এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  •  কাঁকড়ার দাঁড়া

    Subhamoy Misra লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৮০৩ বার পঠিত
  • “কি এত চুষছিস তখন থেকে! কি আছে ভেতরে?”

    “মজা, কাঁকড়ার ভেতর মজা আছে।”

    মজা না মজ্জা! ইয়াব্বড় একটা কাঁকড়ার দাঁড়া মুখে পোরা মুখটা নালেঝোলে মাখামাখি। তাই কথাটা ঠিক বোঝা গেল না। সে যাকগে, বড়রা কবেই বা ছোটদের কথা বুঝেছে! মাথা না ঘামিয়ে কাঁকড়ার মজ্জাতেই মনোনিবেশ করলেন ভোলাবাবু। তখন তাঁর বয়স মেরেকেটে পাঁচ।

    ছোটবেলা থেকেই ভোলাবাবু কাঁকড়া-পাগল। ঝাল, চচ্চড়ি, টক কোনও কিছুতেই তাঁর আপত্তি নেই। সুযোগ পেলেই খান; বড় হয়েও, বুড়ো হয়েও। কর্কট রাশির জাতক না হয়েও কাঁকড়ার মজা তাঁর মজ্জায় মিশে গেছে। কোন ছোটবেলায় বলা কথাটাও সেই সঙ্গে পরিচিত মহলে প্রবাদ হয়ে গেছে - কাঁকড়ার ভেতর মজা আছে।

    কাঁকড়ার জন্য এহেন ভোলাবাবুর একবার কাঁদো কাঁদো অবস্থা হয়েছিল, চাকরি জীবনে। তাও এদেশে নয়, খোদ বিলেতে। আরে না, আপিসি কাঁকড়ামো নয়, সে তো চাকরির অলিখিত শর্ত। একেবারে সত্যিকারের শাঁস-দাঁড়াওয়ালা কাঁকড়ার জন্য। সেটাই তো আজকের গল্প।

    সেবার অফিসের কাজে ভোলাবাবু গেলেন বিলেত। বিদেশ ভ্রমণ আগে হলেও খোদ রানীর দেশে প্রথমবার। অজ-বাংলার ‘ভূমিজ’ ভোলাবাবু কেঁদে কঁকিয়ে কিছুটা ইংরেজি বুকনি দিতে পারেন। কিন্তু বিলেত যাওয়ার কথা শোনা ইস্তক ‘ককনি’র ভয়ে শিরদাঁড়া কনকন করতে লাগল মাঝে মাঝে। তাও না হয় ‘এক্সকিউজ মি’ আর ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ দিয়ে ম্যানেজ হবে, কিন্তু ভিক্টরিয়ায় ঘটিগরম খাওয়ার অভিজ্ঞতা দিয়ে বিলেতে ভিক্টরিয়ান এটিকেট সামলাতে গেলে ঘেঁটি নড়ে যাবে। তখন তো আর গুগুল ছিল না, তাই কোন হাতে কাঁটা কোন হাতে চামচ ধরতে হয়, তাই নিয়ে ভোলাবাবুর চিন্তা বাড়তেই লাগল। পেট ভরেছে না আরও খাব, তাও নাকি প্লেটের ওপর কাঁটা চামচ রেখে বোঝাতে হয়। চা প্লেটে ঢালা যাবে কিনা, ফুঁ দেওয়া যাবে কিনা, চুমুকে শব্দ হবে কিনা, সেসব জেনে নিতে পরিচিতদের কাছে কম দরবার করেননি ভোলাবাবু। কিন্তু যত জানতে চেয়েছেন তত গুলিয়ে গেছে। শেষে একদিন প্লেনে উঠেই পড়তে হল পাসপোর্ট-ভিসা-টিকিট-পাউন্ড আর চিন্তার বোঝা নিয়ে।

    উঠলেন যেমন, একসময় নেমেও পড়লেন বিলেতের মাটিতে। অফিসে গেলেন, কাজকর্ম চলতে লাগল। তেমন কোনও সমস্যা হল না। সকালে হোটেলের সম্মানসূচক ‘ফুল ইংলিশ ব্রেকফাস্ট’ পেট ফুলিয়ে খেলেন, অসম্মানসূচক কিছু ঘটল না। দুপুরে স্যান্ডুইচ আর কফিও সামলে নিলেন ভালোভাবে। রাতে ‘ফিস এন্ড চিপস’ নামের বিলিতি খানা খেলেন। কোণের দিকের টেবিলে একা খেতে বসলে ওসব রীতি রেওয়াজ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যায়। কেবল খেয়াল রাখলেই হল, তুড়ি মারতে গিয়ে হাত থেকে কাঁটা চামচ যেন পড়ে না যায়, ব্যাস।

    অফিসে দু তিনজন ছোকরার সঙ্গে ভোলাবাবুর বন্ধুত্ব হয়ে গেল কাজের ফাঁকে। একদিন সন্ধ্যেবেলা অতিথি সৎকারের জন্য তারা বগলদাবা করে নিয়ে চলল ডিনারে। বেশ জমকালো রেস্টুরেন্ট। ভোলাবাবুর ম্যানার্স-এর চিন্তা মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। তবে চারদিকে নজর রাখতে ভুললেন না।

    টেবিলে বসেই সবাই মেনুকার্ডে হুমড়ি খেয়ে পড়ল। লম্বা মেনুকার্ড থেকে খাবার বাছাই নিয়ে তর্কাতর্কি হল কিছুক্ষণ। ভোলাবাবু দেখলেন, কলকাতার মতোই তাতে ম্যানার্স-এর ছিটেফোঁটা নেই। শেষে এদেশের মতো বিলেতেও ওয়েটারই ভরসা। ধৈর্য্য ওদের পুরাকালের মুনিঋষিদেরও হার মানায়, দু দেশেই। খুব বিনয়ের সঙ্গে মাফ চেয়ে বলল, “ক্ষমা ঘেন্না করে যদি আজকের স্পেশাল মেনুটা একটু চেখে দেখেন, তাহলে আমরা বাধিত হই।” সবাই রাজি হলে ওয়েটার জানাল সেদিনের স্পেশাল মেনু - ডিপ ফ্রায়েড ক্র্যাব ক্ল, উইথ ফ্রাইজ এন্ড ব্রেড।

    সবাই হইহই করে সম্মতি জানালেও বেঁকে বসলেন ভোলাবাবু। সাদা বাংলায় খাবারটা হল, ছাঁকা তেলে ভাজা কাঁকড়ার দাঁড়া, সঙ্গে আলুভাজা আর পাঁউরুটি। সব ঠিক আছে, সমস্যা কাঁকড়া নিয়ে। অতি প্রিয় সে জিনিস কড়মড় করে দাঁত দিয়ে ভাঙতে হবে, চুষে শাঁস বার করতে হবে, চিবিয়ে ছিবড়ে ফেলতে হবে প্লেটের পাশে। সবার সঙ্গে টেবিলে বসে ছুরি-কাঁটা-চামচ দিয়ে খাস বিলেতের অভিজাত রেস্টুরেন্টে তা সম্ভব নয়। বেইজ্জত হওয়ার ভয়ে যতটা পারা যায় শুকনো মুখ করে ভোলাবাবু সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে বললেন, “শরীরটা ভালো নেই, জেটল্যাগ; হালকা কিছু খাওয়াই ভালো।”

    কিছু এড়িয়ে যেতে গেলে বিদেশ বিভূইঁয়ে জেটল্যাগ খুব ভাল বাহানা। কাজ হল। বার কয়েক উনি ‘শুয়োর’ (sure) কিনা জেনে নিয়ে বন্ধুরা ভোলাবাবুর জন্য অর্ডার দিল - স্যালাড উইথ চিকেন কিউবস, ব্রেড আর আর স্ম্যাশড পোটাটো। খাবারের অপেক্ষার সঙ্গে তরল গল্পগুজব চলতে লাগল।

    যথাসময়ে টেবিলে খাবার এল। অর্ডার মাফিক ভোলাবাবুর ভাগ্যে এক জামবাটি ভর্তি শাকপাতা, তাতে ছোট ছোট সেদ্ধ মুরগি মাংসের টুকরো ছড়ানো। আরেকটা প্লেটে পাউরুটির পাশে একদলা আলুসেদ্ধ। আলুসেদ্ধতে কিছুই নেই, পেঁয়াজ কাঁচালঙ্কা সর্ষের তেল তো দূরের কথা, নুনটুকুও ওপরে ছড়াতে হবে। দেখেই ভোলাবাবু বুঝলেন খাবারদাবার দৃষ্টিনন্দন হলেও রসনানন্দন মোটেই নয়।

    নন্দন তত্ব বিচারের মধ্যেই নাকে ভাজা কাঁকড়ার গন্ধ এল। ভোলাবাবুর মনটা চনমন করে উঠল। টেবিলের ওপর প্লেটে সাজানো কাঁকড়াগুলোর দিকে চোরা চাউনি দিতে গিয়ে চোখ কপালে উঠল ভোলাবাবুর। অজান্তেই মুখ দিয়ে বিড়বিড় করে বেরিয়ে এল - ওরেব্বাস।

    স্বাভাবিক। তেল চুকচুকে টকটকে লাল ইয়া মোটা দাঁড়াগুলো শাঁসে ভরপুর, পেটের ভেতরটাও তাই হবে নিশ্চই। এত বড় পুরুষ্ট কাঁকড়া কলকাতায় দেখতে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার, কিনে খাওয়া তো দূরের কথা। খুব সাবধানে একটা ঢোঁক গিললেন ভোলা বাবু। নেহাৎ বিলেত, নাহলে টপ করে একটা তুলে নিয়ে কামড় দিতেন তখনই।

    অনেক কষ্টে মন শক্ত করলেন ভোলাবাবু। কাঁটা দিয়ে কি একটা পাতা মুখে পুরে করে চিবোতে শুরু করলেন। কাঁকড়ার গন্ধে এদিকে জিভের জলে মুখ ভর্তি হয়ে গেছে। সামাল দিতে শুকনো পাউরুটির টুকরো মুখে ঢোকালেন। হাসি হাসি মুখে মাথা নেড়ে, বিড়বিড় করে ধন্যবাদ দিলেন বন্ধুদের। এমন ভান করলেন যেন কি নয় কি অমৃত খাচ্ছেন, যেন ওই ঘাসপাতা আর পাঁউরুটির জন্য তিনি সারাজীবন অপেক্ষায় ছিলেন তিনি।

    ভোলাবাবুতো কোন ছার, মুনিঋষিরাও ধ্যান ভাঙাতে আসা অপ্সরাদের ফাঁদে পা দিতেন। মুখের পাঁউরুটি শেষ হওয়ার পর ঢোঁক গিলে যেই চোখের পাতা অল্প একটু ফাঁক করলেন অমনি চক্ষু চড়কগাছ। অনেক চেষ্টা করেও চোয়াল ঝুলে পড়া আটকাতে পারলেন না। একজন বন্ধু বিশাল হাঁ করে মোটাসোটা একটা দাঁড়ায় কড়াক করে কামড় বসাল। একটুকরো ভাঙা খোলা চিমটি কেটে মুখ থেকে বার করে আনল। দ্বিতীয়জন দাঁতমুখ খিঁচিয়ে চোয়ালের সমস্ত জোর দিয়েও খোলা পুরোপুরি ভাঙতে ব্যর্থ হল। দাঁড়াটা মুখ থেকে বের করে সরু চোখে নিরীক্ষণ করতে শুরু করল কোথাও চিড় ধরেছে কিনা। তৃতীয়জন ঠোঁট সরু করে গাল চুপসে টান মারছে ভেতর থেকে মজ্জা বার করার জন্য। চোখেমুখে বিজয়ীর হাসি। সেটা অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকার জন্য নাকি কাঁকড়ার ভেতরের মজার জন্য ভগবান মালুম।

    বিলেতের কাঁকড়া খাওয়া এরকম! ছুরি-কাঁটা কিচ্ছু নেই, কড়মড় করে ভেঙে চুকচুক করে চুষে কুড়মুড় করে চিবিয়ে এমনতরো কাঁকড়া খাওয়ার মধ্যে টেবিল ম্যানার্স কই! এ তো দেশের অজ পাড়াগাঁয়েও হয়! থোঃ করে মুখ থেকে ছিবড়ে ফেলার বদলে হাতের কাগজে মুড়ে পাতের পাশে ফেলা, কব্জি বেয়ে কনুইয়ের দিকে গড়িয়ে আসা নালেঝোলে মাখামাখি রসটাকে জিভ দিয়ে না চেটে ন্যাপকিন দিয়ে মুছে নেওয়া; বিলিতিয়ানা বলতে এটুকুই। আর এইটুকুর ভয়ে ছোটবেলা থেকে ‘কর্কট রোগাক্রান্ত’ ভোলাবাবু ঘাস চিবিয়ে একাদশী পালন করছেন!

    এক বন্ধু কাটা ঘায়ে একটু নুনের ছিটে দিল, “তুমি খেতে পারতে, খুব শাঁসাল আর সুস্বাদু।”

    আরেক ছিটে নুন ছড়িয়ে আরেকজন বলল, “তোমাদের দেশে কাঁকড়া খাও?”

    তৃতীয়জন বলল, “কাল শরীর ঠিক থাকলে চেখে দেখো, কাঁকড়া খুব উপাদেয় জিনিস।”

    চোখ ফেটে জল বেরোনোর উপক্রম হল ভোলাবাবুর। কাঁকড়ার মর্ম বোঝাচ্ছে তাকে! বেটা সাহেব, কি বুঝবি তোরা কাঁকড়ার। এই সাইজের কাঁকড়া পেলে একটু খোলা ফাটিয়ে আদা রসুন কাঁচালংকা দিয়ে ঝাল করতে হয়। ঝালের মশলা কাঁকড়ার ভেতরে ঢুকবে, কাঁকড়ার তেল বাইরে বেরিয়ে ঝোলে মিশবে। সে জিনিসের সোয়াদ কি ছাঁকা তেলে ভাজা কাঁকড়া টমেটো সস এ ডুবিয়ে খেলে পাবি রে ভাই। দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল ভোলাবাবুর। মনের ভাব গোপন করে স্যালাড থেকে চিকেনের কুচি খুঁটে খুঁটে খেতে লাগলেন।

    কাঁকড়ার জন্য কান্নাকাটি এখানেই শেষ। তবে দাঁড়ার গল্প একটু বাকি।

    পরদিন ভোলাবাবু বন্ধুদের ডিনারের অফার করলেন। বন্ধুরাই ব্যবস্থাদি সারল। সেদিন অন্য রেস্টুরেন্ট। সেও বিলিতি কায়দায় সাজানো সুন্দর জায়গা। মেনু ঠিক করার সময় লজ্জার মাথা খেয়ে ভোলাবাবু জিজ্ঞেস করে ফেললেন, “এখানে ক্র্যাব-ক্ল পাওয়া যাবে না?”

    এক বন্ধু বলল, “ওহ তুমি কাল খেতে পাওনি। দেখছি পাওয়া যায় কিনা।”

    সেই দুর্বোধ্য ইংরেজিতে ওয়েটারের সঙ্গে অনেক কথা বলল বন্ধুরা। শেষে একজন দুঃখপ্রকাশ করে জানাল, “সরি, এখানে কাঁকড়া নেই। তবে তোমাকে দারুন একটা ডিশ খাওয়াব। সেও ক্ল, তবে চিকেন ক্ল।”

    আরেক বন্ধু উৎসাহের সঙ্গে বলল, “আসলে চাইনিজ ডিশ। খুব ভালো লাগবে খেয়ে।”

    অর্ডার হয়ে গেছে, মাথা নেড়ে ধন্যবাদ জানালেন ভোলাবাবু। চিকেন ক্ল! মুরগির ঠ্যাংই হবে। দেশ ভেদে কতরকম নাম হয় খাবারের তাই নিয়ে মনে মনে হাসলেন। ভাবলেন, দেশে থাকতে ‘পায়া’ খেয়েছেন বেশ কয়েকবার। ছাগল বা ভেড়ার হলে ভাল হত। চিকেনের পায়ে কি আর ওই স্বাদ আসবে!

    যথাসময়ে খাবার এসে গেল টেবিলে। আজ অন্যরা ‘স্টেক’ ইত্যাদি নিয়েছে। ভোলাবাবুর সামনে ওয়েটার যে প্লেট সাজিয়ে দিল, তা দেখে কালকের মত আজও চোখ কপালে উঠল। প্লেট ভর্তি মুরগির থাবা। সেদ্ধ করে সাঁতলে নেওয়া মুরগির থাবা, নখগুলো কাটা। সঙ্গে কয়েক রকম সস, মরিচগুঁড়ো ইত্যাদি। এ জিনিস আবার খায় নাকি! কলকাতায় মাংসের দোকানে কেটে ফেলে দেয় তো।

    এটিকেট রক্ষার জন্য অস্ফুট স্বরে ভোলাবাবু বললেন, “থ্যাংক ইউ।”

    তারপর মুখ ব্যাজার মুরগির থাবা চিবোতে শুরু করলেন। এক চেয়ে গাড়ির টায়ার চিবোনো সোজা। তবু প্লেট শেষ করার জন্য চিবিয়েই গেলেন, চিবিয়েই গেলেন। পৌনে ঘন্টাটাক পরে ন্যাপকিনে হাত মুখ মুছতে মুছতে খেয়াল করলেন, শুরুতে প্লেটে যা ছিল প্রায় সেই পরিমান ছিবড়ে জমা হয়েছে প্লেটের পাশে। পেট যেমন কে তেমন খালি। সিকিভাগও ভর্তি হয়নি। এদিকে মুখ নাড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন।

    সেদিন হোটেলে ফিরে, ঠাকুমার জোরাজুরিতে বয়ে আনা চিড়েভাজার প্যাকেট খুলে ভোলাবাবু ক্ষুধানিবৃত্তি করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু চোয়ালে বিষ ব্যাথার জন্য সে চেষ্টাও খুব একটা সফল হল না। গলা ছেড়ে কাঁদার ইচ্ছেটা চাপা দেওয়ার জন্য কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লেন ভোলাবাবু। প্রার্থনা করলেন স্বপ্নেও যেন আর কাঁকড়ার দাঁড়া না আসে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন