এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • পরিযায়ী শ্রমিক ও ভারতীয় আর্থিক ব্যবস্থা 

    Tirthankar Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ জুলাই ২০২১ | ১৩২১ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • এই করোনার সংকটকালে পরিযায়ী শ্রমজীবীদের নিয়ে চারিদিকে একটা কলরব চলছে। একটা সামগ্রিক অচলাবস্থা অর্থনীতিকে ত প্রভাবিত করছেই তার ওপর যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা মানুষের জীবন-জীবিকাকে সর্বস্তরে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। পরিযায়ী শ্রমজীবীদের জীবন এমতাবস্থায় নিতান্ত সঙ্কটাপন্ন হয়ে উঠেছে এবং বিভিন্ন সরকারি পদক্ষেপ অপরিহার্য্য হিসেবে দাবি উঠছে।

    শ্রমজীবী বলতে আমরা বুঝি যারা কায়িক শ্রম দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে। এই ধরণের মানুষদের আমরা সকালে বাজারে বা মুখ্য স্হানে-যেমন স্টেশন বা বাস স্টপেজ বা বড় রাস্তার মোড়ে ভিড় করে থাকতে দেখি। আমাদের বাড়িতে এরাই বিদ্যুতের কাজ, নির্মাণ কাজ, প্লাম্বারের কাজ করে দেয়। এদেরই কেউ কেউ দোকানে গুদামে মজুরি করে, অফিসে পিওনের কাজ করে বা ক্ষেতে খামারে কাজ করে দিন অতিবাহিত করে।

    পরিযায়ী শ্রমজীবী হল তারা, যারা কিনা দেশের বিভিন্ন কর্মস্থলে কিছুদিন কিছুদিন করে কাজ করে

    উপার্জনের রাস্তা খুঁজে নেয়। সব শ্রমজীবী পরিযায়ী নয়, তাদের মধ্যে কেউ কেউ পরিযায়ী। পুরুষের সংখ্যা এদের বেশি।

    বিভিন্ন কর্মস্থলে ঘুরে ঘুরে যারা কাজ করে, তারা স্বভাবতই অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক, অর্থাৎ কিনা তাদের কোনো বাঁধা কাজ আর বাঁধা রোজগার বলে কিছু নেই- তাদের জীবন অনিশ্চিত। এরা একেকটা কর্মস্থলে কয়েক দিন থেকে শুরু করে কয়েক সপ্তাহ, কয়েক মাস বা কয়েক বছর পর্যন্ত কাজ করে থাকে।

    এখন প্রশ্ন হল, কেন মানুষ পরিযায়ী শ্রমিকের জীবন বেছে নেয়? এর প্রথম কারণ হল কাজের সুযোগ। শহরাঞ্চলে কর্মরত বহু শ্রমিকের বসতবাড়ি গ্রামে। গ্রামে অত বড় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নেই শহরের মত- কাজেই গ্রামবাসীদের কাউকে কাউকে শহরে আসতেই হয়। দ্বিতীয়তঃ রোজগার। দেশের যে যে স্হানে পারিশ্রমিকের দর বেশি আর কর্মজাত সুযোগ সুবিধা বেশি, সেখানে পরিযায়ী শ্রমিকরা গিয়ে কাজ করেন। তৃতীয়তঃ হল মরশুমি কাজ। অনেক এমন কাজ আছে- বিশেষ করে কৃষি আর কৃষিজ শিল্পে যা কিনা কোনো নির্দিষ্ট মরশুমেই পাওয়া যায়। মরশুম চলে গেলে শ্রমিককে তখন স্থানান্তরে যেতে হয়। পরবর্তী কারণ হল কর্মদক্ষতা। কোনো কাজ শিখতে বা কোনো কাজে দক্ষতা অর্জন করে গেলে সেই পর্যায়ের কর্মসংস্থানের জন্য মানুষ স্হানবিশেষে গমন করে। যেমন কিছু বাঙালি শ্রমিক আছেন দক্ষিণ ভারতের একটি গ্রামে গিয়ে তানপুরা তৈরির কারখানায় কাজ করেন। সেই কাজ এখানে পাওয়া দুষ্কর-তেমন তানপুরার চল এখানে নেই। এইসব কারণগুলি ছাড়াও আরও বিবিধ কারণ সম্ভব।

    ভারতীয় অর্থনীতিতে এইরূপ শ্রমিকদের অবদান কতখানি, তার আর্থিক মূল্যায়ন গবেষণার বিষয়। বস্তুতঃ ভারতের অর্থনীতি এদের শ্রমের ওপরে বেশ খানিকটা নির্ভরশীল। দুঃখের বিষয় হল এই ধরণের শ্রমজীবীরা বেশীরভাগ সময়ে নিজেদের কর্মস্থলে অস্বাস্থ্যকর বাসস্থান, অপর্যাপ্ত খাদ্য আর হীন জীবনযাত্রা নিয়ে দিন কাটান। তার সঙ্গে লেগে থাকে জীবনের অনিশ্চয়তা আর আঞ্চলিক শ্রমিকদের সাথে প্রতিযোগিতাজনিত বিরোধ।

    বলাই বাহুল্য করোনা মহামারীর আবহে এহেন পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা নিতান্ত শোচনীয় হয়ে গেছে। বহু শ্রমিকের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি অনেক শিল্প ধুঁকছে। কাঁচামালের সরবরাহ আসছে না, পণ্য পরিবহন আর বিপণন ব্যাহত, অনেক শিল্পোদ্যোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহৎ শিল্পোদ্যোগ হ্রস্ব হয়ে গিয়ে তার অনুসারী শিল্পগুলোও মন্দার কবলে পড়ছে। CMIE (Centre for Monitoring Indian Economy ) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে এই বিরাট অঙ্কের কর্মচ্যুতির ক্ষতি পূরণ হবার আশা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। পরিযায়ী শ্রমিকেরা অনেকেই নিজেদের স্হায়ী বাসস্হানে ফিরে কর্মহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন; যারা ফিরতে পারেন নি একরকম প্রাণ হাতে করে নিজেদের কর্মস্থলে অশেষ কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। যারা একটা মাসিক বেতন পায়, তাদের দিন কাটানো যদিও বা স্বল্পদিনের জন্য সহজ, অনেকেরই দৈনিক মজুরিভিত্তিক কাজ থাকে- সেসব শ্রমিকদের সঞ্চয় বলে কিছু থাকে না। এহেন অবস্থায় সপরিবারে অনাহার ত অনিবার্য্য। এরকম আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিতে সমাজবিরোধী কার্য্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার একটা প্রবণতা দেখা যায়।

    ভারতবর্ষে ১৯৭৯ সালে এই ধরণের শ্রমজীবীদের কথা ভেবে যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল (Inter-State Migrant Workmen Act) তার উদ্দেশ্য ছিল অপেক্ষাকৃত অনুন্নত প্রদেশের থেকে কাজ করার উদ্দেশ্যে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষা। পশ্চাদপদ অঞ্চলের অধিবাসীরা সেই সময়ে যা হোক কিছু রোজগারের আশায় অন্যত্র যেতে বাধ্য হত নিতান্ত স্বল্প মজুরির বিনিময়ে। এই আইনে সমবেতনের কথা বলা আছে, বাসস্হান আর স্বাস্থ্যব্যবস্থার কথা বলা আছে; বিভিন্ন ধারাগুলিতে শ্রমিকদের অধিকার, ঠিকাদারের ভূমিকা, মুখ্য নিয়োগকর্তৃপক্ষের কর্তব্য আর রাজ্য সরকারের ভূমিকার কথা বলা আছে। কিন্তু সেই আইন কোনোকালেই সঠিকভাবে বলবৎ করা হয়নি এবং বিস্মৃতপ্রায় হতে বসেছিল-গত ২০২০ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সুপ্রিম কোর্টে এই আইনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবেদন করে। বস্তুতঃ এই মহামারী কালে আমাদের দেশে সেই সময়ে দুশো জন এরূপ শ্রমজীবীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সেই একচল্লিশ বছরের পুরনো আইনটাকে সংস্কার করা হয় এবং আরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক আর কর্মীদের এর আওতায় এনে আরও ব্যাপকভাবে সামাজিক সুরক্ষার বিস্তৃতি নিয়ে আসার উদ্দেশ্য ব্যক্ত করা হয়। পরবর্তীকালে এই আইনকে বাতিল করে পরিবর্তে ঐ বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসে Occupational Safety and Health and Working Conditions Code 2020 প্রস্তাবিত হয় যা বলবৎ হওয়ার অপেক্ষায় আছে। এছাড়াও ভারতের অন্যান্য শ্রম আইনগুলির আওতায় পরিযায়ী শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্তি আছেই। কিন্তু সেই আইনগুলি কতদূর কার্যকর করা সম্ভব-সেটাই বিচার্য্য।

    ক্ষুদ্র ও মাঝারি আয়তনের শিল্পের পক্ষে সে সকল আইন মান্য করে কর্মসংস্থান প্রদান করা প্রায় অসম্ভব। সেগুলির অস্তিত্ব বিপন্ন এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল।

    ভারতের জিডিপি (Gross Domestic Product) এর ৪৫% থেকে ৫০% উৎপাদন প্রতি বছর হয় অসংগঠিত শ্রমক্ষেত্র থেকে। এই শ্রমক্ষেত্র যুক্ত আছে ক্ষুদ্র শিল্প, মাঝারি শিল্প ও কুটির শিল্পে। অসংগঠিত ক্ষেত্রে র উন্নয়নের জন্য আমাদের দেশে বহুদিন ধরে অনেক রাজনৈতিক ও সামাজিক গোষ্ঠী সোচ্চার। গ্রামীন ও সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত জীবনযাত্রা দেশের স্হানে স্হানে ব্যাপ্ত করে দিলে সার্বিক উন্নতি সম্ভব। শিল্পের পরিকাঠামো, পরিবেশ সর্বত্র থাকলে শিল্পায়ন ছড়িয়ে পড়তে পারবে। দেশের শ্রমিক নিজস্ব বসতির সান্নিধ্যে কাজ পেয়ে যাবেন-পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কমবে। কর্মসংস্থান বাড়লে বাড়বে labour participation rate. শিক্ষার প্রসার ঘটলে শ্রমজীবীদের যোগ্যতা, উৎপাদনশীলতা বাড়ার সাথে সাথে বিচারশক্তি বৃদ্ধি পাবে। শ্রমজীবীর কর্মদক্ষতা বাড়লে তার নিজস্ব উদ্যোগ প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা জন্মাবে ফলস্বরূপ কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।

    আমাদের দেশে কেন্দ্রীয় সরকার আর রাজ্য সরকারগুলি পরিযায়ী শ্রমিকদের নথিভুক্তিকরণ, কর্মসংস্থান, কর্মকুশলতার খতিয়ান প্রস্তুতি, আর্থিক সাহায্য ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মপন্থার মাধ্যমে তাদের উন্নতি আর সুরক্ষার চেষ্টা করছে। তার সাথে উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সাহায্য করছে। ক্ষুদ্র মাঝারি ও কুটির শিল্পগুলিকে সুনিশ্চিত করার জন্য ব্যাঙ্ক ঋণ সহ অনেক প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। টেলিকম প্রযুক্তি আর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই কাজগুলি আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই বাঞ্ছনীয়।

    এর মধ্যে সমস্যা হল আমাদের দেশের বিপুল জনসংখ্যার মধ্যে খুব সীমিত অংশই করদাতা হিসেবে গণ্য। কেন্দ্রীয় কর নিগম CBDT ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি বিবৃতিতে বলেছিল ১৩০ কোটি মানুষের দেশে মাত্র ১.৪৬ কোটি করদাতা আছেন। এই বিরাট দেশে উন্নয়ন প্রসারিত করার মত যথেষ্ট অর্থবল রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে থাকার আশা কম।

    দ্বিতীয় সমস্যা হল দুর্নীতি। সুনির্দিষ্ট আর সুপরিকল্পিত দুর্নীতি নিবারণ ব্যবস্থার অভাব আমাদের দেশের প্রতিটি কর্মক্ষেত্রকে নিরন্তর কলুষিত আর দীর্ঘসূত্রী করে দিচ্ছে। শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ নিজের ক্ষমতাবৃত্তের বাইরে দৃষ্টি প্রসারণ না করলে জনগণের উপচিকীর্ষু না হলে এই বাধা কোনোদিনই কাটানো যাবে না। সামনে আরও কাজ আছে- পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মকুশলতা প্রশিক্ষণ, কর্মকুশলতার পরিপূর্ণ খতিয়ান, তাদের জন্য পৃথক ট্রেনের কামরা আর বাসের ব্যবস্থা, করোনার জন্য তাদের টিকাকরণ ও স্বাস্থ্য রক্ষা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, শিল্পনীতির আধুনিকীকরণ ইত্যাদি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অনামী | 2409:4060:403:276a:f7e0:d925:d60b:***:*** | ২০ জুলাই ২০২১ ২৩:৩৩495969
  • "শিক্ষার প্রসার ঘটলে শ্রমজীবীদের যোগ্যতা, উৎপাদনশীলতা বাড়ার সাথে সাথে বিচারশক্তি বৃদ্ধি পাবে।"


    উল্টো ফল হবে। যোগ্যতা বাড়লে চাকরির সুযোগ কমে যায়।


    https://m.timesofindia.com/india/more-education-means-less-employment/articleshow/68889475.cms


     বিচারশক্তির সাথে শিক্ষার যোগ কি?


    "শ্রমজীবীর কর্মদক্ষতা বাড়লে তার নিজস্ব উদ্যোগ প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা জন্মাবে ফলস্বরূপ কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।"


    নিজস্ব উদ্যোগের জন্যি পুঁজি লাগবে , কে দেবে? ব্যাংক ছোট উদ্যোগকে ঋণ দিলে ফেরত পাওয়া মুস্কিল হবে। এইসব উদ্যোগ বেশিরভাগই ব্যর্থ হয়। সরকারি ব্যাংক এ গচ্ছিত টাকা কিন্তু অনেকাংশে গরীব ও মধ্যবিত্তের টাকা। লেখক নিজেই লিখেছেন ' অস্তিত্ব বিপন্ন '।


    https://digest.myhq.in/9-reasons-why-startups-fail/


    "India has the third-largest ecosystem for startups, yet 80-90% of Indian startups fail within the first 5 years of their inception."

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন