এইপারের চিত্র একই।
প্রতি ঝড় ঝঞ্জা সুন্দরবন বুক দিয়ে আলগায়, গাছ পড়ে, হরিণ বাঘ পানিতে মরে ভেসে আসে। হাজার হাজার বানভাসি মানুষের "টেকসই বাঁধ" নির্মাণের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।
'আয়লার সময় মমতা কেন্দ্রকে আবেদন করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গকে যেন ত্রাণ না দেওয়া হয়। তার নিজের রাজ্য, তিনি বিরোধী দলনেত্রী। কেন? কারণ সেই টাকা নাকি কোনো কাজে লাগবে না, নেতা মন্ত্রীদের পেটে যাবে'
- এটা বোধহয় শুধু পঃ বঙ্গেই সম্ভব। অন্য রাজ্যে কোন প্রকল্প এলে বা আর্থিক সাহায্য এলে শাসক, বিরোধী হাত মিলিয়ে কাজ করে রাজ্যের স্বার্থে , যাতে সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়, টাকাটা কাজে লাগে
এই ৫০৩২ কোটি টাকা কি শেষ অব্দি পাওয়া গেছিল? কী হল সেই টাকা দিয়ে? কোন কোন বাঁধ তৈরী হয়েছে, আবার ভেঙেছে, তার কোন খতিয়ান আছে?
২০০৯-এ আয়লা। তার পর দীর্ঘ ১২ বছর কেটেছে, এক যুগ । এর দশ বছর তৃণমূল সরকার, দশ বছর কিন্তু অনেক সময়। বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা, তার রূপায়ণের জন্য। বড় কোন ঝড় এলে - আম্পান, ইয়াস - একই ছবি দেখি, বাঁধ ভাঙে , গ্রামের পর গ্রাম জলের তলায়
বাঁধের টাকা কি মূলত বিবিধ চোরেদের পকেটে গেল ?
যেটুকু ম্যানগ্রোভ আছে, খুব বেশি আর নেইও, তাদের সেই চিপকো আন্দোলনের মত বুকে জড়িয়ে রক্ষা করা উচিত। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভ কাটা যাতে একেবারে বন্ধ হয়, সে ব্যাপারে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তাও জানতে ইচ্ছা হয়।
বিপ্লব, বাংলাদেশের মানুষ কি ম্যানগ্রোভ ধ্বংসের প্রতিবাদ করছেন? রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন আশা জাগিয়েছিল