D:জো ডেলা রিসি সানফ্রান্সিস্কো এলাকায় কীভাবে স্ক্র্যাচ থেকে কী কী কাজ কীভাবে হল,দেখালেন। UCSF এর গ্র্যাড স্টুডেন্টরা ভলান্টিয়ার করেই তো বিশাল কর্মযজ্ঞ নামিয়েছে দেখলাম। ওঁদের টেস্টিং এর সাপ্লাই চেন অন্য সরকারি কি বেসরকারি ল্যাবের থেকে কীভাবে আর কেন বেটার,তাও দেখালেন। সব জায়গা যদি এই মোডে চলতে পারত !
তবে সানফ্রান্সিসকোতে নেইবারহুড কন্সেপ্ট নেই ? স্যামপ্লের যা আনালিসিস দেখালেন,বললেন apple,google এ কাজ করা লোকজনের প্রতিবেশীই হয়ত একেবারেই খারাপ অবস্থায়, কাজকর্ম হারিয়েছেন কি ফার্লো কি বাইরে বেরতে বাধ্য হয়েছেন, কাজ করতে। মানে পুরো ওয়ার্ক ফ্রম হোম আফোর্ড করা লোকের পাশেই একেবারেই সেটা করতে না পারা লোকজন। যদিও ক্লিয়ার হল না, এই কোভিডে এই বৈষম্য এসেছে,না আগে থেকেই ছিল।
ওঁদের রেজাল্টও ক্লিয়ার কাট দেখাল, ৯০% ইনফেকশন বাইরে বেরন লোকে,ওয়ার্ক ফ্রম হোমে খুবই কম।যা এক্সপেক্টেড। আসিম্পটোমেটিক সিম্পটোমেটিক ভাইরাল লোড প্রায় সমান, মানে প্রায় সমান ছড়াতে পারে (সেটা এখানেও দেখছি) যদিও কারা ছড়াতে পারে বা পারেনা , সেটাও ইন্টারেস্টিং। সুপার স্প্রেডার হওয়া হয়ত স্ট্রেন নির্ভত।
ফাইলোজেনেটিক আনালিসিসেও বেশ ইন্টারেস্টিং রেজাল্ট সানফ্রান্সিসকোতে।প্রচুর প্রচুর স্ট্রেন পেয়েছেন নাকি,মানে নানা জায়গা থেকে লোকে এসেছেন আর এনেছেন। কিন্তু আরো ইন্টারেস্টিং,কোনটাই প্রায় সেরকম ছড়ায়নি। ছোট ছোট ক্লাস্টার সব। নিউইয়ররকের ব্যাপারস্যাপার উলটটো।
TIFR এর ডঃ সন্দীপ জুনেজা আর উল্লাস কোলথুরের মুম্বইয়ের বস্তি আর অন্যান্য এলাকায় দুটো সেরোসার্ভেলেন্সের কাজ খুবই ইন্টারেস্টিং । নানা বস্তি এলাকায় জুলাইয়েই ৫৫% এর উপর সেরো পজিটিভ এসে যাওয়া ,সেটা আবার অগস্টে ৪৮%এ নেমে যাওয়া ! তবে কোন আন্টিজেনের জন্য আন্টিবডি দিয়ে টেস্ট হচ্ছে,তার উপর নির্ভর করছে,এটা খুব জরুরি ব্যাপার। এগুলোর কোনটাই নিউট্রিলাইজিং নাও হতে পারে বললেন। তবে সেই টেস্টো চলছে। এই রেজাল্ট এলে অনেক কিছু বোঝা যাবে। এটা এলে অনেকটাই ভাল খবর। যদিও কতদিন থাকবে,সেও সময়ই বলবে। ভাল ব্যাপার হল, সেসব স্টাডিও পুরোমাত্রায় হচ্ছে।
ডেমোগ্এরাফি ভিত্তিক এজ গ্রুপ কারেকশন করলে ইন্ডিয়ায় ইনফেকশন বা ফ্যাটালিটি রেট অন্যদের থেকে কিছু কম নয়,বললেন। আর ফ্যাটালিটি রিপোর্টেডের অন্তত দ্বিগুণ,এও বললেন।
হার্ড ইম্যুনিটি নিয়েও ভাল আলোচনা হল। এরা প্রায় সবাই সেই নিয়ে বেশ কিছুটা আশাবাদী। ডঃ শশিধরার পুণের স্টাডির পয়েন্টগুলোও ভাবার মত। কতটা সেরোপজিটিভ রেটে কর পজিটিভিটি রেট। অনেকের মধ্যে আন্টিবডি তৈরি হলে ইনফেকশন কমছে কিনা আদৌ ,কতটায় গেলে কমতে পারে ইঃ।
লোকাল ট্রেন খুলে দেওয়ার পক্ষে অনেকেই। স্কুল এখনি না। কারণ বাচ্চারা মাস্ক পরবে কম,ইনফেক্টেড হবে বেশি,বাড়ি এসে তো মাস্ক কেউ পরেই না ,তাই বয়স্কদের ইনফেক্ট করবে বেশি,এইসব ভয়। জানুয়ারিতে খোলা হয়ত কিছুটা সেফ হতে পারে,সঃে ঐ হার্ড ইম্যনিটি আসতে পারে ধরে নিয়েই বললেন ডঃ সন্দীপ জুনেজা।
সবাই অনেকটাই একমত, এলাকা থেকে এলাকার ভেরিয়েশন নিয়ে। যেখানে লোকজন যত বেশি আইসোলেটেড থাকতে পেরেছেন, ইনফেকশন কম। কিন্তু এবার এক্সপোজারে সেই এলাকাতেই ছড়ানোর চান্স অনেক বেশি। প্রচুর ইনফেকশন হয়ে যাওয়া এলাকাগুলয় তুলনায় কম হবে। কম হচ্ছেও।
ডাঃজ্যাকব জন খুবই ভাল পয়েন্ট আনলেন ,টেস্টিংএখন কীভাবে হওয়া উচিত। শুরুতে যেমন টেস্ট টেস্ট টেস্ট দরকার ছিল ,যা সেভাবে হয়নি, তাই এধরণের লকডাউনেও সেরকম কিছু লাভ হয়নি, ইকনমির ক্ষতি হয়েছে প্রচুর,এখন এই কমুইনিটি ট্রান্সমিশন লেভেলে এসে সেই স্ট্রাটেজির মানে নেই। টার্গেটেড টেস্টিং দরকার, কারা বেশি ছড়াতে পারে,সেই নিয়ে স্টাডি করে,তাদের ধরে ধরে করা। কারণ ইম্যুনিটি বাড়তে থাকলে এটা কীভাবে বদলাচ্ছে ,দেখা দরকার।
এই পুরো সেসনটা পাব্লিক করলে ভাল হয়। জানিনা,করা কিনা। এটা দেখা যাচ্ছে ?
সবাই কি ভিডিওটা দেখতে পাচ্ছে? আমায় 'ভিডিও আনআ্যভেলেবল' বলছে
ভিডিওটা প্রাইভেট। দেখা গেল না।
আর কমেন্ট লিখছি তখনো লাল্রঙে আদরবাসা দিতে বলছে কেন?
না,আর কেউউ দেখতে পাচ্ছেনা।