১১৬ টি দেশের মধ্যে এখন ১০১ নম্বর, একবছর আগে ছিল ৯৪। এ'ব্যাপারে ভারত পাকিস্তান, নেপাল ও বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে। (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)।
তাহলে কি এগুলোর অস্তিত্বই নেই? অন্ততঃ আমাদের দেশে?