আলোচনা হোক আত্মহত্যা নিয়ে। যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষের নিয়মিত আহ্বান থেকে দূরে সরে এসে মানুষ এখন নিজেকে নিয়ে খুব বিব্রত হয়ে পড়েছে, অন্তত মৃত্যুর ব্যাপারে। মানে যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষ হচ্ছে না কোথাও, এমন নয়, কিন্তু মানুষের ইচ্ছেয় হচ্ছে। অবধারিত ভাবে হচ্ছে বা চাইলেও আটকানো যাচ্ছে না - এমন নয়। আত্মহত্যা এমন একটা সমস্যা হয়ে এসেছে, যার সবটা এখনও ঠিক ধরে ফর্মূলায় আনা যাচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনে হচ্ছে বুঝে ফেলেছি, আবার তার ত্রুটি বেরিয়ে যাচ্ছে। নিখুঁত মডেল মিলছে না। কিন্তু সমাধানের জন্যে উদগ্রীব আমরা, নিত্য নতুন থিওরি চারদিক চেয়ে ফেলেছে। মুশকিল হলো, আত্মহত্যার মতো একটা বিষয় একটা দিক থেকে সম্পূর্ণ ধরাও হয় না - সাইকিয়াট্রির সঙ্গে চলে আসে নৈতিকতা, মনস্তত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, ধর্ম, নৃতত্ত্ব, দর্শন আরো কত কী।
এসবের বেড়াজাল আপাতত সরিয়ে যদি চিকিৎসার মডেল নিয়ে ভাবি, তাহলেও আত্মহত্যার প্রবণতায় একদিকে যেমন ঝুঁকিকর ফ্যাক্টর কমিয়ে বা মানসিক রোগের নিরাময় ঘটিয়ে ব্যক্তিগত চিকিৎসা থাকবে, তেমনি থাকবে জনস্বাস্থ্যের দিকও। এই জনস্বাস্থ্যের প্রসারেও রয়েছে স্পষ্টভাবে দুটো দিক। এক, সরাসরি পদক্ষেপ - আত্মহত্যার উপকরণ সংগ্রহ জটিল করে তোলা, স্কুল স্তর থেকে প্রয়োজনীয় নজরদারি, সংশ্লিষ্ট ভয় ও অমূলক ধারণার অবসান ঘটানো। দুই, সচেতনতা বাড়ানো - যার মধ্যে আসবে মানসিক অসুস্থ মানুষের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং নিজেদের মধ্যে কিছু প্রোটেক্টিভ ফ্যাক্টর গড়ে তোলা। প্রোটেক্টিভ ফ্যাক্টর বলতে চাপের মধ্যে সামলে নেওয়ার কোপিং স্ট্র্যাটেজি, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন, সামাজিক সক্রিয়তা, কগনিটিভ ফ্লেক্সিবিলিটি, আত্মবিশ্বাস জাগানো, নিজের সামাজিক পরিমণ্ডলে সাহায্য চাওয়ার বৃত্তের চিহ্নিতকরণ, ঠিক সময়ে সাহায্য চাইতে পারা, চিকিৎসা পরিষেবা প্রয়োজনে কোথায় ও কীভাবে মিলবে আগে থেকে জেনে রাখা ইত্যাদি ইত্যাদি। এর বাইরেও রয়েছে সামগ্রিকভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রসার এবং শিক্ষা ও সামাজিক নীতিতে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্যোগ। ঠিক যেমন আমাদের কোভিড প্যান্ডেমিক শিখিয়ে চলেছে - কিছুটা আমাদের ব্যক্তিগত দায়িত্ব, কিছুটা সমাজের, কিছুটা রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারকদের।
এসব নিয়ে পরে আবার ফিরে আসব। একটু বনিয়াদী আলোচনা করা যাক বরং। পুরোনো সময় থেকেই আত্মহত্যা নিয়ে লেখালেখি হয়েছে, রেফারেন্স মিলবে গুচ্ছ। তবে আজকাল পশ্চিমী কর্তৃত্বের অ্যাকাডেমিয়া যেভাবে ন্যারেটিভ স্থাপন করে, তা অনেকটা ক্রিস্টিয় আদর্শের ভিত্তিতে। এই লাইনে আত্মহত্যা দেখা হয় নৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, যেটা আমরা সতেরো শতকে টমাস ব্রাউনের মেমোয়ার্সে পাই। প্রসঙ্গত এই একই আদর্শে প্রাণহত্যার দণ্ড সবচেয়ে বেশী করা হয়, এবং এই একই কারণে খুব সাম্প্রতিক সময়ে অব্দি বিভিন্ন দেশের আইন আত্মহত্যা প্রচেষ্টা ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে দেখত। যাই হোক, ইউরোপে পরের দুশো বছরে এটা বিবর্তিত হয় ধর্মীয় থেকে সামাজিক সমস্যার অঙ্গ হিসেবে যার এপিটোম হবে ১৮৯৭ সালে প্রকাশিত এমিল ডার্কহাইমের প্রখ্যাত গ্রন্থ 'লা সুইসাইড'। বাস্তবে তৎকালীন ইউরোপের সমাজ ব্যবস্থার নিরিখেই এখানে আলোচনা হয়েছিল। রাষ্ট্রের প্রতি, সমাজের প্রতি, নিজের প্রতি কর্তব্যের মানদণ্ডে আত্মহত্যার শ্রেণীবিভাগও করেছিলেন ডার্কহাইম। ইনি আত্মহত্যার একজন অথরিটি হিসেবে থাকবেন প্রায় একশো বছর।
(চলবে)
এদিকে সাইকিয়াট্রি মেডিসিনের অন্যতম বিভাগ হিসেবে ফ্রয়েডীয় নাগপাশ থেকে বেরিয়ে সেকেন্ড ওয়েভ অব বায়োলজিক্যাল সাইকিয়াট্রি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালানোর সময় আবার মনোনিবেশ করবে আত্মহত্যার আলোচনায়। সত্তরের দশকে আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেল্থ প্রখ্যাত সাইকিয়াট্রিস্ট আরন টি বেকের নেতৃত্বে আত্মহত্যা, আত্মহত্যার চিন্তা আর আত্মহত্যার প্রচেষ্টা - এই তিন শিরোনামে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে উদ্যোগী হবে। বর্তমানে আমরা করোনার সৌজন্যে পৃথিবীর বেশ কিছু জনস্বাস্থ্য অথরিটির নাম শিখেছি, এদের মধ্যে উল্লেখ্য আমেরিকার সিডিসি। এই সিডিসি দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর ১৯৮৮ সালে বের করবে আত্মহত্যা নির্ধারণের অপারেশনাল ক্রাইটেরিয়া, যেখানে এ বিষয়ের বিভিন্ন শব্দের ইচ্ছেমত ব্যবহার বন্ধ করে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে সংজ্ঞায়িত করা শুরু হয়। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও একাধিক মাল্টিসেন্টার স্টাডি করে এবং আত্মহত্যা মেডিক্যাল অ্যাকাডেমিয়ার মেনস্ট্রিমে এসে যায়।
না এসে উপায়ও ছিল না। প্রায়োরিটি ম্যাটার্স। এমন না, যে মানুষ আগে প্রচুর সংখ্যায় আত্মহত্যা করত না। কিন্তু সেন্টারস্টেজ দখল ছিল অন্যান্য কারণের হাতে। সেগুলো ধীরে ধীরে কমতে শুরু করায় এদিকের উত্থান ভবিতব্য হয়ে উঠলো। আমি বিষয়টা দেখি এইভাবে - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশপাশ তথা অ্যান্টিবায়োটিকের স্বর্ণযুগ আসা অব্দি সাধারণ সংক্রামক রোগের রাজত্বকাল। পরের অর্ধশতাব্দী রাজত্ব করবে ক্রনিক অসংক্রামক রোগ, সৌজন্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের ব্যামো। অবশ্যই দেশের উন্নয়ন বা প্রায়োরিটি জনস্বাস্থ্যে একটা বড় ফ্যাক্টর - অনুন্নত পরিকাঠামোর তথাকথিত বিজিত সংক্রামক রোগ মারণ হয়ে উঠতেই পারে। তাও, গত পঞ্চাশ বছর আমরা ভারতে দেখেছি যক্ষ্মা, কুষ্ঠ, পোলিও, বসন্ত ইত্যাদি আর সর্বব্যাপী ভয় দেখাচ্ছে না। নতুন কোনো সংক্রামক রোগ আবির্ভূত হলে আলাদা কথা - এইডস থেকে কোভিড-১৯ সবাই তা দেখিয়েছে ইতিমধ্যে। তা যাই হোক, ক্রনিক অসংক্রামক রোগের রাজত্বের শেষ অর্ধেই মানসিক রোগ ও আত্মহত্যা শতাংশের হিসেবে সিংহভাগ নিতে শুরু করল, অবহেলার জায়গা রাখল না। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বের করল ২০১৪ সালে ১৯৪টি সদস্য দেশের মধ্যে স্রেফ ৫৯টি দেশের প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে। ওই বছর পৃথিবীতে আত্মহত্যা করেছেন প্রায় আট লক্ষ মানুষ, আত্মহত্যার প্রচেষ্টা প্রায় দু কোটি মানুষের। একটা তুলনা করলে সংখ্যাটা পরিষ্কার হবে। গত দশ মাস ধরে চলা কোভিড প্যান্ডেমিকে এখনও অব্দি আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই থেকে তিন কোটির মধ্যে, মৃতের সংখ্যা সাড়ে আট থেকে নয় লাখ (লেখার সময় অব্দি)। সংখ্যাটার বিশালত্ব এবার একটু বোঝা যাচ্ছে, না? করোনা সব দেশে কীভাবে রেকর্ড হচ্ছে দেখছি, আর আত্মহত্যার রেকর্ড কতটা কেমন হয় আমরা একটু আধটু সবাই জানি - তার পরেও প্রতি এক থেকে দেড় সেকেন্ডে পৃথিবীতে কেউ একজন আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন, এটা অত্যন্ত হাড় হিম করে দেওয়া সংবাদ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই রিপোর্টে অনেক কটা পরিসংখ্যানই বেশ ইন্টারেস্টিং। আমাদের সংবাদ মাধ্যমে মাঝে মাঝেই তরুণবয়স্ক কৃতী যুবক-যুবতীর আত্মহত্যার খবর আসে, জনমানসে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখি। অবিশ্বাস, সন্দেহ, ক্রোধ, অস্বীকার করা - রকমারি আবেগে ভরা থাকে সে প্রতিক্রিয়া। এই সমস্যা বাস্তব - মানতে দ্বিধান্বিত হই আমরা। 'এই বয়সে কীসের ডিপ্রেশন', 'এই তো আনন্দের সময় - এখন কীসের দুশ্চিন্তা', 'বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করো, মুভি দেখো, সব ঠিক হয়ে যাবে' - এসব বলে লঘু করার প্রয়াস, অথবা তৃতীয় এক পক্ষকে দায়ী সাব্যস্ত করে চক্রান্তের রসদ খুঁজে আনা নিয়ত দেখে যাই আমরা। শুধু সবকিছু ছাপিয়ে সংখ্যা জানিয়ে যায়, ১৫-২৯ বছরের বয়স রেঞ্জে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আত্মহত্যা, পথ দুর্ঘটনার পরেই।
আর একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম। পশ্চিমী দুনিয়ায় বেশিরভাগ আত্মহত্যার উপায় হিসেবে থাকে গুলির আঘাত বা গলায় দড়ি। দেখবেন, আমরাও ভাবতে গেলে এগুলোই আগে ভাবি। নিদেনপক্ষে হাতের শিরাধমনী কাটা, গায়ে আগুন বা উঁচু জায়গা থেকে ঝাঁপ। আমাদের গল্পে সিনেমাতেও এগুলোই বেশি জায়গা নেয়। মনে পড়ে অত্যন্ত খারাপ হোমওয়ার্ক করা সিনেমা হেমলক সোসাইটির সেই ভয়ানক ক্লাসগুলো? এইবার একটা হাসপাতালের ইমারজেন্সি অবজারভেশন ওয়ার্ডে একটা দিন কাটিয়ে দেখুন। সুইসাইডাল রোগীর কোনো অভাব হবে না, মিলিয়ে দেখুন। সবচেয়ে বেশি পাবেন চাষী বাড়িতে হামেহাল মজুত পোকা মারার বিষ খেয়ে মরার চেষ্টা। অত্যন্ত গ্ল্যামারবিহীন।
তেমনই আরেক গ্ল্যামারবিহীন পরিসংখ্যান বলে যায়, অনুন্নত বা পলিটিক্যাল করেক্টনেস থেকে বলা উন্নয়নশীল দেশে এবং অপেক্ষাকৃত নিম্নবিত্ত সমাজে আত্মহত্যার সংখ্যা ও আত্মহত্যার প্রচেষ্টা অনেক বেশি। এটা বুঝতে অবশ্যই বেশি মাথা খাটাতে হয় না। তাও, আত্মহত্যা নিয়ে কথা বলতে চাইলে 'ওসব বড়লোকের ফ্যান্সি ব্যাপার' শোনার অভিজ্ঞতা অনেকেরই হয়। অথচ গ্রামে গ্রামে সহায় সম্বলহীন বৃদ্ধা মহিলার মৃতদেহ বিকেলে পুকুরে ভেসে ওঠা এতটাই সাধারণ ব্যাপার যে তাই নিয়ে কোনো আলোড়ন ওঠে না। শুধু স্ট্যাটিস্টিক্স খাতায় নোট থাকে, অনুন্নত দেশে তরুণ ও বৃদ্ধাদের আত্মহত্যার হার অনেক বেশি, উন্নত দেশে মাঝবয়সী মানুষের।
আচ্ছা, বলুন তো, কেউ আত্মহত্যা করতে পারেন, এটা প্রেডিক্ট করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত তথ্য কী? উত্তর, এর আগের কোনো আত্মহত্যার চেষ্টা। আমাদের আরেক বদভ্যাস, কেউ কখনও মোড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধরে নেওয়া যে এ পুরোটা কখনও করে উঠতে পারবে না। বাস্তবে ওই ব্যক্তি অত্যন্ত ভালনারেবল। বস্তুত এক জাতের পার্সোনালিটি ডিসর্ডার রয়েছে, বর্ডারলাইন, তাতে মানুষ সারাক্ষণ ভাবে তাকে কেউ ভালোবাসে না, সবাই তাকে ছেড়ে চলে যায়, নিজেকে গ্রহণযোগ্য করতে সে সারাক্ষণ সাজগোজ থেকে আরো রকমারি ক্যারিকেচারে ডুবে থাকে, অত্যন্ত ইমপালসিভ হয় - সব মিলে এক তথাকথিত ন্যাকা ভাবমূর্তি দেখায় মানুষ এই সমস্যায় থাকলে। এবং ইমপালসিভ মুহূর্তে এরা আত্মহত্যার চেষ্টা করে নিয়মিত, যার অনেক প্রচেষ্টাই খুব একটা ফেটাল হয় না। এই বৈশিষ্ট্য নিয়ে অনেক ক্রিয়েটিভ কাজকর্ম হয়ে এগুলো অনেকসময় একটু খিল্লির মেজাজে দেখা হয়ে থাকে। এবং বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি আত্মহত্যা প্রচেষ্টা সম্পর্কে একটা লঘু মনোভাব জনমানসে আনায় অনেকটাই দায়ী। চন্দ্রিল ভট্টাচার্যের ওয়াই টু কে ছবির প্রথম দৃশ্য প্রসঙ্গত স্মর্তব্য। সমস্যা হলো, আরো পাঁচটা মানসিক রোগের মতো এরাও কিন্তু খুবই ভালনারেবল থাকে, ঝুঁকি যথেষ্ট বেশি।
ঝুঁকির কথাই যখন এল, একবার দেখে নেওয়া যাক আত্মহত্যার সম্ভাবনা কী কী পরিস্থিতিতে কেমন কেমন থাকে। আমাদের একটা বদ প্রবণতা, কিছু একটা পেলেই সেটাকে কোনো এক ঝুড়িতে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করি। ছোট বাচ্চা কাঁদলেই যেমন অনেকে "কে বকেছে" বলে আদর করতে যান, তেমনই আত্মহত্যা শুনলেই ব্যক্তিগত বা পেশাগত ব্যর্থতা হিসেবে দেখার প্রবণতা থাকে। অধুনা অবিশ্যি চক্রান্তের কথাও খুব শোনা যাচ্ছে। আর মানসিক রোগ অব্দি যদি ভেবে ফেলি, সেখানেও ডিপ্রেশন এক এবং একমাত্র দাবিদার। এই গুটিকয় পয়েন্ট মিলে না গেলেই আত্মহত্যার সামনে আমরা খুব অসহায় হয়ে পড়ি, অস্বস্তি হয়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতিগুলো একটু বিস্তারে আলোচনার দাবি রাখে।
মানসিক রোগের জায়গাটাই আগে হোক। গত দশ বছরে আমার পরিচিত বৃত্তে দেখেছি, মানসিক রোগ মানুষ আত্মহত্যা করে, বা আত্মহত্যার পিছনে মানসিক রোগের বড় ভূমিকা থাকে - এটা ততটা ঝুড়ি কোদাল নিয়ে বোঝাতে হয় না। বিষয়টা মেনস্ট্রিমে এসেছে এবং আসছে। পরের পর্যায়ের অংশ হিসেবে আসবে: মানসিক রোগ মানেই ডিপ্রেশন নয়। এবং আত্মহত্যার প্রচেষ্টা মানেই ডায়াগনোসিস ডিপ্রেশন নয়।
এটা টই ছিল না?
পড়ছি। আত্মহত্যা কি সরবদাই এক্সটার্নাল ট্রিগার ডিপেন্ডেন্ট না ট্রিগার নিরপেক্ষভাবে শুধুমাত্র "কেমিক্যাল লোচা" ও হতে পারে? হলে সেরকম কেস সম্বন্ধেও পড়তে চাই।