এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মেজাজটাই তো আসল রাজা, আমি প্রজা নই!

    Asok Kumar Chakrabarti লেখকের গ্রাহক হোন
    ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ১০২৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)


  • "আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে, নইলে মোদের রাজার সনে মিলবো কী স্বত্বে?"

    নাচ থামিয়ে সবে কৈশোরে পা দেওয়া দেবলীনা তার মা'কে জিগ্যেস করে বসলো - "আমরা যদি সবাই রাজা হয়ে থাকি, তাহলে প্রজা বলতে কাকে বোঝানো হচ্ছে? তবে যে বলা হলো, ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস মহাসমারোহে উদযাপিত!"

    সত্যিই তো, এ তো সঠিক প্রশ্ন! প্রজা কে? রাজারই যখন কোনো অস্তিত্ব নেই!

    সাতের দশকের গোড়ার দিকে, একাত্তরে এই "প্রজা" প্রশ্ন নিয়ে আমি হাজির হয়েছিলাম খোদ সাহিত্যিক সাংবাদিক সন্তোষ কুমার ঘোষের কাছে। আমি তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র। আর সন্তোষ কুমার ঘোষ আনন্দবাজার পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক। বলা যায়, কাগজের প্রাণপুরুষ। প্রথম এবং শেষ কথা। তাঁর চেম্বারে সকলের ঢোকার অনুমতি ছিল না। একজন শিক্ষানবীশ সাংবাদিক হিসেবে আমি ওই কাগজের অফিসে ক্লাস শেষ হলে বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে হেঁটে লেখালিখির প্রয়োজনে নিয়মিত ধর্ণা দিতাম। বার্তা সম্পাদক অমিতাভ চৌধুরী আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। লেখার জন্য এখানে ওখানে পাঠাতেন। সেই সূত্রে সন্তোষ কুমার ঘোষের নজরে পড়ি এবং তিনিও আমাকে বিশেষ প্রতিবেদন লেখার সুযোগ দিতেন। সেই সময় কলেজ  বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নকশাল আন্দোলন চলছিল। বাতাসে বারুদের গন্ধ। সিআরপিএফ টহলদারি জোরদার। কলেজ স্ট্রীট প্রায় দিনই কাগজের হেড লাইন। এমনি সময় "দেশ" পত্রিকার সম্পাদক শ্রদ্ধেয় সাগরময় ঘোষ আমার খোঁজ করছেন শুনে দেখা করতে তাঁর চেম্বারে গেলাম। ওই দিন কাগজের হেড লাইন ছিল, "সিআরপিএফের গুলিতে দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কৃষ্ণ দাস বিশ্বাস নিহত।" আমার সহপাঠী বন্ধু কৃষ্ণ দাস। শোকে আমরা দিশাহারা। উত্তেজিতও। কেন না, স্রেফ, টিফিন কিনতে গিয়ে গুলির মুখে পড়েছে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ওর কোন দিন কোন সম্পর্ক ছিল না। সেটাই আমাদের সহপাঠী বন্ধু কৃষ্ণকে হারিয়ে ক্ষোভের আসল কারণ। সাগরময় ঘোষের সঙ্গে কথা হল। কালই লেখা জমা দিতে হবে। সামনের সপ্তাহে ওটাই হবে "দেশ" পত্রিকার লিড স্টোরি। বাড়ি ফিরে রাত জেগে, চোখের জল মুছে, লম্বা একটা প্রতিবেদন লিখে ফেললাম। পরের দিন বিকেলে সোজা গিয়ে সাগরময় ঘোষের হাতে লেখাটা জমা দিয়ে তবে স্বস্তি। একটা নিঃশ্বাস ছাড়লাম নিজের মতো করে! শনিবার মানেই তখন "দেশ"। প্রভাতী আনন্দ বাজার পত্রিকায় "দেশ" এর বিজ্ঞাপন ছিল। নকশাল আন্দোলন নিয়ে দেশে আমার লেখা - "এই বিস্ফোরণ: আমার চোখে "। ( ২ জানুয়ারি, ১৯৭১ ) তখন লেখাটা “টক অফ দা টাউন”। কফি হাউসের আডডা, হাতে সাপ্তাহিক "দেশ”।





    ভাগ্য ভালো, কেউ আমাকে তখন চিনত না। দেশের চিঠিপত্র বিভাগের সম্পাদক টানা তিন চার সপ্তাহ ছাত্র-ছাত্রীদের মতামত প্রকাশ করে গেছেন। সে যাই হোক, সন্তোষ কুমার ঘোষের ঘরে একদিন ফাঁকা পেয়ে ঢুকে গেলাম। শুনেছি চুরুট, জর্দা পান খেতেন, দাবা খেলতেন। এসব ছিল তাঁর এক ধরনের বিলাসিতা। চোখ তুলে তাকাতেই সরাসরি সবিনয়ে জানতে চাইলাম, "প্রজাতন্ত্র দিবস এখনও কেন বলা হচ্ছে? প্রজা বলতে কাদের বলা হচ্ছে? ভোটারদের? যারা বৃষ্টির মধ্যে, তাপপ্রবাহ সত্বেও ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়ে নিজের পছন্দ মতো প্রার্থীকে জিতিয়ে আনছে তারা প্রজা? একটু সম্মান কি তাঁরা পেতে পারেন না? সাধারণ মানুষ বলে কি এতোই ফেলনা? আপনি প্রজাতন্ত্র দিবসের কোনো বিকল্প নাম দিতে পারেন না? অন্তত আপনার কাগজে?" সন্তোষ কুমার ঘোষ লেখার টেবিলে এক অচেনা মানুষ। চিন্তামগ্ন। বিরক্ত না হয়ে শুধু বললেন - "সবে জানুয়ারি পড়েছে। নেক্সট দিন যখন আসবে, একবার মনে করিয়ে দিও।" সত্যি কথা বলতে কি, দ্বিতীয়বার একই অনুরোধ রাখতে ঘরে ঢোকার সাহস হয়নি। অপেক্ষা করছি, এবারও কি প্রজাতন্ত্র ভূত আমাদের ঘাড়ে চেপেই থাকবে? না অন্য কিছু দেখবো? না, তিনি চিন্তা করে দেখতে ভোলেন নি। প্রজাতন্ত্র দিবস কাগজের পাতা থেকে বাদ। ২২তম সাধারণতন্ত্র দিবস সসম্মানে সারা দেশ জুড়ে উদযাপিত। তার পর পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেল  দিকে দিকে। বাস টার্মিনালে, রেল স্টেশনে, রেলের কামরায় লেখা হল, "ইহা সাধারণের সম্পত্তি। ইহাকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে আপনার আমার সমান দায়িত্ব।"

    ভারতীয় সংবিধান বিশ্বের সেরা মানবাধিকার সংরক্ষণ কবচ। ড: বাবাসাহেব আম্বেদকর যে অমূল্য সম্পদ ভারতবাসীদের হাতে তুলে দিয়ে ছিলেন, দেখতে দেখতে তার বয়েস হলো ৭২।
    এখনও তার সঠিক মূল্যায়ন অধরাই রয়ে গিয়েছে। হাজার একটা সংশোধন হলেও তার সঠিক রূপায়ণ প্রায় অসম্ভব। আমরা কিছুতেই খুশি হতে পারছি না। তবু সংকট কালে সংবিধানের পাতা ওলটাই। আইন লঙ্ঘনকারীরা ওই রক্ষা কবচের দোহাই দেন। মহামান্য বিচারকদের দিকে দেশবাসী তাকিয়ে প্রহর গোনেন। যে রায় বেরিয়ে আসবে, সেটাই তখন শিরোধার্য। যদিও ক'জন ভারতবাসী সংবিধান পড়ে দেখেছেন,তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়! সংবিধানের দোহাই দিয়ে কিছু করতে গেলে, দেশ গর্জে ওঠে। শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্র জয়ী হয় । সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপন তাই দেশকে নাড়া দিয়ে যায়, নিছক হৈ হুল্লোড় করে কাটিয়েছেন এমনটা শোনা যায় নি। বাবা সাহেবের মানস পুত্র এই ৭২ বছর বয়েসেও তরতাজা যুবা! তার সঙ্গে  কুস্তি লড়ার প্রতিযোগিতায়  কেউই নাম দিতে রাজি হবেন বলে মনে হয় না। গণদেবতার বরপুত্র যে!  

    আজ শনিবার ৩০ জানুয়ারি, জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণতিথি। দেশজুড়ে বাপুজীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে, এই রাজ্যে স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বহু মানুষ গান্ধী মূর্তির পাদদেশে নতমস্তকে উপস্থিত হয়েছেন। আমাদের রাজ্যে মূল অনুষ্ঠানটি হচ্ছে ব্যারাকপুর গান্ধী ঘাটে। রাজ্যপাল, মন্ত্রী, সচিব, পুলিশ আধিকারিক, মহকুমা শাসক এই মুহূর্তে স্মৃতি তর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন। লোক রঞ্জন শাখার শিল্পীরা দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সরকারি লোকেরা অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকেন একরকম বাধ্য হয়ে। কিন্ত সাধারণ মানুষের সাড়া মেলেনি। কনকনে শীতের সকালে হাজিরা আশা করাটা বোধহয় একটু বেশি রকমের প্রত্যাশা! অথচ মাননীয় গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী যখন এই রাজ্যের রাজ্যপাল হয়ে প্রথম বার বারাকপুর গান্ধী ঘাটে স্মৃতি তর্পণ অনুষ্ঠানে এলেন,তখন প্রাঙ্গণে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। তিনি আগেই নির্দেশ পাঠিয়ে ছিলেন, ছাত্র, ছাত্রীদের যেন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সব কটি স্কুল আমন্ত্রণ পত্র পেয়ে ছাত্র ছাত্রীদের প্রার্থনা সভায় পাঠিয়ে ছিলো। ফলে, মাননীয় রাজ্যপাল দেখলেন অনুষ্ঠান মঞ্চ কানায় কানায় পূর্ণ। তিনি সস্নেহে ছাত্র ছাত্রীদের কাছে টেনে নিয়ে নিজের কোলের কাছে বসালেন। নাম জানতে চাইলেন। আব্দার মেনে অটোগ্রাফও দিলেন। বারাকপুর গান্ধী ঘাটের প্রার্থনা সভার অনুষ্ঠানটি  হতো লাটবাগানে। পুলিশের নিশ্ছিদ্র প্রহরায়। শুধু সরকারি লোকজনের বাইরে কারো প্রবেশাধিকার ছিলো না। এক ঘন্টার কাছাকাছি একটি স্মৃতি তর্পণ অনুষ্ঠান। কিন্ত মাননীয় রাজ্যপাল গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী এসেই এই অনুষ্ঠানে সকলকে  ডেকে নিলেন। ছাত্রদের রচনা পাঠ করতে বললেন। অনুষ্ঠান সূচির অনেক পরিবর্তন হলো। আর একটি বড় পরিবর্তন করলেন রাজ্যপাল স্বয়ং। সিংহাসন ছেড়ে রাজ্যপাল বসলেন মাটিতে, লাল কার্পেটের ওপর ।ধুতি পাঞ্জাবি পরে মাটিতে বসা সহজ। মুশকিল হলো অন্যদের। অফিসাররা অধিকাংশই স্যুটেড,বুটেড। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পড়লেন আরো বেকায়দায়। হাঁটু মুড়ে এক ঘন্টার কাছাকাছি সময় মাটিতে বসা অনেকের কাছেই শাস্তি মনে হলো। কিন্ত উপায়ও ছিল না। মহামান্য রাজ্যপাল যেখানে ভূমি আসীন, সেখানে বাকি অতিথিরা চেয়ারে বসেন কি করে! বছরের তিনটি দিন গান্ধী ঘাটের কথা ভাবলেই অনেক অফিসারের জ্বর আসতো। ৩০ জানুয়ারি শহীদ দিবস, ২অক্টোবার বাপুজীর জন্ম দিন আর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস - এই তিন দিন বারাকপুর গান্ধী ঘাটে মহামান্য রাজ্যপাল আসবেন । সরকারি উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সূত্র যজ্ঞ ছিল অবশ্য কর্তব্য। দশ জনের একটি দল মঞ্চে বসে চরকা ঘুরিয়ে কাপড় বুনতেন। এক মাত্র গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী নিজের হাতে চরকা ঘুরিয়ে সুতো বুনতেন। প্রার্থণা সভা ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে সর্বজনীন। লাট বাগান এত দিন ছিল স্বার্থপর দৈত্যর বাগান। এখন ভ্রমণ বিলাসীদের স্বর্গ!





    তখন রাইটার্স বিল্ডিংয়ের কথায় রাজ্য হেলত। গোরা সাহেবরা দেশ ছেড়ে বহুদিন আগে বিদায় নিলেও, চেম্বারে চেম্বার সাহেবরা আজো থেকে গিয়েছেন সদম্ভে, সদর্পে। এমনি এক সাহেবের চূড়ান্ত হেনস্তার কাহিনী না বললেই নয়! এক বড় সাহেব নিজেই নিজেকে সকলের থেকে সরিয়ে নিয়ে ছিলেন। অথচ তিনি আইএএস বা ডাবলুবিসিএস স্তরের অফিসার নন। সেরকমই হাব ভাব প্রোমোশনের পরদিন থেকে। এই অফিসারের ঘরে ডিউটি ছিল নিমাই জানা নামে এক গ্রুপ ডি স্টাফের । নিমাই বাবুকে দেখলে মনেই হবে না তিনি একজন চতুর্থ বর্গের সরকারি কর্মচারী। পোশাক আশাক মায় জুতো পর্যন্ত টিপ টপ। অফিসার পর্যন্ত নিমাই বাবু কে যথেষ্ট সমীহ করতেন। একদিন ওই অফিসারের  মিসেস বিশেষ প্রয়োজনে তাঁর চেম্বারে এসে হাজির হলেন। হঠাৎ দরকার পড়লে, ওই অফিসার কলিং বেল টিপলেন। নিমাই বাবু চেম্বারের দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকতেই অফিসার বীরেন মুখার্জী মিসেস কে দেখিয়ে বললেন – “নিমাই আমাদের দুজনের জন্য দু কাপ চা নিয়ে আয়। সঙ্গে দুটো করে বিস্কুট। আমার গিন্নির ভীষণ মাথা ধরেছে। দেরি করিস না”। অফিসার বলেন কি? বৌয়ের কাছে আমাকে অপমান করা হচ্ছে? মজা দেখাচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে গলা চড়িয়ে বলে উঠল – “নিমাই বাবু নিমাই হলে, বীরেন বাবুও বীরেন হবে। আপনি থেকে তুইয়ে পৌঁছোতে বেশি দেরি হবে না। ক্যান্টিন খোলা আছে। বৌ কে নিয়ে গিয়ে চা খেয়ে আয়। আমি চেম্বার পাহারা দিচ্ছি। তুই আমার কিৎসু করতে পারবি না। আমার তিরিশ বছরের সরকারি চাকরি। মানবাধিকার কমিশনে গিয়ে কমপ্লেন লিখিয়ে আসবো। উল্টে তুইই ফেঁসে যাবি”। 

    না, আষাঢ়ে গল্পের মতো মনে হলেও ঘটনা নির্ভেজাল সত্যি! ওই সময় হৈচৈ শুনে অনেকের সঙ্গে পেশা গত প্রয়োজনে আমাকেও ওই ঘরে উঁকি মারতে হয়েছিল। নিমাই বাবুর শাস্তি বা পানিশমেন্ট হয়েছিল একটাই। ওই অফিসার নিমাই জানা কে ঘটনার পর মুহূর্তে রুটিন বদলি বলে নিজের চেম্বার থেকে সরিয়ে দিয়ে ছিলেন। নিমাই বাবুর তাতে কিছুই এসে গেল না! বাদশাহী হাবভাব যেমন ছিল তেমনি রয়েছে। বারান্দায় বসে গান জুড়লো - "আমার মেজাজটাই তো আসল রাজা - আমি প্রজা নই!" নিমাইবাবু একদিন অবসর নেবেন চাকরি থেকে। জীবন থেকে নয়! আজীবন এই সব লোকেরা রাজাই থেকে যাবেন নিজের জমিদারি সামলাতে! দু পয়সার হলেও জমিদারি তো!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন