এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • || ফুচকা ||

    Nirendra Paul লেখকের গ্রাহক হোন
    ১২ নভেম্বর ২০২০ | ৮২৯ বার পঠিত
  • অনামিকা,
    ভালো আছো?
    কেন না, জামশেদপুরে শীত নামছে। ঝাপসা আকাশ জুড়ে আস্তে আস্তে ভোরের আলো ফুটে একটু দেরিতে সকাল হয়। তারপরই, হটাত ঝলমলে রোদ্দুর, কখন যে বিছানায় ঝাঁপিয়ে পড়ে টের পাই না। উঠে জানলা খুলে দিই। দেখি বাইরে ঠাণ্ডা বাতাস ধীর স্থির হয়ে আকাশ থেকে হিম নিয়ে নামছে। উপরে আকাশ অনেক উঁচুতে উঠে পড়ে বিশাল, উদার আর নীল হয়ে আছে, গভীর প্রশান্ত নীল।

    ব্যালকনিতে চায়ের কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে দেখি উত্তরের ধোঁয়াটে ধূসর পটে দলমা পাহাড় হারিয়ে গেছে, দেখা নেই। অনেক বেলায় ওর রূপরেখা ফুটে উঠবে, বিকেল হতে হতে হবে রবিন ব্লু। ততক্ষণে, সূর্য অস্তগামী।

    পিছনের ট্রাইব্যল কালচ্যরের মাঠ এখনও সবুজ। কদিন আগেও উজ্জ্বল কমলা রঙের জার্সি পরে সকালে একদল আবলুস কালো ছেলের দল ফুটবল খেলত। শিশিরে ভেজা মাঠে ওদের ছুটোছুটি দেখে আমার গা শিরশির করত।

    সোনালী রোদ, সবুজ মাঠ আর উজ্জ্বল কমলা রঙের জার্সির প্রজাপতির মত হুটোপুটি, ছুটোছুটি – ক্যামেরা বের করেও ছবি তুলতে পারি নি, কাকে পাঠাব ভেবে না পেয়ে।

    ক’দিন হল ওদের খেলা শেষ। মাঠে তাঁবু পড়ছে, শিবির বসছে, রাজ্যোৎসব আর ক’দিন পরে। সারাদিন রাত তার কাজ চলছে। নিশুতি রাতে জোরালো রুপালি আলো জ্বেলে ঠুকঠুক, ঠুকঠুক।

    ক’দিন পরেই মাদলের তালে তালে রঙিন জামাকাপড়ে সাঁওতাল শরীরের ঘূর্ণিঝড় উঠবে, পড়বে। কেউ পাশ থেকে দেখে বলবে না, “যাই আমি, ওদের মাঝে ?”

    বই মেলাও শুরু হয়েছে। যাব কি যাব না বুঝতে পারছি না। তবে একবার সামনে দিয়ে গিয়েছি। দেখেছি সারি সারি খুঁটির মাথায় তেরপল জুড়ে দোকানের ছাউনি তৈরি হতে।

    মনে আছে, উল্টোদিকের সারির মাঝখানে একটা গলি করে পিছনে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকত, আর ওখানে বসত যত খাবারের দোকান ?

    ইশ, কী ঝগড়াই না করেছি – আমি চাইতাম এগরোল বা চাওমিন, তুমি চাইতে ফুচকা। কিন্তু ফুচকাওয়ালা তো বাইরে বসত। তার মানেই বাইরে যাওয়া, আর আবার টিকিট কেটে ভিতরে ঢোকা – আর খেই হারিয়ে ফেলা, কোন দোকানে কোন বই দেখতে দেখতে যেন পছন্দ হয়ে গিয়েছিল, যখন কনুইয়ে তোমার অবাধ্য অধীর টানে ছেড়ে এসেছিলাম।

    ভাবছ, কেন লিখছি, এতদিন পরে, এত সব কথা ?

    গত রবিবার গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলাম, উদ্দেশ্যবিহীন হয়ে। হাইওয়ে ধরে শহর ছাড়িয়ে গেলে মাঠে এখনও হেমন্ত দেখতে পাব, সেই আশায়। ফুলডুংরির কাছে এসে মনে হল যেন গাড়িটা একপাশে টানছে। ভাবলাম হয়ত একটা চাকায় হাওয়া নেই, বা পাংচার হয়েছে।

    একপাশে দাঁড় করিয়ে গাড়ি থেকে বেরলাম। দেখলাম, না, সেরকম কোনও ব্যাপার নেই। যে হাওয়ার ঝড় এড়াতে জানালা বন্ধ করে গাড়ি চালাচ্ছিলাম, বাইরে দেখলাম সেই হাওয়া উদ্বেল হয়ে উঠছে, মাটি থেকে ঠিকরে ওঠা হালকা তাপে।

    গাড়িতে হেলান দিয়ে চোখ বুজে সেই হাওয়ায় গা, মন জুড়িয়ে নিচ্ছি, পাশ থেকে কেউ বলল, “বাবু, পাখি নিবি ?” চোখ খুলে দেখি একটা লোক কাঁধে লাঠিতে ঝুলিয়ে বেশ কিছু খাঁচায় পোরা রং-বেরঙের পাখি নিয়ে দাঁড়িয়ে।

    আমি তো পাখি বলতে চড়ুই, শালিক, ময়না, পায়রা, টিয়া আর বসন্তবউরী চিনি। শেষেরটা মনে আছে ? পিছনের ব্যালক্যনি থেকে দেখতাম, অশ্বত্থ গাছে এসে বসত, কোন মৌসুমে ঠিক মনে নেই।

    সবুজ, লাল, কালো মেশানো, ছোটখাটো আর গুরুগম্ভীর – আর, সেই গাম্ভীর্যের সাথে বেমানান ছটফটে নড়ন-চড়ন – কখনও এই ডালে, কখনও সেই ডালে। সেইজন্য কোনও দিন ক্যামেরায় ধরতে পারি নি।

    লোকটাকে বললাম, “তোমার কাছে বসন্তবউরী আছে ?” লোকটা বলল, “নাম কী করে বুইলব। তবে আমার পাখি সব কথা কয়। তাই, যেমনটি নাম শিখাবে তেমনটি বুইলবে।”

    আমি বললাম, “কী করে শেখাব ? আমি তো জানি না কী করে নাম শেখাতে হয়।”

    লোকটা বলল, “আমি শিখায়ে দিব। লাও, পছন্দ কর, আর নামটা কী রাইখবে বল।”

    আমি একটা গেরুয়া আর লাল মেশানো রঙের শান্ত পাখি দেখে পছন্দ করে বললাম. “আমি এটা নেব। একে বলো এর নাম ফুচকা।”

    লোকটা তো হেসেই আকুল, বলে, “ফুচকা নামটা কী রকম হইল বটে ? ফুচকা ... হো হো ... এমন নাম শুনি নাই। যে শুইনবে সেই হাইসবে। নারে খুকি ?”

    যাই হোক, লোকটা পনের টাকা নিলো প্রথমে, তারপর খাঁচার থেকে পাখিটাকে বের করে হাতে নিয়ে অনেকক্ষণ আদর করে নিজের ভাষায় কী সব বলল, বোঝাল। পাখিটা তালে তাল দিয়ে এক দু’বার কক কক কুঁই কুঁই আর, আরও কত কী আওয়াজ করল। মনে হয় আমাকেও যেন ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল।

    তারপর লোকটা পাখিটাকে যত্ন করে খাঁচায় ভরে আমায় দিয়ে দিল। আমি গাড়িটা ঘুরিয়ে বাড়ির দিকে ফিরলাম। কিছু দূর এসে মনে হল, ‘এই রে ! লোকটাকে তো জিজ্ঞাসা করা হল না, পাখিটাকে কী বললে বুঝবে আমি ওর নাম জিজ্ঞাসা করছি।’

    গাড়ি থামিয়ে দেখি পাখিটা আমার দিকে তাকিয়ে বসে আছে, চোখে অবিশ্বাসের দৃষ্টি। কী ভেবে বললাম, “এই, এগরোল খাবি ?” পাখিটা নামাজীদের মত মাথাটা তুলেই আবার নামিয়ে বলল, “ফুচকা !”। আমি তো অবাক। আবার বললাম, “এগরোল খাবি না ?” পাখিটা ঘাড় শুদ্ধু মুখ ঘুরিয়ে বলল, “ফুচকা !”

    বাড়ি এসে একটু মুশকিলে পড়লাম। কী খেতে দিই ? তারপর মনে পড়ল ফ্রিজে ফ্রোজেন ভুট্টার দানা আর মটরশুঁটির দানা আছে। বের করে একটু মাইক্রোওয়েভ করে ওকে দিলাম, সাবধানে খাঁচার দরজা খুলে। বললাম, “এই নে, খা।” পাখিটা মুখটা নামিয়ে দেখে মুখ তুলে বল, “ফুচকা !”

    দুপুরে ঘুমিয়ে পড়ে উঠে দেখলাম ওর খাবার সাবাড়। যাক, নিশ্চিন্ত হলাম। একটা ছোট্ট বাটিতে জল দিলাম খাঁচায়। চোঁচোঁ করে জলটা খেয়ে বলল, “ফুচকা !” বুঝলাম, ওর শব্দভাণ্ডারে এখন ওই একটাই শব্দ জুটেছে। কাজেই যাই বলি, ওর ওই একটাই কথা হবে।

    এর পর হল কাণ্ডটা। মঙ্গলবার বাড়ির বাইরে আওয়াজ শুনলাম, হাঁকছে, “গোলগাপ্পা, ফুচকা, পাপড়ি-চাট ...”। ব্যালক্যনি থেকে চেঁচিয়ে বললাম এক প্লেট গোলগাপ্পা দিয়ে যেতে, বেশ করে ঝাল দিয়ে ঘুগনিটা মেখে। তোমার কাছেই শিখেছিলাম। দিয়ে গেলে, একটা তুলে যেই মুখে দিয়েছি, কি পাখিটার ছটফট করা শুরু হল।

    আর সেই সাথে ক্রমাগত বলে চলল, “ফুচকা ... ফুচকা ... ফুচকা ...” কী করি, একটা ফুচকা দিলাম খাঁচার ভিতর। অনেক ভেবে চিন্তে ওটার ফুটোর ভিতর ঠোঁট ঢুকিয়ে একটা ঠোকর দিল, তারপর আর একটা। বুধবার সকালে উঠে দেখি শুধু খোলাটা পড়ে আছে। বের করে দেখলাম ভিতরের ঘুগনি শেষ, কিন্তু লঙ্কার কুচিগুলো খায় নি।

    একটা ইচ্ছা ছিল ওর একটা শৌখিন নামও রাখব – অনামিকা ... জাস্ট মনে মনে ডাকার জন্য। সে ইচ্ছাপূরণ আর হল না।

    বুধবার সারাদিন পাখিটা কিছু খেল না। কেমন মনমরা হয়ে পড়ে রইল। হয়ত ঝাল ঘুগনি পেটে সয় নি। ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে খাঁচার দরজা খুলে দিলাম, দেখতে ও কী করে। পাখিটা পা টিপে টিপে বেরিয়ে এলো। একটু উড়ে একটা ডাইনিং চেয়ারে বসল। সামনে একটা ডিশে একটু ভুট্টার ডানা দিলাম। খেল না।

    বললাম, “এগরোল খাবি ?” কিছু বলল না। বললাম, “চাওমিন ?” তাও কিছু বলল না। হটাত কী ভীমরতি হল, বললাম, “ঠিক আছে, তাহলে আমি চললাম ফুচকা খেতে।”

    অমনি কী যে হল, পাখিটা উড়ে উঠে জানালার কাঁচে গিয়ে ধাক্কা দিল। মাটিতে পড়ে উঠে আবার উড়ে গিয়ে জানালার কাঁচে ধাক্কা দিল। সেই সাথে অজস্র নিজের ভাষায় চিৎকার, কক-কক, কুঁই-কুঁই, যা শুনে মনে হল যে ও যেন কাকুতি মিনতি করছে ওকে মুক্তি দেয়ার জন্য। শেষমেশ জানালাটা খুলেই দিতে হল, আর পাখিটা উড়ে বেরিয়ে গেল।

    তাই তোমাকে লিখতে বসেছি।

    যদি কোনও দিন দেখ তোমার কাছে কোনও গেরুয়া রঙের পাখি এসেছে, মাথাটা আর বুকটা লাল, ওকে বলে দেখো, “এগরোল না চাওমিন ?” হয়ত বলতে পারে, “ফুচকা !”

    ইতি,
    প্রবাল
    ----------------------------------
    © ইন্দ্রনীর / ১১ নভেম্বর ২০১৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন