এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ফেডারাল রিজার্ভ নিয়ে কিছু সিরিয়াস পোস্ট

    S
    অন্যান্য | ০৬ মে ২০২০ | ১৮১৩ বার পঠিত
  • ফেডারাল রিজার্ভ নিয়ে এদিক সেদিক অনেক সঠিক তথ্য পাওয়া যায়। সেগুলো অন্য টইতে লিখেছিলাম। সেখান থেকে এনে এখানে রাখছি। পরে হয়ত কাজে দেবে। নইলে মিথ্যা, ভুল তথ্য, আর লিন্কের নীচে চাপা পড়ে যাবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:২২731200
  • কঙ্গ্রেসের ফেডারাল রিজার্ভ অ্যাক্ট অনুসারে ফেডের জন্ম। এর গভর্ণরা সবাই প্রেসিডেন্ট দ্বারা অ্যাপয়েন্টেড (সেই অ্যাক্ট অনুযায়ীই)। এবং ফেডারাল রিজার্ভ তার কাজ কর্মের জন্য একমাত্র কঙ্গ্রেসের কাছেই অ্যাকাউন্টেবল।

    আমাদের দেশেও এরকম অনেক এন্টিটি আছে যেগুলো ইন্ডিপেন্ডেন্ট সরকারি বডি। যেমন আর বি আই বা নির্বাচন কমিশান। এর প্রধানদের প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি অ্যাপয়েন্ট করে বটে, কিন্তু সরকার এদের কাজকর্মের নির্দেশ দিতে পারেনা। এছাড়া বহু সারকারি কলেজ ইউনিভার্সিটি আছে যেগুলো সরকারি সংস্থা হলেও ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

    ফেডারাল রিজার্ভের স্টক আর প্রাইভেট কোম্পানির স্টকের মধ্যে পার্থক্য আছে। ফেডারাল রিজার্ভের "স্টক" বহু প্রাইভেট কমার্শিয়াল ব্যান্কের কাছে আছে বটে (মেম্বারশিপ ব্যান্ক) কিন্তু সেটার মানে হল তারা শুধুমাত্র ফেডারাল গভকে ক্যাপিটাল সাপ্লাই করে (ডিভিডেন্ডের পরিবর্তে)। কিন্তু কোনও কন্ট্রোল নেই।

    মানে আমি আপনি যখন কোনও ব্যান্কে টাকা রাখি তখন যেমন তাদেরকে আমরা ক্যাপিটাল দিচ্ছি তাদের অপারেশনের জন্য এবং সুদ পাই সেরকম। আপনি গিয়ে স্টেট ব্যান্কের কিচ্ছু পরিবর্তন করতে পারেব্ন না।
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:২৩731201
  • স্ট্যাটুটরি ডিভিডেন্ড রেট হল ৬% ফিক্সড। বিভিন্ন ব্যান্ক যেমন ক্যাপিটাল দিয়েছে, তাদের কাছে তেমনি "স্টক" আছে বা মেম্বারশিপ রয়েছে। এই ব্যান্কগুলো ফেডারাল রিজার্ভকে কন্ট্রোল করতে পারেনা, করেও না। এই কারণেই ফেডারাল গভেরও কোনও কন্ট্রোল নেই। প্রতি বছর খরচ এবং স্ট্যাটুটরি ডিভিডেন্ডের পর ফেডারাল রিজার্ভ যে লাভটুকু করে সেটা ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টকে (যেটা সরকারি এজেন্সি এবং প্রেসিডেন্টের আন্ডারে) ফিরত দেয়।

    মানি ক্রিয়েটিং পাওয়ার ফেডের নেই। ট্রেজারির রয়েছে। ট্রেজারি একদম প্রেসিডেন্টের আন্ডারে।

    ক্যাপিটাল ছাড়া চলবে কোনও এজেন্সি কি করে? যেখানে এত বড় একটা এজেন্সি, ১২ টা রিজিওনাল এজেন্সি। সরকারের কাছ থেকে ক্যাপিটাল নিলে সরকার নাক গলাবে। যেটা এখন আরবিআইকে ভুগতে হচ্ছে।

    সবথেকে বড় কন্ট্রিবিউটার ব্যান্ক অব আমেরিকা, সিটি ব্যান্ক, ওয়াচোভিয়া, জেপি মর্গান - আমেরিকার সবথেকে বড় কমার্শিয়াল ব্যান্কগুলো। বাকি কমার্শিয়াল ব্যান্কগুলো-ও মেম্বার এবং কন্ট্রিবিউট করেছে।

    ফেডের অডিট হয় প্রত্যেক বছর। গভর্ণমেন্ট অ্যাকাউন্টেবিলিটি অফিস (কঙ্গ্রেসের) প্রতি বছর ফেডের বিভিন্ন কাজকর্মের অডিট করে। ইনস্পেক্টার জেনারাল অফিস (এর প্রধানকে প্রেসিডেন্ট অ্যাপয়েন্ট করে) একটা আউটসাইডার অডিট ফার্মকে নিয়োগ করে, যারা প্রতিবছর ফেডের ফাইনান্সিয়াল স্টেটমেন্টের অডিট করে। এই অডিটের রিপোর্ট কঙ্গ্রেস এবং জনগনের কাছে পাবলিশ করা হয়।
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:২৪731203


  • ( )

    হ্ত্ত্প্সঃ।ফেদেরল্রেসের্ভে।গোভপুব্লিঅতিওন্সঅন্নুঅল-্রেপোর্ত।্হ্ত্ম
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:২৫731204
  • ১৯৯৫ থেকে ২০১৮ অবধি প্রত্যেক বছরের সমস্ত কাজকর্মের এবং ফাইনান্সিয়াল রেকর্ড রয়েছে এই নীচের লিন্কে।

    বহু ইকনমিস্টদের (অ্যাকাডেমিক্স এবং প্র‌্যাক্টিশনার) কাজই হল ফেডের কাজকর্ম রেগুলার ফলো করা। ফেডের থেকে বেশি ট্রান্সপারেন্ট এজেন্সি আমেরিকাতে খুব কম আছে।

    https://www.federalreserve.gov/publications/annual-report.htm
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:২৫731205
  • সরকারের কাছ থেকে ক্যাপিটাল নিলে সরকার ফেডকে যেরকম খুশি সেরকম চালনা করতে পারে, আরবিআইতেই দেখা যাচ্ছে। আমেরিকার সবকটা ন্যাশনাল এবং স্টেট-চার্টার্ড ব্যান্ক ফেডের মেম্বার। তাছাড়া কঙ্গ্রেসের নজরদারি থাকে। আর সব গভর্ণররা প্রেসিডেন্ট দ্বারা অ্যাপয়েন্টেড। ফলে কারোর একার দ্বারা খুব কিছু করা বেশ চাপের।

    নীচের ডকুমেন্টটাতে একবার চোখ দিলেই দেখা যাবে বড় বড় করে কেপিএমজির নাম লেখা আছে অডিটার হিসাবে।

    ২০১৯ সালে ফেড আয় করেছে ৫৫ বিলিয়ন ৬০৭ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে মেম্বার ব্যান্কগুলো ডিভিডেন্ড পেয়েছে ৭১৪ মিলিয়ন ডলার। বাকি পুরো লাভটা ট্রেজারিকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

    https://www.federalreserve.gov/aboutthefed/files/combinedfinstmt2019.pdf
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:২৭731206
  • ফেডের ক্যাপিটাল দেয় কমার্শিয়াল ব্যান্করা। সেখানে গোল্ডম্যান দিতেই পারেনা, কারণ গোল্ডম্যান হল ইনভেস্টমেন্ট ব্যান্ক। সবথেকে বড় মেম্বার হল ব্যান্ক অব আমেরিকা, জে পি মর্গ্যান, সিটি, ওয়াচোভিয়া, আর ওয়েল্স ফার্গো।

    একটা লিন্ক পেলামঃ

  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:২৮731207
  • অনেকে ফেডের সমালোচনা করে, বিশেষ করে লিবারেটেরিয়ান ইকনমিস্টরা, কারণ তারা মনে করে যে সরকারে কোনওরকম ব্যান্কিং সিস্টেমি থাকা উচিত নয়, ইনক্লুডিং সেন্ট্রাল ব্যান্ক। ফেড ইন্টারেস্ট রেট ঠিক করারই বা কে? এরা মনে করে মার্কেট ঠিক করবে। ব্যান্কদের আবার রেগুলেট করার কি আছে, ওরা সেল্ফ রেগুলেটেড হবে (আগের ক্রাইসিসের সময় দেখা গেছে ব্যান্কিং সেক্টরে ডিরেগুলেশনের ফলাফল)। এমনকি এরা মনে করে যে ডলার ছাপানোর মনোপলি শুধুমাত্র সরকারের কাছে থাকবে কেন?
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:২৯731208
  • সরকারের যখন ধারের প্রয়োজন হয় তখন ট্রেজারি নিজেই বন্ড বিক্রি করে লোন তোলে। ট্রেজারিডিরেক্ট ডট গভ নামক একটি ওয়েবসাইটে গেলেই ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের কাছ থেকে সড়াসড়ি ট্রেজারি সিকিউরিটি কেনা যায়।

    এর সাথে ফেডের কোনও সম্পর্ক নেই। ফেড ট্রেজারি কেনা বেচা করে বেন্চমার্ক ইন্টারেস্ট রেট মেইনটেইন করে। ফেড ট্রেজারি সিকিউরিটি কেনা বেচা করে ওপেন মার্কেটে।

    সরকারের (কঙ্গ্রেস) পয়সা দরকার। ধার নিতে হবে। ট্রেজারির সিকিউরিটি বিক্রি করে। এই সিকিউরিটি মানে হল ট্রেজারি যার কাছ থেকে লোন নিচ্ছে তার সঙ্গে কন্ট্রাক্ট। অনেকটা শেয়ারের মতন। জনগণ (প্রাইভেট সিটিজেন, কোম্পানি, অন্যান্য ব্যান্ক, বিদেশি গভঃ সবাই) আমেরিকার সরকারকে ধার দিলো। উল্টে ট্রেজারি নিজের কাছে রাখলো যাতে লোনের ম্যাচিওরিটি হলে সেটা দেখিয়ে আম্রিগান সরকারের কাছ থেকে নিজের প্রাপ্য বুঝে নিতে পারে। বা ঐ ট্রেজারি সিকিওরিটি অন্য কাউকে বিক্রি করে দিয়ে লাভ লোকসান করতে পারে।

    এটা একটা আলাদা অপারেশান। এর সাথে ফেডের কোনও সম্পর্ক নেই।

    অন্যদিকে ফেডের সবথেকে বড় কাজ হল মনিটারি পলিসি। মানে বেন্চমার্ক ইন্টারেস্ট রেট নির্ধারণ করা। সেটা আমেরিকাতে একটু অন্যভাবে করা হয়। আমাদের দেশে সাধারণতঃ ডিক্লেয়ার করে দেওয়া হয়। আমেরিকাতে সেটা করা হয়্না। সেখানে ফেডারাল রিজার্ভ ওপেন মার্কেট থেকে (অর্থাত যাদের কাছে ট্রেজারি সিকিওরিটি আছে) ট্রেজারি কেনে বা ওপেন মার্কেটে (যারা ট্রেজারি সিকিওরিটি কিনতে চায়) তাদেরকে নিজেদের কাছে অলরেডি কিনে রাখা ট্রেজারি বিক্রি করে ইন্টারেস্ট রেট পরিবর্তন করে। সেইজন্য এটাকে ফেডারাল ওপেন মার্কেট অপারেশান বলে।
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:৩০731209
  • ফেডারাল রিজার্ভ আসলে একটা ব্যান্ক। কাদের ব্যান্ক? ব্যান্কদের ব্যান্ক। যেকোনও সেন্ট্রাল ব্যান্কই তাই। ঐযে মেম্বার ব্যান্কগুলো দেখলেন ওদের জন্য ব্যান্ক। আমি জানিনা নন-মেম্বার ব্যান্কদেরও অ্যাকাউন্ট আছে কিনা। যেকোনও ব্যান্কেরই পয়সার দরকার হয়, তখন ফেডারাল রিজার্ভের কাছ থেকে ধার নেয় (নিতে পারে) এবং সুদ দেয়। আবার যখন অতিরিক্ত পয়সা হয়ে যায়, তখন তার একটা অংশ ফেডের কাছে রাখে এবং সুদ পায়। এই দুই সুদের হারকেই রেপোর রেট এবং রিভার্স রেপোর রেট বলা হয়।

    এই দুই সুদের পার্থক্য থেকে অপারেশান কস্ট বাদ দিলে যা থাকে সেটা লাভ। তার থেকে স্ট্যাটুটরি ডিভিডেন্ড দেওয়া হয়। বাকিটা ট্রেজারিকে ফিরত দেওয়া হয়। সেটা আমেরিকান সরকারের ব্যান্কিং থেকে প্রফিট।
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:৩২731210
  • ১) কঙ্গ্রেসের অ্যাক্ট অনুযায়ী ফেডের জন্ম। ফেড কঙ্গ্রেসের মাধ্যমে জনগণের কাছে অ্যাকাউন্টেবল।
    2) ফেডের গভর্ণরদের প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করে।
    3) ফেডের অন্যান্য এমপ্লয়িদের ফেড নিজেই নিয়োগ করে।
    4) ফেডের লোকেদের মাইনে (এবং অন্যান্য খরচ) আসে ফেডের নিজস্ব আয় থেকে। তাই তারা সিভিল সার্ভেন্ট নয়।
    5) ফেড একটি ব্যান্ক। সেই ব্যান্ক চালানোর জন্য যে ক্যাপিটাল লাগে, সেটা সব মেম্বার কমার্শিয়াল ব্যান্করা মিলে দেয়। কিন্তু তাদের কন্ট্রোল নেই বা স্বল্প। শুধু ডিভিডেন্ড পায় আর একটা-দুটো বোর্ডে নিজেদের কিছু রিপ্রেজেন্টেটেটিভ থাকে। (এইকারণের অনেকে ভুল মনে করে যে ফেড প্রাইভেট)
    6) ফেড নিজের মতন সিদ্ধান্ত নেয়। ইন্ডিপেন্ডেন্ট। সেখানে কেউ মাথা গলাতে পারেনা।
    7) ডিভিডেন্ড বাদ দিলে ফেডের সব লাভ ট্রেজারিতে ফেরত দেওয়া হয়।

    প্রথম আর শেষ পয়েন্ট থেকেই বোঝা যায় যে ফেড সরকারি এজেন্সি। নইলে বছর বছর টেনস অব বিলিয়নস অব ডলার ট্রেজারিতে ট্রানসফার করত না।
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:৩৩731211
  • https://www.philadelphiafed.org/-/media/education/teachers/resources/fed-today/fed-today_lesson-3.pdf

    এইতো লেখাই আছে। প্রাইভেট হওয়ার কি কি ফিচারs?

    ১) ফেডের নিজস্ব বোর্ড অব ডিরেক্টরস আছে যারা বিভিন্ন ওয়াকস অব লাইফ থেকে আসে। প্রাইভেট সিটিজেন।
    ২) ফেড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস দেয়।
    ৩) ফেড ইজ সেল্ফ ফাইনান্সড।
    ৪) ফেডের এমপ্লয়িরা সরকারি কর্মচারি নয়। মানে নিয়োগ, মাইনে ইত্যাদি আলাদা।
    ৫) ফেড রিজার্ভ ব্যান্কের প্রেসিডেন্টরা সরকারি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নয়।
    ৬) মেম্বার ব্যান্ক হতে গেলে স্টক কিনতে হয়।

    বেশিরভাগ সরকারি কলেজ-ইউনিভার্সিটিতেই এগুলো ফলো করা হয়। তাই বলে সেগুলো বেসরকারি হয়ে যায় না।
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:৩৪731212
  • লাভ ৫৫ বিলিয়ন ডলার। রিটেইন্ড আর্নিঙ্গস মানে লাভের কতটা কোম্পানি নিজের কাছে রেখে দিল (অংশিদারদের ডিভিডেন্ড দেওয়ার পরে)। সেটা শুণ্য নয়। সেটার লিমিট ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার। গত বছর সেটা বদলে ৬.৮ বিলিয়ন মতন করে দিয়েছে। এটা কিন্তু এক বছরের প্রফিট নয়। এটা যত প্রফিট জমেছে, তার মধ্যে ফেড কতটা নিজের কাছে রাখতে পারে তার পরিমাণ (সারপ্লাস)। এই কারণে গত বছর প্রায় ৩.২ বিলিয়ন ডলার এককালীন ট্রেজারিকে ফেরত দেয় ফেড।

    এই ৬.৮ বিলিয়ন ডলার + মেম্বার ব্যান্কদের দেওয়া ক্যাপিটাল (সাড়ে ৩৮ বিলিয়ন ডলার) + প্রয়োজনে বিভিন্ন ব্যান্কের যে ডিপোজিট থাকে (দেড় ট্রিলিয়ন ডলার) সেই দিয়ে ফেড ট্রেজারি কেনে। এমনকি ট্রেজারিও তার টাকা ফেডের কাছে রাখে (৪০০ বিলিয়ন+)। এছাড়াও ফেডের অনেক অ্যাসেট আছে।
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:৩৪731213
  • ১) হ্যামিলটনের সাথে রথসচাইল্ডের কোনও সম্পর্ক নেই।
    ২) হ্যামিলটন প্রথমে ব্যান্ক অব নিউ ইয়র্ক বানায়। তারপর ট্রেজারি সেক্রেটারি হয়ে প্রস্তাব দেয় ব্যান্ক অব ইউএস বানানোর।
    ৩) ব্যান্ক অব ইউএস হল প্রথম ন্যাশনাল ব্যান্ক। মানে আমেরিকার প্রথম ব্যান্ক যেটা একাধিক স্টেটে অপারেট করত।
    ৪) ব্যান্ক অব ইউএসের মাইনরিটি শেয়ারহোল্ডার ছিল ফেডারাল গভ। বাকি সব শেয়ার বাজারে বিক্রি করা হয়েছিল। অনেকটা এসবিআইয়ের মতন।
    ৫) সেন্ট্রাল ব্যান্কের কিছু রোল এই ব্যান্ক অবশ্যই প্লে করেছে। কিন্তু সেই ব্যান্ক শেষ হয়ে যায় ১৮১১ সালে। এর পর আসে সেকেন্ড ব্যান্ক অব ইউএস।
    ৬) আমেরিকাতে মডার্ণ সেন্ট্রাল ব্যান্কিং শুরু হয় ফেডের সঙ্গে। ১৯১৩তে।
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:৩৫731214
  • ১) ফেড মনিটারি পলিসি নির্ধারণ করে। মানে ইন্টারেস্ট রেট নির্ধারণ করে। আমেরিকাতে ইন্টারেস্ট রেট আর মানি সাপ্লাই নির্ধারণ করা অনেকটাই ইন্টারটুইন্ড। অন্য দেশে বোধয় একটু আলাদা।
    ২) যেকোনও সেন্ট্রাল ব্যান্ক হল ব্যান্কদের ব্যান্ক। মানে ব্যান্কের টাকার প্রয়োজন হলে সেন্ট্রাল ব্যান্ক থেকে লোন নেয়, বেশি টাকা হলে সেন্ট্রাল ব্যান্কে জমা রাখে। সুদ আছে।
    ৩) ব্যান্ক এবং আরো কিছু ফাইনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশানকে (যেমন আমাদের দেশে এনবিএফসি) রেগুলেট করে।

    এর বাইরে মনিটারি পলিসি এবং অর্থনীতি নিয়ে কিছু রিসার্চ করে। অনেক ক্ষেত্রে এক্সচেন্জ রেট মেইনটেইন করার অ্যাকাউন্টেবিলিটিও থাকে (দায়িত্ব বলব না)। ইন্ডিয়াতে একসময় কিছু মিন্ট ছিল আরবিআইয়ের, সেগুলো এখন আলাদা করা হয়েছে।

    ফেডের সাথে গোল্ডম্যান স্যাকসের কোনও সম্পর্ক নেই। গোল্ডম্যান একটা ইনভেস্টমেন্ট ব্যান্ক, কমার্শিয়াল ব্যান্ক নয়। এদেরকে রেগুলেট আর মনিটর করে এস ই সি। আমাদের দেশে সেবি।
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:৩৫731216
  • যেকোনও সেন্ট্রাল ব্যান্কের সমালোচনা করা যায় ঐযে সেন্ট্রাল ব্যান্কের রোলগুলো বলেছি সেগুলোর উপরেই। কারণ সেগুলই ওদের দায়িত্ব, নইলে আলোচনা এগোনো যায় না।

    যেমন ফেড যেকোনও ক্রাইসিসেই বেশ কিছু ডেসপারেট মুভ নেয়। যেমন আগের ক্রাইসিসে একগাদা এমবিএস কিনেছে, যেগুলো এখনও তাদের ব্যালেন্স শিটে বড় একটা জায়্গা নিয়ে বসে আছে। এবারে কর্পোরেট বন্ড মার্কেটে ঢুকবে। মোটিভেশান হয়ত খুবই ভালো, নইলে বন্ড মার্কেট বা পুরো ফাইনান্সিয়াল সিস্টেম কোলাপ্স করে যাবে। কিন্তু সমালোচান হল যে এগুলো কি আদৌ ফেডের কাজ। বা ফেডের এসব করার এক্সপার্টাইজ আছে কিনা। কিন্তু ফাইনানশিয়াল স্টেবিলিটির নামে সবই চলছে। এটা অনেকটা চাইনিজ সেন্ট্রাল ব্যান্কের মতন কাজ হয়ে যাচ্ছে। ক্রমাগত প্রাইস সাপোর্ট দিয়েই যায়।

    আরেকটা সমালোচনা প্রায় সব সেন্ট্রাল ব্যান্ককেই শুনতে হয়। সেটা হল রেগুলেটরি ফেইলিওর। আমাদের দেশে ইয়েস ব্যান্ক। ২০০৮-০৯ তে বেশ কিছু কমার্শিয়াল ব্যান্কও কেন ঝামেলায় জড়ালো সেইসব নিয়ে আরকি।
  • lcm | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:৪৭731217
  • এই যে, ঐ থ্রেডে লিখতে যাচ্ছিলাম
    ...
    ৬) মেম্বার ব্যান্ক হতে গেলে স্টক কিনতে হয়।
    ...

    ব্যস!

    ধরো আমার নাম উল্টোরথচাইল্ড।

    আমি অনেকগুলি প্রাইভেট ব্যাংকের মালিক। তাদের মধ্যে অনেকগুলিই আবার ফেডারেল রিজার্ভ অফ নিউইয়র্ক-এর মেম্বার ব্যাংক। আমার ব্যাংকগুলি অনেক ফেড স্টক কিনেছে। আমার প্রত্যেক মেম্বার ব্যাংকের তিনটে কোরে ভোট আছে ফেড পলিসি ডিসিশনে।

    তাহলে কি দাঁড়াল?
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ০৯:৫৩731220
  • আমার প্রত্যেক মেম্বার ব্যাংকের তিনটে কোরে ভোট আছে ফেড পলিসি ডিসিশনে।

    ফেড পলিসি ডিশিসানে?
    কতগুলোর মধ্যে তিনটে ভোট?
    তিনটে ভোট পেতে গেলে তাহলে আপনাকে দেশের সব ব্যান্কের মালিক হতে হবে।
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ১০:২১731222
  • ফেডের অন্যতম বড় বা মুখ্য কাজ হল মনিটারি পলিসি নির্ধারণ করা। এটার বাংলা মোটামুটি মানে হল ইন্টারেস্ট রেট নির্ধারণ করা। ফেড যেভাবে ইন্টারেস্ট রেট নির্ধারণ করে, সেটা অনেক সেন্ট্রাল ব্যান্কের থেকে একটু আলাদা। এটাকে বলে ফেডারাল ওপেন মার্কেট অপারেশান। সেটা ট্রেজারি কেনা বেচা করে করা হয়।

    ফেড ঠিক করল যে ইন্টারেস্ট রেট কমাবে। তখন বাজার থেকে ট্রেজারি কিনতে শুরু করে। এর ফলে ট্রেজারির ডিমান্ড বেড়ে যায় কারণ প্রথমতঃ ফেড নিজেই কিনছে, তাছাড়া বাকি ইনভেস্টরদের জন্য অ্যাভেইলেবল ট্রেজারি কমে যাচ্ছে। ফলে ট্রেজারির দাম বাড়তে থাকে। ইন্টারেস্ট রেট কমে যায়। আর ইন্টারেস্ট রেট বাড়াতে চাইলে ট্রেজারি বিক্রি করতে থাকে মার্কেটে।

    এটা কিন্তু বেন্চমার্ক ইন্টারেস্ট রেট। অন্যান্য জিনিস ছাড়াও এই ইন্টারেস্ট রেটের উপরে বাকি সব লোনের ইন্টারেস্ট রেট এবং অ্যাসেটের ভ্যালুয়েশান নির্ভর করে।

    এর বাইরে অবশ্যই রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট আছে। সেগুলোতে পরে আসবো।
  • S | 108.162.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ১০:৩১731224
  • এই ফেডারাল ওপেন মার্কেট অপারেশান করার দায়িত্বে রয়েছে ফেডারাল ওপেন মার্কেট কমিটি FOMC। দেখা যাক এই কমিটির মেম্বার কে?

    মোট ১২ জন মেম্বার।

    ৭ঃ ফেডারাল রিজার্ভ সিস্টেমের বোর্ড অব গভার্নার্সের ৭ জন সদস্য। এরা সকলেই প্রেসিডেন্ট দ্বারা নিয়োজিত এবং সেনেট দ্বারা কনফার্মড।

    ১ঃ ফেডারাল রিজার্ভ ব্যান্ক অব নিউ ইয়র্কের প্রেসিডেন্ট।

    ৪ঃ বাকি ১১টি ফেডারাল রিজার্ভ ব্যান্কের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে থেকে রোটেটিং বেসিসে ৪ জন।

    এই বিভিন্ন ফেডারাল রিজার্ভ ব্যান্কের প্রেসিডেন্টদের নির্বাচন করে সেই সেই ব্যান্কের বোর্ড অব ডিরেক্টরস।
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ১০:৪১731225
  • ফেডারাল রিজার্ভ ব্যান্কের বোর্ড অব ডিরেক্টরস তৈরী হয় ৯ জনকে নিয়ে।

    ক্লাস এ ডিরেক্টরসরা সেই অন্চলের (সেই ফেড রিজার্ভ ব্যান্কের আন্ডারে যে জিওগ্র‌্যাফি) মেম্বার ব্যান্কদের দ্বারা নির্বাচিত সেই মেম্বার ব্যান্কদের স্বার্থ দেখার জন্য। এরা সাধারণতঃ মেম্বার ব্যান্কদের সিইও, চেয়ারম্যান ইত্যাদি হয়।

    ক্লাস বি ডিরেক্টররাও এই মেম্বার ব্যান্কদের দ্বারাই নির্বাচিত হবে। কিন্তু এরা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টার। মানে ঐ মেম্বার ব্যান্কদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এদের কাজ পাবলিকের স্বার্থ দেখা। এরা সাধারণতঃ ঐ অন্চলের সবথেকে বড় শিল্প বা কনসালটিং কোম্পানি বা অন্যান্য ইনস্টিটিউশানের প্রধান বা উচ্চ পদাধিকারিরা হয়।

    ক্লাস সি ডিরেক্টরদের নির্বাচন করে বোর্ড অব গভর্ণর। এদেরও কাজ পাবলিকের স্বার্থ দেখা। এরা বিভিন্ন ওয়াক্স অব লাইফ থেকে আসে। অ্যাকামেডিশিয়ান, প্রাক্তন আমলা, প্রাক্তন শিল্পপতি, লেবার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, নন প্রফিটের এগজিকিউটিভ, অ্যাক্টরস গিল্ডের ডিরেক্টর ইত্যাদি।

    বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের কাজ হল প্রেসিডেন্টের কাজের মনিটরিং করা।
  • S | 172.68.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ১৭:৪৩731237
  • ফেড যখন ট্রেজারি কেনে তখন বিক্রেতাকে তার দাম দিতে হয়। সেটা ফিজিকাল কারেন্সিতে না দিলেও চলে। ঠিক যেমন আপনাকে যখন মাইনে দেয়, তখন নিশ্চই আপনার কোম্পানি আপনাকে নোটের তাড়া হাতে গজিয়ে দেয় না। আপনার ব্যান্ক অ্যাকাউন্টটা জাস্ট বদলে যায়। উল্টে আপনার কোম্পানির অ্যাকাউন্টে টাকার পরিমাণটা কমে যায়। একেই কেডিট আর ডেবিট বলা হয়।

    এবারে ফেড যদি কোনও পার্টির থেকে ট্রেজারি কেনে যার অলরেডি ফেডের কাছে অ্যাকাউন্ট আছে, তাহলে ফেড সেই অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে একদিকে অ্যাসেট (ট্রেজারি) বাড়লো, আবার অন্যদিকে লায়াবিলিটিও বাড়লো।

    হ্যাঁ এর ফলে মার্কেটে ট্রেজারির পরিমাণ কমলো এবং মানি সাপ্লাই (এক্ষেত্রে ডিজিটাল) বাড়লো। এই কারণেই লিখেছিলাম যে আমেরিকাতে মানি সাপ্লাই আর ইন্টারেস্ট রেট নির্ধারণ - মনিটরি পলিসির দুটো পার্ট কিছুটা ইন্টারটুইন্ড।

    আবার যখন ইন্টারেস্ট বাড়ানো হয় তখন ট্রেজারি বিক্রি করা হয় এবং ট্রেজারি ক্রেতার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স কমিয়ে দেওয়া হয়।

    নিউ ইয়র্ক ফেডের ওয়েবসাইটে লেখা আছে যে ফেড শুধুমাত্র সেইটুকুই ট্রেজারি কেনা-বেচা করতে পারে যেটা টার্গেট ইন্টারেস্ট রেট অ্যাচিভ করতে লাগে। এর ফলে মানি ক্রিয়েট যেমন হয় আবার ইন্টারেস্ট বাড়ার সময় উল্টোটাও হয়। সাধারণ সময়ে এই নিয়ে খুবেকটা কেউ মাথা ঘামায় না কারণ পরিমাণটা খুবই কম থাকে। সমস্যা হয় যখন ক্রাইসিসের সময় খুব তাড়াতাড়ি ইন্টারেস্ট রেট অনেকটা কমাতে হয়।

    কিন্তু এর আসল এফেক্টটা অন্যত্র হয়। ইন্টারেস্ট রেট কমার ফলে ট্রেজারি আরো বেশি পরিমাণ ট্রেজারি বিক্রি করতে পারে।
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ১৯:২৬731244
  • এক্ষেত্রে মার্কেট থেকে সমপরিমাণ ট্রেজারি সড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। তার বদলে ডলারের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। ফলে মার্কেটে ট্রেজারি+ডলারের পরিমাণ একই থাকছে। তাছাড়া ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট যে ডলার তৈরী করে (মানি ক্রিয়েট করে), সেটা এইভাবেই বাজারে ছড়ানো হয় (এটা অন্যতম উপায়)।
  • S | 108.162.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ২২:১৫731258
  • ইন্টারেস্ট রেট মেজর চেন্জ করা হয় বিশেষ অর্থনৈতীক পরিবেশে। সেরকম পরিবেশে প্রায় সবাই জানে যে এবারে ইন্টারেস্ট রেট কমানো হবে। সাধারণত ইন্টারেস্ট রেট বাড়ানো হয় গ্র‌্যাজুয়ালি। এবং ভবিষ্যতের জন্য ফেড গাইডেন্স দিয়ে দেয়। সাধারণত বছরে ৮টি মিটিং করে FOMC। সবাই জানে কখন হবে সেই মিটিং। ফলে খুব বেশি অজানা থাকেনা। হ্যাঁ একেবারে আনসার্টেনটি নেই, তা বলা যায়্না। কারণ সামনের মিটিংএ বাড়াবে-কমাবে কিনা কেউ সিওর জানেনা, কতটা চেন্জ করবে সেটাও অজানা থাকে।
  • দ্রি | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ২৩:৩০731260
  • ক্লাস এ, ক্লাস বি, ক্লাস সি ডিরেক্টারদের কি ভোটিং পাওয়ার সেম? এদের কত ঘন ঘন বদল করতে হয়? এরা কি ধরনের ডিসিশান নিতে পারে?
  • S | 162.158.***.*** | ০৬ মে ২০২০ ২৩:৫২731263
  • হ্যাঁ। তিন বছর। প্রেসিডেন্ট আর ফার্স্ট ভীপের অ্যাপয়েন্টমেন্ট এবং কাজের অ্যাপ্রেইজাল, ব্যান্কের কাজকর্মের মনিটরিং, আর লোকাল ইকনমির ইনসাইট দেয় ফেডের FOMC কমিটিকে।

    ক্লাস সি ডিরেক্টররাই শুধুমাত্র বোর্ডের চেয়ার আর ভাইস চেয়ার হতে পারে। ক্লাস এ ডিরেক্টরদের বহু কমিটিতে (যেমন জায়্গা নেই ব্যান্ক রেগুলেশানের কমিটি), অন্য অনেক কমিটিতেও শুধুমাত্র মাইনরিটি হিসাবে থাকতে হয়।
  • S | 162.158.***.*** | ০৭ মে ২০২০ ০০:২৮731272
  • ক্লাস সি ডিরেক্টররাই শুধুমাত্র বোর্ডের চেয়ার আর ডেপুটি চেয়ার হতে পারে। ক্লাস এ ডিরেক্টরদের বহু কমিটিতে জায়্গা নেই (যেমন ব্যান্ক রেগুলেশানের কমিটি), অন্য অনেক কমিটিতেও শুধুমাত্র মাইনরিটি হিসাবে থাকতে হয়।
  • S | 108.162.***.*** | ০৮ মে ২০২০ ২৩:৫৩731298
  • সেন্ট্রাল ব্যান্ক হল ব্যান্কদের ব্যান্ক। এবং অবশ্যই সরকারের ব্যান্ক। এখানে প্রথমটা নিয়ে আলোচনা করা হল।

    যেকোনও সেন্ট্রাল ব্যান্কের একটা বড় ভূমিকা হল ডিপজিটারি ইনস্টিটিউশান হিসাবে কাজ করা। এর মানে হল কোনও ব্যান্ক তার অতিরিক্ত ফান্ড সেন্ট্রাল ব্যান্কে রাখতে পারে (যেহেতু সেন্ট্রাল ব্যান্ক প্রায় রিস্ক ফ্রী)। তেমনি কোনও ব্যান্কের ফান্ডের প্রয়োজন পড়লে সেন্ট্রাল ব্যান্ক থেকে (আবারও সাধারণত খুব কম সময়ের জন্য) লোন নিতে পারে।

    ভারতের ক্ষেত্রে আরবিআই যে সুদের হারে কমার্শিয়াল ব্যান্ককে ধার দেয় সেটা হল রেপো রেট আর কোনও কমার্শিয়াল ব্যান্ক আরবিআইতে টাকা রাখলে যে সুদের হার পায় তাকে রিভার্স রিপো রেট বলে। এই দুয়ের মাধ্যমে আরবিআই মানি সাপ্লাই কন্ট্রোল করে। এই দুই সুদের হার বাড়িয়ে দিলে ব্যান্কগুলো একই সঙ্গে আরবিআই থেকে কম ধার নেবে এবং নিজেদের অতিরিক্ত ফান্ডের বেশি পরিমাণ আরবিআইতে রাখবে, ফলে মার্কেটে টাকার পরিমাণ (মানি সাপ্লাই) কমে যাবে। আবার টাকার পরিমাণ বাড়াতে দুই রেট কমিয়ে দিলেই চলবে।

    আমেরিকাতে এই রেপো রেটকে ডিসকাউন্ট রেট বলা হয়। যে রেটে ফেড থেকে কমার্শিয়াল ব্যান্কগুলো লোন নেয়। এই লোনের মাধ্যমে ক্রেডিট এবং লিকুইডিটি দুভাবেই সাহায্য করা হয় যাতে ব্যান্কিং সিস্টেম দৃঢ় থাকে।
  • S | 108.162.***.*** | ০৯ মে ২০২০ ০০:০০731299
  • প্রায় প্রত্যেক দেশেই নিয়ম অনুযায়ী কমার্শিয়াল ব্যান্কগুলোর মোট অ্যাসেটের একটা অংশ সেন্ট্রাল ব্যান্কে রাখতে হয়। এর ফলে পুরো ব্যান্কিং সিস্টেমের রিস্ক কমানো হয়। ইন্ডিয়াতে একে ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (সিআরার) বলে, আমেরিকাতে বলে রিজার্ভ রিকোয়ারমেন্ট। আমেরিকাতে কিন্তু এই রিজার্ভ রিকোয়ারমেন্টের মান্য বাধ্যতামূলক ভাবে ফেডের কাছে টাকা রাখতেই হবে না (ডিজিটালি), কোনও ব্যান্ক চাইলে নিজেদের ভল্টেও ফিজিকাল কারেন্সি রাখতে পারে।

    ভারতে কমার্শিয়াল ব্যান্কগুলো সিআরারের জন্য কোনও সুদ পায়্না আরবিআই থেকে। আমেরিকাতেও রিজার্ভের জন্য কমার্শিয়াল ব্যান্কগুলো কোনও সুদ পেত না। কিন্তু ২০০৮এর পর থেকে ফেড সুদ দিতে শুরু করে যাতে কমার্শিয়াল ব্যান্কগুলো বেশি পরিমাণ টাকা ফেডের কাছে জমা রাখে (নিজেদে ভল্টে রাখার বদলে)। এই অতিরিক্ত ফান্ডের দরকার পড়েছিল, যেটা ব্যবহার করে ফেড প্রচুর পরিমাণ ট্রেজারি এবং এমবিএস কিনেছিল।
  • S | 108.162.***.*** | ০৯ মে ২০২০ ০০:২৩731302
  • ফেডারাল ওপেন মার্কেট অপারেশান নিয়ে উপরে লিখেছি। এই অপারেশানের ফলে মানি সাপ্লাইয়ের মাধ্যমে বেন্চমার্ক ইন্টারেস্ট রেট নির্ধারণ করে। এর ফলে শর্টটার্ম ট্রেজারি বিলের ইন্টারেস্ট রেট বদলে তো যায়ই, কিন্তু আসল লক্ষ্য হল ফেডারাল ফান্ড রেট। তাই বলা হয় টার্গেট ফেডারাল ফান্ড রেট।

    ফেডেরাল ফান্ড রেট হল সেই সুদের হার যেটা ব্যবহার করে আমেরিকাতে কমার্শিয়াল ব্যান্কগুলো (বা জেনারালি ডিপজিটারি ইনস্টিটিউশানগুলো) নিজেদের মধ্যে ধার দেওয়া নেওয়া করে। এই ধার হয় ওভারনাইট এবং কোলাটেরাল বিহীন। ধরুন কোনও ব্যান্ক দেখলো যে দিনের শেষে তার রিজার্ভ রিকোয়ারমেন্ট রাখতে পারছে না, তখন অন্য ব্যান্কের কাছ থেকে ধার করে। যে সুদের হারে এই ধার দেওয়া হয়, তাকেই ফেডারাল ফান্ড রেট বলা হয়।

    এই সুদের হারের উপর নির্ভর করেই বাকী সব লোনের সুদ নির্ধারিত হয়।

    এই যেমন এখন ফেডারাল ফান্ড রেট কমানো হচ্ছে। এর জন্য ফেড বাজার থেকে প্রচুর ট্রেজারি কিনবে। ফলে ব্যান্কের কাছে ট্রেজারি কমে যাবে, কিন্তু ক্যাশ বেড়ে যাবে। ফলে অন্য ব্যান্কের থেকে লোন নেওয়ার প্রয়োজন কমে যাবে, ফেডারাল ফান্ড রেটও কমবে।
  • S | 37.12.***.*** | ২৫ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৫৩738993
  • তুলে দিলাম। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন