টিকা
না বলা কথার মৃত্যু হয় না
জারজ সময়ে মৃত্যুমেধ যজ্ঞের ঘোড়া,
দূর থেকে কাছে আসে শুধু!
আদ্যিকালের মানুষ জলদগম্ভীর আকাশের দিকে চেয়ে বসে থাকে,
অনেক জন্মের সাধ তাঁরও তো ছিল!
রুক্ষ মাঠে পাতা ট্রাম,
শেষ কামরায় শেষ রাতে প্রভূত কামনায় বিস্ফারিত চোখ শুধু কথা রাখে!
তারপর হিম হিম গা,
ঝিম ধরা মাথায় ভেসে ওঠে বিভা!
সারা শহর সাদা এপ্রোনে ঢাকা,
মাধবী মালঞ্চির সাথে একাকী শুয়ে থাকা!
আর কি আছে, আছে আর?
সঙ্গমরত রাজনর্তকীর দরজায়,
কড়া নাড়ে বিগত বসন্ত!
ঘুমন্ত মানুষ, নিভন্ত আগুন
এইসব, ঐ, অনেক নীচে দেখা যায়!
মাইলের পর মাইল পাড়ি দিয়ে
গলদঘর্ম দিনের অবসানে, অস্থিমজ্জা ভেদ করে
আমি ঠিক ধুকে যাব দেখো,
না বলা কথার মৃত্যু হয় না জেনে!
আদিরস
খালি গায়ে নদী,
চৈতন্য নিবাস গৃহে
মদন তাঁতির বেহায়া আবদারে সেদিন জানা গিয়েছিল
কৃষ্ণপক্ষ চাঁদের মত কোনো মাংসল সময়ে, হরি হে মাধব!
তারপর ঋজু রেখা,
এ শরীর কত কাজে আসে
সবার যেমন,
নদের পার ধরে অনন্ত জলোচ্ছ্বাসে
গঙ্গা জলঙ্গির এপার ওপার
লাজ-হীন জগ-জনে দেখি যেন হাসে!
ফুটে ওঠা হৃতবাক বঙ্কিম প্রণয়
বারুদ কার্তুজে ঘোড়া
গোলাপি সবুজে নীলে বিরাট প্রান্তরে
একজন রমণীয় আসে,আরেকজন হাত রাখে হাতে!
নিশ্চল ঢিবির উপর ভাবে
সেনদের শেষ সূর্য অস্ত গিয়েছিল একদিন,
সব কিছু ভাঙা পরে, মাটির নিচে মাটি
প্রতিবিম্বিত আলো, শুক্লপক্ষ বলে যাকে
কতবার এলো গেলো,
রূপসুন্দরী সেই মনস্তাপে
তাকে খোঁজে, ঊরুদয় তপ্ত হবে যার, আদিরসে
দারুণ আহ্লাদে!